৫৯ বর্ষ ২৭ সংখ্যা / ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ / ৫ ফাল্গুন, ১৪২৮
উত্তরপ্রদেশে বিজেপি-কে সাজা দিতে প্রস্তুত কৃষকরা
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জিগির তুলে বিজেপি’র ভোট জেতার কৌশল বানচাল করার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষক নেতৃবৃন্দ। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের কানপুর ও লক্ষ্মৌয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি’কে সাজা দেবার ডাক দিয়েছেন সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতারা। উত্তরপ্রদেশসহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন কৃষক নেতারা। সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেছেন, কৃষকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভেঙে চলেছে বিজেপি সরকার। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তার জন্য কমিটি গড়েনি, কৃষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও প্রত্যাহার করেনি। বিজেপি’কে শাস্তি দেওয়া দরকার।
হান্নান মোল্লা বলেছেন, বিজেপি কৃষকদের বিরোধী। নির্বাচনে মতামত জানানোর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই শক্তিকে শায়েস্তা করা দরকার। মাসের পর মাস ঘুরে গেলেও গড়া হয়নি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আইন সংক্রান্ত কমিটি। আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় যে কৃষকদের উপর একের পর এক মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেগুলি প্রত্যাহার করা হয়নি। শহিদ কৃষকদের পরিবারগুলিকে সহায়তা দেয়নি বিজেপি সরকার। তিনি লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কৃষকহত্যায় কড়া তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল। সরকারের তরফ থেকে তদন্তে ঢিলেমি ধরা পড়ে গিয়েছে। দাবি করা হয়েছিল কৃষক হত্যায় জড়িত অজয় মিশ্র টেনিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে হবে। আজও সেই কাজ করে উঠতে পারেনি নরেন্দ্র মোদি সরকার। উলটে মন্ত্রীর ছেলে জামিন পেয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এক বছর ধরে কৃষক আন্দোলনের চাপে গত নভেম্বরে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে একাধিক প্রতিশ্রুতি লিখিতভাবে দেয় সরকার। তার ভিত্তিতে দিল্লি থেকে অবস্থান তুলে নেয় সংযুক্ত কিষান মোর্চা। তার মধ্যে ছিল কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের জন্য আইন করার বিষয়ে যৌথ কমিটি গড়া হবে। কিন্তু একটা প্রতিশ্রুতিও পূরণ করতে এগোয়নি কেন্দ্র।
বিজেপি’র কাছ থেকে হিসাব চাওয়ার জন্য একাধিক বিষয়কে সামনে রেখেছেন কিষান মোর্চার নেতৃবৃন্দ। তাঁরা বলেছেন, যুবরা কাজ চাইছেন, কৃষকরা চাইছেন ফসলের দাম। জিনিসপত্রের দাম তীব্র হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে আখ চাষিরা সরকারের প্রতিশ্রুতি মতো সহায়তা পাচ্ছেন না। হিন্দু অথবা মুসলিম - সংকটে রয়েছেন সবাই। কঠিন সময়ে জীবন রক্ষার উদ্যোগ না নিয়ে হিন্দু-মুসলিম ভাগাভাগিতে মত্ত রয়েছে বিজেপি। ভোট এলেই ধর্মের জিগির তোলার এই কৌশল ঠেকানো জরুরি।
সারা ভারত কৃষক সভার উত্তরপ্রদেশ রাজ্য কমিটির সম্পাদক মুকুট সিং-ও ধর্ম ও জাতের ভিত্তিতে রাজনীতিকে পরাস্ত করার ডাক দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, গোয়া এবং মণিপুর - এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর আগে থেকেই নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর কট্টর হিন্দুত্ববাদী বাহিনী নিয়ে এই উগ্র সাম্প্রদায়িক ও প্ররোচনামূলক বক্তব্য ছড়াতে শুরু করেছে। নানাদিকে ব্যর্থ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের জনসমর্থন দ্রুত কমতে শুরু করায় এবং এই সরকারের বিরুদ্ধে জনমানসে ক্রমাগত ক্ষোভ বাড়তে থাকায় বর্তমানে চলা পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনকে সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় মরিয়া হয়েই উগ্র সাম্প্রদায়িক প্রচারকেই হাতিয়ার করে ভোটপ্রচারে নেমেছে। বিশেষকরে কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার ও কৃষকদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি স্বীকৃতির দাবিতে দেশব্যাপী কৃষক আন্দোলনের সাফল্যে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা প্রভৃতি রাজ্যে বিজেপি’র পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে। তাই বিজেপি সহ সাম্প্রদায়িক শক্তি এখন একমাত্র উগ্র সাম্প্রদায়িক ঘৃণা, সংখ্যালঘু বিদ্বেষ, জাত-পাতের বিভাজন ইত্যাদির উপর নির্ভর করে তাদের অস্তিত্বের সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে।
সেই লক্ষ্য নিয়েই উত্তরপ্রদেশে সার্বিকভাবে ব্যর্থ বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নরেন্দ্র মোদির দেখানো পথেই সাম্প্রদায়িকতাকে আশ্রয় করেছে। যোগী জমানায় আইনশৃঙ্খলা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় আলোড়িত হয়েছে গোটা দেশ। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বেকারি চরমে উঠেছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি উত্তরপ্রদেশে গিয়ে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পালন তো দূরের কথা রাজ্যে কৃষকদের সংকট চরমে উঠেছে। রাজ্যে আখ চাষি ও গম চাষিদের ফসল উৎপাদন করেও লোকসান হয়েছে বিপুল। তাঁরা ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাননি। তাই কৃষকদের তীব্র ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা গেছে বিগত কৃষক আন্দোলনের সময়ে। রাজ্যে সরকারি হুমকি, শাস্তির খাঁড়াকে উপেক্ষা করেই কৃষকরা সংযুক্ত মোর্চার ডাকে আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতৃত্বের উপস্থিতিতে কিষান পঞ্চায়েতগুলিতে হাজার হাজার কৃষক অংশ নিয়ে তাঁদের প্রতিবাদ ও দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়েছেন।
নির্বাচনের আগে কৃষকদের এই তীব্র বিক্ষোভ-আন্দোলন যোগী সরকারকে একরকম টলিয়ে দিয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই যোগী রাজনৈতিক প্রচারে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন। রাজ্যে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রীর মুখেও শোনা গেছে, যোগী জমানায় নাকি উত্তরপ্রদেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে! স্বয়ং যোগী নির্বাচনী সভায় দাঁড়িয়ে দাবি করেছেন, তাঁর আমলে নাকি কোনো দাঙ্গা হয়নি। অপরাধ কমেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশে বিজেপি শাসনে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে অপরাধের হার।
এদিকে যেমন মোদি-যোগীর মিথ্যাচার চলছে সমান তালে, অন্যদিকে ভোটপ্রচারে বিজেপি-কে ভোট না দিলে পরোক্ষে হুমকিও দেওয়া চলছে। যোগীর মুখে শোনা গেছে উগ্রহিন্দুত্বের বুলি। প্রথমদফা ভোটের আগে এক ভিডিয়ো বার্তায় মেরুকরণের রাজনীতির কৌশল অবলম্বন করে তিনি বলেন, বিজেপি-কে ভোট না দিলে রাজ্য কাশ্মীর, কেরালা বা বাংলায় পরিণত হবে। তাঁর এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এর জবাবে তাঁর রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের মানুষ এখন কেরালার মতো উন্নত রাজ্যই চাইবেন। সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি কটাক্ষ করে বলেছেন, ভারতের সব রাজ্যই যদি কেরালার মতো হয় তাহলে সে তো খুশির খবর। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যই ভারতের আত্মিক চরিত্র। তাকে অপমান করা উচিত নয়।
যোগীর এ ধরনের মন্তব্যের পাশাপাশি চলেছে উগ্র সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের উদ্যোগ। ভোটপর্ব শুরু হবার আগে নির্বাচনী ইস্তাহারে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ভিন্ন ধর্মে বিয়ে হলে কমপক্ষে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। মোদি-যোগীর পাশাপাশি হিন্দু যুব বাহিনীর নেতা রাখবেন্দ্র যাদব নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হুমকি ছেড়েছেন - সে নির্বাচিত হলে নাকি মুসলিমদের ফেজ টুপি খুলে তিলক কাটাতে বাধ্য করা হবে। এভাবেই চলছে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক প্রচার ও হুমকি। আবার লক্ষ করা গেছে, লখিমপুর খেরির কৃষক হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির পুত্র আশিস মিশ্র টেনিকে তড়িঘড়ি জামিন দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। অথচ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গড়া ‘সিট’ মন্ত্রীপুত্রকেই দায়ী বলে চিহ্নিত করেছিল। হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার স্পষ্ট প্রমাণ সত্ত্বেও অভিযুক্তকে দ্রুত জামিন দেওয়ার ঘটনা বিস্ময়কর। কোর্টের এই নির্দেশে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংযুক্ত মোর্চা।
এদিকে উত্তরপ্রদেশে ভোটপর্ব শুরুর আগেই সংযুক্ত মোর্চার নেতা রাকেশ টিকায়েত স্পষ্টতই আবেদন জানান, ফসল এবং কৃষকদের রক্ষার জন্য বিজেপি-কে হারানো জরুরি। মোরাদাবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। বিধানসভা ভোটে ‘বিজেপি’-কে সাজা দিন’ - এই মর্মে উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের কৃষকদের কাছে আবেদন রাখেন সংযুক্ত কিষান মোর্চা। বিজেপি-কে শাস্তি দেবার এই প্রচারপত্র নিয়ে কৃষক সংগঠনগুলি বাড়ি বাড়ি প্রচার করছে। স্থানীয়স্তরে কৃষকদের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দিতে সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতারা ৯টি স্থানে সাংবাদিক সন্মেলন করেন। রাকেশ টিকায়েত বিজেপি-কে হারানোর ডাক দিয়ে বলেন, বিজেপি কৃষকদের শোষণ করেছে। এই ভোটে ওদের শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেছেন, কৃষক সমঝদার, আর সকলেই জানে যে কাকে ভোট দিতে হবে। সরকারের নজর কৃষকদের জমির উপর। তাই জমি বাঁচাতে হলে বিজেপি-কে শিক্ষা দেওয়া জরুরি।
এই সাংবাদিক সম্মেলনে সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েও সক্রিয় কৃষকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং তাদের সাম্প্রদায়িক ও জাতপাতের রাজনীতির তীব্র নিন্দা করে বলেন, আমরা বলেছি ভোটে বিজেপি-কে শাস্তি দিতে। ভোটে শাস্তি দেবার মানে কী হয় তা সকলেই বোঝেন। তিনি স্পষ্ট করে দেন, ওরা যে ভাষা বুঝবে, সেই ভাষায় জবাব দেওয়া হবে।
মীরাট, মোরাদাবাদের পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ঝাঁসিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতারা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, এবার ভোটে বিজেপি-কে সাজা দিতে হবে। তাঁরা সর্তক করে দেন, বিজেপি যদি ক্ষমতায় ফেরে তাহলে কৃষক বিরোধী আইন আবার কৃষকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হতে পারে। এর জন্য বিজেপি-কে হারানো জরুরি। বিধানসভার ভোটে ‘বিজেপি-কে সাজা দিন’ ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের কৃষকদের কাছে যে আবেদন রেখেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা, সেই আবেদন সংবলিত প্রচারপত্র নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে কৃষক সংগঠনগুলি।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী কিছুদিন আগেই রাজ্যের মানুষকে শাসিয়েছিলেন, ‘এখনও অনেক লোকের গরম কমেনি। কিন্তু লোককে ঠান্ডা করতে আমি জানি।’ ঝাঁসির সাংবাদিক সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গ টেনে সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতৃবৃন্দ বলেছেন, প্রথমে লোককে ঠান্ডা করার কথা বলে লোককে শাসালেন। আর এখন খুনিকে জামিন করিয়ে কৃষকদের কাটা ঘায়ে নুন ছেটানোর কাজ করা হলো। অথচ কৃষকদের অন্যতম দাবিই হলো লখিমপুর খেরি হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রান্তকারী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার ও তাঁকে মন্ত্রীসভা থেকে বরখাস্ত করা। কিষান মোর্চার নেতারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এবার উত্তর প্রদেশের কৃষকরা এর হিসেবে-নিকেশ করেই বিজেপি-কে শাস্তি দেবে।
এদিন তাঁরা আরও বলেছেন, বিজেপি কৃষকদের শোষণ করেছে শুধু নয়, তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এদের শাস্তি পাওয়া খুবই জরুরি। কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকার লাগাতার মিথ্যা কথা বলে কৃষকদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে। এ প্রসঙ্গে কৃষক নেতারা বিজেপি’র প্রতিশ্রুতি দেওয়া ও সেগুলি পূরণ না করার তথ্য তুলে ধরেন। তাঁরা উল্লেখ করেন, সস্তায় বিদ্যুৎ দেবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এখন কৃষকরা দ্বিগুণ দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এখন আবার নতুন মোড়কে প্রতিশ্রুতি বিলানো চলছে। এর শাস্তি বিজেপি-কে পেতেই হবে। কৃষক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, এবার কৃষকরাই বিজেপি-কে শাস্তি দেবে। ফল বুঝবে বিজেপি।