৬০ বর্ষ ৪০ সংখ্যা / ১৯ মে, ২০২৩ / ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০
বিপন্ন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা
সুপ্রতীপ রায়
মোদি জমানায় গণতন্ত্রের সবগুলি স্তম্ভ আক্রান্ত। স্বভাবতই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও বিপন্ন। গত ৩ মে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা দিবসে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স যে প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ১১ ধাপ পিছিয়ে গিয়েছে আমাদের দেশ। ২০২২-এ ছিল ১৫০, ২০২৩-এ তা হয়েছে ১৬১। মোট ১৮০টি দেশকে নিয়ে এই তালিকা তৈরি হয়েছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সংকটে। ২০১৪ সালে বিজেপি সরকারে আসার পর মিডিয়াতে করপোরেট আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বলাই বাহুল্য, আজ করপোরেট গ্রাসে ভারতীয় মিডিয়া।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমাদের সংবিধান সংবাদমাধ্যমের অনেকগুলি স্বাধীনতা দিয়েছে। সংবিধানের ১৯(১) ধারায় বাক্-স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক সংবাদ মাধ্যম যদি স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে তাহলে মানুষের চাহিদা, প্রয়োজনীয়তা বোঝা যাবে। সরকারের নীতি নির্ধারণে সংবাদমাধ্যমের সমালোচনামূলক প্রতিবেদন ভূমিকা পালন করে। কিন্তু মোদি রাজত্বে মিডিয়াকে সরকারের প্রচারযন্ত্রে পরিণত করা হচ্ছে। এ মারাত্মক ফ্যাসিবাদী প্রবণতা।
জওহরলাল নেহরু প্রথম প্রেস কমিশন গঠন করেছিলেন। দেশ গঠনে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রেখে কীভাবে তাদের যুক্ত করা যায় সে বিষয়ে সুপারিশ করতে বলা হয়েছিল। সুপারিশে প্রেস কমিশন সংবাদমাধ্যমকে সরকারি নিয়ন্ত্রণের কথা বলেনি। যা বলেছিল তা হলো - সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করতে ব্যবসায়িক মালিক গোষ্ঠীর হাত থেকে প্রেসকে মুক্ত রাখতে হবে।
সাংবাদিকদের স্বাধীনতা যে বিপন্ন তা প্রমাণিত হয় গৌরী লঙ্কেশ হত্যার মধ্য দিয়ে। ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশকে রাত্রি আটটা নাগাদ তাঁর বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। গৌরী তাঁর সাপ্তাহিকে শেষ যে সম্পাদকীয় লিখেছিলেন তার শিরোনাম ছিল, “ইন দ্য এজ অফ ফলস নিউজ”। আরএসএস-র আগ্রাসী হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে কলম ধরার জন্যই গৌরীকে খুন করা হয়েছিল।
সাংবাদিক মহম্মদ জুবেরের গ্রেপ্তারের মধ্যে দিয়ে বোঝা গিয়েছিল মোদি সাংবাদিকদের স্বাধীনতা চান না। ২০১৮ সালে এক টুইটের অজুহাতে জুবেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গত বছরের ২৭ জুন ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট AltNews’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেরকে দিল্লি পুলিশের আইএফএসও গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের কারণ হিসাবে বলা হয় - ১৯৮৩’র একটি ছবি ‘কিসিসে না কহনা’র একটি ইমেজ নিয়ে ২০১৮তে একটি আপত্তিকর টুইট করা হয়েছে।
২০২২ সালে দুই সাংবাদিক সমৃদ্ধি শাকুনিয়া ও স্বর্ণ ঝাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, কারণ তাঁরা ত্রিপুরায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা ও হিংসা ছড়ানো সম্পর্কে ওই রাজ্যের পুলিশের মিথ্যাকে উন্মোচিত করেছিলেন। ২০২১ সালে ২৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। অনেক সাংবাদিককে জেলে পাঠানো হয়। যেমন - সিদ্দিক কাপ্পান, মানান গুলজার দার, তানভীর ওয়ারসি, রাজীব শর্মা, আসিফ সুলতান।
কাপ্পান হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষে কলম ধরেননি বলেই আক্রমণ নেমে আসে। করোনাকালে হিন্দুত্ববাদীরা প্রচার করেছিল - দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ মসজিদে তবলিগি জামাতের ধর্মীয় জমায়েতই আমাদের দেশে সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দায়ী। কাপ্পান তাঁর প্রতিবেদনে এটাকে মিথ্যাচার বলে লিখেছিলেন। কাপ্পানের প্রতিবেদনে শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রকাশিত হয়েছিল। কাপ্পান্নের বিরুদ্ধে যে প্রতিহিংসামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা বলেছিল ‘কেরল ইউনিয়ন অব ওয়ার্কিং জর্নালিস্টস’। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের চার্জশিটের বিরুদ্ধে তারা বলেছিল, “উত্তরপ্রদেশের পুলিশ যা করেছে তা সাংবাদিকতাকে অপরাধ বলে গণ্য করা ছাড়া অন্য কিছু নয়। এটা সংবিধান প্রদত্ত মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রকৃত স্পিরিটের বিরুদ্ধেই রায়।”
২০১৬ সালে জগদলপুরে scroll.in-এর সাংবাদিক মালিনী সুব্রহ্মণ্যমের বাড়িতে আক্রমণ করা হয়। শিলং টাইমস্-র সম্পাদক পাট্রিশিয়া মাথিমেমর বাড়িতে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়। ‘ফ্রি-স্পিচ কালেকটিভ’ সংস্থার পক্ষে গীতা সেসু প্রদত্ত তথ্য অনুসারে-২০২০ সালে ভারতে ৬৭ জন সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ও দৈহিক আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন প্রায় ২০০ সাংবাদিক। ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’র ২০২১ সালের রিপোর্টে নরেন্দ্র মোদিকে এমন ৩৭ জন রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় রাখা হয়েছে যাঁরা হলেন, ‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার লুণ্ঠনকারী’।
মোদি আমলে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের উপর হামলা ধারাবাহিকভাবে চলছে। ২০২১ সালের ২২ জুলাই হিন্দি সংবাদপত্র ‘দৈনিক ভাস্বর’ ও টিভি চ্যানেল ‘ভারত সমাচার’-এর বিভিন্ন অফিস ও কর্মকর্তাদের বাড়িতে আয়কর দপ্তর হানা দেয়। নিউস পোর্টাল ‘নিউজক্লিক’ ও ‘নিউজলন্ড্রি’র দপ্তরেও হানা দেয় আয়কর দপ্তর (১০ সেপ্টেম্বর ’২১)। একই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট পাঁচ দিন ধরে নিউজক্লিক-এর অফিসে ও কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এসবেরই আরও একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণের জন্য বিবিসি’র দিল্লি ও মুম্বাইয়ের অফিসে আয়কর দপ্তর থেকে তল্লাশি চালানো হয়। ভারতে সেই তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
সংবাদমাধ্যমের কর্মী, সাংবাদিকদের উপর পুলিশি হামলা মোদির প্রধানমন্ত্রীত্বে সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল মিডিয়াও তার থেকে বাদ যাচ্ছে না। The wire-এর সম্পাদকের বাড়িতে পুলিশ হানা দিয়েছিল। The Wire-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সিদ্ধার্থ বরদারাজন সহ চারজনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। বিজেপি’র সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান অমিত মালব্যের অভিযোগের ভিত্তিতে এই হানা। মোদি জমানায় স্বাধীনভাবে কোনো মিডিয়া কাজ করতে পারবে না - এটাই বাস্তব।
মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই মিডিয়াকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার প্রয়াস চালানো হয়েছে। ২০১৪ সালে মোদি প্রধানমন্ত্রী হন। ওই বছরের জুন মাস scroll.in জানায় - প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রীদের ও উচ্চপদস্থ আমলাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলার জন্য বলেছেন। দীর্ঘদিনের প্রথা ভেঙে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে জানিয়ে দেওয়া হয় - শুধুমাত্র সরকারি সংবাদমাধ্যমই প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সঙ্গী হতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর কোনো সাংবাদিক সম্মেলন নেই। বাছাই-করা কিছু সাংবাদিক ছাড়া কেউ প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিতে পারেন না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এক তরফা বিবৃতিতে বিশ্বাসী। বাছাই-করা কিছু প্রশ্ন ও লিখিত উত্তর তিনি দেন। সংবাদমাধ্যমের মূল ধারাটিকে সরকারের উপর নির্ভরশীল রাখাই লক্ষ্য।
সরকারের চাপের কাছে মিডিয়াকে নতি স্বীকার করানো হচ্ছে। ক্যাবিনেট নোট এখন সহজে সাংবাদিকরা পান না। সরকার চাইলে কিছু খবর সাংবাদিকরা পান। স্বাধীনভাবে কাজ না করতে পারার জন্য অনেক বিশিষ্ট সাংবাদিক কাজ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
‘আনন্দবাজার পত্রিকা’ নিউজ একটি বড়ো মিডিয়া হাউস। তাদের ওপরেও কড়া সেন্সরশিপ চলে। পূন্যপ্রসূন বাজপেয়ী ওই সংস্থার একজন সঞ্চালক ও বরিষ্ঠ সাংবাদিক। আরেকজন মিলিন্দ খান্দেকর, মুখ্য সম্পাদক। দুজনে ২০১৮-র আগস্ট মাসে পদত্যাগ করেছেন। কারণ, সিইও অতিদেব সরকার তাঁদেরকে চাপ দিচ্ছিলেন যাতে তাঁরা নরেন্দ্র মোদিকে একটু নরম দৃষ্টিতে দেখেন। অন্য আরেকজন সঞ্চালক অভিসার শর্মাকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৫ দিনের জন্য কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কারণ, তিনি একটি অনুষ্ঠানে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর একটি উক্তিকে; যেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলায় উন্নতি হয়েছে। এই ঘটনার পরে অভিসার পদত্যাগ করেন।” (খবরের সত্যি মিথ্যে-বাজার, দক্ষিণপন্থা ও গণমাধ্যমঃ সম্পাদনা-আশিস গুপ্ত / পৃষ্ঠাঃ ৫৬-৫৭) ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হিন্দুস্তান টাইমসের তৎকালীন মুখ্য সম্পাদক রবি ঘোষ, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে দ্য ট্রিবিউন পত্রিকার তৎকালীন মুখ্য সম্পাদক হরিবা খারেকে পদত্যাগ করতে হয়।
গত ৮ মাস নিউ ইয়র্ক টাইমস্-এ ‘কাশ্মীর টাইমস্’এর কার্যনির্বাহী সম্পাদিকা অনুরাধা ভাসিন-এর একটি লেখা থেকে দেখা যায় ভারতের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা কতটা আক্রান্ত। ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর শ্রীনগর শহরে ‘দি কাশ্মীর টাইমস্’-এর দপ্তরে সরকার তালা লাগিয়ে দেয়। আজও তালা বন্ধ। ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীর ভূখণ্ডের স্বশাসনের মর্যাদা বাতিল করে দেয়। সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ নেমে আসে। খুন করা হয় অনেক সাংবাদিককে। কাশ্মীরের অনলাইন সংবাদপত্র ‘কাশ্মীর ওয়ালা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ফাহাদ সাহাকে কয়েকবার গ্রেপ্তার করা হয়।
সরকারের অনুগত না থাকার জন্য বিভিন্ন চ্যানেলের উপরও আক্রমণ নেমে এসেছে। কেরালার মালয়ালম ভাষায় চ্যানেল মিডিয়া ওয়ান-এর লাইসেন্স নবীকরণ করতে অস্বীকার করে মোদি সরকার। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এক আদেশ বলে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানায় মিডিয়া ওয়ানের লাইসেন্স নবীকরণ হবে না। যুক্তি হিসাবে বলা হয়, এই চ্যানেল ‘জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক’। যদিও ‘বিপজ্জনক’ হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ওই চ্যানেলকে জানানো হয়নি। ২০২০ সালের মার্চে দিল্লি দাঙ্গার খবর প্রচার নিয়েও চ্যানেলটির সম্প্রচার ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
সরকারের বিভিন্ন কার্যকলাপের গঠনমূলক সমালোচনা করত এনডিটিভি। তাই এনডিটিভি সরকারের বিষ নজরে ছিল। এনডিটিভি’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন প্রণয় রায় ও রাধিকা রায়। ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট প্রণয় ও রাধিকার বিদেশযাত্রা বাতিল করে ভারত সরকার। ২০১৭ সালে সিবিআই এনডিটিভি’র অফিস ও প্রণয়-রাধিকার বাড়ি তল্লাশি করে। রাভিশ কুমারের পরিণতিও আমরা জানি।
করপোরেটদের নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে মিডিয়া। আদানি-আম্বানিদের আধিপত্য মিডিয়া মালিকানাতে। জি-র মালিকের সঙ্গে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। প্রায় সমস্ত বড়ো বড়ো মিডিয়া আজ শাসকের পক্ষে। করপোরেট পুঁজির প্রভাবে বদলে যাচ্ছে সংবাদমাধ্যমের চরিত্র। মোদির রাজত্বে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের ‘করপোরেটকরণ’ অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চলছে। ভারতের অন্যতম ধনকুবের গৌতম আদানি গত বছরের ১৯ নভেম্বর বলেছেন, “প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারের প্রতি সংবাদমাধ্যমের সমর্থন জানানোর সাহস থাকা উচিত”। বলা বাহুল্য, আদানি নরেন্দ্র মোদির খুবই ঘনিষ্ঠ ও তিনি প্রায়শই জনসমক্ষে মোদির নীতিমালার প্রতি সমর্থন জানান। ঘটনাক্রমে এনডিটিভি এখন আদানি-মালিকানাধীন।
স্বাধীনতার পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ভয়ঙ্কর বিপদে। পুরো সংবাদমাধ্যমকে গৈরিকীকরণের অভিযান চলছে। দ্বিতীয় দফায় মোদি ক্ষমতায় আসার পর সরকারের লাইন গ্রহণে বাধ্য করার জন্য সংবাদমাধ্যমের ওপর চাপ অব্যাহত। সরকার বিরোধী কোনো সংবাদ বা নিবন্ধ প্রকাশিত হলে - সাংবাদিকদের ওপর রাষ্ট্রীয় খাঁড়া নামিয়ে আনা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কাশ্মীরে সাংবাদিকদের উপর পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর হয়রানি অব্যাহত।
সংবাদমাধ্যমের ওপর মোদি সরকারের হামলা প্রতিরোধে সমস্ত গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ এগিয়ে আসবেনই। মোদির হিন্দুত্বের অভিযান, ফ্যাসিবাদী ছক ভেঙে চুরমার হবেই।