E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ১৪শ সংখ্যা / ২০ নভেম্বর ২০২০ / ৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৭

হাথরসের বীভৎসাকে ফিরে দেখা

দেবেশ দাস


মেয়েটাকে চারজনে মিলে ঘিরে ধরেছিল, টেনে নিয়ে গেছিল ভুট্টা ক্ষেতের বড়ো বড়ো গাছগুলো দিয়ে ঢাকা নিজেদের খামারবাড়িতে। মা আর ভাইয়ের সাথে বাড়ির গোরুদের জন্য ঘাস কাটতে এসেছিল মেয়েটি। মাঝেমাঝেই আসে। সেদিন ভাই ফিরে গিয়েছিল আগে। মা ও মেয়ে পরে ফিরছিল। মা আগে আগে। পিছন থেকে চারজনে মেয়েটাকে তুলে নিয়ে চম্পট। না, মেয়েটা চেল্লাতে পারেনি, সে সুযোগ ছিল না।

খামারবাড়িতে চারজন মিলে ধর্ষণ। দোপাট্টা দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়ায় জিভ বেরিয়ে এল ঠেলে। ভোগ করে অচেতন দেহটিকে ফেলে দিল জঙ্গলে। হয়তো ভেবেছিল, মরে গেছে। মা যখন টের পেল যে মেয়ে ফেরেনি, ছুটে এলো জঙ্গলে। প্রথমে পেল মেয়ের হাওয়াই চটি জোড়া। পাগলের মতো খুঁজে বহুক্ষণ বাদে নগ্ন, রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত মেয়েকে খুঁজে পেল এক ঝোঁপে। নিজের শাড়ি দিয়ে ঢেকে দিল মেয়ের দেহটা। সম্পূর্ণ অচেতন, কথা বলার প্রশ্নই ওঠে না।

লোকমুখে খবর পেয়ে ভাই এসেছিল। সেখান থেকে প্রথমে থানা। ভাইটা জানতো যে, দলিত বা আদিবাসীদের উপর যদি উচ্চবর্ণ কারো দ্বারা কোনো নির্যাতন হয় তার জন্য দেশে বিশেষ আইন আছে দি সিডিউলড কাস্টস অ্যান্ড দি সিডিউলড ট্রাইবস (প্রিভেনশন অফ আট্রোসিটিস অ্যাক্ট POA act)। তার বোনের উপর এই নির্যাতন যে তাদের গলির উচ্চবর্ণের ঠাকুর পরিবারের কেউ ঘটিয়েছে, তাতে তার সন্দেহ ছিল না। গত ৬ মাস ধরে বোনকে জ্বালাচ্ছে, এক মাতাল ঠাকুর তাকে একদিন টেনেছিল, বোন পালিয়েছিল সেদিন। দলিত পরিবারের মেয়েদের হাত ধরে টানা, কুনজরে দেখা ঠাকুরদের জন্মগত অধিকার। ২০ বছর আগে মেয়েটির ঠাকুরদার আঙুল কেটে নিয়েছিল ঠাকুরদের পরিবারের একজন। গত ৯-এর দশকে মায়াবতী সরকার থেকে ৫ বিঘা জমি পেয়েছিল পরিবারটি, তার দেড় বিঘা এখনো দখল করে আছে এক ব্রাহ্মণ পরিবার।

পুলিশকে ভাই POA act-এর কথা বললে, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি, অচেতন মেয়েটিকে দেখে বলেছে ‘তোমার বোন নাটক করছে’। চাপাচাপিতে অভিযোগ দায়ের। POA act-এর নিয়মে বলা আছে যে, ঘটনা জানার পর কমপক্ষে ডেপুটি সুপারিটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ (ডিএসপি) পদমর্যাদার কেউ ঘটনাস্থলে অবিলম্বে যাবে। না, কোনো ডিএসপি দূরের কথা, অবিলম্বে ঘটনাস্থলে কোনো পুলিশই তদন্ত করতে যায়নি।

প্রথমে বলগা হাসপাতাল। প্রাথমিক চিকিৎসা হয়, ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। নিয়ম হচ্ছে, এই সময়েই হাসপাতালে এমএলসি (Medico Legal Case) করা হয়, যেখানে কোনো আঘাতের সাথে পুলিস কেস যুক্ত হয়। ভাই তো এফআইআর করেইছিল, কিন্তু হাসপাতাল এমএলসি করে না, পুলিশও বলে না। দু’ঘণ্টা বাদে সেখান থেকে আলিগড় হাসপাতাল, এমএলসি করার সময় পায়নি বলগা হাসপাতাল - তা বলা যাবে না।

আলিগড় হাসপাতালে ডাক্তার বলেছে - দু’টি পা, দু’টি হাতে কোনো সাড় নেই, মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে, ঘাড়-পিঠ নাড়তে পারছে না। তিনদিন বাদে ১৭ সেপ্টেম্বর জ্ঞান ফিরলে মেয়েটি মাকে প্রথমে বলে পুরো ঘটনা ও চারজনের নাম। মা ঘটনা চেপে থাকতে পারেনি, ডাক্তার, নার্সকে, হাসপাতালের অন্য রোগীদের আত্মীয়স্বজনকে বলে ফেলে, খবরটা জানাজানি হয়ে যায়। পুলিশ জবানবন্দি নিতে আসে আরও তিনদিন বাদে ২০ সেপ্টেম্বর। ভাই যে আইনে অভিযোগ করেছিল এফআইআর’র ৬দিন বাদে সেদিন পুলিশ এফআইআর’র অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পুলিশ আবার ২২ তারিখ আসে মেয়েটির জবানবন্দি নিতে।

জেলাশাসক বারে বারে মেয়ের বাবাকে ডেকে পাঠিয়ে নানারকম চাপ দেয়। প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের বাড়িতে পাঠিয়ে টাকা নিয়ে মিটমাটের চেষ্টা–‘আমরাই থাকবো, মিডিয়া চিরকাল থাকবে না’ - ঘটনার প্রচার অন্যদিকে ঘোরাতে যোগী সরকারের পিআর এজেন্সি নিয়োগ। কোনো উচ্চবর্ণের প্রতিবেশী মেয়েটির বাড়িতে পা ফেলছে না। মেয়েটির বাড়িতে কারোর যেতে পুলিসের নানা বাধা। ওদিকে উচ্চবর্ণের সংগঠন অখিল ভারতীয় ক্ষত্রিয় মহাসভা দলবল নিয়ে হাজির হচ্ছে ধর্ষকদের বাড়িতে। বাল্মিকী সম্প্রদায়ের নেতা শ্যরাজ গিয়েছিল হাসপাতালে, পরিবারকে সান্ত্বনা দিল, আইনি লড়াইয়ের ব্যবস্থা করলো, মিডিয়ায় ফাঁস করলো বিস্তৃতভাবে। রাগে, ক্ষোভে উত্তেজিত হয়ে একটা মিডিয়ায় শ্যরাজ বলে ফেললো যে, দলিত মেয়েদের দিকে যদি কেউ কুনজরে তাকায়, তবে তার চোখ উপড়ে ফেলা হবে। বর্ণ হিন্দুর বিরুদ্ধে এত বড়ো কথা! যোগীর প্রশাসন শ্যরাজকে পুরে দিল জেলে।

তবু হাসপাতাল ঘিরে মানুষের উত্তাপ বাড়ছে। পরিবারকে বোঝানো হলো, ভালো চিকিৎসার জন্য দিল্লির এইমসে নিয়ে যাওয়া হবে মেয়েকে। ২৮ সেপ্টেম্বর নিয়ে যাওয়া হলো সফদরজঙ হাসপাতালে। পরের দিন ২৯ সেপ্টেম্বর মৃত্যু। রাত্রেই পরিবারকে না জানিয়ে মেয়েটির লাশ জ্বালিয়ে দিল পুলিশ।

প্রথমে যখন ১৯ বছরের একটি মেয়ের দেহ অচেতন, নগ্ন অবস্থায় পাওয়া গেল, পুলিশ ভাবলোই না যে, ধর্ষণ হতে পারে, ধর্ষণের কোনো পরীক্ষা হলো না। পুলিশের বক্তব্য- ধর্ষণের পরীক্ষা বা কেস হবে কি করে, মেয়েটি তো বলেনি যে ধর্ষণ হয়েছে। অচেতন মেয়েটি কিভাবেই বা বলবে? ধর্ষণ হলে যোনিতে শুক্রানু পাওয়া যেতে পারে সর্বোচ্চ তিনদিন পর্যন্ত, জরায়ুতে সর্বোচ্চ ৭দিন পর্যন্ত। ধর্ষণের ৮দিন পার হয়ে গেলে পুলিশ ঠিক করে মনীষাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে। ৯-১০ দিনের মাথায় মেয়েটির বাড়ি যায়, তার জামাকাপড় সংগ্রহ করতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য, সেগুলো তখন কেচে ফেলা হয়েছে। ১ অক্টোবর মেয়েটির মৃত্যুর ২দিন বাদে উত্তরপ্রদেশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এডিজি) অফ পুলিশ মিডিয়ার কাছে বড়ো মুখ করে বলল - ডাক্তারি পরীক্ষা বলছে, ধর্ষণের কোনো প্রমাণ নেই। ধর্ষকদের কুকর্ম প্রমাণ না হওয়াতে এডিজি’র চোখে মুখে স্বস্তির ছাপ।

পুলিশ প্রশাসনের এই ভূমিকার পর এই প্রশ্ন উঠবেই - হাথরসের ঘটনার কি বিচার হবে শেষ পর্যন্ত? যে চারজন গ্রেফতার হয়েছে, তাদের কি শাস্তি হবে? ইতিমধ্যেই একটা প্রচারের চেষ্টা হয়েছে যে, মেয়েটিকে খুন করেছে তার বাড়ির লোক- অনার কিলিং। মেয়েটির সাথে নাকি ঠাকুর পরিবারের ছেলেটির সম্পর্ক, তা মানতে না পেরেই তাকে খুন করেছে বাড়ির লোক। বলা বাহুল্য, আদালতে আসামীর উকিল নিশ্চয়ই এসব যুক্তি দেবে। অন্য পক্ষে উকিল থাকবে সরকারের, থাকবে সিবিআই-এর তদন্ত রিপোর্ট, যে সিবিআই সরকারের অঙ্গুলিহেলনে চলে, বহু তথ্য আদালতে হয়তো পেশই করবে না। যে সরকার নানা কায়দায় ধর্ষণের ডাক্তারি পরীক্ষা করেনি, যে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করতে চায়নি, যে সরকারের জেলাশাসক মেয়েটির বাবাকে ডেকে চাপ দিয়েছে, যে পুলিশ পরিবারকে না জানিয়ে মেয়েটির লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা করবে ঠিকমতো কাজ?

আবার আদালতেই বা কি হবে? দলিত-আদিবাসীদের প্রতি নিগ্রহের ঘটনাগুলোর কী বিচার হয় শেষ পর্যন্ত? সারণি-১ দেখুন। ২০১৯ সালে দলিত-আদিবাসীদের প্রতি নিগ্রহের মোট মামলার মাত্র ৭ শতাংশের মতো নিষ্পত্তি হয়েছে। ৯৩ শতাংশ মামলা পড়ে আছে। যেগুলো বিচার হয়েছে, ধর্ষণের ক্ষেত্রে মাত্র ৩১ শতাংশ দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, মানে ৬৯ শতাংশ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত বেকসুর খালাস। ধর্ষণ তো না হয় প্রমাণ করা কঠিন হতে পারে, কিন্তু খুন তো জলজ্যান্ত ঘটেছে, সেক্ষেত্রেও ৫৪ শতাংশ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত বেকসুর খালাস। অন্যান্য ক্ষেত্রে ৬৯ শতাংশ বেকসুর খালাস। সংখ্যাতত্ত্বই প্রমাণ করে যে, আদালতে উচ্চবর্ণের বিরুদ্ধে দলিত-আদিবাসীদের অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হতে পারছে না। দলিত-আদিবাসীদের জন্য পুলিশ-প্রশাসন যেমন বধির, বিচার বিভাগও কি সেটা হওয়া স্বাভাবিক নয়? নিগৃহীত, লাঞ্ছিত কোনো দলিত বা আদিবাসী এই সমাজকে কিভাবে বিশ্বাস করবে?

সারণি-১: ২০১৯ সালে আদালতে দলিত-আদিবাসীদের উপর আক্রমণের মামলাগুলির অবস্থা ১



এতো গেল মামলার কথা, দলিত-আদিবাসীদের নিগ্রহের কত ঘটনা ঘটছে? ২০১৯ সালে এরকম ৫৪,১৯২টি নিগ্রহের ঘটনা পুলিশের কাছে লিপিবদ্ধ হয়েছে। অর্থাৎ গড়ে প্রায় প্রতি ১০ মিনিটে দেশের কোথাও না কোথাও উচ্চবর্ণ কর্তৃক কোনো দলিত-আদিবাসীর নিগ্রহের ঘটনা পুলিশের কাছে আসছে। পুলিশের রিপোর্টে প্রায় প্রতি ৮ ঘণ্টায় একজন দলিত-আদিবাসী খুন হয় উচ্চবর্ণের হাতে, প্রায় প্রতি ২ ঘণ্টায় একজন দলিত-আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে উচ্চবর্ণের কেউ। শুধু তাই নয়, এইরকম ঘটনা বাড়ছে। সারণি-২ দেখুন, ২০১৩ ও ২০১৯ সালে দলিত-আদিবাসীদের উপর অপরাধ ও নৃশংসতার কতগুলি ঘটনা, খুন, ধর্ষণ ঘটেছে তা দেখানো হয়েছে। এই ৬ বছরে জন সংখ্যা বেড়েছে ৭ শতাংশ অথচ দলিতদের প্রতি উচ্চবর্ণ কর্তৃক অপরাধ, খুন, ধর্ষণ বেড়েছে যথাক্রমে ১৭, ৪৪ ও ৫৯ শতাংশ। দেশের চারটি রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার এক্ষেত্রে এগিয়ে (সারণি-৩)। এই চারটি রাজ্যে জনসংখ্যা ৩৭ শতাংশ, কিন্তু দলিত-আদিবাসীদের প্রতি অপরাধে এরা দেশের ৬৫ শতাংশ।

সারণি-২: দলিত-আদিবাসীদের প্রতি নিগ্রহ ১, ২



সারণি-৩: দলিত-আদিবাসীদের প্রতি নিগ্রহঃ চারটি প্রথম রাজ্য ১, ৩



একথা ঠিক পশ্চিমবঙ্গে এসব ঘটনা কম। কিন্তু মনের ভিতরে কি চলছে? ক’দিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকা মেরুনা মুর্মু সমাজমাধ্যমে একটি ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেন - এই বছর পরীক্ষা না হলেই ভাল, আগে সুস্থ জীবন, তারপর পরীক্ষা। একই কথা, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু অধ্যাপক, উপাচার্যরা মনে করেছেন। আবার কারো কারো ভিন্ন মত থাকতেই পারে। কোনো নির্দিষ্ট মত থাকাটা দোষেরও কিছু নয়। কিন্তু অধ্যাপিকা মুর্মু সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গেলেন তাঁর জাতের জন্য। সংবাদপত্রে দেখলাম বাড়ির লোকেরা বলেছেন, তিনি অসুস্থ। কে করেছে, সে সুস্থ কিনা, তার চেয়েও বড়ো প্রশ্ন, সমাজে এই অসুস্থ চিন্তার অস্তিত্ব টের পাওয়া গেল যে, দলিত বা আদিবাসী হলে সাধারণ গণতান্ত্রিক মতামত পোষণ করার অধিকার তার নাও থাকতে পারে। এবং এটা যদি অসুস্থতার লক্ষ্মণ হয়, তার সমর্থনেও বেশ কিছু অসুস্থ লোকও সমাজে পাওয়া গেল। কয়েক মাস আগে শাসকদলের সমর্থক একদল ছাত্রের তরফে এই রাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানকে তাঁর জাত, গায়ের রং, জন্মস্থান ও লিঙ্গ উল্লেখ করে মানসিক ও শারীরিক হেনস্তা নিয়ে বেশ হইচই হলো। একে মহিলা, আক্রমণের জন্য খুব নরম লক্ষবস্তু, তায় আদিবাসী। এই ধরনের একটা মনোভাব যে অনেক মানুষের মনে রয়ে গেছে, তার অভিব্যক্তি হিসাবেই যে ওই ছাত্রদের এটা স্বাভাবিক আচরণ হিসাবে বেরিয়ে এসেছে, তারা নিশ্চয় মনে করেনি যে, এই ধরনের কথা বলা অন্যায়। আশ্চর্য এটাই যে, মনের ভিতরে যাই থাক, শাসকদল থেকেও এটা দেখা গেল না এই ঘটনার নিন্দা করতে বা নিজেদের অভ্যন্তরেও কারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে। কত এরকম ঘটনা যে নীরবে ঘটে চলেছে তার খবর কে রাখে? পাত্র-পাত্রী বিজ্ঞাপন দেখলে বোঝা যায় এরাজ্যে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিতে কিভাবে জাতের চেতনা প্রবল।


সূত্রঃ
১) Crime In India, 2019
২) Crime In India, 2013
৩) Census Report, 2011