৫৮ বর্ষ ৬ষ্ঠ সংখ্যা / ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ / ১ আশ্বিন ১৪২৭
সিপিআই নেতা কমরেড পল্টু দাশগুপ্ত-র জীবনাবসান
প্রবীণ সিপিআই নেতা কমরেড পূর্ণেন্দু (পল্টু) দাশগুপ্তের জীবনাবসান ঘটেছে। ১৩ই সেপ্টেম্বর নিজের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি প্রয়াত হন, বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
১৯৫৮ সালে বেতন বৃদ্ধি বিরোধী আন্দোলনের নেতা হিসাবে তাঁর কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা। ষাটের দশকে উত্তাল ছাত্র আন্দোলনের পথ বেয়ে কমরেড দাশগুপ্ত ১৯৬৫ সালে অবিভক্ত ছাত্র ফেডারেশনের শেষ রাজ্য সম্পাদক ছিলেন। তখনকার সময়ে স্টক এক্সচেঞ্জ ঘেরাও আন্দোলন ছিল তাঁরই উদ্যোগে। তিনি অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির শেষ রাজ্য পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৬৯ সালে কলকাতা কর্পোরেশন নির্বাচনে মানিকতলা এলাকা থেকে কাউন্সিলর হন, ১৯৭২ সালে সিদ্ধার্থ শংকর রায় মন্ত্রীসভা স্বশাসিত সব সংস্থাই ভেঙে দেয়। পরবর্তীতে তিনি এআইওয়াইএফ রাজ্য শাখা পশ্চিমবঙ্গ যুব সঙ্ঘের সভাপতি হন ১৯৮০ সালে। এসময়েই পল্টু দাশগুপ্ত ট্রেড ইউনিয়নের নেতা হয়ে ওঠেন। তিনি সিপিআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিষদের সদস্য হন। এআইটিইউসি’র রাজ্য শাখা বিপিটিইউসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। তিনি সিপিআই কলকাতা জেলা সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। ট্রাম শ্রমিকদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কলকাতার হাসপাতালগুলির হাল ফেরানোর আন্দোলনেও উদ্যোগী ছিলেন।
কমরেড পল্টু দাশগুপ্তের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তাঁর মরদেহ এদিন সিপিআই রাজ্য দফতর ভুপেশ ভবনে আনা হলে কমরেড দাশগুপ্তের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিমান বসু। রক্তপতাকা দিয়ে শেষ অভিবাদন জানান সিপিআই রাজ্য সম্পাদক স্বপন ব্যানার্জি সহ সিপিআই রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য উজ্জ্বল চৌধুরি, প্রবীর দেব, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এআইটিইউসি’র প্রবীণ নেতা ও সহ সভাপতি রণজিৎ গুহ। পুস্প স্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আরএসপি’র সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য, ফরওয়ার্ড ব্লকের বাংলা কমিটির সম্পাদক নরেন চ্যাটার্জি, সিপিআই(এম)’র পক্ষে সুখেন্দু পানিগ্রাহী, এসইউসিআই’র পক্ষে অশোক দাস, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে কুণাল ঘোষ, প্রয়াত কমরেডের পুত্র আকাশ দাশগুপ্ত সহ অন্যান্যরা। ভূপেশ ভবন থেকে তাঁর মরদেহ নিমতলা শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। প্রয়াত কমরেডের স্ত্রী ও এক পুত্র আছেন।