৫৮ বর্ষ ২য় সংখ্যা / ২১ আগস্ট ২০২০ / ৪ ভাদ্র ১৪২৭
মিত্রোঁ... ইতিহাস কারে কয়!
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
১৯৩৩-এর নভেম্বরে নাজিদের নির্বাচনী প্রচারের পোস্টার।
“ওয়ান পিপল, ওয়ান ফুয়েরার, ওয়ান ইয়েস”। নভেম্বর ১৯৩৩। তখনও শাসন ক্ষমতায় তিনি আসেননি। যদিও তার বেশ কয়েকমাস আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাইখস্ট্যাগে আগুন লাগানো হয়ে গেছে। তবে এই ‘ওয়ান পিপল, ওয়ান ফুয়েরার, ওয়ান ইয়েস’টা যে নির্বাচনের স্লোগান ছিল সেই নির্বাচনে স্কুলের গণ্ডি প্রায় না পেরোনো মানুষটাকে ৯৩.৫ শতাংশ জার্মানবাসী নাকি ‘ইয়েস’ বলেছিলেন। যদিও সেই নির্বাচনকে ‘আন ফ্রি’ বলে অভিহিত করে ইতিহাস। অবশ্য স্কুলের গণ্ডি না পেরনো সেই ভদ্রলোক কখনও চা বিক্রি করেছিলেন বলে শোনা যায়নি। তাঁর বরং ইচ্ছে ছিল তিনি শিল্পী হবেন। যদিও বারদুয়েক পরীক্ষা দিয়েও ভিয়েনার আকাদেমি অফ ফাইন আর্টসে তিনি ভরতি পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন। মনের দুঃখে বছর দুয়েক তিনি নাকি ‘আইসোলেশনে’ ছিলেন। অবশ্য এই সময় তিনি হিমালয়ে শান্তি খুঁজতে গেছিলেন কিনা জানা নেই।
১৯২০। ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি (এনএসডিএপি) প্রতিষ্ঠিত হয়। খুবই ছোটো রাজনৈতিক দল। ১৯২৮-এর নির্বাচনে এই দল ভোট পায় ৮ লাখের কাছাকাছি। যদিও মাত্র ২ বছরের মধ্যে ১৯৩০ সালে সেই ভোট গিয়ে দাঁড়ায় ৬৪ লাখে। জুলাই ১৯৩২। নির্বাচনে ভোট আসে ১ কোটি ৩৭ লাখের কাছাকাছি। শতাংশের হিসাবে ৩৭.২৭ শতাংশ। রাজনৈতিক অস্থিরতা। আবার নির্বাচন নভেম্বর ১৯৩২-এ। এবার ভোট কমে হয় ১ কোটি ১৭ লক্ষের কাছাকাছি। শতাংশ হিসেবে প্রায় ৪ শতাংশ ভোট কমে। ভন হিন্ডেনবার্গের সঙ্গে সমঝোতায় নির্বাচনে না জিতেও তিনি হলেন চ্যান্সেলর। ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট গভর্নমেন্ট বা এনএসজি। আপনারা আবার এনডিএ ভেবে গুলিয়ে ফেলবেন না যেন। গোয়েবলস তাঁর ডায়েরিতে লিখেছিলেন, ‘এটা একটা স্বপ্ন’। যদিও তখনও তিনি ‘মিনিস্টার অফ প্রোপাগান্ডা’ হননি। এদেশে এরকম কোনো ডায়েরি লেখা হয়েছে কিনা এখনও জানা নেই।
আবার একটু রাইখস্ট্যাগে ফিরে যাই। আমাদের স্মৃতিতে বোধহয় এখনও ভরা জনসভার ভিড় থেকে মাওবাদী চিনে নেওয়ার সেই কাহিনি অথবা পুলিশি তদন্ত হবার আগেই ‘সাজানো ঘটনা’ ঘোষণার কথা মনে আছে। একদম হালের তবলিগি জামাতিদের থেকেই দেশে করোনা ছড়িয়েছে প্রচারটাও অনেকটা সেরকমই ছিল। গো শব্দের সংস্কৃত শব্দরূপে ষষ্টীর একবচনে যা ‘গৌঃ’ বহুবচনে তাই তো ‘গবাম’। গোয়েবলস-এর গুষ্টির ষষ্টীর বহুবচন জানা নেই। যাক সেকথা। আমরা আছি রাইখস্ট্যাগে। এসবে কী দরকার। তো সেই রাইখস্ট্যাগে আগুন লাগার পরেই ভদ্রলোক উপস্থিত হয়ে জানিয়েছিলেন - ‘‘এটা কমিউনিস্টদের চক্রান্ত। এঁদের কোনো ক্ষমা নয়। আমাদের পথে যে আসবে তাদের মেরে ফেলা হবে।’’ না আমি সেখানে ছিলাম না। মানে, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুসারে এগুলোই লেখা আছে। আর কমিউনিস্ট মানে, বামপন্থী মানেই যে ‘দেশদ্রোহী’ সেকথা তো এখন দিনের মধ্যে দশবার করে আপনার হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ হয়ে ঢুকতেই থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া বলে কথা। সেখানে আপনি আঁখির দাস হবেন নাকি কর্ণের দাস অথবা নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ করবেন, সেটা তো আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। ঠিক কিনা!
রাইখস্ট্যাগে আগুন লাগার ঠিক পরেরদিনই প্রেসিডেন্ট ভন হিন্ডেনবার্গ ভাইমার কন্সটিটিউশনের আর্টিকেল ৪৮ অনুসারে এই ঘটনায় ডিক্রি জারি করেন। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার কাটছাঁট করা হয়। মতপ্রকাশের অধিকারে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়। পুলিশকে অধিকার দেওয়া হয় যে কোনো বাড়ি তল্লাশি ও যে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার। ও হো। এ তো মহা মুশকিল। আমি কখন আবার আপনাকে আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশান) অ্যাক্ট বা ইউএপিএ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০১৯-এর কথা বললাম। এরকম করলে গল্পটা বলি কি করে বলুন তো? একটু তো ধৈর্য ধরুন। এত অধৈর্য হলে হয়?
৫ মার্চ ১৯৩৩। আবার নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারের মুখ্য বিষয় ছিল রাইখস্ট্যাগের আগুন এবং তার পেছনে কমিউনিস্টদের ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। প্রায় একতরফা নির্বাচনে এবার এনএসডিএপি ভোট পায় ১ কোটি ৭২ লক্ষের কিছু বেশি। শতাংশের হিসেবে ৪৩.৯১ শতাংশ। কমিউনিস্ট পার্টির ভোট নেমে আসে ১২.৩২ শতাংশে। ১৫ মার্চ নিষিদ্ধ করা হয় কমিউনিস্ট পার্টি। রাতারাতি গ্রেপ্তার হয় ১০ হাজারের বেশি কমিউনিস্ট পার্টি কর্মী, সদস্য। ২৩ মার্চ এক বৈঠকে তিনি নিজের হাতে ৪ বছরের জন্য প্রেসিডেন্টকে এড়িয়ে নতুন আইন প্রণয়নের ক্ষমতা তুলে নেন। ২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারির গায়ে গায়েই ভারতের একটা রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ছিল। টালমাটাল সরকারের গদি টেকানোর গল্প ছিল। ২০০৪-এ লোকসভার নির্বাচন ছিল। আরও কত কী…
প্রথমে অবশ্য আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হিসাবে সামনে রাখা হয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। তাদের ওপরেই নেমে এসেছিল আক্রমণ। সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ তো তার পরের ঘটনা। ১ এপ্রিল ১৯৩৩। সরকারিভাবে ইহুদিদের এবং ইহুদিদের সমস্ত জিনিস বয়কট করার ডাক দেওয়া হয়। বক্তব্যটা অনেকটা এরকম ছিল যে, ইহুদিদের জন্য জার্মানদের যত সর্বনাশ। ইহুদিরাই যত নষ্টের গোড়া। ইহুদিদের জন্যেই জার্মানির ক্ষতি। দেখুন মশাই। আপনার খুব চেনাচেনা লাগলেও আমার কিছু করার নেই। না। আমি মোটেও পেহলু খান, মহম্মদ আখলাখের কথা বলছি না। আমি জার্মানির কথা বলছি। ভারতের নয়। গুলিয়ে ফেলবেন না একদম। রবীন্দ্রনাথের ব্যাধি ও প্রতিকারের কথা না হয় বাদই দিলাম। তিনি যতই লিখে যান না কেন - “শাস্ত্রে হিন্দু-মুসলমান সম্বন্ধে পরস্পরকে এমন করিয়া ঘৃণা করিবার তো কোনো বিধান দেখি না।… যাহারা নিজেকেই নিজে খণ্ডিত করিয়া রাখিয়াছে, ঐক্যনীতি অপেক্ষা ভেদবুদ্ধি যাহাদের বেশি, দৈন্য অপমান ও অধীনতার হাত হইতে তাহারা কোনোদিন নিষ্কৃতি পাইবে না।” - তাতে কার কী! ক্ষুদিরাম বসুকে জি-৫ ওয়েব সিরিজে অপরাধীদের তালিকায় তুলে দেওয়া হয়ে গেছে। রবীন্দ্রনাথের দাড়ি-টাড়ি ছিল। কোন্দিন কে হয়তো ওই ছবি দেখিয়ে হিন্দুবিরোধী বা লাদেনের ভাই বলে দেবে। কিচ্ছু বিশ্বাস নেই। হোয়াটস অ্যাপ ইউনিভার্সিটি হ্যায়, তো মুমকিন হ্যায়।
জুলাই ১৯৩৩। নিষিদ্ধ করা হলো সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক যোগ থাকা ব্যক্তি, ইহুদিদের সমস্ত সরকারি পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। সমস্ত ট্রেড ইউনিয়ন গায়ের জোরে দখল করে নিয়ে সরকারি ট্রেড ইউনিয়নে পরিণত করা হয়। সমস্ত অ-জার্মান জিনিস সরানো শুরু হয়। বামপন্থী, ইহুদি এবং শান্তিকামী মানুষদের লেখা সমস্ত বই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এর আগেই ‘ব্রাউন শার্ট’ বাহিনীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। আরে বাবা। ব্রাউন মানে বাদামী। গেরুয়া বাহিনী আবার কখন বললাম? আশ্চর্য তো!
২ আগস্ট ১৯৩৪। মারা গেলেন জার্মান প্রেসিডেন্ট ভন হিন্ডেনবার্গ। ১৯ আগস্ট, ১৯৩৪। জার্মানির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন অ্যাডলফ হিটলার। এই পুরো ঘটনায় একজনের কথা না বললে সবটা বলা হয়না। তিনি হলেন রাইখস্ট্যাগ কাণ্ডের সময় বার্লিন শহরের দমকল বিভাগের প্রধান ওয়াল্টার গেম্প। ১৯৩৩-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি আগুন লাগার পর ২৫ মার্চ তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। কারণ তিনি এই আগুনের পেছনে নাজিদের হাত আছে এধরনের তথ্যপ্রমাণ দিয়েছিলেন। ১৯৩৭ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৩৯ সালের ২ মে তিনি কারাগারে খুন হন। একসময় হিটলারের প্রবল সমর্থক পরে বিরোধী মার্টিন নিম্যোলারের “First they came” থেকে দু একটা লাইন আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে একটু না-হয় মনে করে নেওয়া যাক - “যখন ওরা প্রথমে কমিউনিস্টদের জন্য এসেছিল,/ আমি কোনো কথা বলিনি,/ কারণ আমি কমিউনিস্ট নই।/… শেষবার ওরা ফিরে এলো আমাকে ধরে নিয়ে যেতে,/ আমার পক্ষে কেউ কোনো কথা বলল না,/ কারণ, কথা বলার মতো তখন আর/ কেউ বেঁচে ছিল না।”
১৯২০ থেকে ১৯৩৪। ১৪ বছর। রামের বনবাসের পর রাজ্যাভিষেকের গল্পের মতো অনেকটা। আবার আপনি যদি ২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারির ভারতীয় রাইখস্ট্যাগ কাণ্ড থেকে শুরু করেন তাহলে ২০১৪-র ২৬ মে পর্যন্ত হিসেব মতো ১২ বছর হয়। রাইখস্ট্যাগ থেকে গোধরা। আগুনটা আসতে না হয় ৬৯ বছর সময়ে নিয়েছে। আবার ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর থেকে ধরেন তাহলে ২২ বছর হয়। কাক্কেশ্বর কুচকুচের অঙ্ক জানেন তো। সাত দুগুণে চোদ্দোর নামে চার হলে হাতে পেনসিল থাকে। কখনও আবার চোদ্দো না হয়ে হয় ‘তেরো টাকা চোদ্দো আনা তিন পাই’। আর এসবের ওপরে উঠে গত বছরের ডিসেম্বর ২৪ তারিখে আমাদের তো বলেই দেওয়া হয়েছে - ‘আপ ক্রোনোলজি সমঝিয়ে’। আপনি ‘সমঝে’ নেবেন, ‘সমঝে’ যাবেন বা ‘সমঝে’ দেবেন সেটা তো আপনার ভাবনা।
আসলে ক্রোনোলজিটা বারবার বুঝিয়ে দেবার চেষ্টা হলেও কেউ বুঝছেন, কেউ বুঝছেন না। নোটবাতিল, জিএসটি, ৩৭০ ধারা বাতিল, সিএএ, এনআরসি, এনপিআর, বেসরকারিকরণ, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের ঋণমকুব, করোনা সঙ্কটকে ঢাল করে একাধিক চুপি চুপি নেওয়া পদক্ষেপ, জাতীয় শিক্ষানীতি, রাম মন্দির রায়, রাম মন্দিরের ভূমিপুজো - এর কোনোটা ক্রোনোলজির বাইরে নয়। আবার ময়ূরের চোখে জল, ভাবীজি পাঁপড় খেয়ে করোনা মুক্তি, গায়ে কাদা মেখে শাঁখ বাজিয়ে কিংবা হনুমান চালিশা পাঠ করে করোনা মুক্তি, মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট, লকডাউনের সময় রামায়ণ মহাভারত সিরিয়াল ফিরিয়ে নিয়ে আসা, মহাকাশে ওঁ শব্দ শুনতে পাওয়া, গোরুর কুঁজে সোনা পাওয়ার গল্প শোনানো - এগুলোও ক্রোনোলজি মেনেই। মহাকাব্য রামায়ণ মহাভারতকে ইতিহাস বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চাওয়াটাও। রাম রাজ্য, আচ্ছে দিনের টোপের মুখে আপনাকে ফেলে দিয়ে, আত্মনির্ভরতার গল্প শুনিয়ে ঘটি বাটি বিক্রির বন্দোবস্ত করা। আর এই গোলোকধাঁধায় পথ হারিয়ে আপনি ভুলে যাবেন প্রশ্ন করতে যে, কেন আজ পর্যন্ত দেশে প্রায় ২৭ লাখ করোনা সংক্রমিত, কেন প্রায় ৫২ হাজার দেশবাসীর মৃত্যু হয়েছে। সব তো ২১ দিনে নিয়ন্ত্রণে আসার কথা ছিল। আপনি নিজেই গুলিয়ে ফেলবেন ৫ আগস্টের মাহাত্ম্য বেশি নাকি ১৫ আগস্টের? দেশবাসীর কাছে স্বাধীনতা আন্দোলন নাকি রাম মন্দিরের ভূমিপুজো কোন্টা বেশি গুরুত্বপূর্ণ!
গত ১৬ আগস্ট এক ওয়েব বক্তৃতায় সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন - প্রধানমন্ত্রী রাম জন্মভূমি আন্দোলনকে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করছেন। গুলিয়ে দিতে চাইছেন। স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল দেশের একতার জন্য, ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির জন্য। কিন্তু এখন মেরুকরণ, বিদ্বেষ এবং হিংসা দেখছে দেশ। সংবিধানের স্তম্ভগুলো আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে।… প্রধানমন্ত্রী নতুন ভারতের যে পরিভাষা সামনে আনতে চাইছেন তা ভয়ঙ্কর। প্রধানমন্ত্রী বলতে চাইছেন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের কোনো ভূমিকা নেই। যার কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই।
১৯৩৪-এর পর ১৯৪৫ আসতে সময় নিয়েছিল মাত্র ১১ বছর। পৃথিবী ওলটপালট হয়ে গেছিল ওই ১১ বছরে। অনেকে বলেন মহামারী নাকি ১০০ বছর পর পর ফিরে আসে। বামপন্থীরা বলে মুনাফার লোভ লাগামছাড়া হলে সেই ফাঁক দিয়ে মহামারী ঢুকে পড়ে। রবীন্দ্রনাথ তো কবেই লিখে গেছেন - “শনি তো ছিদ্র না পাইলে প্রবেশ করিতে পারে না; অতএব শনির চেয়ে ছিদ্র সম্বন্ধেই সাবধান হইতে হইবে।…” মহামারীর ১০০ বছরে ফিরে আসার মতো, ৮০ বছর পর কোনো কিছু ফের ফিরে আসে কিনা জানা নেই। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীজুড়ে দক্ষিণপন্থীদের উল্কা গতির উত্থান ঘিরে এ ধরনের একটা গবেষণা বোধহয় করা যেতেই পারে। ইতিহাস তো কখনোই থেমে থাকেনা। বামপন্থীরাও না। কাজেই ২০১৪-র পর…?