E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ৪০ সংখ্যা / ১৯ মে, ২০২৩ / ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০

লুটপাট, তঞ্চকতা ঢের হয়েছে

এবার কাজ দাও, নয়তো পাততাড়ি গোটাও

অমিয় পাত্র


রাজ্যের গ্রাম-শহরে সর্বত্র কাজের সংকট ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে কর্মহীনতা ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে। অর্ধাহার, অনাহার, অপুষ্টি ক্রমাগত বাড়ছে। এমনকী অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা যেভাবে বেড়ে চলেছে সেটা যথেষ্টই উদ্বেগের। তৃণমূলের দুর্নীতির তোড়ে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের একমাত্র প্রকল্প বন্ধ। তৃণমূল কংগ্রেস এই তীব্র সংকটের পরিস্থিতির দায় ঝেড়ে ফেলতে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলছে। তাদের প্রচারের মুল কথা - কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা অন্যায়ভাবে বন্ধ করেছে। ফলে রাজ্য এই খাতে দুটি আর্থিক বছরে প্রায় ১৫,০০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। রাজ্যে এখন ঢাক-ঢোল, গাড়ি-ঘোড়া, নেতা-মন্ত্রী, পুলিশ-আমলা এবং অনুগত মিডিয়া সহযোগে প্রায় ১০০ কোটি টাকার মোচ্ছব চলছে। সেখানেই বলা হচ্ছে - মোচ্ছব শেষে ১০০ দিনের কাজের টাকা আনতে দিল্লি যাওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিহিংসার যথাযথ জবাব দেওয়া হবে। এই বক্তব্য যথার্থ নয়, অর্ধ-সত্য। দেশে ১০০ দিনের কাজ আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আইনটি হলো - মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন (MGNREGA) - ২০০৫। এই আইনে বলা আছে, রেগার কাজের জন্য নিবন্ধিত পরিবারের দাবি অনুযায়ী বছরে কমপক্ষে ১০০ দিনের কাজের ব্যবস্থা সরকার করবে এবং এই শ্রমদিবস সৃষ্টির জন্য রাজ্যগুলোকে প্রয়োজনীয় অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ করবে। দেশের সব রাজ্য এই আইনেই বরাদ্দ পেয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গও ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত এভাবেই বরাদ্দ পেয়েছে। বরাদ্দ কোনো বছরে কমবেশি হয়েছে, কিন্তু টাকা আসার দরজা বন্ধ হয়নি।

এই আইনের ২৭ ধারায় বলা হয়েছে -

১। এই আইনের সার্থক রূপায়ণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিতে পারে।

২। এই আইনের আওতায় থাকা কোনো স্কিম সংক্রান্ত কোনো সমস্যা বা আর্থিক দুর্নীতির কোনো অভিযোগ যদি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আসে এবং যদি প্রাথমিকভাবে মনে হয় এই অভিযোগের সত্যতা রয়েছে তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার তার নিজস্ব সংস্থা দিয়ে তদন্ত করতে পারে, এমনকী সেই স্কিমের জন্য বরাদ্দ টাকা বন্ধ করে দিয়ে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই স্কিমের যথাযথ রূপায়ণের জন্য সংশোধনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। [(1) The Central Government may give such directions as it may consider necessary to the State Government for the effective implementation of the provisions of this Act.

(2) Without prejudice to the provisions of sub-section (1), the Central Government may, on receipt of any complaint regarding the issue or improper utilisation of funds granted under this Act in respect of any Scheme if prima facie satisfied that there is a case, cause an investigation into the complaint made by any agency designated by it and if necessary, order stoppage of release of funds to the Scheme and institute appropriate remedial measures for its proper implementation within a reasonable period of time.
] পশ্চিমবঙ্গের সমস্যা এখানেই অর্থাৎ ২৭(২) ধারায়।

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারসভায় এই অংশের কোনো উল্লেখ করা হচ্ছে না। বাস্তবে রাজ্যের অসংখ্য স্কিমের কোনো অস্তিত্ব নেই, কাগজে কলমে টাকা উধাও হয়েছে। মাটিকাটার কাজ হয়েছে যন্ত্র (JCB) ব্যবহার করে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। ফলের বাগান তৈরি হয়েছে খাতা-কলমে। ভুয়া প্লট দেখিয়ে টাকা তোলা হয়েছে। দলীয় আনুগত্য বিচার করে কাজ দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ কাজে অংশগ্রহণ না করেও কাটমানির মাধ্যমে মজুরির টাকা পেয়েছে। জবকার্ড থাকা পরিবারকে কোনো কাজের সুযোগ না দিয়ে কার্ডটি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। যার অর্থ হলো, এই পরিবারগুলো কাজ করতে অনিচ্ছুক। রাজ্যে প্রায় ৮০ লক্ষ শ্রমিকের কাজ পাওয়ার সুযোগ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অসংখ্য বেনিয়ম ধরা পড়ার কারণে ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ বন্ধ হয়েছে।

১০০ দিনের কাজ - MGNREGA কী ও কেন?

এই প্রকল্প গ্রামের ইচ্ছুক পরিবারের জন্য বছরে কমপক্ষে ১০০ দিন কাজ দেওয়ার নিশ্চয়তা। এটি একটি শ্রমআইন যা ‘right to work’-এর ভিত্তির উপরে বিধিবদ্ধ রূপ দেওয়া হয়েছে। ২০০৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সংসদে এই বিল অনুমোদন লাভ করে। কেন্দ্রে তখন বামপন্থীদের সমর্থনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায়। সরকারের কাজের অভিমুখ ও অগ্রাধিকার ঠিক করতে বামপন্থীদের দাবি মতো সরকার পক্ষের সব দলের প্রতিনিধিত্বে সমন্বয় কমিটি ছিল। এই সভা থেকেই ক্রমাগত কাজের সংকট বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বছরে পরিবার প্রতি ২০০ দিন কাজের ব্যবস্থা করার দাবি উত্থাপিত হয়। দাবির যথার্থতা স্বীকার করলেও আর্থিক কারণে সরকার ১০০ দিন কাজের আইন তৈরির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যা ২০০৬ সালে চালু হয়েছে। উল্লেখ্য, চালু প্রকল্প যেমন - জওহর রোজগার যোজনা এবং সম্পূর্ণ গ্রামীণ রোজগার যোজনা সহ পুরাতন প্রকল্পগুলো রেগার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন সারাদেশে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের এটাই একমাত্র কাজের ক্ষেত্র।

রাজ্যে রেগা’-র কাজের কী হাল?

পশ্চিমবাংলা শেষ রেগা-র বরাদ্দ অর্থ পেয়েছে ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১। রাজ্যের দাবি ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ৭৫০০ কোটি প্রাপ্য অর্থ কেন্দ্র দেয়নি। এর মধ্যে ২৭৪৪ কোটি টাকা যারা কাজ করেছেন সেই পরিবারের প্রাপ্য। কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য হলো - রেগার আইনের ২৭(২) ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা রাজ্য কার্যকর না করার জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে খেটেখুটে বেঁচে থাকা মানুষ কাজ করে মজুরি থেকে বঞ্চিত এবং বিগত প্রায় ১৭ মাস রাজ্যে রেগার কাজ বন্ধ। এখানে প্রশ্ন হলো - এই আইনে বলা আছে জবকার্ড আছে এরূপ পরিবার কাজ চাইলে (৪ক ফর্মে) ১৫ দিনের মধ্যে (১০০ দিন কাজ না পাওয়া সাপেক্ষে) সেই পরিবারের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা হবে। আইনে একথাও বলা আছে, বকেয়া মজুরি কাজ করার দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে। যারা মজুর এটা তাদের অধিকার। আইন এই অধিকারকে মান্যতা দিয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক কাজিয়ার খেসারত শ্রমিকদের দিতে হবে কেন? তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার এবং বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার উভয়েই এক্ষেত্রে খেটে খাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে। রাজনৈতিক সভায় ১০০ দিনের কাজের প্রসঙ্গে পরস্পর খিস্তি খেউড় করে চলেছে শুধু মানুষের থেকে নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে। এরা কি রাজ্যের মানুষকে অর্বাচীন ভাবছেন?

কেন রাজ্য সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না?

রেগার অর্থ লুটপাট করেছে পঞ্চায়েতের কর্মকর্তা, সদস্য, দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী, তাদের পছন্দের ঠিকাদার, সুপারভাইজারদের একটা চক্র। সরকার এবং দলের মাথায় যারা রয়েছেন তাদের মদতেই এই দুর্নীতি হয়েছে। যিনি এখন জেলায় জেলায় ভাষণবাজির খেলায় মেতেছেন, পরের প্রজন্মের চোরদের তালিকা প্রস্তুত করছেন, তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তিনিও এই দুর্নীতির উপভোক্তা। দলটাই চলে কালোটাকায়। কোটি কোটি টাকা খরচে জোয়ার তোলার মহড়া হচ্ছে। সে টাকার উৎস কী? তদন্ত হলে দেখা যাবে সেখানেও ঢুকেছে রেগার লুট হওয়া টাকা। তাই এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে সম্ভব নয়। লক্ষ লক্ষ স্কিমে চুরি হয়েছে যা সরকারি নথিতে আছে, তাসত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হচ্ছে না কেন? একটা তদন্ত হলে ক্ষতি কী? কীসের ভয়? আসলে এরাই গ্রামে গঞ্জে তৃণমূল দল চালায়, এরাই তৃণমূলের হৃৎপিণ্ড। এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিলে দলীয় অফিসের দরজা খোলার লোক থাকবে না। আদর্শের জন্য কেউ তৃণমূল কংগ্রেস দল করেন না। আদর্শ নামক বস্তুটি তৃণমূল দলে নেই। কে কোথায় কীভাবে করে খাবে, কীভাবে কালো টাকার পাহাড় জমাবে সেটাই এদের দৈনন্দিন কাজ। দল ও সররকার চলে একজনের মরজি-মতো। সেখানে কোনো কথা চলে না।

বিজেপি কি ধোয়া তুলসীপাতা?

২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি’র নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সরকারি কাজের অভিমুখ করপোরেটদের অনুকূলে চলে যায়। স্বভাবতই শ্রমজীবী মানুষের কাজ, মজুরি, অধিকার এবং সামাজিক সুরক্ষা - সবক্ষেত্রেই আঘাত বেড়েছে। সর্বত্র কাজের সুযোগ সংকুচিত হয়েছে। ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে বরাদ্দ ৬০,০০০ কোটি টাকা, যা বিগত বছরে সংশোধিত বাজেটে ছিল ৮৯,০০০ কোটি টাকা। হিসাবে দেখা যাচ্ছে এ বছর সক্রিয় জবকার্ড আছে এরূপ পরিবার মাত্র ১১ দিন কাজ পাবে। আইনে বছরে ১০০ দিন কাজের নিশ্চয়তা দেওয়া সত্ত্বেও কেন এই দ্বিচারিতা? যারা কাজ করেছেন, তাদের মজুরি কেন আটকে রাখা হবে? আইনে এই প্রকল্প অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার লাইসেন্স কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে - ‘‘institute appropriate remedial measures for its proper implementation within a reasonable period of time.’’ দীর্ঘ ১৭ মাস রেগার কাজে আর্থিক বরাদ্দ বন্ধ রাখা যায় না। মনুবাদী বিজেপি সমাজের আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করে চলেছে। নানাভাবে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে পরস্পরের মধ্যে বৈরিতামূলক সম্পর্কের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজ্যের তৃণমূল এবং কেন্দ্রের বিজেপি উভয়দলই মূল সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতেই বিভাজনের হাতিয়ারকে ব্যবহার করছে। কেন রেগার কাজ নেই, কেন ১১লক্ষ পরিবার আবাস যোজনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত, কেন কৃষকরা ফসলের সহায়ক মূল্য পাচ্ছে না, কেন বাজারে হু-হু করে নিত্যব্যবহার্য সামগ্রীর দাম বাড়ছে, শূন্য পদে নিয়োগ নেই কেন, দেশের সম্পদ নির্বিচারে বেসরকারি হাতে যাচ্ছে কেন, রাজ্যজুড়ে দুর্নীতির এই রমরমায় কারা যুক্ত - এসব প্রশ্ন আড়াল করতেই জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদের পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি’র লড়াই শুধু মিডিয়ায়। লুট, দুর্নীতির পান্ডারা দলবদলে বিজেপি’র নেতা। মোদি-শাহের নিরাপদ আশ্রয়ে সারদা এবং নারদ-এর চোররা দিব্যি আছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির কাজ কি দুর্নীতির মাথাকে আড়াল করা? বামপন্থীদের লড়াই ছাড়া দু-ডজন নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক জেলে যেতেন না। আইনি লড়াই সেটাও বামপন্থী আইনজীবীরা করছেন। রেগার দুর্নীতির কিনারা বিজেপি করবে একথা বিশ্বাসযোগ্য নয়।

মানুষের বাঁচার লড়াইয়ে বামপন্থীরাই

কর্ণাটকের রায়ের পর বিজেপি পায়ের তলায় মাটি পেতে আরও মরিয়া হবে। দুর্নীতির দায়ে জেলযাত্রা থেকে বাঁচতে তৃণমূল আরও বেশিমাত্রায় বিজেপি ঘনিষ্ঠ হবে। ভাড়াটে মিডিয়াকে ভাষ্য পরিবর্তনে ব্যবহার করার কাজে কোনো ফাঁক রাখা হবে না। চেষ্টা চলছে রেগার বরাদ্দ, আবাস যোজনার অর্থের বিষয়ে একটা রফায় আসার। এযাবত যে নিকৃষ্টতর রাজনৈতিক তরজা চলছে তার শিকার খেটেখাওয়া মানুষ। এই মানুষের পাশে বামপন্থীরা ছিলেন, এখনো আছেন, আগামী দিনেও থাকবেন। রাজ্যে মানুষের বাঁচার দাবিতে লড়াই তীব্র হচ্ছে। বছরে ২০০ দিন কাজ ও দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরির দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন খেতমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ। লড়াই জারি আছে রাজ্যে সর্বগ্রাসী লুট, পাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে। পুনরায় রেগার কাজ চালু করা, বকেয়া মজুরি রাজ্যের কোষাগার থেকে মিটিয়ে দেওয়া, আবাস যোজনায় প্রকৃত প্রাপকদের তালিকাভুক্ত করে আবাস নির্মাণ করা এবং অবিলম্বে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার দাবিতে ২৯মে থেকে ৮ জুন প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ, ডেপুটেশন ও অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১ জুন রাজ্যের ৩৪১ ব্লকেই এক বা একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি হবে। ১০০ দিনের কাজ পুনরায় চালু না হওয়া পর্যন্ত লড়াই লাগাতার চলবে।