৫৯ বর্ষ ৪০ সংখ্যা / ২০ মে, ২০২২ / ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯
রাজ্যে গোটা শিক্ষাব্যবস্থায় ঘুণ ধরাচ্ছে বেআইনি নিয়োগ
অর্ণব ভট্টাচার্য
ফেরার শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর খোঁজে এসএফআই কর্মীরা।
রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার অন্তর্জলিযাত্রার যাবতীয় ব্যবস্থা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বর্তমান রাজ্য সরকার। বামফ্রন্ট সরকার থাকাকালীন ১৯৯৮ সাল থেকে প্রায় প্রতিবছর এসএসসি-র মাধ্যমে স্বচ্ছতার সাথে শিক্ষক নিয়োগের যে ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাকে ধ্বংস করেছে বর্তমান রাজ্য সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে লক্ষাধিক শূন্যপদ, অথচ নিয়োগের বালাই নেই। গত ১১ বছরে মাত্র একবার এসএসসি-র মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে। আর যেটুকু নিয়োগ হয়েছে তৃণমূলের আমলে তা নিয়েও বারেবারে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই চাকরি প্রার্থীরা সরকারের কাছ থেকে কোনোরকম ন্যায় বিচার না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হচ্ছেন। ২০১৪ সালের উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হওয়ার জন্য মেধা তালিকা বাতিল করে দিতে বাধ্য হয় হাইকোর্ট। এই দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টে ৪৩টা শুনানি হয়েছিল। এই দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর ২০২০ সালে এই মেধা তালিকা বাতিল করে নতুন মেধা তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয় আদালত। আদালত এও রায় দেয় যে, ২০২১ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সেই রায়দানের পর প্রায় এক বছর সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও হাইকোর্টের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে কোনোরকম মেধাতালিকা প্রকাশ করে নিয়োগের ব্যবস্থা করেনি বর্তমান রাজ্য সরকার।
নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির মেধা তালিকা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশিত মেধাতালিকার থেকে অপেক্ষমান প্রার্থীর তালিকা কয়েক গুণ। এই ধরনের বেনিয়মের পাশাপাশি নবম-দশমের মেধাতালিকায় কোন প্রার্থী কত নম্বর পেয়েছে বা তালিকায় কার কোথায় অবস্থান সেটাও প্রকাশ করেনি এসএসসি কর্তৃপক্ষ। তাই ১৭ জুন পর্যন্ত নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
২০২০ সালের ১১ নভেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ সবাইকে চাকরি দেওয়া হবে। গত বছরের জানুয়ারি মাসে ১৬ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরপর তথ্যের অধিকার আইন অনুযায়ী জানা যায় যে, ১০ হাজার জনের নিয়োগ হয়েছে। বাকি সাড়ে ৬ হাজার জনের নিয়োগ এখনো হয়নি। টেট উত্তীর্ণ অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত এই হবু শিক্ষক- শিক্ষিকারা এ নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন নিবেদন করলে তাদের ওপর পুলিশি আক্রমণ নেমে আসে। তারা কালীঘাটের আদিগঙ্গার পচা জলে নেমে পর্যন্ত তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন, কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। চাকরির দাবিতে রাজধানী কলকাতায় শতশত প্যানেলভুক্ত চাকরিপ্রার্থী বিক্ষোভ, অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। মাঝেমধ্যেই পুলিশি হয়রানি ও নির্যাতন চলছে। তবু তারা অনমনীয় দৃঢ়তার সাথে লড়াই করছেন।
এক দায়িত্বজ্ঞানহীন, মিথ্যাবাদী সরকারের প্রতারণার শিকার হয়ে রাজ্যের অসংখ্য শিক্ষিত যুবক-যুবতীর স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। আর অন্যদিকে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনের জন্য যাবতীয় নিয়ম কানুনকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে নিয়োগ চলছে এই রাজ্যে। এরই জ্বলন্ত উদাহরণ শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকার পদে বেআইনি নিয়োগ।
২০১৮ সালের অগাস্ট মাসের শেষে শাসকদলে যোগ দিয়েছিলেন কোচবিহারের ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা তথা বাম আমলের খাদ্য মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। তার পুরস্কার স্বরূপ কয়েকদিনের মধ্যেই কোচবিহারে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের ওয়েটিং লিস্টে নাম উঠেছিল পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। কোচবিহারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য এসএসসি-র যে তালিকা প্রকাশ হয়েছিল সেখানে তফশিলি জাতিভুক্তদের জন্য মেধা তালিকার ওয়েটিং লিস্টে প্রথম স্থানে নাম ছিল ববিতা বর্মনের - যার রোল নম্বর হলো -২২২২১৬২৭০০০৭২০। ববিতা বর্মনের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল লোপামুদ্রা মণ্ডল ও ছায়া রায়ের নাম। অথচ পরবর্তীতে এসএসসি-র ওয়েবসাইটে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসনের ওয়েটিং লিস্টে দেখা যায় ববিতার নাম চলে গিয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম স্থানে রয়েছে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এক দিন আগে পর্যন্ত তালিকায় নামই ছিল না অঙ্কিতার। নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে মেখলিগঞ্জে বাড়ির খুব কাছের স্কুলে চাকরি দেওয়া হয় পরেশ অধিকারীর মেয়েকে। এই চূড়ান্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ওঠা মামলার শুনানিতে এসএসসি-র চেয়ারম্যান জানান, ‘মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৬৬। পার্সোনালিটি টেস্ট ছাড়াই তাঁর নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে’। অথচ ৭৭নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও ববিতা বর্মনের চাকরি হয়নি। গোটা ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট শুধু সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ক্ষান্ত হয়নি, মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে সিবিআই দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যদিও মন্ত্রী সেই নির্দেশ পালন করেননি। এর পাশাপাশি এই রাজ্যের সরকারের কাছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সুপারিশ করেছেন যে, মামলার স্বার্থে যেন মন্ত্রীকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পশ্চিমবাংলার বুকে এ এক নজিরবিহীন ঘটনা। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের নির্লজ্জ নেতৃত্ব এতে বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করছে।
কেবল শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রেই নয়, শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও স্কুল সার্ভিস কমিশন ও সরকারের দুর্নীতি পাহাড়প্রমাণ। গত বছর ২২ নভেম্বর প্যানেল বহির্ভূত শিক্ষা কর্মী নিয়োগের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। এর পরেই সেই নির্দেশকে ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে স্থগিতাদেশ পায় রাজ্যের সরকার। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ দিলেও গ্রুপ-ডি পদে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের বিষয়টি তদন্ত করবার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করে। এই কমিটি ১১ এপ্রিল তদন্তের রিপোর্ট জমা দিয়ে জানায় যে, গ্রুপ-ডি পদে ৬০৯ জনের সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে। হাইকোর্টের অনুরোধে বিচারপতি বাগের নেতৃত্বে গ্রুপ-সি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করা হয় যা কিনা গত ১৩ মে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করেছে। রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে, ৩৮১ জনের নিয়োগ বেআইনিভাবে হয়েছে। এই ৩৮১ জনের মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষাতেই বসেনি, আর বাকিদের নাম প্যানেলের পেছন থেকে সামনের দিকে এগিয়ে আনা হয়েছিল। ৮০ পাতার এই রিপোর্টে নিয়োগকারী সংস্থা এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্তাকে এই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত থাকার জন্য দায়ী করা হয়েছে। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে। তাঁরা হলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রোগ্রামিং অফিসার সমরজিৎ আচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সচিব অশোককুমার সাহা, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কমিশনের আঞ্চলিক চেয়ারম্যান শর্মিলা মিত্র, শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শেখ সিরাজউদ্দিন, মহুয়া বিশ্বাস, চৈতালি ভট্টাচার্য এবং বোর্ডের টেকনিক্যাল অফিসার রাজেশ লায়েক। এঁদের মধ্যে এফআইআর করা যেতে পারে সৌমিত্র সরকার, অশোক কুমার সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সমরজিৎ আচার্যের বিরুদ্ধে। বিচার বিভাগীয় তদন্ত হতে পারে সুবীরেশ ভট্টাচার্য, চৈতালি ভট্টাচার্য, শর্মিলা মিত্র, মহুয়া বিশ্বাস, শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে, জানিয়েছে বাগ রিপোর্ট। ভুয়ো নিয়োগপত্র তৈরি করা ছাড়াও নিয়োগপত্রে এসএসসি চেয়ারম্যানের আসল সই-এর বদলে স্ক্যান করা সই ব্যবহার করা হয়েছে। আরও আশ্চর্যের বিষয় এই যে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সময়কালে চেয়ারম্যানের আসল সই এর বদলে স্ক্যান করা সই ব্যবহার করার অবৈধ সিদ্ধান্ত হয়। বোঝাই যাচ্ছে কী সুচতুরভাবে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই সমস্ত বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছিল। কীসের বিনিময়ে, কী আর্থিক লেনদেনের ভিত্তিতে এই নিয়োগ তা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশ করা ও দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। অতীতে হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌতালার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে দশ বছর কারাবাসের সাজা ভোগ করার উদাহরণ আছে। যে রাজ্যে শৌচালয় নির্মাণেও অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়, সেখানে এত সংখ্যক বেআইনি নিয়োগ বিনা অনুপ্রেরণায় হয়েছে এটা ভাবা কষ্টকর। জানিনা তদন্তকারী সংস্থা দুর্নীতির উৎসমুখে পৌঁছানোর সততা দেখাবে কিনা।
অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নির্দেশ ছাড়া এমন লাগামহীন দুর্নীতি হওয়া অসম্ভব।
হাইকোর্টের বক্তব্যেও এমন সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে। যে সরকারের আমলে চাল, কয়লা, বালি, সোনা, আমফানের ত্রিপল-কোনো কিছুই শাসকের লুঠের আওতার বাইরে নেই, সেখানে শিক্ষক/শিক্ষাকর্মী নিয়োগে বিপুল দুর্নীতিতে যে শাসক দল ওতপ্রোতভাবে যুক্ত এনিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই । সরকারের কেষ্টবিষ্টুরা যেহেতু এই দুর্নীতিতে জড়িত তাই দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা না নেওয়া যায় তার জন্য রাজ্য সরকার কেবল আইনি লড়াই করছে তা নয়, শাসকদলের অনুগামী আইনজীবীরা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে গিয়ে প্রবল হট্টগোল করে এজলাস বয়কটের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। কার্যত যে পদ্ধতিতে বিভিন্ন নির্বাচনে বুথ দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস, সেই পদ্ধতিতেই বিচারালয় দখলেরও চেষ্টা করছে তারা। শাসকদলের এই বেপরোয়া মনোভাব প্রমাণ করে কীভাবে দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবে রয়েছে এই দলের নেতা থেকে চুনোপুঁটি সকলেই। এই ভয়ঙ্কর নীতিহীন কাণ্ডকারখানার সাথে কেবল মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া ব্যাপম দুর্নীতির তুলনা করা যায় (দুর্নীতির ব্যাপারেও তৃণমূল এবং বিজেপি’র কি আশ্চর্য মিল!)।
সর্বশেষ ঘটনাক্রম অনুযায়ী দেখা যায়, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি ১৮ মে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে বাধ্য হন। তাঁকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। পুনরায় তিনি জেরার মুখে পড়তে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
অপরদিকে এই নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মমতা ব্যানার্জি সরকারের অপর মন্ত্রী পরেশ অধিকারী সিবিআই’র হাত থেকে বাঁচতে স-কন্যা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
শেকসপিয়রের হ্যামলেট নাটকে এলসিনর দুর্গের রক্ষী তৎকালীন ডেনমার্কের অবস্থা দেখে আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘সামথিং ইজ রটন ইন দ্য স্টেট অব ডেনমার্ক।’ পশ্চিমবঙ্গের যা পরিস্থিতি তা দেখে অনুরূপভাবে বলা যায়, সামথিং ইজ রটন ইন দ্য স্টেট অব ওয়েস্ট বেঙ্গল। এই পচন রুখতে হলে কেবল বিচারালয় নয়, মানুষকেও শল্যচিকিৎসকের ভূমিকা পালন করতে হবে।