৫৯ বর্ষ ২৭ সংখ্যা / ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ / ৫ ফাল্গুন, ১৪২৮
কমরেড বিভা ঘোষ গোস্বামীর স্মৃতিতে
রমা বিশ্বাস
কমরেড বিভা ঘোষ গোস্বামী ৮৮ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন। ৩ ফেব্রুয়ারি রাত্রি ১১.৪০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত সাড়ে চার বছর ধরেই তিনি প্রতিদিনের কাজে থাকতে পারছিলেন না। আমরা যারা তাঁর ব্যক্তিত্বময়ী-মমতাময়ী দৃঢ়প্রত্যয়দৃপ্ত একজন মানুষ হিসাবে দেখে অভ্যস্ত ছিলাম তাঁর এই অসুস্থতা মেনে নিতে অসুবিধা হচ্ছিল।
কমরেড বিভা ঘোষ গোস্বামী ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি অবিভক্ত ভারতের যশোহর জেলার হিদিয়ায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত মালিয়াট গ্রামের প্রাণকৃষ্ণ বালিকা বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। ওই স্কুলে তাঁর বাবা এবং মা শিক্ষকতা করতেন এবং স্কুলের বোর্ডিং বাড়িতে থাকতেন। ১৯৪৪ সাল থেকে সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তারাপ্রসন্ন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পড়েন তিনি। ১৯৪৬ সালের জানুয়ারি মাসে কলকাতায় ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয়ে নবম শ্রেণিতে ভরতি হন এবং ১৯৪৮ সালে ওই স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন।
আজ থেকে ৭৫ বছর আগে একটি মেয়ে যশোহরের এগারোখান এলাকা থেকে এসে কলকাতায় ম্যাট্রিক পাশ করলেন। এই অধ্যায় পূরণ কেমন করে হলো তার কারণ খুঁজে বের করা গেলে এক অদ্ভূত অসম লড়াইয়ের যোদ্ধা কমরেডের বাবা-মায়ের পরিচয় তুলে ধরা অত্যন্ত প্রয়োজন। বাবার নাম বনমালী গোস্বামী, মায়ের নাম সুধামুখী গোস্বামী। একেবারে শৈশবে মাতৃহীন, একটু বড়ো হয়ে পিতৃহীন হন। একটা অন্ত্যজ জনগোষ্ঠীর মধ্যে জন্ম। জল-অচল নমঃশুদ্র বলে নিপীড়ন, গোরু চরানোর রাখালের কাজ করতে করতে অসংখ্য স্কুল তৈরি করার অক্লান্ত সংগ্রামী মানুষ তৈরি হয়ে ওঠার এক বর্ণময় চরিত্র বনমালী। বিবাহের পর স্ত্রীকে শিক্ষিত করার লক্ষ্যে নিজে যেখানে শিক্ষকতা করতেন সেখানে তৃতীয় শ্রেণিতে ভরতি করেন। আজ থেকে ১০২ বছর আগে এই লড়াই কত কঠিন ছিল তা সহজেই অনুমেয়। স্ত্রীকে স্কুলে নিয়ে যাবার সময় কুৎসিত কটুক্তি, কখনো ঢিল খাওয়া পর্যন্ত চলেছে। স্ত্রীকে উচ্চশিক্ষা দিতে হাওড়ার বাণীবনে পাঠানো, ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয়ে থাকার ব্যবস্থা করা। অত্যন্ত দরিদ্রতার মধ্যে শিক্ষাই একমাত্র লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে স্থির রাখা। এমনকী স্ত্রীর শিক্ষার কাজে যাতে বাধা সৃষ্টি না হয় তার জন্য ব্রহ্মচর্য পালন করেছেন। বনমালী গোস্বামী কতটা প্রগতিশীল ছিলেন তার একটা উদাহরণ বিভা ঘোষ গোস্বামীর ৭/৮ বছর বয়সে চন্দ্রহাস নাটকে গ্রামে ঘুরে ঘুরে অভিনয় করা। বাবা-মেয়ে মিলে পালায় অংশ নেওয়া আজ থেকে ১০০ বছর আগে ভেবেছেন!
মায়ের শিক্ষাপর্ব - ১৯২৮ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন কলকাতা ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয় থেকে প্রথম বিভাগে। তিনি সঙ্গ পেয়েছিলেন সুকুমার রায়, রবীন্দ্রনাথের। বিপ্লবী পুলিন বিহারী দাসের কাছে লাঠি খেলা, ছুরি চালানো শিখেছেন। ১৯২৩ সালে বর্ধমানে এবং প্রেসিডেন্সি বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়ে বৃত্তি পান। এস্রাজ বাজাতে পারতেন। বাবা-মা দুজনেই অসম্ভব ভালো গান গাইতে পারতেন।
কাদম্বিনী গাঙ্গুলির মেয়ে জ্যোর্তিময়ী গাঙ্গুলি, সুধামুখী গোস্বামীর স্কুলের প্রিন্সিপাল ছিলেন। সারা জীবন শিক্ষার প্রসারে বিভা ঘোষ গোস্বামীর বাবা-মায়ের লড়াই এক অনবদ্য আখ্যান। উচ্চশিক্ষা ছেড়েছিলেন নিজের সমাজের শিক্ষার উন্নতির জন্য। ৪০ টাকার চাকরি ছেড়ে ১০ টাকায়, ৩০ টাকার চাকরি ছেড়ে ১০ টাকায় শিক্ষকতা করেছেন। বেঁচে থাকাই মূল, স্বচ্ছলতার লড়াই করেননি। এহেন বাবা-মায়ের সন্তান কমরেড বিভা ঘোষ গোস্বামী। তাঁরা তিন বোন এক ভাই।
১৯৪৩ থেকে ১৯৪৮-এর মধ্যেই কমরেড বিভা ঘোষ গোস্বামী সমাজের খারাপ ভালোর সঙ্গে প্রভাবিত হন। এগারোখানের মালিয়াট গ্রামের ১৯৪৩-এর মন্বন্তর, কলকাতায় থাকাকালীন ১৯৪৬-এর দাঙ্গা, স্বচক্ষে দেখার মধ্য দিয়ে তাঁর মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব পড়ে। সময়টাও ছিল ব্রিটিশ বিরোধী আবহাওয়ায় নড়াইল মহকুমায় কৃষক আন্দোলন গড়ে ওঠা, কৃষক আন্দোলনের নেত্রী সরলা সিং-এর প্রভাব নড়াইল সাব-ডিভিশনের মেয়েদের মধ্যে ভীষণভাবে পড়েছিল। সরলা সিং-কে ব্রিটিশের পুলিশ চারদিক দিয়ে নৌকা দিয়ে ঘিরে ফেলে। সরলা সিং জলে ডুব দিয়ে বহুদূর পার করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যান। পাঁচদিন ধরে পুলিশ গোটা বিল তন্নতন্ন করে সরলা সিং-কে খুঁজতে থাকে। অনেক সাহসিকতার উদাহরণ ছিল তাঁর। বিভা ঘোষ গোস্বামী তাঁর বাড়িতে মাঝে মাঝেই আসতেন, সঙ্গে থাকতেন কমিউনিস্ট নেতা অমল সেন। বিভা ঘোষ গোস্বামী তাঁকে ভালোকা বলে ডাকতেন। বিভা গোস্বামীর ওপর তাঁর একটা প্রভাব ছিল।
১৯৪৮ সালে ম্যাট্রিক পাশ করে লেডি ব্রাবোর্ন কলেজে ভর্তি হন তিনি। আইএ পাশ করেন। ১৯৪৯ সালে বিভা গোস্বামীর বাবা-মা কৃষ্ণনগরে শিমূলতলায় চলে আসেন। আইএ পাশ করে বিভা গোস্বামীও কৃষ্ণনগরের শিমূলতলায় চলে আসেন। ১৯৫০ সালে কমরেড সন্তোষ ঘোষের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় এবং শ্বশুরবাড়ি বহিরগাছিতে চলে যান। বহিরগাছি এবং শিমূলতলায় নড়াইল সাব-ডিভিশনের কমিউনিস্ট পার্টির কর্মী-সমর্থকরা পূর্ববঙ্গ থেকে এসে বসবাস করতে আরম্ভ করেছেন। ফলে বহিরগাছিতে গিয়েও কমিউনিস্ট পার্টির কাজ করতে থাকেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পার্টির সদস্য ছিলেন। ১৯৫২ সালে আবার স্বামী-পুত্রসহ শিমূলতলায় চলে আসেন।
মেয়েদের মধ্যে খুব সহজেই তিনি মিশে যেতে পারতেন। যাঁদের সঙ্গে তিনি মিশতেন, এমন দরদি চোখে তাঁদের সমস্যার সঙ্গে জড়িয়ে যেতেন যে, সবাই ভাবতেন তাঁকেই সব থেকে বেশি ভালবাসেন বিভা গোস্বামী। সেই সময়ে সেলাই-এর কাজে, সেলাই মেশিন চালানো, জামা-সেমিজের মাপ করে কাটার কাজও জানতেন। তিনি মহিলা সমিতি শুধু গড়ে তুলেছেন তাই নয়, আদায়যোগ্য দাবির পক্ষে লড়াই চালিয়ে যেতেন। একবার অনেকগুলি সেলাই মেশিন আদায় করে মেয়েদের সেলাই শেখানোর ব্যবস্থা করেন। আর একবার মেয়েদের নিয়ে জেলাশাসককে ঘেরাও করে ৬০ জনের জন্য ঢেঁকি অনুদান আদায় করেন।
শিমূলতলা এলাকায় কমিউনিস্ট পার্টির পরিবারের মেয়েদের নিয়ে মহিলা সমিতি পরিচালনা করতেন। মন্মথ গুপ্তের স্ত্রী ঊষা গুপ্ত, নরেশ পাঠকের স্ত্রী প্রেমলতা পাঠক, নন্দ পাঠকের স্ত্রী প্রীতিলতা পাঠকসহ অসংখ্য মহিলা লড়াইয়ের প্রথম সারির কর্মী ছিলেন। এইভাবেই পার্টির কাজ, মহিলা সমিতির কাজে এলাকায় এবং এলাকার বাইরে তিনি যুক্ত হয়ে পড়েন। ১৯৫৬ সালে খড়ে নদীর বন্যায় বানভাসিদের মধ্যে মহিলা সমিতির নেতৃত্বে লঙ্গরখানা পরিচালনা করেন।
১৯৫৯ সালে তাঁর বাবার মন ভালো করার জন্য কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে পাশ করেন। পড়াশুনা, সংসার এবং পার্টি ও মহিলা সমিতির কাজ একসঙ্গে গুরুত্ব দিয়ে করার দক্ষতা তাঁর মধ্যে ছিল। ১৯৫৯ সালে পরীক্ষা দেবার পর এবং পাশ করার পর কৃষ্ণনগর মৃণালিনী স্কুলে এবং বহিরগাছি জুনিয়ার স্কুলে কিছুদিনের জন্য শিক্ষকতা করেন।
১৯৬০ সালে বাদকুল্লা সুরভিস্থান ভুবনমোহিনী বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৬০ থেকে ২০২২-এর ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাদকুল্লাতেই তিনি বসবাস করেছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে স্কুলকে বিকশিত করার লড়াইয়ের প্রেরণার সঙ্গে তাঁর বাবা বনমালী গোস্বামীর শিক্ষার মূল অঙ্গ ছাত্র - এই বৈশিষ্ট্য মিলে যেতে দেখা যায়।
যে ছাত্রীরা স্কুলে আসতেন তাঁদের কার মুখ শুকনো, কার বইখাতা দরকার, কার বাবা-মাকে রাজি করিয়ে তাদের মেয়েকে স্কুলে আনা দরকার সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর ছিল তাঁর। কত দরিদ্র ছাত্রীকে যে স্কুল কোয়াটার্সে দুপুরে খেতে বলতেন তাঁর ঠিক নেই। তার সঙ্গে অনেককেই বাড়িতে রেখে নিজের সন্তানদের সঙ্গে একই দৃষ্টিতে বড়ো করেছেন, জীবনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শোক মিছিলে, মরদেহ স্কুলে নিয়ে গেলে তাদের অনেকেই শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
তাঁর স্বামী সন্তোষ ঘোষও বাদকুল্লা অঞ্জনগড় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ছিলেন একই মানসিকতার। স্কুলের দিদিমণিদেরও তিনি মহিলা সমিতির কাজের মধ্যে যুক্ত করে নিতেন। মহিলা সংগঠনের মাসিক পত্রিকা ‘একসাথে’ কলকাতা থেকে এনে বেশিটাই দিদিমণিদের কাছে বিক্রি করতেন। কমিউনিস্ট পার্টির কাজে তিনি কখনোই ক্লান্তি বোধ করতেন না।
নদীয়া জেলায় মহিলা সমিতি গড়ে তোলার কাজে বিভা ঘোষ গোস্বামী মনু দেব, ঝর্ণা চ্যাটার্জি, শিখা চাকিসহ অসংখ্য নেত্রীকে নিয়ে লড়াই-আন্দোলন গড়ে তোলার কাজে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন।
পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি গড়ে তোলার কাজে প্রথম থেকেই তিনি যুক্ত ছিলেন। ‘একসাথে’ পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। কমরেড কনক মুখার্জির সঙ্গে খুব ছোটোবেলা থেকে একই স্কুলে পড়ার সুবাদেও পরিচিত ছিলেন।
কনক মুখার্জির আত্মজীবনী ‘মনে মনে’ অনুলিখন করেছিলেন কমরেড বিভা ঘোষ গোস্বামী। কমরেড কনক মুখার্জির প্রকাশভঙ্গি এবং বিভা ঘোষ গোস্বামীর লেখনী উভয় মিলে সৃষ্টি হয়েছে এই আত্মজীবনী। ১৯৮১ সালে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি গড়ে ওঠার সময় থেকেই তিনি সর্বভারতীয় নেত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।
সব কাজের মধ্যেই ১৯৭১ সালে পার্টির প্রার্থী হিসাবে তিনি লোকসভায় নির্বাচিত হন। ১৯৭১, ১৯৭৭, ১৯৮০, ১৯৮৪, ১৯৮৯ - এই পাঁচবার লোকসভায় নির্বাচিত হন। পার্টির নির্দেশে সমস্ত বামপন্থীদের পদত্যাগ করার সময় ১৯৯০ সালে পদত্যাগ করেন। লোকসভায় পার্টির বক্তব্য তুলে ধরার কাজ অত্যন্ত নিষ্ঠা নিয়ে করেছেন।
নদীয়া জেলার মহিলা সমবায় গড়ে তোলার কাজে তাঁর অনবদ্য ভূমিকা স্মরণে রাখতেই হবে। কত রাত জেগে খাতা লেখা, রসিদ কাটা, মেয়েদের হিসাবের খাতা মেলানোর কাজ করেছেন তার ইয়ত্তা নেই। বাদকুল্লা শাখা নিজের দায়িত্বে পরিচালনা করেন। ২০০১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত নদীয়া জেলা গণতান্ত্রিক মহিলা সমবায় ঋণদান সমিতির সভানেত্রী ছিলেন তিনি। অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে মহিলা সমবায়ের কাজ করতেন। শক্ত সমর্থ দৃঢ় শরীর নিয়ে মাথা উঁচু করে যেন সবার নেত্রী হিসেবেই রয়ে গেলেন। অসীম সাহস ছিল তাঁর। গভীর রাতে কৃষ্ণনগর থেকে ঘন অন্ধকার পেরিয়ে একা হেঁটে শিমুলতলায় আসতেন। একবার গয়েশপুরে তাঁকে কংগ্রেসী গুন্ডারা আক্রমণ করতে এলে তাঁর সাহস সবাই দেখেছেন। মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করার কথা সবাই আজও স্মরণে রেখেছে।
সবশেষে যেটা না উল্লেখ করলেই নয়, তিন ছেলে, তিন মেয়ে, নাতি-নাতনি এবং স্বামীর সঙ্গে উদাত্ত গলায় তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া। মহিলা সমিতির সমস্ত সম্মেলনের রাত গান গেয়ে সব মেয়েদের জাগিয়ে রাখতেন। যে কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতেন। এসব কিছুই সবার মনের গভীরে সজীব থেকে যাবে। পার্টির সম্মেলনগুলির শেষে কমরেড বিভা ঘোষ গোস্বামী উঠে এসে গাইতেন ইন্টারন্যাশনাল - ‘‘জাগো জাগো জাগো সর্বহারা, অনশন বন্দি ক্রীতদাস, শ্রমিক দিয়াছে আজ সাড়া, উঠিয়াছে মুক্তির আশ্বাস’’...
কমরেড বিভা ঘোষ গোস্বামী লাল সেলাম।