E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৯ বর্ষ ৪০ সংখ্যা / ২০ মে, ২০২২ / ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯

‘ধর্‌ ধর্‌ ওই চোর, ওই চোর।’

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়


কোটালের ‘ধর্‌ ধর্‌ ওই চোর, ওই চোর।’-এর উত্তরে বজ্রসেন জানিয়েছিল ‘নই আমি নই চোর, নই চোর, নই চোর -/ অন্যায় অপবাদে আমারে ফেলো না ফাঁদে।’ যদিও কোটালের তাতে মন ভেজেনি। সে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেই জানিয়েছিল, ‘ওই বটে, ওই চোর, ওই চোর, ওই চোর।’ শ্যামা নৃত্যনাট্যে। এ সবই অবশ্য কবিগুরুর কল্পনা। অন্য গল্প। বহুদিন আগের লেখা। হঠাৎ মনে পড়লো। এখন যদিও দিনকাল বেমালুম পালটেছে। কোটাল সেনাপতির যুগ আর নেই। তবে চুরি ব্যাপারটা সমাজে রয়েই গেছে। আগে প্রবাদ ছিল, চুরি বিদ্যা বড়ো বিদ্যা, যদি না পড়ো ধরা। চোরেদের দল আজ অবশ্য আর অত লজ্জা শরমের ধার ধারে না। কিছুটা দু'কান কাটা গোছের। তাই চোরেরা এখন দল বেঁধে বুকে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে মুক্তকন্ঠে জানায় ‘আমরা সবাই চোর’।

ভুল বুঝবেন না। কাউকে চোর বলছি না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘শ্রী’ দেবার পরেও হতশ্রী বাংলায় কাউকে ‘চোরশ্রী’ উপাধিও দিচ্ছি না। কোনও মন্ত্রী সান্ত্রি, জেলা সম্পাদক, বিধায়ক, সাংসদ, গোরু পাচারকারী, কয়লা পাচারকারী, বালি পাচারকারী, খাল চোর, ক্যামেরার সামনে ঘুষ খোর, ঘুষ নিয়ে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বলা সাংসদের নাম বলছি না। সরকারি প্রকল্প থেকে কাটমানি খাওয়া, পাড়ায় পাড়ায় তোলাবাজি করা, চাকরি দেবার নামে লাখ লাখ টাকা নেওয়া, চিটফান্ড কাণ্ডে মানুষের কষ্টের টাকা বেমালুম হজম করে দেওয়া কারুর নামই বলছি না। এমনকী দুর্নীতির দায়ে জেলখাটা, অতীতে পুলিশ ভ্যান চাপড়ে চাপড়ে সারদা কাণ্ডের মুখ্য সুবিধাভোগীদের নাম করে চিল্লানো বর্তমান কোনো দলীয় মুখপাত্রের কথাও বলছি না। দিবারাত্রই তো ঘোষ, বোস, দাস, রায়, অধিকারী, মিত্র, চ্যাটার্জি, মুখার্জি, ব্যানার্জিদের গলার শিরা ফুলিয়ে চিৎকার শুনে শুনে কান পচে গেছে। আর কে না জানে, চোরের মায়ের চিরকালই গলা বড়ো হয়। চুরি ঢাকতে গেলে এটুকু তো চিল্লাতেই হবে।

বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, আর পুলিশ ছুঁলে নাকি ছত্রিশ। আদালত ছুঁলে কত ঘা কেউ বলে যায়নি। হয়তো বাহাত্তর ঘা হবে। গত দু’তিন দিনে একাধিক ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্ট যেভাবে রাজ্যের শাসকদলের নেতা মন্ত্রী বিধায়ক মহলে ত্রাহি ত্রাহি রব তুলে দিয়েছে তা বেশ মজার। ঘুম ছুটে গেছে অনেকের। প্রতিটি ঘটনার পেছনেই কারণ থাকে এটা সত্যি। এর পেছনেও ঠিক কী কারণ আছে তা হয়তো এখনও স্পষ্ট নয়। কিছু তো আছে বটেই। কখনও হয়তো জানা যাবে। তবে একথা ঠিক, রাজ্যের মানুষ আগে বেঞ্চ বলতে স্কুলের বেঞ্চ, চায়ের দোকানে ঠেক মারার বেঞ্চই বুঝতেন। যারা আগে না জানলেও এই কদিনে ভালোরকম জেনে গেছেন হাইকোর্টে কত রকমের বেঞ্চ আছে। সেইসব সিঙ্গল, ডিভিশন ইত্যাদি বেঞ্চ রাঘববোয়াল প্রভাবশালীদের কতটা তুর্কি নাচন নাচাতে পারে সেটাও। যার জেরে আপাতত রাজ্য জুড়ে ত্রাহি ত্রাহি রব। বাইপাসের ধার থেকে এসএসকেএম-এর উডবার্ন - সারাদিন ধরে তৎপরতা তুঙ্গে। কার কখন বুকে ব্যথা ওঠে বা অন্য কোথাও কে জানে!

১৯ মে, বৃহস্পতিবার মাঝরাতে এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে প্রায় মাঝরাতে শুনানি হয়েছে। আর যে শুনানির পর আদালত নির্দেশ দেয় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে এসএসসি ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব। রাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভবন ঘেরাওয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিনই দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে। দপ্তরের যাবতীয় নথির সুরক্ষার স্বার্থে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত এসএসসি দুর্নীতির ৭টি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।

বুধবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দ মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চ কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়নি। নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকলে ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতেই পারে। এক্ষেত্রে সিঙ্গল বেঞ্চ কোনো সীমা অতিক্রম করছে বলে ডিভিশন বেঞ্চ মনে করছে না। এসএসসি দুর্নীতির ৭টি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। একক বেঞ্চের এই সব রায়গুলির উপর স্থগিতাদেশ জারি করে ডিভিশন বেঞ্চ। পরে এই দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি জানায় গ্রুপ সি-তে ৩৮১ জনকে ভুয়ো নিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষাতেই বসেননি। বাকিরা পাশ করেননি। গ্রুপ ডি-তে ৬২৪ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এসএসসি দুর্নীতির ৭টি মামলায় সিবিআই তদন্তের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।

এসএসসি নিয়োগ ঘিরে দুর্নীতি মামলায় নাটকীয় পট পরিবর্তন হয় বুধবার বিকেলে। যেদিন আচমকা ইস্তফা দেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। যিনি এর ঠিক আগের দিনই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে। যে সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে তড়িঘড়ি সেদিনই রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই-এর সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ বামদল ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে শাসকদলে যোগ দেবার পরেই রাতারাতি তালিকাতে না থাকা সত্ত্বেও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি হয়ে যায়। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। সিদ্ধার্থ মজুমদারের ইস্তফার পরে রাতেই ওই পদে নিয়োগ করা হয় আইএএস শুভ্র চক্রবর্তীকে। এরপরই এক মামলাকারী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে জরুরিভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানান। তাঁর আশঙ্কা রাতেই এসএসসি ভবনের যাবতীয় নথি নষ্ট করা হতে পারে। এই মামলাকারীর হয়ে আবেদন করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও তাঁর সঙ্গীরা। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে মধ্যরাতেই এই মামলার শুনানি শুরু হয় কলকাতা হাইকোর্টে। যে শুনানির পর এই রায় দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর মাঝরাতে বিচারপতির চেম্বার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসে ফোন করা হয়। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ তুলে দিতে হবে আদালতের হাতে। এসএসসি-র সচিবকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত কোনো সরকারি আধিকারিক বা কর্মী এসএসসি দফতরে ঢুকতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার সকালে এসএসসি ভবনের সেক্রেটারি দফতরে এলে তাঁকেও দফতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে পরেশ অধিকারীর বিষয়টা একটু সেরে রাখা যাক। ২০১৮ সালের শেষদিকে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন পরেশ অধিকারী। যিনি বাম আমলে রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন দীর্ঘদিন। এর কয়েকদিন পর কার্যত চুপি চুপি মেখলিগঞ্জের একটি স্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। কোচবিহারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য এসএসসি তালিকা প্রকাশ হয়েছিল ২০১৮তে। যেখানে তফশিলি জাতিভুক্তদের জন্য মেধাতালিকার প্রথম স্থানে নাম ছিল ববিতা বর্মণের, যার রোল নম্বর হল ২২২২১৬২৭০০০৭২০। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে লোপামুদ্রা মণ্ডল ও ছায়া রায়ের নাম ছিল। অথচ পরবর্তী সময়ে দেখা যায় পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম ওয়েটিং লিস্টের প্রথম স্থানে। যার রোল নম্বর ২২২২১৬২৭০০০২২০। এমনকী ৩১শে আগস্ট, ২০১৮ কাউন্সেলিং-এও তিনি গরহাজির ছিলেন। অথচ বাবা তৃণমূলে যোগ দেবার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হঠাৎ করে মেধাতালিকায় নাম উঠে যায় অঙ্কিতার। নিয়োগ হয় মেখলিগঞ্জে বাড়ির পাশের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা পদে। হঠাৎ করে তাঁকে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিতে দেখে সেইসময় সরগরম হয়ে ওঠে রাজনৈতিক মহল।

এরপর ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মনোনয়নে বিধানসভায় নির্বাচিত হন পরেশ অধিকারী এবং রাজ্যের মন্ত্রীও হন। সম্প্রতি, তাঁর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্ত্রীকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তাঁকে মন্ত্রীত্ব থেকে সরানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকে অনুরোধ করে আদালত। আদালতের রায়ের পর কোচবিহার জেলা তৃণমূলে ডামাডোল তৈরি হয়। একাধিক নেতা ক্ষোভ উগরে দেন বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ওপর। এরপরের ঘটনা আরও মজার। নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার ১৭ তারিখ রাতেই পদাতিক এক্সপ্রেসে রওনা দেন সকন্যা মন্ত্রী। সেই ট্রেন ১৮ তারিখ সকালে শিয়ালদহে পৌঁছালে তা থেকে মন্ত্রী বা তাঁর মেয়ে কাউকে নামতে দেখা যায়নি। পরে জানা যায় তাঁরা নাকি সকলের চোখ এড়িয়ে বর্ধমানেই নেমে গেছেন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তাঁর বা তাঁর মেয়ের কোনও খোঁজ মেলেনি।

এ তো গেল রাজ্যের বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কথা। এই ঘটনার পাশাপাশি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়েও আদালতের একরোখা নির্দেশে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। সেখানেও যদিও বিষয় একই, এসএসসি-তে নিয়োগ দুর্নীতি। অভিযোগ, এসএসসি-র নবম দশম শ্রেণিতে শিক্ষক, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। দাবি মামলাকারীদের। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর নিয়োগ প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাবার পর শিক্ষা দফতরের নির্দেশে এক পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। যে কমিটিতে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তিগত সচিব এবং তাঁর অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ছিলেন। এখন প্রশ্ন, কার নির্দেশে ওই কমিটি গঠিত হয়েছিল? শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি বিষয়টা জানতেন না? যে কমিটি একাধিক ভুয়ো নিয়োগপত্র তৈরি করে বলে অভিযোগ। এই ভুয়ো নিয়োগপত্র সম্পর্কেও কি কিছুই জানতেন না শিক্ষামন্ত্রী?

এই ঘটনায় এর আগে সিবিআই-এর কাছে হাজিরা এড়িয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত তা এড়াতে পারেননি রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও শাসকদলের নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার ১৮ মে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। সেই রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানান পার্থ। যদিও এই মামলায় কোনো কিছু নির্দেশ দিতেই অস্বীকার করে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। কারণ নিয়ম অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়নি। এরপর সিবিআই-এর সামনে হাজিরা না দিয়ে আর কোনো উপায় ছিল না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এর আগে গত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি হাইকোর্ট রায় দেয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে। পরে সেই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ আসে চার সপ্তাহের জন্য। যদিও বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কেই মান্যতা দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তিনি আশা করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করবেন। এই বিষয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছেও আর্জি জানিয়েছেন। গতকাল প্রথমেই হাইকোর্ট রায় দেয় বিকেল ৪টের মধ্যে এসএসসি-র পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের এবং সন্ধে ৬টার মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার।

কয়েক সপ্তাহ আগে একটা লেখায় মুষল পর্বের কথা লিখেছিলাম। যেখানে বলা ছিল যুধিষ্ঠিরের সিংহাসন লাভের পর গান্ধারী নাকি বলেছিলেন, ছত্রিশ বছর পর ধ্বংস হয়ে যাবে যদুবংশ। যে পতন স্বয়ং অর্জুনকে উড়িয়ে এনেও রোধ করা যায়নি। এও যেন সেই পর্বেরই ইঙ্গিত। আপাতত ওষ্ঠবর্ণর প্রথম অক্ষর দিয়ে চলছে। মাত্র তিন অক্ষর পরেই আসবে সেই মহাঅক্ষর। তৃণমূলের বর্তমান মুখপাত্র জেলে থাকাকালীন বারবার যার নাম করে, যাকে সারদা চিটফান্ডের সবথেকে বড়ো সুবিধাভোগী বলে চিৎকার করতেন আর পুলিশ ভ্যান চাপড়াতো। শেষের দিন কি এবার সত্যিই ভয়ংকর হয়ে উঠতে চলেছে?