৫৯ বর্ষ ২ সংখ্যা / ২০ আগস্ট, ২০২১ / ৩ ভাদ্র, ১৪২৮
পরিবেশ আলোচনা
জলবায়ু পরিবর্তনের ষষ্ঠ প্রতিবেদনঃ এক বিহঙ্গাবলোকন
তপন মিশ্র
২০২১ সালের জুলাই মাসে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানল।
এখনো গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত পালা করে আসে। কোনটা একটু কম, কোনটা বেশি। সদ্য প্রকাশিত জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত গবেষণার আন্তর্জাতিক সংস্থা আইপিসিসি (ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল ওন ক্লাইমেট চেঞ্জ)’র প্রতিবেদনের ছত্রে ছত্রে বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ন। এর জন্য দায়ী কে? কেবল বিপদের কথা বলে আতঙ্কিত হলে সমস্যার সমাধান হয় না। এর জন্য যে বা যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত না করতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা দায়বদ্ধ থেকে যাব। মুনাফার জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের বেলাগাম ব্যবহার, মূলত বেসরকারি এবং বহুজাতিকদের পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সরকারি প্রয়াস, ছিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রগুলির পুনরুদ্ধারের ন্যূনতম চেষ্টার অভাবের মূল্য দিতে হচ্ছে আমাদের। আপনি, আমি যতই পরিবেশ সচেতন হই না কেন বিশ্বায়িত পুঁজির লোভের উপর সরকারি লাগাম না টানতে পারলে বিপদ আরও ঘনীভূত হবে।
আইপিসিসি তৈরি হওয়ার পর এটি হলো ষষ্ঠ রিপোর্ট। আইপিসিসি ১৯৮৮ সালে জাতিসঙ্ঘের ইউনাইটেড নেশনস এনভাইরনমেন্টাল প্রোগ্রামের তৈরি গবেষকদের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এর সঙ্গে ওয়ার্ল্ড মেটেরিওলজিক্যাল অরগানাইজেশনেরও প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রয়েছে। এই সংস্থার মূলত ৪টি দল যা তারা ৩টি ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং একটি টাস্ক ফোর্স (The Task Force on National Greenhouse Gas Inventories বা TFI)-এর মাধ্যমে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন ও শোষণ তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের কাজ করে থাকে। ওয়ার্কিং গ্রুপ-১ যা ফিজিক্যাল সায়েন্স বেসিস (Physical Science Basis) অর্থাৎ পৃথিবীর ভৌত গঠনে যে পরিবর্তন হচ্ছে বা হওয়ার সম্ভাবনা আছে সে সম্পর্কিত তথ্য এক জায়গায় করে। দ্বিতীয় দল, ওয়ার্কিং গ্রুপ-২-এর কাজ - Impacts, Adaptation and Vulnerabilities Related to Climate Change অর্থাৎ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, অভিযোজ্যতা এবং দুর্বল স্থানগুলিকে চিহ্নিত করা। তৃতীয় দল বা ওয়ার্কিং গ্রুপ-৩ এর কাজ - Mitigation of Climate Change অর্থাং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে বিপদ সামনে আসছে তার মোকাবিলার উপায় নির্ধারণ করা। এই সমস্থ তথ্য সংবলিত তিনটি রিপোর্ট নিয়ে আইপিসিসি একটি সংশ্লেষিত রিপোর্ট তৈরি করে।
এই প্রবন্ধে কেবল প্রথম দলের সরবরাহ করা তথ্যের কিছু আলোচনা করা হবে। এবারের সম্পূর্ণ রিপোর্টটির কাজ এখনও বাকি আছে কারণ তিনটি দলের তথ্য সংশ্লেষণ করে যে সংশ্লেষিত (Synthesis) রিপোর্টটি তৈরি হবে তা ২০২২ সালে প্রকাশ করা হবে বলে আইপিসিসি জানিয়েছে। অনেকেরই মনে থাকতে পারে যে, আইপিসিসি’র পঞ্চম রিপোর্টের সংশ্লেষিত অংশটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৪ সালে। ২০১৩ সালে ওয়ার্কিং গ্রুপ-১-এর ফিজিক্যাল সায়েন্স বেসিসের অংশটি প্রকাশিত হয়। আইপিসিসি’র ২০২১-এর রিপোর্টের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীর সংখ্যা ২৩৪। কিন্তু যাঁদের উন্নতমানের গবেষণা কাজের মধ্যদিয়ে রিপোর্টটি সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁদের সংখ্যা হাজারেরও বেশি। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছেন তাঁরা। এই রিপোর্টে যে যে তথ্য আছে সেগুলি হলো - বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস এবং এরোসলের (বাতাসে ভাসমান কঠিন বা তরল পদার্থের কণা) পরিমাণ, বায়ুমণ্ডলের তাপমানের পরিবর্তন, স্থলভাগ এবং সমুদ্রের পরিবর্তন, জলচক্র এবং বৃষ্টি ও তুষারপাতের পরিবর্তন, চরম আবহাওয়ার ঘটনা, সমুদ্রতলের পরিবর্তন, হিমবাহ এবং বরফের আস্তরণের পরিবর্তন, কার্বন চক্র, জীবজগতের সঙ্গে ভূ-রাসায়নিক চক্রের সম্পর্ক এবং সর্বশেষে জলবায়ুর সংবেদনশীলতা সম্পর্কিত তথ্য।
কেউ কথা রাখেনি
২০১৫ সালে ইউনাইটেড ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন ওন ক্লাইমেট চেঞ্জ-র চুক্তির (COP24-সিওপি২৪) পূর্বে প্রত্যেকটি দেশকে তাদের দেশে গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর জন্য নিজেদের ঘোষণাপত্র (Intended Nationally Determined Contribution - ইনটেনডেড ন্যাশনালিই ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশান) দিতে বলা হয়। সেই মতো ইয়োরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ১৯০ দেশ এই নিজস্ব অঙ্গীকার জমা দেয়। কিন্তু এই অঙ্গীকারগুলি মেনে চলার কোনো লক্ষণ এবারের সংগৃহীত তথ্যে প্রতিফলিত হয়নি। বিভিন্ন দেশের সরকারের অনীহা এবং নিয়ন্ত্রণের অভাব এর কারণ। তারপর আবার ২০১৮ সালে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতাদের আসন্ন বিপদ সম্পর্কে অবহিত করতে একটি বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশ করেন (আইপিসিসি স্পেশাল রিপোর্ট)। এই প্রতিবেদনে বলা হয় যে, যেভাবেই হোক না কেন প্রত্যেকটি দেশের রাষ্ট্রনেতাদের যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত না রাখলে সমূহ বিপদ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয় যে, এইভাবে চলতে থাকলে ২১০০ সাল নাগাদ তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের অনেক বেশি হবে এবং উত্তর মেরুতে এক টুকরো বরফও থাকবে না। আজকে যে শিশু জন্মাবে সে যে পৃথিবী দেখবে তার থেকে সমুদ্রতলের উচ্চতা ১০ সেন্টিমিটার সেসময়ে বৃদ্ধি পাবে। ভারতের কলকাতা সহ সমুদ্রের কাছাকাছি আরও কিছু শহর সমুদ্রের জলের তলায় চলে যাবে।
রিপোর্টের কিছু কথা
পৃথিবীর ভৌত গঠনের পরিবর্তন সম্পর্কিত এই তথ্যে (ওয়ার্কিং গ্রুপ-১) প্রকাশিত হয়েছে গত ৯ আগস্ট একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে। বিশাল এই রিপোর্টে ১২টি অধ্যায় রয়েছে এবং সবটা পড়ে মন্তব্য করা কঠিন। কিন্তু এই রিপোর্টের সঙ্গে বিশ্বের সমস্ত দেশের নীতি নির্ধারকদের জন্য ৪২ পাতার একটি বিশেষ সারসংক্ষেপ অংশ আছে যার নাম ‘সামারি ফর পলিসি মেকারস’ (‘Summary for Policymakers’) বা এসপিএম।
নীতি নির্ধারকদের জন্য যে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে তাতে ভূমিকা বাদ দিয়ে ৪টি অধ্যায় আছে। এগুলি হলো যথাক্রমে জলবায়ুর বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যতে সম্ভাব্য জলবায়ুর পরিবর্তন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কতটা বিপদ আসন্ন এবং অভিযোজনের ব্যবস্থাদি এবং শেষটি হলো ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করার পদ্ধতি কী হতে পারে।
পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১৮৫০ সালের (আনুমানিকভাবে শিল্পবিপ্লবের আগের সময়) তুলনায় ইতিমধ্যে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকের মনে হতে পারে যে এ আবার এমন কি, এতো গা সওয়া হয়ে গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এটা বিগত এক লক্ষ বছরে এত কম সময়ের মধ্যে আগে কখনও ঘটেনি। এই বৃদ্ধির কারণ বলতে গিয়ে ওঁরা বলছেন, মুখ্যত মানুষের কার্যকলাপ এর জন্য দায়ী। প্রাকৃতিক পদ্ধতি যেমন আগ্নেয়গিরির উদ্গিরণ ইত্যাদি কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া স্বভাবিক। কিন্তু ১.১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির একটি অত্যন্ত ক্ষুদ্র অংশের জন্য প্রাকৃতিক কারণ দায়ী। অতএব পৃথিবীর ধ্বংসের জন্য আমরা যে দায়ী তা বলা অত্যুক্তি হবে না। এসপিএম’র পৃষ্ঠা-৯-তে তারা গ্রিন হাউস গ্যাসের বৃদ্ধির তুলনামূলক বিচার করতে গিয়ে বলছেনঃ “Since 1750, increases in CO2 (47%) and CH4 (156%) concentrations far exceed, and increases in N2O (23%) are similar to, the natural multi-millennial changes between glacial and interglacial periods over at least the past 800,000 year”। বিগত তুষার যুগ এবং আন্তঃতুষার যুগের মধ্যেকার সময়ের তুলনায় শেষ আড়াইশো বছরে গ্রিন হাউস গ্যাস বৃদ্ধির পরিমাণ অনেক বেশি।
মানুষের এই অপরিণামদর্শিতার জন্য (প্রতিবেদনের ভাষায় - “Human-induced climate change”, পৃষ্ঠা-১০) পৃথিবীর সর্বত্র প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে জলীয় বাষ্প বেশি তৈরি হচ্ছে এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ১৯৫০-র পর থেকে বেশি ক্ষতিকর ঘূর্ণিঝড়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভবিষ্যতে সম্ভাব্য জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রে কী কী পরিবর্তন হবে তা বলতে গিয়ে প্রতিবেদনে লেখা হয়েছেঃ “Based on multiple lines of evidence, upper ocean stratification (virtually certain), ocean acidification (virtually certain) and ocean deoxygenation (high confidence) will continue to increase in the 21st century...” (পৃষ্ঠা-২৮)। সমুদ্রে অপরিবর্তনীয় ক্ষতির সম্ভাবনা প্রবল। ২১ শতকে সমুদ্রের বিভিন্নস্তরে যে পরিবর্তনগুলি হবে তা হলো - সমুদ্রের উপরের স্তরের জলের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে, গভীর সমুদ্রে জলের অম্লত্ব বৃদ্ধি পাবে এবং সামগ্রিকভাবে সমুদ্রজলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাবে। ফলে সামুদ্রিক জীবেদের যেমন বিপদ হবে তেমনই তাদের কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণের ক্ষমতা কমে যাবে।
জলবায়ু পরিবর্তন কতটা বিপদ নিয়ে আসছে তা বলতে গিয়ে উল্লেখিত হয়েছে যেঃ At 1.5°C global warming, heavy precipitation and associated flooding are projected to intensify and be more frequent in most regions in Africa and Asia (high confidence), North America...” (পৃষ্ঠা-৩২)। মাত্র ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে (বর্তমানে ইতিমধ্যে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটে গেছে) আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে ভয়ঙ্কর বন্যার সম্ভবনা অনেক বেড়ে যাবে। উত্তর আমেরিকা এবং ইয়োরোপে মাঝারিমাত্রায় বন্যার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। কোনো কোনো অঞ্চলে খরার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাবে। ফলস্বরূপ কৃষিক্ষেত্রে বড়ো ক্ষতির সম্ভাবনা প্রবল।
প্রতিবেদনের এই ছত্রে আর একটি বিশেষ সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা আছে। বলা হচ্ছে যে, ২১ শতকে একটি বিশালাকার আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনার কথা বিজ্ঞানীরা বলছেন পুরাতত্ত্ব এবং ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে (Based on paleoclimate and historical evidence, it is likely that at least one large explosive volcanic eruption would occur during the 21st century”, পৃষ্ঠা-৩২)। এরকমটা ঘটলে পৃথিবী পৃষ্টের তাপমাত্রা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং অস্থায়ীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে মানুষের উপর এর কিছু ক্ষতিকর প্রভাবও থাকবে।
ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করার পদ্ধতি কি হতে পারে তা বলতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা প্রথমেই বলছেন যে, ভৌতবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে যা যা এখনই করতে হবে তা হলো “...limiting human-induced global warming to a specific level requires limiting cumulative CO2 emissions, reaching at least net zero CO2 emissions...” (পৃষ্ঠা-৩৬)। কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ক্রমবর্ধমান নির্গমন কমাতে হবে এবং নির্গমন ও শোষণের পরিমাণ এভাবে নির্ধারণ করতে হবে যে আর বায়ুমণ্ডলে এই গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি না পায়। পাশাপাশি মিথেন গ্যাসের নির্গমনেও নিয়ন্ত্রণ আনা জরুরি।
প্রতিবেদনের শেষ ছত্রে বলা হচ্ছেঃ “By the end of the century, scenarios with very low and low GHG emissions would strongly limit the change of several CIDs...” (পৃষ্ঠা-৪১)। climatic impact-drivers অর্থাং ক্লাইমেটিক ইম্প্যাক্ট ডাইভারস বা জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য যে সমস্ত ঘটনা ঘটবে - গ্রিনহাউস গ্যাস কতটা কমালে কি কি ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে তাঁরও বিশ্লেষণ আছে এই প্রতিবেদনে। বিজ্ঞানীরা যে আশার বাণী শুনিয়েছেন তা হলো যে, পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সংশ্লিষ্ট পরিবর্তনগুলি গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন দ্রুত এবং উল্লেখযোগ্য হ্রাসের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ হতে পারে। অতএব একটাই পথ - অনেক মানুষের সহযোগিতায় পরিবেশ আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করতে হবে।
সূত্রঃ “IPCC, 2021: Summary for Policymakers. In: Climate Change 2021: The Physical Science Basis. Contribution of Working Group I to the Sixth Assessment Report of the Intergovernmental Panel on Climate Change [Masson-Delmotte, V., P. Zhai, A. Pirani, S. L. Connors, C. Péan, S. Berger, N. Caud, Y. Chen, L. Goldfarb, M. I. Gomis, M. Huang, K. Leitzell, E. Lonnoy, J. B. R. Matthews, T. K. Maycock, T. Waterfield, O. Yelekçi, R. Yu and B. Zhou (eds.)]. Cambridge University Press. In Press”.