৬০ বর্ষ ৩৬ সংখ্যা / ২১ এপ্রিল, ২০২৩ / ৭ বৈশাখ, ১৪৩০
পশ্চিমবাংলার পঞ্চায়েত - প্রতিষ্ঠিত দলতন্ত্র ও আমলাতন্ত্র
সুপ্রতীপ রায়
নিয়ম অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। যদিও রাজ্যে তৃণমূল সরকারে আসার পর প্রথম যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল তা হয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে। তৃণমূল রাজ্যে আসার পর ২০১৩ সালে প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু সেবার পঞ্চায়েত নির্বাচন করার ইচ্ছা তৃণমূল সরকারের ছিল না। তৃণমূল সরকারে আসার আগে ৩৪ বছর রাজ্য সরকার পরিচালনা করেছিল বামফ্রন্ট। তখন নিয়মকরে প্রতি পাঁচবছর অন্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হতো।
বামফ্রন্ট সরকারের পঞ্চায়েতি নীতির ফলে পঞ্চায়েত গ্রামের মানুষের অতি প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল। গ্রামীণ উন্নয়ন পঞ্চায়েত ছাড়া কল্পনা করা যায় না। বাম আমলে উন্নয়নের সঙ্গে গণতন্ত্রের গভীর সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল।
তৃণমূল রাজ্যে আসার পর একটা কথা আকারে ইঙ্গিতে বারে বারে বলা হয়েছে, গণতন্ত্র নিয়ে বেশি চর্চা করে লাভ নেই। আসল কথা উন্নয়ন। উন্নয়ন করতে গিয়ে যদি গণতন্ত্রকে বলি দিতে হয় তাহলে তা দিতে হবে। কিন্তু উন্নয়ন কি মূল্যবোধ নিরপেক্ষ ধারণা? কখনই না। উন্নয়ন কাদের জন্য, কী চাহিদা পূরণ করা দরকার এ বিষয়গুলি বিবেচনায় না আনলে উন্নয়ন কখনই সার্বিক হতে পারে না। উন্নয়নের সঙ্গে জনগণের যুক্ত হওয়া, মত প্রকাশের অধিকার, মতবিনিময় ইত্যাদি অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। এক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। এককথায় গণতন্ত্রকে বলি দিয়ে উন্নয়ন করা যায় না। কিন্তু গত একদশকে এমনটাই করা হয়েছে। সরকারে আসার পর পরই তৃণমূল স্বৈরাচারের পথে হাঁটা শুরু করে। একের পর এক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উপর আঘাত হানা শুরু হয়। পঞ্চায়েতি ব্যবস্থায় যে গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল তা কার্যত কেড়ে নেওয়া হয়।
ক্ষমতা একজনের হাতেই কেন্দ্রীভূত। ক্ষমতার এমন কেন্দ্রীকরণ অতীতে কোনোদিন এরাজ্যে হয়নি। তৃণমূলের প্রচার - গ্রামে গ্রামে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে, ‘উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে’। গত কয়েক বছরে মাঝে মাঝেই নানা প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও এই প্রকল্পগুলির অনেকগুলি বাম আমলে চালু ছিল - কেবল প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে প্রকল্পগুলি থেকে মানব উন্নয়ন কতটা হয়েছে? অপুষ্টি নিবারণ, গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়ন, মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষা কতটা হয়েছে? কৃষি সমস্যা, গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন কতটা হয়েছে? এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর তৃণমূল সরকারের নেই। কারণ সরকারের নীতি-নির্ধারণকারী তিনিই এবং তিনি যতক্ষণ কোনো সিদ্ধান্ত না দেন ততক্ষণ কোনো সিদ্ধান্ত মন্ত্রী বা সচিব নিতে পারেন না। অর্থাৎ উন্নয়নের সমস্ত কিছু দেখেন শাসকদলের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে কারুর কোনো কথা বলার অধিকার নেই। কেবল নির্দেশ পালন করে যেতে হবে। এহেন পরিস্থিতিতে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব?
গণতন্ত্রের সঙ্গে উন্নয়নের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। গণতন্ত্রের প্রসারকে উন্নয়নের প্রসার হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। গণতন্ত্রিক পরিবেশ থাকলে খোলামেলা আলোচনা করার মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক চাহিদাগুলি কী তা জানা যায়। গণতন্ত্রকে বিযুক্ত করে উন্নয়নের চিন্তা আসলে উন্নয়ন বিরোধী চিন্তা।
তৃণমূল সরকারের উন্নয়ন মানে দান-খয়রাতি। মানে সরকারের অনুগ্রহভাজন থাকতে হবে। প্রকৃত উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে প্রশ্নগুলি বিবেচনায় আনা প্রয়োজন সেগুলি হলোঃ ক) উন্নয়নের দিশা কী হবে? খ) কোন প্রকল্প নির্বাচন করা হবে? গ) কোন প্রকল্প অগ্রাধিকার পাবে? ঘ) প্রকল্পগুলিতে অর্থ কতটা ব্যবহৃত হবে? এগুলি সম্ভব হয় তখনই যখন গণতান্ত্রিক পরিসর, পরিবেশ থাকে। দান-খয়রাতিকে কখনই উন্নয়ন বলা যায় না। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েতি ব্যববস্থায় চূড়ান্ত দলতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্ন জড়িত সেখানে তৃণমূল নেত্রীর খেয়ালখুশি মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণে কখনই প্রকৃত উন্নয়ন হতে পারে না। তৃণমূলের আমলে পঞ্চায়েতি ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে দাতা-গ্রহীতার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকটা প্রভু-ভৃত্যের মতো।
মমতা ব্যানার্জি যখন বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন তখন তাঁর রাজনীতি ছিল ধ্বংসাত্মক। রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর মূল ধারার মিডিয়াগুলি বলেছিল, শাসনক্ষমতা হাতে পাওয়ার ফলে তিনি দায়িত্বশীল রাজনীতি করবেন। কিন্তু কোথায় সেই দায়িত্বশীল রাজনীতির নমুনা। তাঁর একটাই লক্ষ্য আত্মপ্রচার। বাম আমলে গ্রামীণ ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন হয়েছিল তাকে কবরে পাঠানো হয়েছে। তৃণমূল সরকারে আসার পর গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে দু’ধরনের কৌশল নেওয়া হয়েছে - উন্নয়নের নামে কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া এবং উন্নয়নকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে বিযুক্ত করা। যাতে প্রকল্পগুলির যৌক্তিকতা নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন না করতে পারেন। একটা স্লোগান তোলা হলো -
‘উন্নয়নের সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই’। এর পিছনে যে রাজনীতি তা হলো গণতন্ত্রকে হত্যা করা। গত এক দশকে পঞ্চায়েতি ব্যবস্থার মধ্যে গণতন্ত্রকে বিদায় দেওয়া হয়েছে।
গত একদশকে গ্রামীণ উন্নয়ন নিয়ে কত প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু সেসব প্রকল্পের পিছনে স্থায়ী উন্নয়নের কোনো সুনির্দিষ্ট নীতি ছিল না। তৃণমূল সরকারের গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলি জনপ্রিয় রাজনীতির নিয়ম মেনে করার চেষ্টা হয়েছে। কোনো দায়বদ্ধতা ছিল না। উন্ননয়নের নামে নেমে এসেছে নৈরাজ্য।
গ্রামীণ উন্নয়নের জটিল সমস্যাগুলি নিয়ে তৃণমূল সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। গ্রামীণ বেকার সমস্যা তীব্র। এই সমস্যার গভীরে মমতা ব্যানার্জির সরকার প্রবেশ করে না, কারণ এ কাজটি কঠিন এবং দ্রুততার সঙ্গে কিছু করে দেখানোও কঠিন। এর থেকে সোজা কিছু সিভিক ভলান্টিয়ার পদ তৈরি করে ঢুকিয়ে দেওয়া, যুবশ্রী প্রকল্প চালু করা ইত্যাদি। উন্নয়নকে সম্পূর্ণ দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। উন্নয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হলে অর্থহীন প্রকল্প ঘোষণা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয় হতো না, গ্রাম বাংলায় স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি করা যেতো।
তৃণমূলের জমানায় গ্রামীণ দরিদ্র ও আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের প্রকৃত কোনো উন্নয়ন হয়নি। গ্রামীণ শিক্ষা বিপর্যস্ত, ড্রপ আউটের পরিমাণ বাড়ছে, গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল খারাপ হয়েছে, কৃষি ও গ্রামীণ শিল্পে বিনিয়োগ বাড়েনি, গ্রামাঞ্চলে কাজের সুযোগ বাড়েনি বরং কমেছে, লিঙ্গ বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে, সামাজিক সুরক্ষা কার্যত নেই, উন্নয়ন প্রক্রিয়াতে মানুষের অংশগ্রহণ নেই। উন্নয়ন বলতে তৃণমূল বোঝে - নাচ-গানের অনুষ্ঠান, পুরস্কার বা খেতাব বিতরণ। আবার বেশ কিছু প্রকল্প আছে যা ভোটারদের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়ার নামান্তর মাত্র। তৃণমূল সরকারে এসেছে চিট ফান্ডের টাকায় আর সরকারে এসে সরকারি টাকায় দলের ভোট কিনছে। যেমন ক্লাবকে টাকা দেওয়া, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অর্থ প্রদান, বিভিন্ন ভাতা প্রদান প্রভৃতি। গ্রামাঞ্চলভিত্তিক প্রকল্পগুলির গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নে কোনো ভূমিকা নেই। গত একদশকে গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, তাকে বিশৃঙ্খলা ছাড়া কিছু বলা যেতে পারে না। সংবিধানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পঞ্চায়েতকে প্রান্তিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। এমনই অবস্থা আবাস যোজনা সংক্রান্ত তালিকা, জবকার্ডের তালিকা পঞ্চায়েতে টাঙানো থাকে না। রেশন কার্ড বা জবকার্ড বা নানা বিষয়ে আবেদন করলে প্রাপ্তি স্বীকার-পূর্বক কাগজও দেওয়া হয় না। সবেতেই জনগণের সঙ্গে লুকোচুরি। পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় জনগণের অধিকার নেই বলেই জনগণ পঞ্চায়েতকে নিজের প্রতিষ্ঠান বলে মনে করেন না।
বাম আমলে পঞ্চায়েত ছিল জনগণের। তৃণমূলের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আমলাতন্ত্র, দলতন্ত্র। পঞ্চায়েতি ব্যববস্থায় যে আমলাতন্ত্রকে বিদায় দেওয়া হয়েছিল তাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে তৃণমূল। বামফ্রন্টের সময় পঞ্চায়েত গণতান্ত্রিক কাঠামোয় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেছিল। তৃণমূল সরকারে আসার পর পিছনের দিকে হাঁটতে থাকে। পঞ্চায়েতি ব্যববস্থায় গণতান্ত্রিক শাসনকে শক্তিশালী করার পরিবর্তে আমলাতান্ত্রিক শাসনকে মজবুত করা হয়েছে। পঞ্চায়েতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতা সংকুচিত করে আমলাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তৃণমূল আমলে পঞ্চায়েত ভগ্নস্তুপে পরিণত হয়েছে। আমলাদের দাপট গ্রামীণ প্রশাসনে এতটাই বেড়েছে যে বিকেন্দ্রীকরণকে বিদায় দেওয়া হয়েছে।
আইনকে মান্য করা আমলাতন্ত্রের ধর্ম। পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠানে যে আমলারা কাজ করেন সেই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যপূরণ তার কাজ। সরকারি কর্তব্য পালন করতে গিয়ে আইনের বাইরে সে কোনো কাজ করতে পারে না। আইনের চৌহদ্দির মধ্যেই তাকে কাজ করতে হয়। গণতন্ত্রের একটি অপরিহার্য শর্ত আইনের শাসন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আইনের প্রয়োগ ও বিচার সর্বত্রই সমানভাবে করতে হয়। শাসকদলের লোক বলে তার প্রতি বিশেষ নিয়ম চলতে পারে না। তৃণমূলের আমলে এসব কিছুই বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সময়ে বাংলার পঞ্চায়েত যেন পীড়ন, দমন আর লুটের যন্ত্রে পরিণত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী থেকে মন্ত্রীদের কথায় এটা পরিষ্কার উন্নয়নের কাজকর্মে এরা পঞ্চায়েতের থেকে আমলাদের উপর বেশি নির্ভরশীল। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অল্পদিন পরেই মমতা ব্যানার্জি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি জেলাশাসক, বিডিও, আমলাদের উপর নির্ভরশীল হবেন। নির্বাচিত পঞ্চায়েতকে তিনি গুরুত্ব দেবেন না। আর বিরোধী পঞ্চায়েত হলে তাকে অবজ্ঞা করা হবে, সরকারি অর্থ দেওয়া হবে না। জেলা সফরের নামে জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কোনো প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধী জনপ্রতিনিধিরা ডাক পাননি। সরকারে আসার পরই সরকারি নির্দেশনামা প্রকাশ করে গঠিত হয়েছিল ব্লক, মহকুমা এবং জেলাস্তরে ডেভেলপমেন্ট মনিটরিং কমিটি। এসব কমিটিতে পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যাদের ঠাঁই দেওয়া হয়নি। কমিটিগুলির মাথায় বসানো হয় বিডিও, এসডিও, ডিএম’দের। তৃণমূল যখন সরকারে এলো তখন বেশ কয়েকটি জেলা পরিষদ বিরোধীদের হাতে ছিল। বিরোধীদলের হাতে থাকার অপরাধে নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির জেলা শাসকের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
অতি সম্প্রতি আবাস প্লাস যোজনার তালিকা নিয়ে হইচই হলো। বেপরোয়া দুর্নীতির নজির জনসমক্ষে এলো। কিন্তু খসড়া তালিকা পরীক্ষার দায়িত্ব প্রথমে দেওয়া হলো আশা ও অঙ্গনওয়াড়ির সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের। এরপর বলা হলো, কারা যোগ্য তার তদন্ত চালাবে পুলিশ। কী চমৎকার সিদ্ধান্ত! এখান থেকেই প্রশ্ন ওঠছে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন তৃণমূলের হয়ে নিয়ন্ত্রণ করবে দলদাস পুলিশ বাহিনী! ২০১৩ এবং ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এ সন্দেহ মোটেই অমূলক নয়।
গত কয়েক বছরে গ্রামীণ মানুষের কাছ থেকে অধিকার কেড়ে নিয়ে পঞ্চায়েতি ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে নিরঙ্কুশ দলতন্ত্র ও আমলাতন্ত্র। তৃণমূল আসলে ‘‘পঞ্চায়েত হটাও’’ কর্মসূচি রূপায়ণ করে চলেছে। পঞ্চায়েতের ক্ষমতাকে সংকীর্ণ ব্যক্তিস্বার্থে কুক্ষিগত করা হয়েছে। পঞ্চায়েতের কাজের পরিধিকে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতি ব্যবস্থাকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়ার তৃণমূলী কৌশলকে রুখে দেওয়াটাই সবচেয়ে জরুরি।