৫৯ বর্ষ ৩১ সংখ্যা / ১৮ মার্চ, ২০২২ / ৩ চৈত্র, ১৪২৮
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট শতাংশ এবং আসন কমলেও উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মণিপুর - এই চার রাজ্যে জয় পেয়েছে বিজেপি। পাঞ্জাবে জয়ী হয়েছে আপ। ফলাফলে স্পষ্ট, কংগ্রেস পিছিয়ে পড়েছে অনেকটাই।
বুথফেরত সমীক্ষার হিসাব মিলিয়ে উত্তর প্রদেশে সহযোগীদের নিয়ে বড়ো জয় পেয়েছে বিজেপি। ৪০৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ২৫৫টি, জোট শরিক আপনা দল ১২টি এবং নিষাদ পার্টি ৬টি আসন পেয়েছে। সব মিলিয়ে ২৭৪টি আসন। যা গতবারের থেকে প্রায় ৫০টি কম। অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে ১১১টি, জোট শরিক আরএলডি ৮টি এবং এসবিএসপি ৬টি, মোট ১২৪টি আসন। সেই হিসাবে প্রায় ৭০টি আসন গতবারের থেকে বেশি পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি। বিএসপি মাত্র ১টি আসন পেয়েছে। কংগ্রেস পেয়েছে ২টি আসন। বাকি কিছু আসনে অন্যান্যরা জয়ী হয়েছে।
পাঞ্জাবে ১১৭ আসনের মধ্যে ৯২ আসনে জয়ী আম আদমি পার্টি। পাঁচ বছর সরকার চালানোর পর কংগ্রেস পেয়েছে ১৮টি আসন। মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি ‘আপ’-এর কাছে পরাজিত হয়েছেন দু’টি আসনেই। দিল্লিতে নিজেদের সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের দাবি করেই পাঞ্জাবে প্রচার করেছিল ‘আপ’।
মুখ্যমন্ত্রী হারলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতে উত্তরাখণ্ডে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। রাজ্যে মোট ৭০আসনের বিধানসভায় বিজেপি ৪৭টি আসনে জয়ী ঘোষিত হয়েছে এবং কংগ্রেস ১৯টি আসনে জয়ী। উত্তরাখণ্ডে আপ সব আসনে লড়লেও তাদের খাতা খুলতে পারেনি। উত্তরাখণ্ডের মতো এই পাহাড়ি রাজ্যে মূল লড়াই ছিল কংগ্রেস এবং বিজেপি’র মধ্যে। বিজেপি’র মতোই কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও ভোটে পরাজিত হয়েছেন। তবে ২০১৭ সালে মোট ৫৭ আসনে জেতে বিজেপি।
গোয়ায় ৪০ আসনের বিধানসভায় বিজেপি ২০ আসনে জয়ী হয়েছে। পাঁচ বছর আগে দল ভাঙিয়ে সরকার গড়তে হয়েছিল বিজেপি-কে, সরকার টিকিয়েও রাখতে হয়েছিল দল ভাঙিয়ে। তৃণমূলের জোট শরিক মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি (এমজিপি) বিজেপি-কে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছে। তারা ২টি আসন পেয়েছে। এতেই গরিষ্ঠতা পেয়ে যাওয়া বিজেপি আরও তিনজন নির্দল বিধায়কের সমর্থনও পাচ্ছে। তৃণমূল কোনও আসন পায়নি।
৬০ আসন বিশিষ্ট মণিপুর বিধানসভায় বিজেপি পেয়েছে ৩২ টি আসন এবং কংগ্রেস ৫টি এবং বাকি আসন পেয়েছে অন্যান্যরা।
সামগ্রিকভাবে পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফলে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির ধারাবাহিকতা দাপটেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে এই মন্তব্যই করেছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। এমন পরিস্থিতিতে হিন্দুত্ববাদী-কর্পোরেট রাজত্ব, তার নীতি এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বাম ও গণতান্ত্রিক শক্তি কৌশল বের করে দ্বিগুণ উদ্যোগে লড়াই করবে বলে জানিয়েছে সিপিআই(এম)।