৫৯ বর্ষ ৪০ সংখ্যা / ২০ মে, ২০২২ / ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯
তমলুকে গ্রামীণ শ্রমজীবীদের কর্মশালা
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষদের ফেডারেশন গড়ে তোলার লক্ষ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে ১৪ মে কে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে কুশবেড়িয়া সুকুমার সেনগুপ্ত ভবনের সভাকক্ষে জেলার শ্রমিক, কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের ডাকে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য সূর্য মিশ্র বলেন, সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা গরিব সাধারণ ও প্রান্তিক মানুষ যাতে পেতে পারেন, তার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে বামপন্থীদেরই। সাধারণ মানুষ এখনো বামপন্থীদেরই ভরসা করেন।
তিনি বলেন, প্রায় ৬২ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করেন। গ্রামের প্রান্তিক মানুষদের ভরসা পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েত এখন শাসকদলের লুটে খাবার জায়গায় পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন, তাঁদের তালিকা করে পঞ্চায়েতের পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে শ্রমিক, কৃষক এবং খেতমজুর সংগঠনের কর্মীদের একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গ্রামের মানুষ একদিকে যেমন শ্রমজীবী, তেমনই কৃষিজীবি। আবার আরেকটি অংশ খেতমজুরের কাজ করেন। প্রত্যেকেই ২০১১ সালের পর থেকে সমস্যায় রয়েছেন। মজুরি পাচ্ছেন না। ফসলের দাম নেই, খেতমজুরদের কাজ নেই। সরকার সাধারণ মানুষের এই সমস্যাগুলি থেকে নজর ঘুরিয়ে দেবার কাজ করে চলেছে। কিন্তু বামপন্থীদের দায়িত্ব সরকারের সমস্ত প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওগার লক্ষ্যে লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
তিনি আহ্বান জানান, সারাবছর প্রান্তিক মানুষের অভাব অভিযোগ নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। সেই লড়াইকে বুথস্তর থেকে শক্তিশালী করতে হবে। তৃণমূল-বিজেপি’র বিরুদ্ধে এই লড়াই-ই একমাত্র হাতিয়ার। তিনি বলেন, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই প্রতিটি পরিবারকে জানতে হবে, তাকদের অসুবিধার কথা উপলব্ধি করতে হবে। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা একমাত্র বামপন্থীরাই সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারে, তা মানুষ জানেন। কিছু বিভ্রান্তি হয় তো হয়েছিল। সেই বিভ্রান্তিগুলোকে দূর করার লক্ষ্য নিয়ে বুথস্তর থেকেই কাজ করতে হবে।
কর্মশালায় এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পার্টির জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি। সভাপতিত্ব করেন সিআইটিইউ জেলা সম্পাদক সুব্রত পন্ডা। উপস্থিত ছিলেন খেতমজুর ইউনিয়নের নেতা হিমাংশু দাস, কৃষকসভার নেতা সত্যরঞ্জন দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।