৫৭ বর্ষ ৪১ ও ৪২ সংখ্যা / ১৯ জুন ২০২০ / ৪ আষাঢ় ১৪২৭
সরকার পাশে নেই লালঝান্ডা আছে
(পর্যবেক্ষক)
যাদবপুরে বামপন্থীদের পরিচালিত কমিউনিটি কিচেনে প্রান্তিক মানুষদের হাতে খাবার তুলে দিচ্ছেন বিমান বসু। রয়েছেন মহঃ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী।
সাল ১৯৪৩। বাংলা জুড়ে প্রবল অনাহারের সাথে কলেরা আর ম্যালেরিয়ায় উজাড় হয়ে যাচ্ছে একটার পর একটা জনপদ। তবু ব্রিটিশ শাসক, রাজ্যে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ মন্ত্রীসভা, বিরোধী জাতীয় কংগ্রেস, হিন্দু মহাসভা বা প্রজা কৃষক পার্টি কেউই চাইছে না মজুতদারের মুনাফায় হাত পড়ুক। অবাধ বাণিজ্যের স্রোতে ভেসে ধান উঠে আসছে মজুতদারের গোলায়। খাদ্যের জন্য সীমাহীন হাহাকার, পথে প্রান্তরে লক্ষ লক্ষ লোকের অসহায় মৃত্যু।সে সময় সীমিত সামর্থ্য নিয়ে হলেও রুখে দাঁড়িয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টি। অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল সারা ভারত কৃষক সভা, ছাত্র ফেডারেশন ও মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি। নিরন্ন মানুষের মুখে অন্ন জোগাতে গণসংগ্রহের মাধ্যমে অর্থ জোগাড় করে খোলা হয়েছিল লঙ্গরখানা যেখানে অসহায় মানুষ তাদের পেটের খিদে কিছুটা মেটাতে পারত। বিভিন্ন দলকে একত্র করে তৈরি করা হয়েছিল জনরক্ষা কমিটি যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা ব্যারিস্টার স্নেহাংশু আচার্য। বাংলার ক্ষুধার্ত মানুষের জীবন বাঁচাতে বিভিন্ন রাজ্যে প্রখ্যাত শিল্পী বিনয় রায়ের নেতৃত্বে পৌঁছে গিয়েছিল গণনাট্য সঙ্ঘের সাংস্কৃতিক স্কোয়াড। বাংলা মায়ের কান্নায় মথিত মানুষ দেশের নানা প্রান্তে লালঝান্ডার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন। মৃত্যুমিছিল হয়তো রোধ করা যায়নি কিন্তু সেই মহাবিপর্যয়ে বাংলার কমিউনিস্ট কর্মীরা একাধারে মজুতদারির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে রেশনিং ব্যবস্থার দাবিতে সরব হয়ে, পতিত জমি উদ্ধার করে ফসল ফলিয়ে, শত শত লঙ্গরখানার মাধ্যমে খাবার বণ্টন করে মানুষের অপরিসীম দুর্দশা লাঘবের জন্য ঐকান্তিক চেষ্টা করেছিল।
এর আগে ১৯৪২ সালের অক্টোবরে মেদিনীপুর ও চট্টগ্রামে কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল ‘পিপলস ফ্লাড রিলিফ কমিটি’, ‘পিপলস সাইক্লোন রিলিফ কমিটি’। তার কিছুদিন পরেই গঠিত হয় ‘পিপলস রিলিফ কমিটি’ — যা দরিদ্র মানুষের কাছে আজও চিকিৎসার পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে। ১৯৪৬ সালেও দুর্ভিক্ষজনিত পরিস্থিতির মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছিল কৃষক সভা। ’৬০-এর দশকে উত্তরবঙ্গে তিস্তা নদীর বিপুল অঞ্চল প্লাবিত করার সময়ও বামপন্থীরা ত্রাণ ও জীবনরক্ষার কাজে এগিয়ে আসে। আর ’৭৮ সালে বিধ্বংসী বন্যার সময় তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার একদিকে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে যুক্ত করে, তাদের পরামর্শ নিয়ে ত্রাণ কার্য পরিচালনার পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন ঘটিয়েছিল, অন্যদিকে বামপন্থী কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মানুষের দুঃসময়ে। আজ যখন করোনা অতিমারীর সময় প্রবল অর্থনৈতিক সঙ্কট দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে গ্রাস করছে তখনও মানুষের পাশে আন্তরিকতা, ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা নিয়ে অবিচলভাবে রয়েছে লালঝান্ডা।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে দূর্গতদের হাতে ত্রাণ সাহায্য তুলে দেওয়া হচ্ছে বামপন্থী কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে।
করোনা অতিমারীর সময় স্বাস্থ্যবিধি দাবি করছে যে, পারস্পরিক শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যিক, যার দরুন মানুষে মানুষে স্বাভাবিক মেলামেশা বন্ধ, দীর্ঘকাল বন্ধ হয়েছিল নানারকম অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ। ভারতের মতো বিশাল দেশ যেখানে ১৩০ কোটি মানুষের বসবাস সেখানে মাত্র চার ঘণ্টার নোটিসে ঘোষিত হয়েছিল লকডাউন। এই অপরিকল্পিত লকডাউনের শিকার হয়েছেন জনতার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ যারা প্রবল অনিশ্চয়তা ও অথনৈতিক সঙ্কটে ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছেন।এসময় মানুষের হাত ধরবার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। অর্থনীতির চাকা হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় যাঁদের দু’বেলা খাওয়ার সংস্থানটুকু চলে গিয়েছে সেই অগণিত জনতার পাশে দেশের সরকার দাঁড়ায়নি। বিপুল খাদ্যভাণ্ডার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়নি সব অংশের জনগণের জন্য। গোটা দেশের গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজে বড়সড় ঘাটতি থেকে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুধার্ত মানুষের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। নিজের বাসস্থান ছেড়ে অন্যত্র রুটিরুজির জন্য চলে যাওয়া শ্রমজীবী মানুষ হঠাৎ করে চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করেন কেন না তাঁদের কাজ বন্ধ, রোজগারের পথ বন্ধ, থাকার জায়গা নেই, আবার চলে যাওয়ার উপায়ও নেই কেন না গণপরিবহণ স্তব্ধ। এই পরিস্থিতিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে যায় পরিযায়ীদের গণপ্রব্রজন। পায়ে হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে শত শত মাইল পথ পেরোতে থাকে যন্ত্রণায়, ক্ষোভে মূক হয়ে যাওয়া গরিব, শ্রমজীবী জনতা। এ সময় রাষ্ট্রের নির্মম অনুপস্থিতি যে নিদারুণ মানবিক সঙ্কটের জন্ম দিল ভারতে তাতে আশার রূপোলী রেখা অবশ্যই গোটা দেশে বামপন্থীদের উদ্যোগে সামাজিক সংহতি তৈরির প্রয়াস ও ত্রাণ বণ্টনের নানাবিধ উদ্যোগ।
দেশের দক্ষিণতম প্রান্তের রাজ্য কেরালায় বামপন্থী ফ্রন্টের সরকার কেবল করোনা রোগকে সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে আন্তর্জাতিক স্তরে মডেল হয়ে উঠেছে তাই নয়, সেই রাজ্যে থাকা ভিনরাজ্যের শ্রমিক যাদের একটা বড় অংশ পশ্চিমবাংলার, তাদের জন্য বাসস্থান ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে। কেরালায় থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠতে হয়নি কেন না পাশে ছিল সহৃদয় সরকার ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন এবং যুব-ছাত্র-মহিলা সংগঠন।
বাম আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র ত্রিপুরাতেও ত্রাণ বণ্টনের কাজ ব্যাপকভাবে করেছেন বামকর্মীরা। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহায়তায় আর্ত মানুষের পাশে এভাবে দাঁড়ানো সম্ভব হয়েছে। দুর্গত মানুষের যন্ত্রণা লাঘব করবার কাজে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাডু, অন্ধ্র সহ দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই বামপন্থী কর্মীরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছেন। সাংগঠনিক শক্তিকে ছাপিয়ে গিয়ে এসময় সঙ্কটাপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে দৃষ্টান্ত সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বামপন্থীরা তৈরি করেছেন তা আগামীদিনে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
আমাদের রাজ্যে লকডাউন ঘোষণার সাথে সাথেই মানুষের আশু সঙ্কট অনুধাবন করে জনগণের কষ্ট লাঘব করতে বামপন্থী দল ও সংগঠনগুলি এগিয়ে আসে। করোনা রোগের মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন করে ব্যাপক প্রচার চালানো, নানা জায়গায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে বিলি করা, মাস্ক বিলি করা ইত্যাদি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজ তো ছিলই, কিন্তু যতদিন গড়িয়েছে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা ক্রমশ মানুষকে তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে ঠেলে দেওয়ায় আর্ত মানুষকে ত্রাণ বণ্টনই মুখ্য কাজ হয়ে দাঁড়ায়। গণবণ্টন ব্যবস্থার দুর্বলতার দরুন ক্রমশ এক বড় অংশের মানুষ যখন দু’বেলা কি খাবেন তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েন তখন সামাজিক উদ্যোগকে হাতিয়ার করে মানুষের পাশে দাঁড়ায় বামপন্থীরা যাদের মধ্যে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ। তারা চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজ, সবজি ছাড়াও শুকনো খাবার নিয়ে মানুষের কাছে হাজির হয়েছে পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত। ছাত্র-যুব-মহিলা-শ্রমিক-কর্মচারী-শিক্ষক — সকলে এই উদ্যোগে শামিল। এসময়কালে বাংলার মানুষের কাছে অভিনবভাবে হাজির হয়েছে বামপন্থীদের উদ্যোগে তৈরি ‘কমিউনিটি কিচেন’। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার সময়ে সামাজিক ও মানবিক সংহতির চিহ্ণ হয়ে উঠেছে এই অসংখ্য কমিউনিটি কিচেন যার মধ্যে কোনো কোনোটি দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে। শুরু করেছিল যাদবপুর। মানুষের প্রতি ভালোবাসার, সহমর্মিতার উত্তাপে প্রতিদিন কয়েকশ’ মানুষের জন্য দুপুরের খাবার রান্না করার যে উদ্যম বামপন্থী ছাত্রযুব কর্মী ও তাদের রাজনৈতিক অভিভাবকরা দেখিয়েছিলেন তা ক্রমশ গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। নৈহাটি, টালিগঞ্জ, হাওড়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান, রায়গঞ্জ — কার্যত রাজ্যের সব জেলায় বামপন্থীদের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে জনগণের রান্নাঘর যেখানে জাত-ধর্ম-বর্ণের বেড়া ডিঙিয়ে মানুষ একত্রিত হয়েছেন। ‘একা বাঁচ’র তত্ত্বকে পরাস্ত করে মানবিক সংহতি জয়ী হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সহায়তা, সে আর্থিক হোক বা শারীরিক, না থাকলে এই বিপুল উদ্যোগ সফল করা বামপন্থীদের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব হতো না।
জনগণের প্রতি বামপন্থীদের দায়বদ্ধতার ঐতিহ্যে ভাঁটা পড়েনি সন্ত্রাস কবলিত এলাকাতেও। মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা যেখানে ২০১১ সালে রাজনৈতিক পালাবদলের পর প্রথম শহিদ হন পার্টিনেতা জিতেন নন্দী, শহিদের রক্তে ভেজা সেই মাটিতে পার্টির উদ্যোগে চলেছে দুর্গত জনতার জন্য ত্রাণ বিতরণ। সন্ত্রাসদীর্ণ নন্দীগ্রাম, খেজুরিতে মানুষের পাশে নির্ভীকভাবে দাঁড়িয়েছে বামপন্থীরা। শারীরিকভাবে আক্রান্ত হয়েও তারা ত্রাণকার্য চালিয়ে গিয়েছেন। মানুষের দুঃসময়ে শাসকদল যখন চালচুরিতে ব্যস্ত থেকেছে তখন বামপন্থী কর্মীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে মানুষকে সাহায্য করার। সঙ্কট যখন বহুমাত্রিক তখন সাহায্যও করা হয়েছে নানাভাবে। রান্না করা খাবার কিংবা খাদ্যসামগ্রীর পাশাপাশি বিনামূল্যে সবজি বাজারের আয়োজন করেছেন বামপন্থীরা। উত্তরে শিলিগুড়িতে জনতার বাজার যে মডেল হাজির করে তা ক্রমে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। লকডাউনের পরিস্থিতিতে যাতে পড়াশোনায় লকডাউন না হয়, বিশেষত সেই সমস্ত পরিবারে যেখানে উপার্জন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেইজন্য রাজ্যের কোনো কোনো জায়গায় শিক্ষার সামগ্রীও ছাত্রছাত্রীদের হাতে বিনামূল্যে তুলে দিয়েছে ছাত্র-যুব কর্মীরা। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ও যৌনপল্লীর বাসিন্দাদের পাশে সাধ্যমতো দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে বামপন্থী কর্মীদের।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন শ্রমিক এক্সপ্রেসকে করোনা এক্সপ্রেস বলেছেন, তখন পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর দাবি তুলেই কেবল ক্ষান্ত হয়নি বামপন্থী কর্মীরা। গুজরাটে সিআইটিইউ নেতা মনসুখভাই-এর মতো সংগঠক অনেকের টিকিটের টাকা জোগাড় করে দিয়েছেন। এরাজ্যের সীমান্তে রাজ্য প্রশাসনের অমানবিক নিষেধাজ্ঞার জন্য আটকে-পড়া শ্রমজীবীদের সীমান্ত পেরিয়ে নিজেদের ভিটেয় ফেরার জন্য আর্থিক সহায়তা এবং প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছেন ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্ব। এমনকি অনেক জায়গায় কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকা শ্রমিকদের কাছে সরকার যখন খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজটুকু করেনি সেই শ্রমজীবী মানুষদের দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থাও করতে এগিয়ে এসেছেন বামপন্থী কর্মীরা।
‘সঙ্কটের বিহ্বলতা নিজের অপমান’ — সঙ্কটে মুহ্যমান না হয়ে পরিত্রাণের পথ খুঁজতে সাহায্য করাই বামপন্থীদের কাজ। বামপন্থীরা সমাজবদলের লড়াইয়ের সৈনিক। তাই সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে তাদের দায়িত্ব আরও বেশি। পাড়ার তরতাজা বামপন্থী তরুণ-তরুণী থেকে আশি ছুঁইছুঁই কমিউনিস্ট নেতা সকলেই এসময়কালে রাজপথে ছিলেন। একদিকে যেমন মানুষের জ্বলন্ত সমস্যা, সরকারের কাছে দাবি নিয়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ, গ্রেপ্তারবরণও করেছেন তারা, তেমনি সক্রিয় থেকেছেন দুর্গত মানুষের কষ্ট লাঘব করবার কাজে। অতিমারীর সময়ে লড়াইয়ের সরণীতে লালঝান্ডার উপস্থিতি, সঙ্কটক্লিষ্ট মানুষের হাতে হাত রেখে পথচলা এই করোনা আক্রান্ত পৃথিবীতে আশার আলো দেখাচ্ছে।