E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৯ বর্ষ ১৪ সংখ্যা / ১৯ নভেম্বর, ২০২১ / ১ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮

বিমুদ্রাকরণের ক্ষত

প্রভাত পট্টনায়েক


স্বাধীনত্তোর ভারতের সমগ্র কালপর্বে পাঁচশো এবং এক হাজার টাকার নোটের বিমুদ্রাকরণের ন্যায় কোনো একটা অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত জনগণের কাছে এত বিপর্যয়কর হয়নি। এবং ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর মোদি সরকার এই নিয়ে ডিক্রি জারি করার সময় যে লক্ষ্য পূরণের কথা বলেছিল তা অর্জনে এরকম চূড়ান্ত অকৃতকার্য হওয়ার নজিরও আর দ্বিতীয়টি নেই। এটা ঘটনা, ঘোষিত লক্ষ্যগুলি যে অর্জন করা যাবে না তা প্রত্যাশিতই ছিল। বিপরীতদিকে, প্রত্যেক অর্থনীতিবিদই এব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন, বিমুদ্রাকরণ নিয়ে ঠিক যা যা ঘোষণা করা হয়েছে তা চরম বোকামিপূর্ণ। এই কারণেই সবাই এর বিরোধিতা করেছিলেন, শুধু ব্যতিক্রম ছিল অল্প কিছু সংখ্যক তাঁবেদার যাঁরা সরকারকে খুশি করতে এর সমর্থন করেন।

বিমুদ্রাকরণের তিনটি লক্ষ্যের কথা চিহ্নিত করেছিল সরকার। এগুলি ছিলঃ কালো টাকা দূর করা; জাল নোট থেকে মুক্তি এবং সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির অর্থ সংস্থানের পথ বন্ধ করা। এর মধ্যে শেষ দুটি ছিল একে ওপরের পরিপূরক; এবং সবাই অবহিত ছিলেন যে, এর খুব একটা বিশ্বাসযোগ্যতাও নেই। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউশনের এক গবেষণায় হিসেব করেছে যে, ভারতের মোট মুদ্রায় জালনোটের অনুপাত অতিসামান্য। এই অতিসামান্য সংখ্যক জালনোট থেকে নিষ্কৃতি পেতে হঠাৎ দেশের মুদ্রার ৮৫ শতাংশের বিমুদ্রাকরণ একটা গুরুগম্ভীর যুক্তি হিসেবে গ্রহনীয় হয় না। একইভাবে, সন্ত্রাসের জন্য তহবিলের সংস্থান বিভিন্ন পথ ধরে হয় এবং তাই কেউই সুগভীরভাবে এটা মনে করেন না যে, বিমুদ্রাকরণ সন্ত্রাসের জন্য অর্থ সংস্থান বন্ধ করবে কিংবা এমনকী সাময়িকভাবে তাতে আঘাত করবে। মূল লক্ষ্য ছিল, কালো টাকা দূর করা; এবং সরকার বিশ্বাস করত যে, বিমুদ্রাকরণ তা করতে পারবে। আসলে কালো অর্থনীতি এবং সাধারণভাবে অর্থনীতি প্রসঙ্গে মোদি সরকারের বোঝাপড়ার সামগ্রিক ঘাটতিই এসবের মধ্যদিয়ে প্রকাশিত হয়েছে।

বলিউড ফিল্মে “কালো টাকা” লুকানো নিয়ে যে চিত্র-ভাবনা প্রতিফলিত হয়, যেমন, বালিশের মধ্যে কিংবা বিছানার তলায় সুটকেসের মধ্যে গুচ্ছাকারে টাকার নোট রাখা থাকে - সেইরকম বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই বিমুদ্রাকরণকে কালো টাকা-সম্যসার সমাধান ভাবা হয়েছিল। এটা ঘটনা যে, “কালো” “টাকা”-র মতো সেরকম কোনো বস্তু নেই। প্রাথমিকভাবে কর এড়াতে কিছু অর্থনৈতিক কার্যক্রম সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয় না। যেকোনো অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলে অর্থের দরকার হয়। অঘোষিত কার্যক্রমেও তার ব্যতয় ঘটে না। এই অঘোষিত কার্যক্রম পরিচালনা করতে যে অর্থের ব্যবহার হয় তাকেই সাধারণভাবে “কালো টাকা” বলে। কিন্তু সেই অর্থ নিষ্ক্রিয় থাকে না, কিংবা সেই টাকার নোট গাদা করে বালিশ বা সুটকেসে ভরতি করে রাখা হয় না।

ঘোষিত অর্থনৈতিক কার্যক্রম থেকে অঘোষিত অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অর্থের ব্যবহার স্থানান্তরিত হতে পারে। তাই, মোদি সরকার যদি কালো অর্থনীতির সমগ্র অর্থ “ধ্বংস” করতে সফলও হতো, অর্থাৎ সরকারের অনুমান মতো ওই কালো টাকার মালিকরা তাঁদের কাছে গচ্ছিত বিমুদ্রাকরণের নোটগুলিকে নতুন নোটে পরিবর্তিত করতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে অবতীর্ণ হতেন না– তখনো কালো অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে পারা যেত না। কেন না অর্থ স্রেফ “সাদা” থেকে “কালো” অর্থনীতিতে স্থানান্তরিত হয়ে যেত। অর্থাৎ ঘোষিত থেকে অঘোষিত অর্থনৈতিক কার্যক্রমে সরে যাবে। এরফলে, বিমুদ্রাকরণ সাধারণভাবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নগদ টাকার আকাল সৃষ্টি করবে এবং পরিণতিতে সাধারণ মন্দা দেখা দেবে। কিন্তু “কালো” অর্থনীতি দূর হবে না।

যদিও বিমুদ্রাকরণের প্রক্রিয়ায় বাতিল নোটের ৯৯ শতাংশই নতুন নোটে পরিবর্তিত করার জন্য ব্যাংকে জমা পড়েছিল। এই ঘটনা সুস্পষ্টভাবে বিমুদ্রাকরণের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা ছাড়া অন্য আর কিছুই প্রদর্শিত করে না। সরকারের অনুমান ছিল যে, এই প্রক্রিয়ায় “কালো” টাকা “সাদা” টাকায় বদল হবে না; কেন না, যারা এভাবে বিশাল পরিমাণ অর্থ নতুন নোটে বদল করবে, তারা এত অর্থ নিজেদের হেফাজতে থাকার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবেন না। ফলে, তারা ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে বেশিমাত্রায় ভীত থাকবেন।

বিজেপি মুখপাত্র এমনকী এও বলেছিলেন, যে টাকা নতুন নোটে বদল করার জন্য ব্যাংকে আসবে না; যেমন ধরা যাক সেই পরিমাণ হলো ১০০ টাকা, যেহেতু সমস্ত টাকার নোটের দায় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের তাই রিজার্ভ ব্যাংকের ব্যালান্স শিট থেকে ১০০ টাকার দায় মুছে যাবে। তখন ফিরে না আসা অর্থের সমপরিমাণ নোট ছাপিয়ে তা পূরণ করা যেতে পারে এবং সেই নতুন অর্থ জনগণের মধ্য পুরোদস্তুর বিলিও করা যায়। জনগণের মধ্যে বিলি করা যাবে সেইরকম অর্থের আনুমানিক পরিমাণ নিয়ে গালগল্প ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু যখন ৯৯ শতাংশ বাতিল নোট পরিবর্তনের জন্য ব্যাংকে ফেরত আসে তখন এই হিসেব যে কতখানি অর্থহীন তা দেখিয়েছিল শুধু নয়, বিমুদ্রাকরণের মধ্যদিয়ে “কালো” টাকা নিষ্ক্রিয় হবে এবং অর্থনীতি থেকে তা বাদ হয়ে যাবে বলে সরকারের প্রত্যাশা যে নিতান্তই শিশুসুলভ ছিল তাও প্রকাশ করে দিয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে সমগ্র প্রক্রিয়াটি টাকার পুরনো নোটগুলির নতুন নোটে পরিণত করার একটা ঘটনায় পর্যবসিত হয়, এবং এরফলে জনগণ বিরাট অসুবিধার মধ্যে পড়ে।

কিন্তু অসুবিধা ওইখানে শেষ হয়ে যায়নি। কোনো বিরাট পরিণাম (ব্যাংকের বাইরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার যন্ত্রণা যা বহু জীবন কেড়ে নিয়েছে– এসব ছাড়াও) ব্যতিরেকে বিমুদ্রাকরণের কর্মপন্থা অকেজো হয়ে যাবে না। অর্থনীতিতে এর বিরাট আর্থিক পরিণাম ছিল। যে টাকার নোটগুলি বিমুদ্রাকরণ হয়েছিল তা ছিল দেশের অর্থনীতিতে থাকা মোট নগদের ৮৫ শতাংশ। ৮৫ শতাংশ নগদ মহুর্তের মধ্যে অচল হয়ে যাওয়ার প্রভাবে অর্থনীতি স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি উভয়দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বিমুদ্রাকরণের ঘোষণা এবং সমস্ত বাতিল নোট ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ফিরে আসার মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল নয় মাস। এই সময়টা দেশের অর্থনীতি নগদের আকালে ভুগেছে। ক্ষুদ্র উৎপাদনকারী যাঁরা প্রধানত নগদ লেনদেনেই অভ্যস্ত তাঁরাই বিমুদ্রাকরণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছিল।

কৃষকরা তাঁদের রবিশস্য বেচতে সম্যসায় পড়ে; ফলে পরের ফসলের জন্য বীজ ও সার কেনার জন্য তাঁদের কাছে কোনো নগদ অর্থ ছিল না। এর জন্য তাঁদের ঋণ করতে হয়। একইরকমভাবে অ-কৃষি ক্ষেত্রের কারিগর ও ক্ষুদ্র উৎপাদনকারীরাও তাঁদের তৈরি পণ্য বেচতে পারেনি। পণ্য তৈরির উপকরণ কেনার জন্য তাঁরাও ঋণ করতে বাধ্য হন। যদি তাঁরা উৎপাদনের উপকরণ না কিনতে পারে, তাঁদের উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, তাহলে তাঁদের কাছে যে শ্রমিকরা কাজ করতেন তাঁরাও বেকার হয়ে পড়েন এবং এই বেকারত্ব পর্বে বাড়ি ফিরতে ও নিজেদের খোরাকি জোগাড় করতে তাঁরাও ঋণ করতে বাধ্য হন। অতএব, বিমুদ্রাকরণের প্রভাবে ক্ষুদ্র উৎপাদন ক্ষেত্র অর্থাৎ “অপ্রথাগত ক্ষেত্র”-কে ঋণগ্রস্ত করে তোলে। এটা অবশ্যই স্মরণে রাখতে হবে যে, এই অপ্রথাগত ক্ষেত্রে দেশের শ্রমশক্তির ৯৪ শতাংশ নিযুক্ত আছে।

এই ঋণগ্রস্ততা এই ক্ষেত্রের ওপর স্থায়ী ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে। যেখানে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল সেখানে এই অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে ওই ঋণ স্থায়ী ঋণে পরিণত হয়েছে। যেখানে উৎপাদিত দ্রব্য সঞ্চিত হয়ে পড়েছিল এবং বিক্রি হয় নি কিন্তু উৎপাদন চলেছিল ধারাবাহিকভাবে সেখানে উৎপাদনের জন্য নতুনকরে কাঁচামাল কিনতে ঋণের আসল বৃদ্ধি পায়; কেন না ঋণের সুদটা শোধ করতে হতো, কিন্তু এই অভাবের কারণে তা না হওয়ায় ঋণ আরও বেড়ে যায় যারফলে সুদের পরিমানও দ্রুত বেড়ে গিয়েছিল। এটা চলতেই থাকায় ক্ষুদ্র উৎপাদকদের কাঁধে বোঝা প্রলম্বিত হয়।

ক্ষুদ্র উৎপাদন ক্ষেত্র এরফলে ঋণের স্তরের একটা স্থায়ী বৃদ্ধির সম্মুখীন হয়। সেই থেকে এমনকী ভালো সময়েও এই ক্ষেত্রের যে বড়ো অংশ সাধারণ উৎপাদন করেই চালিয়ে নিতে পারত, এই ঋণবৃদ্ধি সেই ইউনিটগুলিকেও অলাভজনক করে তোলে। ফলস্বরূপ উৎপাদন ব্যবস্থায় স্বল্পমেয়াদি ব্যাঘাত বিশেষকরে, ক্ষুদ্র উৎপাদন ক্ষেত্রের বিমুদ্রাকরণ-প্রসূত নগদ ঘাটতিকে মোকাবিলা করার অক্ষমতাই শুধু এর থেকে উদ্ভূত হয়েছে তা নয়, এই ক্ষেত্র দীর্ঘমেয়াদিভাবেও দুর্বল তো হয়েছেই একইসাথে এই ক্ষেত্রে যে শ্রমশক্তি নিযুক্ত আছে তার ওপরও প্রভাব ফেলেছে। এই দুর্বলতা এবং ক্ষয় এখনও চলছে।

যদিও এই ক্ষতি শুধু ক্ষুদ্র উৎপাদন ক্ষেত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। এমনকী সংগঠিত ক্ষেত্রকেও অন্যভাবে বিমুদ্রাকরণ আঘাত করেছিল। ক্ষুদ্র উৎপাদন ক্ষেত্র এবং এতে যাঁরা নিযুক্ত আছেন তাঁদের দ্বারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভোগ্য চাহিদা তৈরি হয়। ক্ষুদ্র উৎপাদন ক্ষেত্র উৎপাদন চালানোর জন্য সংগঠিত ক্ষেত্র থেকে বহুরকমের পণ্য কেনে। যখন ক্ষুদ্র উৎপাদন ক্ষেত্র মন্দায় অথবা বেশিরকমের আয়-ক্ষতিতে ভুগছে তখন তারা স্বাভাবিকভাবেই কম পণ্য কিনেছে। ফলে সংগঠিত ক্ষেত্রের পণ্যের চাহিদা পড়ে যায়, পরবর্তীতে তারাও আক্রান্ত হয়। এর মধ্যদিয়ে সমগ্র অর্থনীতি বিভিন্নভাবে বিমুদ্রাকরণের ফলে বিরূপভাবে আক্রান্ত হয়।

ইতিমধ্যে বিজেপি তাদের মিথ্যার চিরউদ্ভাবনীশক্তির দ্বারা অন্য এক গল্প বানানো শুরু করে। তা ছিল দুর্নীতি ও কালোটাকা নিয়ে। তাদের যুক্তি ছিল - অর্থনীতিতে নগদ ব্যবহারে দুর্নীতি ও কালো টাকা তৈরি হয়। যদি নগদ লেনদেনের বদলে অনগদ পদ্ধতিতে লেনদেন সম্পন্ন হয় তাহলে এধরনের সমস্ত লেনদেনের রেকর্ড থাকবে, যা দুর্নীতি ও কালোটাকা কমিয়ে দেবে। মোদিকে একজন “ভবিষ্যৎদ্রষ্টা” হিসেবে তুলে ধরা হয় এবং বলা হয়, যিনি দেশের অর্থনীতিকে এরকমভাবে আধুনিকীকরণ করছেন যা দুর্নীতি ও কালোটাকাকে দূর করবে। সুস্পষ্ট তথ্যের সামনে এই দাবি দাঁড়াতে পারে নাঃ অর্থনীতিতে নগদ-জিডিপি’র অনুপাতের তথ্য দেখলেই বোঝা যাবে দুর্নীতি ও নগদ ব্যবহারের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। জার্মানি এবং জাপানে নগদ-জিডিপি অনুপাত ভারতের থেকে অনেক বেশি কিন্তু সেখানে ভারতের তুলনায় দুর্নীতি অনেক কম। এবং তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিমুদ্রাকরণের পর সাময়িকভাবে নগদ-জিডিপি অনুপাত তার প্রকৃত স্তর ১২ শতাংশ থেকে কমে গিয়েছিল। সম্প্রতি এটা আবার বেড়ে ১৪ শতাংশ হয়েছে। এমনকী এই ঘটনাও বিজেপি’র নিজস্ব যুক্তির বিচারে দেখিয়ে দিচ্ছে বিমুদ্রাকরণ ব্যর্থ হয়েছে।

বিমুদ্রাকরণের ডিক্রির ফলে মানুষের দুর্দশায় মোদি সরকারের মতো অন্য কেউ কীভাবে এত নিস্পৃহ থাকতে পারে? মানুষকে “আঘাত ও সন্ত্রস্ত” করার মোদি সরকারের আকাঙ্ক্ষার মধ্যেই এই প্রশ্নের জবাব মিলবে। মোদি সরকার বিশ্বাস করে, মানুষ যত বেশি বেশি করে দুর্দশাগ্রস্ত হবে ততই বেশি বেশি করে এটা বুঝবেন যে, সরকার নিরুপায় এবং তারা নিশ্চয়ই আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে নিজেদের উৎস্বর্গীকৃত করে রেখেছেন। সরকারের তরফে অজ্ঞ ও ঔদ্ধত্যের সম্মিলন এবং “আঘাত ও সন্ত্রস্ত” করার আকাঙ্ক্ষা কতটা প্রাণঘাতী হতে পারে ভারতের জনগণ বিরাট ক্ষতি স্বীকারের মধ্যদিয়ে সে শিক্ষা পেয়েছে।


অনুবাদঃ শংকর মুখার্জি