৬০ বর্ষ ২ সংখ্যা / ১৯ আগস্ট, ২০২২ / ২ ভাদ্র, ১৪২৯
হন্ডুরাসে খোলামুখ খনি নিষিদ্ধ করল বামপন্থী সরকার
তপন মিশ্র
হন্ডুরাসের খোলামুখ খনি।
বিশ্বে এক নতুন ইতিহাস গড়ল মধ্য আমেরিকার দেশ হন্ডুরাস। দেশের পরিবেশকে বাঁচাতে ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সে দেশে খোলা মুখ খনি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই ধরনের খনির জন্য আগের সরকারের দেওয়া সমস্ত পারমিট বাতিলের ঘোষণা করেছে এই সরকার এবং নতুন কোনো পারমিট ইস্যু করা বন্ধ করেছে সে দেশের সরকার। হন্ডুরাসের পরিবেশপ্রেমী, পরিবেশ আন্দোলনকারী এবং আদিবাসী মানুষরা কয়েক দশক ধরে বৃহৎ আকারের খোলামুখ খনির প্রকৃতির এবং মানুষের উপর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সরকারকে সতর্ক করে আসছে। হন্ডুরাসে সোনা, রূপা, তামা, সীসা, লোহা এবং দস্তা ইত্যাদি খনিজ সম্পদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান জিওমারা কাস্ত্রোর মন্ত্রীসভা খোলামুখ খনির খনিজ সম্পদ উত্তোলন প্রক্রিয়াকে “হন্ডুরাস রাষ্ট্রের পক্ষে ক্ষতিকর” বলে বর্ণনা করেছে।
হন্ডুরাসের ভূসংস্থান অত্যন্ত রুক্ষ। মধ্য-আমেরিকার কর্ডিলেরা পর্বতশ্রেণি হন্ডুরাসকে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ভাগ করেছে। দেশের তিন-চতুর্থাংশ ভূমি এবড়োখেবড়ো পাহাড়-পর্বত দ্বারা গঠিত। সরকারি হিসেব মতো ভূমিপৃষ্ঠের ৬৪ শতাংশ পাহাড়ি অঞ্চল এবং ৩৬ শতাংশ সমভূমি এবং উপত্যকা অঞ্চল। এই পাহাড়গুলির উচ্চতা প্রায় ৯০০ থেকে ৯,৩৫০ ফুট পর্যন্ত। হন্ডুরাসের রাজধানী শহর তেগুচিগালপা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,২০০ ফুট উপরে অবস্থিত। সমভূমি অঞ্চল মূলত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং কলা চাষের জন্য পৃথিবী বিখ্যাত। দেশের ভূভাগের প্রায় ৪৮ শতাংশ বনাঞ্চল। এই বনাঞ্চলের প্রায় অর্ধেক ক্রান্তীয় বন।
অন্য পাঁচটা উন্নয়নশীল তৃতীয় বিশ্বের দেশের মতোই বাণিজ্যিক স্বার্থে গাছ কাটা, কৃষি কাজ এবং খনির জন্য জমি পরিষ্কার করার মধ্যদিয়ে বনসম্পদ উজাড় করার প্রবণতা এদেশে বেশি। মূলত মার্কিনি করপোরেটদের দাপটে প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠের প্রবণতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে। খনিজ সম্পদের যথেচ্ছ এবং অনিয়ন্ত্রিত উত্তোলনের ফলে দেশের বৃহৎ মিষ্টি জলের হ্রদ লাগো ডি যোজোয়া (Lago de Yojoa) সহ দেশের বেশ কয়েকটি নদী ও জলস্রোত ভারী ধাতুর দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেন্টার ফর ডেমোক্রাসি স্টাডিজ এবং ফ্রেন্ডশিপ অফিস অফ দা আমেরিকাস নামে দুটি সংস্থা ২০১২ সালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একটি জনমত সমীক্ষা করে। উদ্দেশ্য ছিল খোলা মুখ খনির প্রভাব সম্পর্কে মানুষ কী ভাবছেন তা জানা। দেখা যায় যে, সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এমন ৯১ শতাংশ মানুষ খোলামুখ খনির বিরুদ্ধে। প্রায় ২,০০০ মানুষ এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এদের মতে বনাঞ্চল ধ্বংস এবং খোলামুখ খনির কারণে জলদূষণ, ভূমিরূপের উপর নেতিবাচক প্রভাব, চর্মরোগ সহ অন্ত্রের অসুস্থতা, কৃষি উৎপাদন এবং পশুপালনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। সেই সমীক্ষায় ৫৪ শতাংশ মানুষ বলেছিলেন যে, সরকার খোলামুখ খনির ক্ষতিকর প্রভাব সমাধান সম্পর্কে একেবারেই যত্নশীল নয়।
হন্ডুরাসের আদি বাসিন্দাদের কথা
মধ্য আমেরিকার এই দেশটি হলো এই ভূখণ্ডের অন্যতম এক দরিদ্র দেশ। এদেশে নয়টি সাংস্কৃতিকভাবে আলাদা মুখ্য আদিবাসী সম্প্রদায় রয়েছে যারা হলেন চোরটি, লেনকা, মিসকিটো, নাহুয়া, পেচ, তাওয়াহকা, টোলুপান এবং আফ্রিকা বংশোদ্ভূত গারিফুনা এবং ইংরেজিভাষী কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ। প্রত্যেকের ভাষা আলাদা। দেশের দুর্গমতম অঞ্চল ‘মস্কুইটো কোস্ট’-এ সবথেকে বেশি সংখ্যক আদিবাসী মানুষের বাস। সিআইএ-র পরোক্ষ মদতে এই অঞ্চলে ড্রাগ ব্যবসায়ীদের রমরমা। লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে কোকেন হন্ডুরাস, মেক্সিকো হয়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেয়। ‘মারাস’ নামে এক গোষ্ঠী এই পাচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। এই কাজে আদিবাসীদের তরুণ প্রজন্মকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
হন্ডুরাসের আদি বাসিন্দাদের ভূমির অধিকার এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য লড়াইয়ের সাম্প্রতিক ইতিহাস খুবই গৌরবোজ্জ্বল। হন্ডুরাস প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ। এই দেশে রয়েছে বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রবাল প্রাচীর, অরণ্য আচ্ছাদিত পাহাড়, স্বচ্ছ নদী এবং প্রচুর উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল। এই প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করা এদেশের আদিবাসীদের জন্য একটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। গ্লোবাল উইটনেসের একটি তথ্য অনুসারে, ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে হন্ডুরাসে ১২০ জনেরও বেশি পরিবেশরক্ষার সঙ্গে যুক্ত আদিবাসী মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
অরণ্য রক্ষার লড়াই
২০২১ সালের মে মাসের ১০ তারিখে টোলুপান নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর আদিবাসী সম্প্রদায় এবং সান ফ্রান্সিসকো দে লোকোমাপা বাসিন্দাদের অরণ্য রক্ষা ও পরিবেশ কর্মীদের উপর পুলিশ এবং কাঠ ব্যবসায়ীদের দুষ্টচক্র (logger) যৌথভাবে আক্রমণ করে। ফলে তিনজন আহত এবং কয়েকটি পরিবার গৃহহীন হয়ে যায়। বছরের পর বছর ধরে, টোলুপানরা তাদের পূর্বপুরুষদের মতো মূলত অরণ্য সম্পদ লুণ্ঠন এবং পরিবেশ নষ্টের বিরুদ্ধে ইয়োরো অঞ্চলে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এই জনগোষ্ঠীর প্রধান দাবি - তাদের প্রাকৃতিক সম্পদের লুট বন্ধ করতে হবে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, তারা ‘‘Campamento Digno por la Defensa del Bosque yel Territorio Tolupan’’ (টোলুপানদের আবাসভূমি এবং সেখানকার অরণ্য সংরক্ষণের জন্য উদ্দিষ্ট ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান) নামে একটি সংগঠন তৈরি করে এবং অরণ্য সম্পদের উপর তাদের পরম্পরাগত অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানায়। মে মাসের ১০ তারিখে কাঠ ব্যবসায়ীরা গাছ কাটার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে হাজির হয়। আক্রমণ হয় এই সংগঠনের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সভার উপর। আহত হন অনেক আদিবাসী-জনজাতির মানুষ।
গুয়াপিনল খোলামুখ খনির বিরুদ্ধে লড়াই
দি গার্ডিয়ান পত্রিকা লিখছে যে ‘গুয়াপিনল’ আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৬ জন পরিবেশ কর্মীকে একটি খোলামুখ লোহা পাথর খনির বিরোধিতা করার জন্য জেলবন্দি করা হয়। গুয়াপিনল সম্পর্কিত মামলার শুরু ২০১১ সালে। হন্ডুরাসের কংগ্রেস ‘বোটাদেরস’ নামে একটি পর্বতকে জাতীয় উদ্যান এবং নো-ডেভেলপমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করে। এই পর্বত থেকে গুয়াপিনল নদী প্রবাহিত হয়েছে। প্রায় ৪২,০০০ আদিবাসী-বনবাসীর জীবন নির্বাহের জলের উৎস এই নদী। হন্ডুরাস কংগ্রেস এই নদীর সুরক্ষার জন্য কিছু আইনও তৈরি করে। কিন্তু ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালে, কংগ্রেস এই ন্যাশনাল পার্কের নো-ডেভেলপমেন্ট জোনের এলাকা কমিয়ে একটি লোহাপাথর খনির কাজ শুরুর অনুমতি দেয়। এই খনির মালিক লেনির পেরেজ, একজন মার্কিন ব্যবসায়ী যিনি আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
২০১২ সালে খনির পারমিট দেওয়ার ঘোষণা হওয়ার পর কয়েক বছর ধরে, জঙ্গল কেটে রাস্তা নির্মাণ শুরু হয়। বামপন্থীদের নেতৃত্বে এখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন এবং নদীটিকে রক্ষা করার জন্য প্রতিবাদ সংগঠিত করতে থাকেন। কিন্তু এর মধ্যেই খননের কাজ শুরু হয়ে যায়। খনির কাজ যত এগোতে থাকে গুয়াপিনল নদীর জল এবং এখান থেকে সরবরাহ করা পানীয় জল কর্দমাক্ত পলির সাথে মিশে বাদামি হতে শুরু করে। ফলে শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়া এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ত্বকের সমস্যা শুরু হয়। ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর এই দখলদারীদের বিরুদ্ধে সংগঠিত বিক্ষোভ দেখাতে রাস্তায় নামে মানুষ। খনির সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের শিবির উচ্ছেদের জন্য গুলি চালায় এবং একজন তরুণ বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর সরকারি তদন্ত দূরের কথা বরং প্রাথমিক বিচারে সরকারি কর্তৃপক্ষ কিছু প্রতিবাদকারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং পরে তাদের গ্রেপ্তার করে। ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ধৃত বিক্ষোভকারীদের আদালত ৮-১৪ বছরের সাজা ঘোষণা করে। এর বিরুদ্ধে মার্কিন মুলুকের আইনজীবীদের সংগঠন ‘ন্যাশনাল ল’ইয়ার্স গিল্ড’ হন্ডুরাসের আমেরিকান কনস্যুলেটের কাছে প্রতিবাদ জানায়।
পরে অবশ্য হন্ডুরাসের সুপ্রিমকোর্ট এই বিচারপ্রক্রিয়া এবং তার অসঙ্গতিগুলিকে স্বীকার করে। নদী রক্ষা এবং খনিখননের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছিল অন্যায়ভাবে তাদের বিচারের আগে দীর্ঘসময় ধরে আটকে রেখে আন্দোলনকারী এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে যন্ত্রণা দেওয়ার জন্য শাস্তিদানকারী আদালতকে ধিক্কার জানায় সুপ্রিম কোর্ট। সঙ্গে সঙ্গে সুপ্রিমকোর্ট অভিযুক্তদের মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশও দেয়।
বার্টা কাসেরেসের গৌরবোজ্জ্বল লড়াই
আদিবাসীদের পক্ষে, পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী এবং মার্কিনি পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বামপন্থী নেত্রী, বার্টা ক্যাসেরেস (Berta Caceres), এক মার্কিনি করপোরেট সংস্থার দ্বারা তৈরি নদী বাঁধের বিরুদ্ধে বিরোধিতার কারণে বছরের পর বছর হুমকি এবং হয়রানির শিকার হওয়ার পর ২০১৬ সালের মার্চ মাসে তাঁর ৪৫তম জন্মদিনের ঠিক দুদিন আগে খুন হন। গুয়ালকার্ক (Gualcarque) নদীর উপর আগুয়া জার্কা (Agua Zarca) বাঁধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপসহীন সংগ্রামী ছিলেন বার্টা। তাঁকে গুলি করে হত্যা করে প্রাক্তন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা, এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প কোম্পানির সভাপতি এবং সর্বাধিক শেয়ার হোল্ডার রবার্টো ডেভিড কাস্টিলো। অবশ্য এই অপরাধের জন্য কাস্টিলোকে আদালত ২২ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। কাস্টিলোর সঙ্গী আরও ৮ জনকে অবশ্য ৩০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এতোটাই তীব্র ছিল যে, ২০১৬ সালে মাত্র ৪৯ দিনের শুনানিতেই মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যায়।
হন্ডুরাসের সমস্ত অংশের জনগণের একটাই লক্ষ্য ছিল, মার্কিনিদের নেতৃত্বে করপোরেট সংস্থাগুলির প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। এই সমস্ত লড়াইয়ে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নেতৃত্বে ছিল এবং আছে বামপন্থীরা। ‘প্রাকৃতিক সম্পদের শোষণ এবং মাদক পাচারের মদতদাতাদের যেকোনোভাবে প্রতিহত কর’ - এটাই ছিল বামপন্থীদের স্লোগান। মার্কিনীদের মদতে দুর্নীতি ছিল সীমাহীন। বামপন্থীদের হাতিয়ার ছিল জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ। এই প্রতিরোধ, বিভিন্ন স্তরের মানুষের লড়াইয়ের সঙ্গে সংহতি স্থাপন এবং ঐক্যবদ্ধ সংগঠন গড়ে তোলার মাধ্যমে জুয়ান অরল্যান্ডো হার্নান্দেজের স্বৈরতন্ত্রকে পরাজিত করতে সক্ষম হয় বামপন্থীরা। ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি বামপন্থী দল ফ্রিডম এবং রিফাউন্ডেশনের রাষ্ট্রপতি পদের মহিলা প্রার্থী জিওমারা কাস্ত্রো প্রায় ৬৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসেন। বামপন্থীদের দীর্ঘ লড়াইয়ের এটাই ছিল সাফল্য।
খোলামুখ খনি মানেই জল, জঙ্গল, জমির সর্বনাশ। দেউচা-পাচামির কয়লা খনি বা মধ্য প্রদেশের বক্সওয়াহার হিরা খনি বা ওডিশার নিয়ামগিরির বক্সাইট খোলামুখ খনির বিরুদ্ধে লড়াই এবং হন্ডুরাসের খোলামুখ খনির লড়াই ভিন্ন নয়। জল-জঙ্গল এবং জমির অধিকারের লড়াইয়ের কোনো দেশ হয় না। ল্যান্ড ইউজ, ল্যান্ড ইউজ চেঞ্জ এবং ফরেস্ট (LULUCF)-র কারণে যে কার্বন বায়ুমণ্ডলে নির্গমন হয় তার কোনো দেশ হয় না। এই দূষণ সারা পৃথিবীর এবং তাই তার বিরুদ্ধে লড়াই হোক পৃথিবীজুড়ে এবং সমন্বিতভাবে।