৬০ বর্ষ ৪০ সংখ্যা / ১৯ মে, ২০২৩ / ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০
শিল্পী কল্যাণী কাজির জীবনাবসান
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী, বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্রবধূ কল্যাণী কাজির জীবনাবসান হয়েছে ১২ মে। এদিন ভোর পাঁচটা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৮৭। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি।
১৪ মে মধ্য কলকাতার গোবরা কবর স্থানে নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র, শিল্পীর স্বামী কাজি অনিরুদ্ধর কবরের পাশেই তাঁর ইচ্ছানুসারে সমাধিস্থ করা হয়।
প্রয়াত শিল্পীর জীবনাবসানে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এক শোকবার্তায় বলেছেন বিখ্যাত নজরুলগীতি শিল্পী কল্যাণী কাজির মৃত্যুতে সংগীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন। শিল্পী কল্যাণী কাজি পশ্চিমবঙ্গ নজরুল আকাদেমির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যা ছিলেন।
প্রয়াণের পর শিল্পীর মরদেহ সংরক্ষিত রাখা ছিল। ১৪ মে সকালে তাঁর মরদেহ প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রবীন্দ্রসদনে। এখানে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম শ্রদ্ধা জানান। এখানে শিল্পীর মরদেহে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিপিআই(এম) নেতা রবীন দেব। এখানে শিল্পীর অনুরাগীরাও মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ শিল্পীর মরদেহবাহী শকট যায় গোবরা কবরস্থানে। এখানে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সহ অন্যান্যরা। উপস্থিত ছিলেন শিল্পীর দুই পুত্র কাজি অনির্বাণ ও কাজি অরিন্দম সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য।
মহম্মদ সেলিম বলেছেন, কাজি নজরুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এর সূচনা করে গিয়েছিলেন তাঁর অভিভাবক ও বন্ধু, দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা নেতা কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদ। আমরা যাঁকে বলি কাকাবাবু। আমরাও কল্যাণী কাজির স্নেহের স্পর্শ পেয়েছি দীর্ঘদিন। ধর্মনিরপেক্ষ এই পরিবারটি বাংলার সম্প্রীতির এক জীবন্ত উদাহরণ হয়ে থাকবে দীর্ঘদিন।