৫৯ বর্ষ ৩১ সংখ্যা / ১৮ মার্চ, ২০২২ / ৩ চৈত্র, ১৪২৮
হাসদেও অরণ্যে আদানির আগ্রাসন
তপন মিশ্র
২০০৯ সালে দেশের কয়লা মন্ত্রক এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রক যৌথ সমীক্ষা করার পর ঠিক করে যে, ছত্তিশগড়ের হাসদেও-আরন্দ বনাঞ্চল কোনভাবেই কয়লা উত্তোলনের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। এই বনাঞ্চলের অসামান্য জৈব বৈচিত্র্য এবং নিরুপদ্রব বনাঞ্চল দেশের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে জরুরি। হাসদেও-আরন্দ বনাঞ্চল ছত্তিসগড়ের প্রায় ১৮০,০০০ হেক্টর এলাকাজুড়ে অবস্থিত। এখানে ৮০টিরও বেশি বৃক্ষ প্রজাতি সহ স্তন্যপায়ী প্রাণী, মাছ, সরীসৃপ এবং পাখি প্রজাতির বৈচিত্র্যের আবাসস্থল। মধ্য ভারতের প্রায় ১৫০০ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত এক প্রায় অবিচ্ছিন্ন বনাঞ্চলের অংশ হাসদেও-আরন্দ। শত শত বছর ধরে এই অরণ্য আদিবাসীদের যেমন রক্ষা করেছে তেমনই আদিবাসীরাও এই অরণ্যের রক্ষাকর্তা হিসাবে অসংখ্য উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির সঙ্গে সহাবস্থান করছেন। দুর্ভাগ্যবশত, এই হাসদেও বনাঞ্চল প্রায় এক বিলিয়ন টন কয়লার উপরে দাঁড়িয়ে আছে।
ইদানীংকালে হাসদেও অরণ্যে আদানি গ্রুপের বেআইনি জমি অধিগ্রহণের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই তারা অরণ্য সংরক্ষণের সমস্ত রক্ষাকবচ উঠিয়ে দিতে চায়। এর সাথে ২০০৬ সালে অরণ্য-অধিকার আইন অনুযায়ী অরণ্যবাসী আদিবাসীদের যে অধিকার সংরক্ষিত রয়েছে সেই অধিকারও তারা কেড়ে নিতে চায়। এই আইন অনুযায়ী অরণ্যাঞ্চলে যে কোনো প্রকল্প রূপায়ণে গ্রামবাসীদের অনুমতি জরুরি। ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এক সারকুলার জারি করে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় যে, “অরণ্যের অধিকার আইনের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ কোনো অনুমতি ছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পকে নীতিগত ছাড়পত্র দেওয়া যেতে পারে।” এর ফলে কেবল হাসদেও নয় ভারতের সমস্ত আদিম ও জৈববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ অরণ্য লুটেরা করপোরেটদের দখলে চলে যাবে। কিন্তু ইতিমধ্যে হাসদেও-আরন্দের গ্রামবাসীরা আদানির কয়লা তোলার একটি প্রকল্পের কাজ আটকে দেওয়ায় সাহস দেখিয়েছেন।
হাসদেও অরণ্য এবং তার সংরক্ষণ
এই অরণ্যের নামকরণ হয়েছে হাসদেও নদীর নাম অনুযায়ী। মহানদীর এক উপনদ হলো হাসদেও। নদীটি ছত্তিশগড় রাজ্যে প্রবাহিত শিলাদে (বীররা)-র কাছে মহানদীতে যুক্ত হয়েছে। ছত্তিশগড়ের কোরেয়া জেলার সোনহাট থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) দূরে সমুদ্রপৃষ্ঠের থেকে ৯১০ মিটার (২,৯৮৫.৬ ফুট) উচ্চতায় নদীটির সূচনা। নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৩৩ কিলোমিটার।
ভারতে উন্নয়নের নামে নির্বিচারে অরণ্য ধ্বংস বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছে যাওয়ায় ২০০৯-১০ সালে ভারত সরকারের বন, পরিবেশ মন্ত্রকের উদ্যোগে দেশের সমস্ত অরণ্যকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলি হলো - ‘ব্যবহার করা যাবে না (no go)’ এবং ‘ব্যবহার করা যাবে (go)’ বনাঞ্চল। বেশ কিছু বাস্তুতন্ত্র এবং বৈচিত্র্যের দিকদিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অরণ্যাঞ্চলকে প্রথম পর্যায়ভুক্ত করা হয়। এর অর্থ হলো, কোনো অবস্থাতেই উন্নয়নের নামে ওই ধরনের অরণ্যকে ধ্বংস করা যাবে না এবং সেখানে কোনরকম উন্নয়ন ইত্যাদি প্রকল্প নিয়ে যাওয়া চলবে না। এক কথায় বললে ‘নো গো’ অঞ্চল হলো আমাদের প্রকৃতি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের রক্ষাকবচ।
আদিম শোষণের আরেক নাম হাসদেও
২০১৮-র ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে সরকার জানায় যে, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে মোট ২০,৩১৪.১২ হেক্টর বনভূমি করপোরেট সংস্থার হাতে খনিজ পদার্থ উত্তোলনের জন্য তুলে দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-র মার্চ মাসে আদানি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হয় হাসদেও-আরন্দ বনভূমির ১ লক্ষ ৭০ হাজার হেক্টর (১৭০০ বর্গ কিলোমিটার) বনভূমি। ভারতের মধ্যভাগের এই অঞ্চলকে গন্দোয়ানাল্যান্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবের বহু আগে যে আদিম মহাদেশ থেকে ভারত ভূখণ্ড তৈরি হয়েছিল সেই আদিম মহাদেশ ছিল এই গন্দোয়ানাল্যান্ড। কিন্তু এই অঞ্চলটি ‘নো গো’ অঞ্চলভুক্ত হওয়ায় ওখানে যে কোনো ধরনের প্রকল্প রূপায়ণ আইনবিরুদ্ধ।
আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা হলো, বনাঞ্চলের লিজ পাওয়া জমির বাইরে ৩২ জন আদিবাসী কৃষক-গ্রামবাসীকে এক হলফনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে ঘটবারা এবং উদয়পুর তহশিলে। সরকারিভাবে এই বনবাসীদের অরণ্য অধিকার আইন অনুযায়ী ব্যক্তিগত বন অধিকার (Individual Forest Right) রয়েছে বলে গ্রামবাসীরাই জানিয়েছেন।
আদানি গ্রুপের ওয়েবসাইটে দেখতে পাওয়া যায় যে, ছত্তিশগড়ের সাতটি কয়লা খনি এবং দুটি লোহা আকরিক খনির মালিকানা এদের দখলে। ফলে এর মধ্যদিয়ে ব্যক্তিগত মালিকানায় এটি দেশের বৃহত্তম খনি-অঞ্চল হিসাবে চিহ্নিত হতে চলেছে। ভারত সরকারের কয়লা মন্ত্রক হাসদেও অরণ্যে তিরিশটি কয়লা ব্লক চিহ্নিত করেছে। এই কয়লা ব্লকগুলির মধ্যে বর্তমানে বেশ কয়েকটি খনির কাজ কয়লা উত্তোলনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের দেশের অরণ্য গবেষণার সর্ববৃহৎ এবং একমাত্র সরকারি বন গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ফরেস্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন (ICFRE - আইসিএফআরই)-এর সাম্প্রতিক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই অঞ্চলের প্রস্তাবিত কয়লা ব্লক কমকরে ১৪টি ঘন বনাঞ্চলের মধ্যে অবস্থানের কারণে সেগুলিকে ছাড়পত্র দেওয়া উচিত নয়। আইসিএফআরই তাদের প্রতিবেদনে বলছেঃ “খনির সাথে সম্পর্কিত ভূমি-ব্যবহারের পরিবর্তনগুলি বনের আচ্ছাদন/ঘনত্ব, বনের ধরন এবং অরণ্যকে খণ্ডিত করে বড়ো পরিমাণ ক্ষতি করবে। উপরন্তু, বন বিভক্তিকরণের ফলে করিডোর (বন্য প্রাণীদের যাতায়াতের পথ)-এর প্রভূত ক্ষতিসাধন হবে। খণ্ডিত বনভূমির প্রান্তীয় প্রভাব (edge effect) অর্থাৎ বনভূমির প্রান্তে মনুষ্যকৃত বা অন্যন্য ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। এর ফলস্বরূপ বনভূমির মধ্যে মাইক্রোক্লাইমেটের পরিবর্তন এবং বিভিন্ন ধরনের আক্রমণাত্মক প্রজাতি (invasive species)-র প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাবে।”
এই অঞ্চলের গ্রামবাসীরা বলেছেন যে, বনভূমির যে কোনো গুণগত পরিবর্তনের আগে অরণ্য অধিকার আইন (২০০৬) অনুযায়ী সমস্ত দাবির নিষ্পত্তি করা বাধ্যতামূলক। উল্লেখ্য যে, বনবাসী-আদিবাসীদের অরণ্যের ব্যক্তিগত অধিকার ছাড়াও সমষ্টিগত অধিকার (community right) রয়েছে। এই অধিকারগুলির ফলে তারা অরণ্য সংরক্ষণ করে থাকেন। সমস্ত বিষয়ের নিষ্পত্তি করতে হলে সংশ্লিষ্ট গ্রামসভার লিখিত সম্মতিপত্র লাগবে। কিন্তু ঘটনা হলো, এই এলাকার কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম যেমন সালহি, হরিহরপুর, ফতেহপুর এবং ঘাটবাড়ার ব্যক্তি অধিকার ও সম্প্রদায়ের অধিকারের (community right) বিষয়টির নিষ্পত্তি এখনও করা হয়নি। আইসিএফআরই এই সমীক্ষাটি প্রায় ১৮ মাস ধরে (২০১৯ থেকে ২০২১ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত) চালায়। সরগুজা জেলার উদয়পুর তহশিল এবং কোরবা জেলার পৌন্ডি তহশিলের মোট ২৩টি কয়লা ব্লকে এই সমীক্ষা চলে।
ছত্তিশগড়ের বিগত ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার এই ইস্যুটিকে ব্যবহার করে এবং আশ্বাস দেয় যে, খনির জন্য অরণ্যবাসীদের যে যে আসুবিধা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এখনও কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে নীরব।
যে দাবি উঠছে
ছত্তিশগড় বাঁচাও আন্দোলনের কর্মকর্তারা বলছেন যে, বেশ কয়েকটি সমস্যা সামনে এসেছে। তাদের মতে ইতিমধ্যেই এখানে আদিবাসীদের নিজ ভূমি থেকে উৎখাত হওয়ার সমস্যা, ভৌমজলের সমস্যা, ভূমি ব্যবহারের সমস্যা, হাতি ও মানুষের ক্রমবর্ধমান সংঘাতের সমস্যা এবং সর্বোপরি বনবাসী-আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য বাজায় রাখার সমস্যা প্রকট। ফলে এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তীব্র হচ্ছে।
১। ২০২০ সালের জুলাই মাসে, ছত্তিশগড়ের পরিবেশ ও বন মন্ত্রী মহম্মদ আকবর হাসদেও’র পরিবেশগত গুরুত্ব সম্পর্কে কয়লা মন্ত্রককে একটি চিঠি লেখেন। তিনি চিঠিতে এই অঞ্চলে করপোরেটদের হাতে কয়লা খনি তুলে দেওয়ার প্রতিবাদ করেন। তিনি আরও বলেন যে, ২০১৯ সালে মানুষ ও হাতির সংঘাত রোধ করতে এবং এই গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতির বিলুপ্তি রোধ করতে লেমরুকে হাতির জন্য সংরক্ষিত বনাঞ্চল (Lemru Elephant Reserve) ঘোষণা করা হয়। বনাঞ্চলে এতোগুলি খনিখননের অনুমোদনের কারণে এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পর্যাপ্ত ক্ষতি হবে।
প্রসঙ্গত, এই খনিগুলির অবস্থান প্রায় লেমরু এলিফান্ট রিজার্ভকে ঘিরে। অর্থাৎ কার্যত হাতিগুলি লেমরুর মধ্যে জেলবন্দির মতো হয়ে থাকবে। হাতির এই অভয়ারণ্য ২০০৭ সালে ঘোষিত হয় এবং ব্যাপ্তি মাত্র ৪৫০ বর্গ কিলোমিটার। কেবল এই আবাসস্থলই হাতিদের জন্য যথেষ্ট নয়। এর সঙ্গে চাই তাদের বিচরণের ক্ষেত্র (corridor) যার এখানে যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
২। হাসদেও-আরন্দ বনাঞ্চলের কেবল লেমরু নয়, সম্পূর্ণ বনাঞ্চলকে একটি সংরক্ষিত এলাকা (protected area) হিসেবে তালিকাভুক্ত করা জরুরি। কারণ হাতি ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতির আবাসস্থল এই বনাঞ্চল। তাই এই অরণ্যকে একটি সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে চিহ্নিত করার সমস্ত উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে।
৩। এই অঞ্চলের গ্রামবাসীদের দাবি হলো যে, এই ধরনের এক গুরুত্বপূর্ণ বনভূমি এবং বিভিন্ন উপজাতির যেমন, গোঁদদের মতো একটি আদিম বনবাসী গোষ্ঠীর বাসভূমি হওয়ার কারণে ভূমিব্যবহারে যে কোনো পরিবর্তনের আগে এখানকার বনবাসী-আদিবাসীদের সঙ্গে আলোচনা জরুরি ছিল। তাদের দাবি হলো, বন অধিকার আইন-২০০৬ অনুযায়ী এই আলোচনা বাধ্যতামূলক। খনি স্থাপনের আগে সংশ্লিষ্ট গ্রামসভাগুলির লিখিত সম্মতিপত্র জরুরি ছিল। সালহি, হরিহরপুর, ফতেহপুর এবং ঘাটবাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলিতে ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের অরণ্য অধিকারের নিষ্পত্তি এখনও হয়নি।
এই ঘটনাগুলি সামনে আসার পরে, ছত্তিশগড় বাঁচাও আন্দোলন এবং ছত্তিশগড় বন অধিকার ফোরাম এই বিষয় সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানায়। কিন্তু এখনও কোনো সুরাহা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র করপোরেটদের মুনাফা নিশ্চিত করার জন্য আদিবাসী-বনবাসীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে শুধু নয়, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্যোগও ইতিমধ্যে অনেক দূরে সরে গেছে। এটি প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। এই প্রতারণা সংবিধানের পঞ্চম তপশিলে হাসদেও-আরন্দের আদিবাসী-বনবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের এক স্পষ্ট নজির।
সিপিআই(এম) ছত্তিসগড় রাজ্য কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় পারাতে বলেন যে, আদানি গোষ্ঠীর এই বেআইনি জমি লুঠের বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলনের ফলে সরকার তদন্ত করতে বাধ্য হয়। এই তদন্তে আদানি গোষ্ঠী দোষী সাব্যস্ত হয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে ওদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ চাপা দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত। আমাদের রাজ্যের দেওচা-পাঁচামি প্রকল্প রূপায়িত হলেও আদিবাসী এবং বনবাসীদের উচ্ছেদ ঘটবে। প্রাকৃতিক সম্পদের আদিম শোষণের এই ধারার উপর লাগাম না টানলে দেশের সর্বনাশ অবশ্যম্ভাবী।