E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৯ বর্ষ ৪০ সংখ্যা / ২০ মে, ২০২২ / ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯

ডিওয়াইএফআই একাদশ সর্বভারতীয় সম্মেলন


ডিওয়াইএফআই’র একাদশ সর্বভারতীয় সম্মেলন থেকে সর্বসম্মতিতে র্নির্বাচিত সভাপতি এ রহিম, সাধারণ সম্পাদক হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য।

গৃহীত আগামী দিনের কর্মসূচি

● সংগঠনের সদস্য বৃদ্ধি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করে সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে।
● মহিলা সদস্যের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। মহিলাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসার বিষয়টি সচেতনভাবে কার্যকর করতে হবে। প্রতিটি কমিটিকে অন্তত ২০ জন মহিলা সদস্য করতে হবে।
● সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। দুর্বল সংগঠন আছে এমন রাজ্যগুলির কমিটির যথাযথ কার্যকারিতা সুনিশ্চিত করতে হবে।
● সংগঠনের জাতীয় মুখপত্র ইয়ুথ স্ট্রিম নিয়মিত প্রকাশ করতে হবে।
● বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটিকে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী এবং কর্মসংস্থান সহ বিভিন্ন ইস্যুতে এমনভাবে হস্তক্ষেপ করতে হবে যাতে জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যমে প্রকা‍‌শিত হয় এবং সোশ্যাল মিডিয়াতেও দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করতে হবে।
● জনজাতি সমূহ, দলিত এবং সংখ্যালঘু অংশের যুবদের ইস্যুগুলিতে, তাদের জীবন-জীবিকার প্রশ্নে, সামাজিক ন্যায়ের প্রশ্নে গুরুত্ব দিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম সংগঠিত করতে হবে।
● পরিবেশ রক্ষা, সামাজিক বিভিন্ন বিষয় এবং স্বেচ্ছা সেবার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। রক্তদান শিবির সংগঠিত করার বিষয়টিতে বিশেষ পরিকল্পনা করতে হবে।
● ধর্মনিরপেক্ষতার সপক্ষে, জাত ব্যবস্থা বিলোপ, বিজ্ঞানমনষ্ক চেতনা বৃদ্ধি, লিঙ্গ সাম্যের মতো বিষয়গুলিতে লড়াই চালাতে হবে।
● সংস্কৃতি এবং খেলাধূলাকে পণ্যায়ন করার ইস্যুটিকে তুলে ধরে তার সমাধানের লক্ষ্যে আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে। খেলাধূলা এবং সংস্কৃতির বিষয়গুলিতে নতুন প্রজন্ম ও যুবদের আকর্ষণের জন্য ক্লাব গড়তে হবে।
● উত্তর ভারত, পশ্চিম ভারত, উত্তর-পূর্ব ভারতে সাংগঠনিকভাবে উপস্থিতি বাড়াতে হবে - যা আজকের অন্যতম প্রধান দাবি।

যুব সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাব

ডিওয়াইএফআই ১১তম সর্বভারতীয় সম্মেলনে মোট ২৮টি প্রস্তাব পাশ হয়। তার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন, বর্ণবাদী সাম্রাজ্যবাদ, পশ্চিম এশিয়া ও আরব দেশগুলির প্রতি সহমর্মিতা, প্যালেস্টাইনের জনগণের প্রতি সহমর্মিতা, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ প্রসঙ্গে, সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে যুবদের সংগঠিত করো, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর আক্রমণকে ধিক্কার, কাশ্মীরে শান্তি এবং স্বশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা রক্ষা, গণতন্ত্র এবং সংবিধানের ওপর আক্রমণ প্রসঙ্গে, ভারতে নয়া উদারবাদের তিন দশকের দরুণ সংকট প্রসঙ্গে, বেকারি এবং মহামারীর বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরে আন্দোলন গড়ে তোলো, জাতীয় শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের বিরোধিতা করো, রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যেগ রক্ষা করো, নীতি পুলিশের কার্যকলাপের বিরোধিতা, জাত ব্যবস্থা নি‍‌শ্চিহ্ন করো, পণপ্রথা বিলোপ করো, সম্মান রক্ষার জন্য খুনের বিরুদ্ধে বিশেষ আইন প্রণয়ন করো, লিঙ্গ বৈষম্য এবং মহিলাদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলো, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই প্রসঙ্গে, সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবন ও বেসরকারিকরণ বন্ধ করো, স্বাস্থ্য বিমা বেসরকারিকরণ বন্ধ করো, ক্রীড়াক্ষেত্রের পরিকাঠামোয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করো, জনজাতি যুবাদের উপর এবং জীবন জীবিকার উপর আঘাত প্রসঙ্গে, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রতি সহমর্মিতা প্রসঙ্গে প্রস্তাব গৃহীত হয়।