E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ৪০ সংখ্যা / ১৯ মে, ২০২৩ / ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০

দি কেরালা স্টোরি

কোনটা স্টোরি? কোনটা ফ্যাক্ট?

সুশোভন


“উস সোচ কো হারানা জরুরি হ্যায়”

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া ইন্টারভিউতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কমিউনিস্টদের সম্পর্কে বলেছিলেন - “আজকাল কমিউনিস্টরা আর কোথায়? ওই কোণে কেরালাতে এক চিমটি রাজ্যে। কিন্তু যত ছোটোই হোক, মতাদর্শটা বিপজ্জনক। মতাদর্শটাকে হারানো জরুরি।” হিন্দিতে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট উচ্চারণ “উস (কমিউনিস্ট) সোচ কো হারানা জরুরি হ্যায়”।

বিজেপি’র মতো আদ্যোপান্ত সাম্প্রদায়িক দলের প্রতিনিধি নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তার থেকেও মোদির জরুরি পরিচয় উনি সঙ্ঘ পরিবারের অনুগত দাস এবং এক সময়ের প্রচারক। যে সঙ্ঘ পরিবারের প্রতিষ্ঠা, উত্থান, কর্মধারা কিংবা বিগত প্রায় ১০০ বছরের ইতিহাস; প্রতিটিই এই দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইমারতকে দুর্বল করার লক্ষ্যে, জাতি-ধর্ম-ভাষাগত সংখ্যালঘুদের প্রাতিষ্ঠানিক আক্রমণের মধ্যে দিয়ে দুর্বল করার লক্ষ্যে, রাজনীতির সঙ্গে ধর্মের ককটেলের মাদকতায় রুটি-রুজি, জীবন-জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলিকে মূল রাজনৈতিক ন্যারেটিভে দুর্বল করার লক্ষ্যে।

সেই সঙ্ঘ পরিবারের কৃতি সন্তান নরেন্দ্র মোদি যদি কমিউনিস্ট মতাদর্শকে ভয় পান তাহলে সেই ভয় তো কমিউনিস্টদের সার্টিফিকেটই। গত লোকসভা নির্বাচনে সংসদে দুর্বল হয়েছে বামপন্থীরা। সংসদীয় রাজনীতিতে ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবেই খর্ব হয়েছে বামপন্থীদের। তবুও ভয় পাচ্ছেন সঙ্ঘ পরিবারের প্রচারক প্রধানমন্ত্রী! ভয় পাচ্ছেন মিসকল দিয়ে সদস্য জোগাড় করার পৃথিবীর বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের অন্যতম ক্ষমতাবান নেতা। কেন? অন্য কোনো বিরোধী দলের সম্পর্কে তো এই ধরনের কথা বলছেন না নরেন্দ্র মোদি!

উত্তর খুঁজতে হলে ফিরে যেতে হবে ইতিহাসের পাতায়। উত্তর খুঁজতে হলে নজর রাখতে হবে সাম্প্রতিক রাজনীতির আয়নায়। তামাম দুনিয়ায় সমস্ত ফ্যসিস্ত ম্যাসকটের প্রথম টার্গেট ছিলেন বামপন্থীরাই। হিটলার থেকে মুসোলিনি, পিনোচে হয়ে ফ্রাঙ্কো - বরাবর ফ্যাসিস্তদের টার্গেট পয়েন্টে কমিউনিস্টদেরই দাঁড়াতে হয়েছে। তাই “উস (কমিউনিস্ট) সোচ কো হারানা জরুরি হ্যায়” - প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত।

ফ্যাক্ট না, স্টোরি!

আর ঠিক প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘দি কেরালা স্টোরি’-র নামে আদ্যোপান্ত ফেক প্রোপাগান্ডা তৈরির নেপথ্য কারণ। আদর্শগতভাবে সঙ্ঘ পরিবারের প্রাইমারি টার্গেট কমিউনিস্টরা, আর সেই সূত্রে কেরালা। ইন্টারনেটে বসে দু-একটা গুগল সার্চ করলেই এই সিনেমায় গল্পের গোরু কীভাবে গাছে চড়ছে সেটা বুঝতে কোনো রকেট সায়েন্স লাগবে না। চর্বিত চর্বণের মধ্যে না গিয়ে, 'দি কেরালা স্টোরি' সিনেমার মিথ্যের নমুনাগুলো রইল।

এক, সিনেমার ট্রেলার এবং ডেসক্রিপশনে বলা হয়, কেরালাতে ৩২ হাজার মহিলাকে লাভ জিহাদের নামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। সিনেমার পরিচালক সুদীপ্ত সেনের কাছে এই তথ্যসূত্র জানতে চাইলে তিনি আদালতে জানান সংখ্যাটা মনগড়া এবং আসলে এরকম মহিলার সংখ্যা কেরালাতে ৩। আদালতের নির্দেশে সিনেমার ট্রেলার ও তার ডেসক্রিপশন পরিবর্তন করতে বাধ্য হন পরিচালক।

দুই, সিনেমা নির্মাণের আরেকটা ভিত্তি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত আর্টিকেল যেখানে লেখা হয়েছে ২০১৬-২০১৮-র মধ্যে ৪ জন কেরালার মহিলা যারা আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন উগ্রপন্থী ইসলাম সংগঠন আইসিস (ISIS)-এ যুক্ত হতে। ২০১৬-র এনআইএ (NIA)-র প্রকাশিত আফগানিস্তানে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড ইন্ডিয়ান’দের লিস্ট দেখুন, সেখানেও এই ৪ জনের নাম উল্লেখ আছে। এছাড়াও আরও দু’জন মহিলার নাম এনআইএ-র ওই লিস্টে উল্লেখ আছে। মোট ৬। এর মধ্যে ৩ জন ধর্মীয়ভাবে আগেই মুসলিম ছিলেন। ২ জন খ্রিস্টান থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছেন। আর মাত্র ১ জন হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছেন।

তিন, এই একজনের নাম নিমিশা নায়ার। বর্তমানে ফতিমা ইশা! 'দি কেরালা স্টোরি' সিনেমার লিড ক্যারেক্টার। সিনেমায় বলা হচ্ছে ইনি নিরীহ এবং লাভ জিহাদের নামে ফাঁসিয়ে, ধর্মান্তরিত করে আইসিস-এ যুক্ত হতে বাধ্য করা হয়েছে। বাস্তব হলো, এই নিমিশা নায়ার ওরফে ফতিমা ইশার স্বামীর নাম ইজা! ইনি নিজেই খ্রিস্টান থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছেন। লাভ জিহাদের কোনো গপ্পোই নেই।

চার, রিয়েল লাইফ নিমিশা নায়ারের ওরফে ফতিমা ইশার ভিডিও আপনি ইউটিউবে দেখতে পারেন। কথা শুনলেই বুঝবেন ইনি আসলে ব্রেনওয়াশড, উগ্রবাদী এবং খলিফা (caliphate)-র ধারণাকে বিশ্বাস করে প্রমোট করেন। এমনকী ভারত সরকার এই ফতিমা ইশাকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে অনিচ্ছুক। জোর করে না, ইনি সজ্ঞানে স্বেচ্ছায় আইসিস।

ফলে 'দি কেরালা স্টোরি' আসলে স্টোরিই। কোনো ফ্যাক্ট নয়।

মৌলবাদের বন্ধু মৌলবাদ!

ফ্যাক্ট তো অন্য! ইউনাইটেড নেশনের কাউন্টার টেররিজম সেল বলছে, বিশ্বের ১১০টি দেশ থেকে ৪০ হাজার বিদেশি আছেন যারা আইসিস-এ যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ শতাংশ মহিলা। অর্থাৎ মোট ১,৬০০। আর দি কেরালা স্টোরি বলছে, ৩২ হাজার মহিলা নাকি কেরালা থেকেই গেছে। বুঝুন!

দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সহ বিভিন্ন তথ্য বলছে, ২০১৪-২০১৮-র মধ্যে আইসিস-এ যুক্ত হতে পারেন এরকম কেসের সংখ্যা ছিল ভারতে ২০০। যার মধ্যে ৪০টি ছিল কেরালাতে। কিন্তু এই ২০০ সম্ভাব্য কেসের মধ্যে কতজন ভারত থেকে আসলে আইসিস-এ যুক্ত হয়েছিলেন? ইউনাইটেড স্টেটসের তথ্য বলছে ৬৬। এই ৬৬-র মধ্যে কত জন মহিলা? ১৩। কতজন মহিলা যারা কেরালা থেকে? ৬। তার মধ্যে হিন্দু? ১।

অর্থাৎ ভারত থেকে আইসিস-এ যুক্ত হওয়ার ঘটনা নগণ্য। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা হওয়ার পরেও এই দেশ থেকে আইসিস-এ যুক্ত হওয়ার অনুপাত ১ মিলিয়নে মাত্র ০.৫। ফ্রান্সে এই অনুপাত ১৮। বেলজিয়ামে ৪০। এমনকী জার্মানি, রাশিয়া, ইউকে-তেও এই অনুপাত ভারতের থেকে বহুগুণ বেশি। কিন্তু কেন ভারতে এই প্রবণতা কম। এই বিষয়ে গবেষণা হয়েছে। কারণ হিসেবে নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে।

প্রথমত, এনআইএ, আইবি-র মতো ভারতের সরকারি এজেন্সির কাজ। যারা বিভিন্ন সময়ে আইসিস-র সম্ভাব্য টার্গেটদের চিহ্নিত করে তাঁদেরকে ডি-রাডিকালাইজড করার কাজ করছেন।

দ্বিতীয়ত, ভারতের বহুত্ববাদ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘ ইতিহাস। ভারতের সভ্যতার ইমারতে যা লেখা হয়েছে আবহমানকাল ধরে। আজও সঙ্ঘ পরিবারের বিরুদ্ধে সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার লড়াই করছেন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বহু প্রগতিশীল মানুষ।

তৃতীয়ত, আইসিস-র পর্যবেক্ষণ, ভারতে যে ইসলাম অনুশীলন করা হয় সেটা অনেক উদার এবং মুসলিম মৌলবি এবং পড়ুয়ারা র‌াডিকাল ইসলামের বিরোধিতা করেন।

এইগুলো প্রত্যেকটাই একটা সভ্য দেশের প্রগতির পরিচয়। মৌলবাদকে পরাজিত করার লড়াইয়ে হাতিয়ার। ঐক্যের সম্প্রীতির নিদর্শন। কিন্তু দুর্ভাগ্য কি জানেন প্রধানমন্ত্রী কর্ণাটকের ভোট প্রচারে 'দি কেরালা স্টোরি' বলেন। আর এইসব ফ্যাক্টরসগুলো চেপে যান! ওই যে কথায় বলে মৌলবাদের বন্ধু মৌলবাদ!

“কংক্রিট অ্যানালাইসিস অফ দা কংক্রিট সিচুয়েশন”

লেনিন বলতেন “কংক্রিট অ্যানালাইসিস অফ দা কংক্রিট সিচুয়েশন”। ফলে 'দি কেরালা স্টোরি'কে শুধুমাত্র একটা প্রোপাগান্ডা প্রোজেক্ট হিসেবে দাগিয়ে দিলে সরলীকরণ হবে। অবশ্যই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটটাও আমাদের মাথায় রাখা উচিত।

পুঁজিবাদের দালাল অর্থনীতিবিদরা বরাবর বলে থাকেন, পলিসি মেকিং-র মাধ্যমে করপোরেটদের নানান সুযোগ সুবিধা দেওয়া। যাতে তারা আরও বিনিয়োগ করেন আর তার ‘ট্রিকল ডাউন’ মেথডেতে সেই বিনিয়োগের ছিটেফোঁটা কাজ ও মজুরির সম্পর্কে গরিব মানুষদের পকেটে এসে সার্বিক ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থনীতিকে আবার চাঙ্গা করে তুলবে! দুনিয়ায় কোথাও এইভাবে অর্থনীতি চাঙ্গা হয়নি। আর হবেও না। হয়েছে বলতে করপোরেটদের পকেট ভরেছে, সরকারি সম্পত্তি জলের দরে লুট হয়েছে, আর পুঁজিবাদের নিয়ম মেনে ধনী ও গরিবের ব্যাপক আর্থিক এবং তদুপরি সামাজিক বৈষম্য তৈরি হয়েছে!

বামপন্থীরা আগাগোড়া বলে এসেছে বিকল্প আর্থিক নীতির কথা। পেট্রোপণ্যের ওপরে সমস্ত সেস, সারচার্জ প্রত্যাহার, রান্নার গ্যাসের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার, গণবণ্টনকে শক্তিশালী করা, এমজিএনরেগা (MGNREGA)-কে শক্তিশালী করার কথা, ইনকাম ট্যাক্সের আওতার বাইরে থাকা প্রত্যেককে মাসে ৭,৫০০ টাকা করে ডাইরেক্ট মানি ট্রান্সফারের কথা, ধনীদের সম্পত্তির উপর সম্পদ কর বসানো। মোদ্দা কথা গরিব মানুষের হাতে কাজ থাকলে, পেটে ভাত থাকলে খরচ করার টাকা থাকলে, বাজারে সার্বিক ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে তবেই অর্থনীতি চাঙ্গা হবে নতুবা নয়।

যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় অর্থনীতির এই ঘরানার সবচেয়ে বড়ো উদাহরণ কেরালা। আর অন্যদিকে পুঁজিবাদী আর্থিক নীতির পোস্টার বয় গুজরাট। এবার আপনি যে কোনো মানব উন্নয়ন সূচক নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য দেখুন। সাক্ষরতা, নারী সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন, শিশুস্বাস্থ্য, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের গুণগত মান, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, এমনকি গরিবি - সমস্ত সূচকে গুজরাটের থেকে বহুগুণ এগিয়ে কেরালা। কমিউনিস্টদের কেরালা। ঠিক এই আঙ্গিকেই সঙ্ঘ পরিবারের মদতে অবতারণা 'দি কেরালা স্টোরি'র মিথ্যা প্রোপাগান্ডার। উদ্দেশ্য স্পষ্ট মানব উন্নয়ন সূচকে পারলাম না তো কি হয়েছে, মিথ্যে রটিয়ে বদনাম তো করতে পারি। ওই যে কথায় বলেঃ যারে দেখতে পারি না তার চলন বাঁকা!

“যো হিটলার কা চাল চলেগা, বো হিটলার মত মরেগা”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবখানা এমন যেন বাঙলাতে 'দি কেরালা স্টোরি' ব্যান করে দেশ ও দুনিয়াকে উদ্ধার করে দিয়েছেন। কেরালার বামপন্থী সরকারের মাথাব্যথা নেই, সেখানের সাধারণ মানুষের মাথাব্যথা নেই, বাংলার বামপন্থী দলসমূহের মাথাব্যথা নেই, দেশের প্রগতিশীল মানুষ ছিঃছিঃ করছেন সেখানে উনি বাংলাতে 'দি কেরালা স্টোরি' ব্যান করে বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিসরে এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনার সুযোগ করে দিলেন। এতই যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আর সংখ্যালঘু প্রেম থাকে মাননীয়া, তাহলে গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসি’র ডকুমেন্টারি রাজ্য সরকার দায়িত্ব নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় দেখাল না কেন? আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্ঘ পরিবারের ব্লু-আইড কন্যা, যিনি বিজেপি-কে বাংলার রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করতে কোনো কসুরই করেন না।

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে যে, ১৯২০-৩০’র দশকে মুসোলিনির কিংবা হিটলারের মতো ফ্যাসিস্তদের উত্থানের সময়ও ইতালি কিংবা জার্মানিতেও এরকম বহু প্রোপাগান্ডা সিনেমা তৈরি হয়েছে। বিচারব্যবস্থা, সংবাদমাধ্যম, সংবিধান, সাংস্কৃতিক জগতে সমান্তরাল কর্তৃত্ব ফলানো ফ্যাসিস্তদের বৈশিষ্ট্য। সেই ঐতিহাসিক ধারার নতুন সংযোজন 'দি কেরালা স্টোরি'।

কিন্তু এত বজ্র আঁটুনিতেও মুক্তিকামী সংগঠিত মানুষের প্রতিরোধ তো রোখা যায়নি। ইতিহাস সাক্ষী যে, ১২ বছরের বেশি নাৎসি পার্টিও টেকেনি, ল্যাম্পপোস্ট ছাড়া মুসোলিনির কিছুই আর জোটেনি, আত্মহননকারী বুলেট থেকে হিটলারও রক্ষা পায়নি। ফ্যাসিস্ত’দের স্বার্থরক্ষা করতে মিথ্যে প্রোপাগান্ডা সেদিনও ছিল। ফ্যাসিস্ত’দের স্বার্থরক্ষা করতে মিথ্যে প্রোপাগান্ডা আজও আছে। মিথ্যে প্রোপাগান্ডা সেদিনও ফ্যাসিস্তদের রক্ষা করতে পারেনি। মিথ্যে প্রোপাগান্ডা তাঁবেদারি আজও ফ্যাসিস্তদের রক্ষা করতে পারবে না। সভ্যতার ইতিহাসে সেদিনও শেষ কথা বলেছিল মেহনতি মানুষ। আর সভ্যতার ইতিহাসে এবারও শেষ কথা বলবে মেহনতি মানুষ। ওই যে কথায় বলে, “যো হিটলার কা চাল চলেগা, বো হিটলার মত মরেগা”।