৫৮ বর্ষ ২৭ সংখ্যা / ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ / ৬ ফাল্গুন, ১৪২৭
‘আজ খেলা ভাঙার খেলা’
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
‘আইন সিংকলা’
বুধবার রাতে তখনও শুতে যাইনি। শোয়ার তোড়জোড় চলছে মাত্র। মোবাইল স্ক্রল করছিলাম। কিছুক্ষণ আগেই গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাম ছাত্র-যুবদের নবান্ন অভিযানের দিন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বাহারপোতায় নিখোঁজ বাম সমর্থকের বাড়িতে এসএফআই’র প্রতিকুর, ডিওয়াইএফআই’র মীনাক্ষী, বিধায়ক ইব্রাহিম আলি ঘুরে এসেছে। শুনছিলাম নিখোঁজ দীপক পাঁজার পরিবারের সদস্যদের কথা। যিনি বলছিলেন - ‘প্রশাসন কোনো খোঁজ করছে না। মুখ্যমন্ত্রী মাথা ঘামাচ্ছেন না। সবাইকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে উনি চেয়ারে বসে আছেন। এত বড়ো ঘটনা ঘটে গেল। কোনো গুরুত্ব নেই।’ এইসময়েই হঠাৎ ভেসে উঠল মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে রাজ্যের শ্রমপ্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর বোমা হামলার ঘটনা।পরবর্তী সময় মন্ত্রীর পেজ থেকে করা ওই ঘটনার ভিডিয়োতে আচমকা বিস্ফোরণ, আহতদের চিৎকার, কিছুটা সময়ের জন্য চারপাশ কালো হয়ে যাওয়া - সবই দেখা গেল। আরও যদি দু’বছর পিছিয়ে যাই তাহলে মনে পড়বে প্রায় একই কায়দায় ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ খুন হয়েছিলেন নদীয়া কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। সেবার অবশ্য বোমা ছিল না। ছিল গুলি করে হত্যা।
মন্ত্রী, বিধায়কের ওপর হামলা, খুন-রাজনীতি-চাপানউতোর-হামলার জন্য কে দায়ী-কে খুন করেছে-কার কার নাম অভিযুক্তের তালিকায় আছে - এসব ছেঁদো কথা বাদ থাক। মূল প্রশ্নটা বোধহয় সম্পূর্ণ অন্য এবং সেটা হলো রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়করাও নিরাপদ নন। যে রাজ্যে খোদ শাসকদলের মন্ত্রী, বিধায়ক নিরাপদ নন, সে রাজ্যের সাধারণ মানুষ নিরাপদে আছেন ভেবে নেওয়া বাতুলতা ছাড়া কিছু নয়। আমি সুদীপ্ত গুপ্ত, মইদুল ইসলাম মিদ্যাদের কথা বলছি না। ওঁরা তো না’হয় বিরোধী দলের লোকজন। সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলার মতো বড়োসড়ো অপরাধ করে ফেলেছিল। তাই ওঁদের মৃত্যুতে সরকারের কোনো দায় না থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে খোদ শাসকদলের নেতা মন্ত্রী? রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বাস্তব অবস্থা আর এনসিআরবি রিপোর্ট আগামীদিনে একইকথা বলবে তো? জানা নেই। ঠিক যেমন জানা নেই রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী নামক পদ এখন ডাইনোসর হয়ে গেছে কিনা! আইনশৃঙ্খলাকে এভাবে কলা দেখানো যায় কিনা সেটাও।
যাহা ছাপ্পান্ন তাহা নবান্ন
সিঙ্ঘু সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের দিল্লি প্রবেশ আটকাতে রাস্তায় পেরেক, গজাল পুঁতে, তারের ফেন্সিং লাগিয়ে, তিন চার ধাপে ব্যারিকেড করে রেখেছে ছাপ্পান্ন প্রশাসন। পাছে কৃষকরা দিল্লি ঢুকে পড়ে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে হল্লা শুরু করে দেয়। আর অন্যদিকে কলকাতায় চার হাজারের বেশি পুলিশ, চারটে জলকামান, প্রায় পঁচিশ জায়গায় ছোটো বড়ো ব্যারিকেড, আকাশে ড্রোন, কমব্যাট ফোর্স, শহর কলকাতার রাস্তা খুঁড়ে লাগানো অ্যালুমিনিয়ামের ব্যারিকেড, চারজন ডেপুটি কমিশনার, দুই যুগ্ম কমিশনার - ‘দু’দিন আগে পর্যন্ত দেখতে না পাওয়া’ বাম ছাত্র-যুবদের নবান্ন অভিযান আটকাতে আয়োজন বড়ো কম ছিলনা ১১ ফেব্রুয়ারি। এর উল্টোদিকে ছিল ১০ বাম ছাত্র-যুব সংগঠন সহ অন্যান্য কিছু সংগঠনের বেশ কয়েক হাজার নিরস্ত্র ছাত্র-যুব। মূলত কাজের দাবিতে, শিল্পের দাবিতে ছাত্র-যুবদের ডাকা নবান্ন অভিযান আটকাতে প্রশাসনিক যুদ্ধ ঘোষণা কিছুটা তো বিস্ময়ের বটেই।
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যের বর্তমান শাসকদলই তো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বছরে ২ লক্ষ চাকরির। ঠিক যেমন ২০১৪-তে ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি’র প্রতিশ্রুতি ছিল বছরে ২ কোটি চাকরি। ২০২১-এর শুরুতে দাঁড়িয়ে অন্তত ২০ লক্ষ চাকরি তো রাজ্যে হয়ে যাবার কথা। দেশে প্রায় ১৪ কোটি। যদিও চাকরি তো দূরের কথা, শুধু লকডাউনের সময় দেশে কাজ হারিয়েছেন ১৪ কোটি মানুষ। সেই প্রতিশ্রুতির কথা সরকারকে মনে করিয়ে দিতে গেলে ছাপ্পান্ন থেকে নবান্ন সকলে একই সুরে গান গাইতে শুরু করেন। মাঝখান থেকে প্রাণ যায় মইদুল ইসলাম মিদ্যাদের। নিখোঁজ হয়ে যান সুদীপ পাঁজারা। পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, জলকামানের সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করে মেডিক্যাল কলেজে ভরতি হতে হয় ৯২ জনকে। ডাক্তার ফুয়াদ হালিমের নার্সিংহোমে ভরতি হন ১০৭ জন। সবাই হাসপাতালে যাননি। দলীয় সূত্র অনুসারে আহত পাঁচশো জনের বেশি। লালবাজার তুলে নিয়ে যায় ৪১ জনকে। পুলিশি নৃশংসতা দেখে মনে পড়ে যায় জালিয়ানওয়ালাবাগ।
সুরতহাল
বাঁকুড়া। কোতুলপুর। মইদুল ইসলাম মিদ্যা পেশায় টোটোচালক ছিলেন। বাড়িতে বৃদ্ধা মা। স্ত্রী। দুই মেয়ে। এক ভাগ্নী। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। বহু দলের জল খাওয়া রাজ্যের কোনো বর্ষীয়ান মন্ত্রীর মনে হতেই পারে - ‘যে কোনো মৃত্যু দুঃখজনক। যেভাবে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল তাতে এরকম দুর্ঘটনা ঘটাই স্বাভাবিক। ওরা ডেড বডি চাইছিল। আমি পঞ্চাশ বছর লড়াই করছি। সিপিএম নেতাদের আমি হাড়ে হাড়ে চিনি। পুলিশ সেদিন প্রায় কিছু করেনি। কেউ যদি আত্মহত্যা করে তাহলে কিছু বলার নেই।’ যদিও রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রীর এই মনে হওয়াতে মইদুলের মৃত্যুর ঘটনা লঘু হয়ে যায়না। পুলিশের লাঠিপেটা মিথ্যে হয়ে যায়না। কাজের দাবিতে মইদুলদের লড়াই মিথ্যে হয়ে যায়না। মইদুলের মৃত্যু প্রসঙ্গে ডাক্তার ফুয়াদ হালিম জানিয়েছেন, ‘ওই বাম-যুব কর্মীকে যেভাবে মারধর করা হয়েছে তার জেরেই এই ঘটনা। পুলিশ লাঠি দিয়ে সারা শরীরে বেপরোয়াভাবে মেরেছে তাঁকে। এই মারার ফলে ওঁর পেশির ভেতরে যে ক্ষত হয় তাতে প্রচুর প্রোটিন শরীর থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। প্রোটিন বেরিয়ে যাওয়ায় ওঁর কিডনি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলে অ্যাকিউট কিডনি ইনজিওরি। এতে শরীরে ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন মারাত্মক বাড়ে। এই পরিস্থিতির মধ্যে ওঁর ফুসফুসেও জল জমতে শুরু করে। ১৩ তারিখ কিডনির সমস্যা সামনে আসে। রবিবার মইদুলের শরীরের আরও অবনতি হয়। রাতের দিকে সামান্য উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু আজ সকালে হঠাৎ একটা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আমরা কমরেডকে হারিয়েছি।’ (হিন্দুস্তান টাইমাস ডিজিটাল, ১৫ ফেব্রুয়ারি)
তোতুত্থতমবো
এটা এখন পুরো কম্বো প্যাক। মাঝে মাঝে নাচেন, গান করেন। চিৎকার করেন। দৌড়ে বেড়ান। উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ‘নেশনস ওয়ান্টস টু নো’ থেকে শুরু করে ২০০০ টাকার নোটে মাইক্রোচিপ সবই খুঁজে পান। পুলওয়ামা হামলা সম্পর্কে আগেভাগেই জানতে পেরে যান। বাম ছাত্র-যুবরা মার খেলে সেলিব্রিটিদের দলবদলের নামে টুকিটুকি খেলার লাইভ টেলিকাস্ট করেন। আর গালাগালি দেওয়া পুলিশকে ছাত্র-যুবরা তাড়া করলে ভীষণ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আবার কোনো ছাত্রকে পুলিশ মারতে মারতে গায়ে কালশিটে ফেলে দিলেও তখন এঁদের খোয়াড়ি ভাঙেনা। এনারা হলেন গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কী আর করা যাবে। আর আছে পেশার দোহাই। বিপদে পড়লেই কোন্ দাদা আমাকে হাতে ধরে কাজ শিখিয়েছিলেন আর কোন্ কাকু আমাকে আদর্শ চিনিয়েছিলেন গল্প ফাঁদেন।পাপী পেট কা সওয়াল বোধহয় একেই বলে। আর যাঁরা সৎ সাংবাদিকতা করার চেষ্টা করেন তাদের বাড়ি, অফিসে ৩৬ ঘণ্টা, ১১৫ ঘণ্টা ধরে রেইড হয়।
অবশ্য মাঝে মাঝে ফাউলও হয়। খেলা হলে ফাউল, পেনাল্টি, রেড কার্ড - সবই হবে। যেমন হলো ১৬ ফেব্রুয়ারি। ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র তখন বাঁকুড়া কোতুলপুরে মৃত মইদুল ইসলাম মিদ্যার বাড়িতে বসে। আচমকাই কোনো এক চতুর্থ স্তম্ভের ফোন আসে। বলে, ‘কেউ কেউ অভিযোগ করছে, আপনারা নাকি কেউ মইদুলের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়াননি।’ উত্তরে সায়নদীপ বলেন, ‘আমি তো মইদুলের বাড়িতে বসে আপনার সাথে কথা বলছি। কে বলছে এসব?’ স্তম্ভ আর কথা বাড়াননি। সেখানেই ক্ষান্ত দেন। ঘটনা হলো, মইদুলের মরদেহের সাথেই নেতৃত্ব রওনা দেয় বাঁকুড়ায়। পরদিন সকালেই সেখানে পৌঁছে যায় মীনাক্ষী, প্রতিকুররা। ছিলেন অভয় মুখার্জি। আগেই মইদুলের বাড়িতে ঘুরে এসেছিলেন সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব। পাশে না থাকার গল্প ফাঁদতে গিয়ে এভাবে ফাঁসতে হবে তা সম্ভবত স্বপ্নেও ভাবেনি চতুর্থ স্তম্ভের লজ্জা ‘তোতুত্থতমবো’রা।
‘আজবাদেকালযুদ্ধুহবে’
দিনকাল যা পড়েছে আজকাল এই ধরনের কথা লিখতেই ভয় লাগে। কে জানে হয়তো এরমধ্যেই দেশদ্রোহিতার গন্ধ খুঁজে পাওয়া যাবে। রাতারাতি আবিষ্কার হয়ে যাবে বিশাল এক চক্রান্ত। বেচারি গোবেচারা কলমচির তখন হবে ছেড়েদে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। গণ হিস্টিরিয়ায় মগ্ন দেশবাসীকে কে বোঝাবে এটা এমনি এমনিই লেখা। এরমধ্যে কোনো ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের কথা বলা নেই।
অতি সম্প্রতি আর্টিকেল ১৪ নামক এক ওয়েব ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে - ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারায় বহু মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা ১৫১ বছরের পুরনো ব্রিটিশ আমলের বর্বরোচিত আইনের সমান। তথ্য অনুসারে, গত এক দশকে ১০ হাজার ৯৩৮ জন ভারতীয়র বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬৫ শতাংশ মামলা ২০১৪ সালের মে মাসের পর দায়ের করা হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর। বিশেষ করে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতেই এই দেশদ্রোহিতার মামলা বেশি দায়ের হয়েছে বলে জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে।
এসব বিতর্কিত কথা থাক। একটু বরং আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলা যাক। আজ ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখ, যখন এই লেখা লিখছি তখন গত ১০ দিন ধরে দেশে টানা বেড়ে চলেছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। গ্যাসের দাম দফায় দফায় সিলিন্ডার পিছু ৫০ টাকা করে বাড়ছে। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী দিল্লিতে আজ এক লিটার পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৩৪ পয়সা। মূল্যবৃদ্ধির পর দিল্লিতে লিটারপিছু পেট্রোলের দাম ৮৯.৮৮ টাকা, ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৮০.২৭ টাকা। রাজধানীতে এর আগে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কখনো এই পর্যায়ে পৌঁছায়নি। দেশের মেট্রো শহরগুলোর মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম সবথেকে বেশি মুম্বাইয়ে বৃহস্পতিবার লিটার প্রতি ৩২ পয়সা মূল্যবৃদ্ধির পর দেশের বাণিজ্য রাজধানীতে পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ৯৬.৩২ টাকা। এক লিটার ডিজেলের দাম ৮৭.৩২ টাকা। কলকাতায় পেট্রোলের দাম ৯১.১১ টাকা। ডিজেলের দাম ৩২ পয়সা বেড়ে এক লিটার ডিজেলের দাম ৮৩.৮৬ টাকা। কলকাতাতে এই প্রথমবার জ্বালানি তেলের দাম এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। চেন্নাইয়ে লিটারপিছু পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়েছে ৩০ পয়সা করে। চেন্নাইতে আজ এক লিটার পেট্রোলের আজকের মূল্যা ৯১.৯৮ টাকা এবং ৮৫.৩২ টাকা। একটু মনে করার চেষ্টা করতে পারেন। ২০১৪ সালে বিজেপি’র নির্বাচনী প্রচারের একটা স্লোগান ছিল - ‘বহুত হুয়া জনতা পর পেট্রোল ডিজেল কা মার, আব কী বার মোদী সরকার’। এটাকে আবার সমালোচনা ভেবে নেবেন না যেন। আত্মনির্ভর হবেন আর তার দাম দেবেন না এটা কী করে হয়? বেশ কিছু সরকারি সূত্র অনুসারে এই বছরেই ক্ষয়িষ্ণু অর্থনীতিকে চাঙা করতে চারটি মাঝারি আকারের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এই তালিকায় রয়েছে ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। গত বছরের ১জুলাই এক ট্যুইটে সীতারাম ইয়েচুরি বলেছিলেন - ‘আত্মনির্ভর’ শুধুই প্রচারে, বাস্তব হলো ‘আত্মসমর্পণ’।
কথা বাড়ালে কথা বাড়বে। তাই বেশি বাড়িয়ে আর লাভ নেই। দেশের গত ৬ বছর বা রাজ্যের গত ১০ বছরে এমন কিছু ঘটেনি যাতে মানুষের স্বস্তি মেলে। বরং সময়ের সাথে সাথে প্রতিদিন বাড়ছে অস্বস্তি। বাড়ছে মানুষের ক্ষোভ। বামপন্থীদের দেখা না গেলেও, আন্দোলনকারীরা পরজীবী হলেও প্রতিদিন দেশের প্রত্যন্তে মানুষ সংগঠিত হচ্ছেন। বামপন্থীদেরই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাবে। যুদ্ধু তো হবেই। আজ অথবা কাল। আপনিও প্রস্তুতি নিন আগামীর।