৫৯ বর্ষ ২৩ সংখ্যা / ২১ জানুয়ারি, ২০২২ / ৭ মাঘ, ১৪২৮
গবেষণায় ইতিঃ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মৃত্যুঘণ্টা
তপন মিশ্র
ধীরে ধীরে গবেষণার সমস্ত দরজা বন্ধ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণাকে আলাদা করে না দেখার যে প্রক্রিয়া স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের দেশে শুরু হয়, সেই প্রক্রিয়ায় ইতি টানছে এই সরকার। এমনটা নয় যে, সরকার প্রকাশ্যে এই গবেষণা বন্ধের যুক্তি খাঁড়া করছে। বরং ধীরে ধীরে আর্থিক অনুমোদন কমিয়ে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে শুকিয়ে মারছে সরকার। বিশ্বজুড়ে উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে। তা যদি না হতো, করোনা রোগের টিকার আবিষ্কার হতো না। বিশ্বে যত ধরনের করোনা টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে তার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কোনো না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যুক্ত। অবশ্য আমাদের দেশে খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের উচ্চমানের গবেষণার সুযোগ রয়েছে। এতো বাধা সত্ত্বেও আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ স্তরে প্রকৃতিবিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞানের গবেষণা যে হয় সে কথা অস্বীকার করা যাবে না।
পর্যায়ক্রমে অপসারণ
ইতিমধ্যে ২০১৮-১৯ সালে যে যে গবেষণা কর্মসুচি বন্ধ করেছে সরকার তার মধ্যে আছে - এমিরেটাস ফেলোশিপ, ডক্টর রাধাকৃষ্ণন পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ (কেবল সমাজবিজ্ঞানের গবেষকদের জন্য), মহিলাদের এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ। প্রবীণ শিক্ষক গবেষক, যাঁদের দীর্ঘদিনের মূল্যবান গবেষণার অভিজ্ঞতা আছে, তরুণ অধ্যাপক এবং ছাত্রদের সেই অভিজ্ঞতায় সম্পৃক্ত করার জন্য প্রথম দুটি ফেলোশিপের ব্যবস্থা ছিল। কেবল যাঁরা আন্তর্জাতিক এবং জাতীয়স্তরে গবেষণায় সাফল্য পেয়েছেন তাঁদের এই ফেলোশিপ দেওয়া হতো। তৃতীয় এবং চতুর্থটি অবশ্য যাঁরা কম সুযোগ পান তাঁদের জন্য ছিল বিশেষ ব্যবস্থা। সামাজিক বৈষম্য যতদিন থাকবে ততদিন এই ব্যবস্থাগুলি না থাকলে দুর্বল অংশের মানুষের মধ্যে গবেষণার জন্য উৎসাহ দেওয়া যাবে না।
ভারত সরকার ১৯৫৬ সালে বিধিবদ্ধভাবে, নবকলেবরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গঠন করে। এদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অনুমোদন, মান নির্ণয় করা ও বজায় রাখা, মানোন্নয়ন করা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে গবেষণায় উৎসাহিত করা ইত্যাদি লক্ষ্য নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান পথ চলা শুরু করে। ইউজিসি যেমন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অনুমোদন দেয়, তেমনই বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিকে বিভিন্ন খাতে অর্থসাহায্যও করে। এককথায় বললে দেশের উচ্চশিক্ষার দিশা ঠিক করাই ছিল এই প্রতিষ্ঠান তৈরির আসল উদ্দেশ্য। ১৯৫৬-র অনেক আগে থেকে অর্থাৎ ১৯৪৫ সাল থেকে দেশের হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেখভালের দায়িত্ব ছিল এই সংস্থার। আইন ১৯৫৬ সালে তৈরি হলেও, ১৯৫৩ সালে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের হাত ধরে ইউজিসি’র যাত্রা শুরু। এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন শান্তিস্বরূপ ভাটনগর। শান্তিস্বরূপ ভাটনগর, হোমি জাহাঙ্গির ভাবা, প্রশান্ত মহলানবিশ, বিক্রম সারাভাই, মেঘনাদ সাহা প্রমুখ বিজ্ঞানী দেশের স্বাধীনতার ঠিক পরে নেহরুকে আধুনিক ভারতের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলি গড়ে তুলতে সাহায্য করেন। কিন্তু স্বাধীনতার ঠিক ৭০ বছর পর থেকে এবং ৭৫ বছরের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানগুলির ধ্বংসের কাজ শুরু হয়েছে।
দেশের প্রায় সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিকাংশ কলেজে যে গবেষণা প্রকল্পগুলি অত্যন্ত জনপ্রিয় তা হলো মাইনর রিসার্চ প্রোজেক্ট এবং মেজর রিসার্চ প্রোজেক্ট বা এককথায় এমআরপি বলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে - বিজ্ঞান, ভাষা, সমাজবিজ্ঞানের যেকোনো ধারার গবেষকরা ছোটো-বড়ো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে প্রকল্প তৈরি করে জমা দেন এবং তা অভিজ্ঞ গবেষক-অধ্যাপকরা পরীক্ষা করেন। এরপর প্রকল্পের অনুমিত ব্যয় সহ গবেষণার পদ্ধতি, সিদ্ধান্ত ইত্যাদি ইউজিসি-তে জমা দিতে হয়। ২০১৫-১৬ সালে অর্থাৎ মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর কিন্তু সরাসরি শিক্ষাব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করার ঠিক আগের অবস্থায় ইউজিসি পরিচালিত এমআরপি বা ছোটো বড়ো গবেষণা প্রকল্পে খরচ করা হতো প্রায় ১০৭ কোটি টাকা এবং যুক্ত ছিলেন দেশের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রায় ২৯০০ শিক্ষক। মোদি সরকারের কুনজর পড়ার পর ধীরে ধীরে সবটাই কমতে থাকে। ২০১৬-১৭-তে এই খাতে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ২৬.২৬ কোটি টাকায় অর্থাৎ প্রায় ৪ ভাগের এক ভাগ। গবেষণার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকের সংখ্যা অর্ধেকের কম হয়ে দাঁড়ায় ১২০০। ২০১৮-১৯ সালে সারা দেশে মাত্র ৩৩৫ জন শিক্ষক গবেষণার সুযোগ পান এবং বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ছিল ১১.৪৫ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ সাল এবং তার পর ইউজিসি প্রায় সমস্ত পুরনো এবং নতুন গবেষণা প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। কেবল পুরনো কয়েকটি প্রকল্প, যে ক্ষেত্রে পূর্বের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে সেই প্রকল্প বাদ দিলে বাকি সব বন্ধ হয়ে যায়। এমনকী ২০১৯ সালে ট্রান্স-ডিসিপ্লিনারি রিসার্চ ফর ইন্ডিয়াজ ডেভেলপিং ইকনমি নামে যৌথ গবেষণা প্রকল্পের সূচনার কথা ইউজিসি ঘোষণা করে। ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়কে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করার কথা ঠিক হয়। কিন্তু অঙ্কুরেই বিনাশ হয়ে যায় এই ভাবনার। কারণ সরকার এই খাতে কোনো ব্যয় বরাদ্দই করেনি।
গবেষণায় অনীহা কেন?
মৌলবাদীদের উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণায় কোনো উৎসাহ নেই বরং অনীহা সীমাহীন। এই সরকার চায় যে, উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণা যতই কম হবে, ততটাই তাদের পক্ষে মঙ্গল। মানুষের অনুসন্ধিৎসা মন যেন সবকিছু জানার চেষ্টা না করে। শিল্পবিপ্লবোত্তর ইয়োরোপে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা পুনরায় বিকশিত হতে শুরু করে। তখনও আমাদের দেশে মধ্যযুগের অন্ধকার কাটেনি। ব্রিটিশ শাসকরা এদেশে নিজেদের স্বার্থে আধুনিক বিজ্ঞান চর্চার সামান্য সুযোগ তৈরি করে। তারপরেও এদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিজ্ঞানপাঠের ক্ষেত্রে আগে থেকেই অনুপযোগী পরিবেশ, বিজ্ঞানকে উপেক্ষা করে প্রযুক্তির প্রতি মাত্রাতিরিক্ত পক্ষপাত, দক্ষ শিক্ষকের অভাব, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব ইত্যাদি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞানবিমুখ করে তুলছে। এই বৈষম্য রয়েছে বিদ্যালয় স্তর থেকে। ২০১৪-র পর এই প্রবণতা যেন আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
উচ্চশিক্ষার সঙ্গে গবেষণা যুক্ত করার পেছনে কয়েকটি উদ্দেশ্য পৃথিবীজুড়ে আমরা দেখি। প্রথমত, শিক্ষকদের এককভাবে গবেষণার ধাপগুলি সম্পর্কে অবহিত হওয়া। প্রকৃতিবিজ্ঞান বা সমাজবিজ্ঞান উভয় ক্ষেত্রেই গবেষণার ধাপগুলি সম্পর্কে অবহিত থাকার অর্থ হলো যুক্তিবাদী পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন থাকা। দ্বিতীয়ত, জ্ঞানের যে নিত্যনতুন আবিষ্কার ঘটছে, উচ্চশিক্ষায় তা যেন স্থান পায়, তা সুনিশ্চিত করা। জ্ঞান একটা স্তর পর্যন্ত মৌলিক (basic) থাকে। তারপর নতুন উপাদান যুক্ত হতে থাকে। কিছু সময় পর পর উচ্চশিক্ষায় এই উপাদানগুলি যুক্ত করা জরুরি হয়ে পড়ে। গবেষণার মানসিকতা না থাকলে এই সময়ান্তরে শিক্ষাব্যবস্থার সমৃদ্ধিকরণ সম্ভব হতো না। তৃতীয়ত, গবেষণায় নেতৃত্বদানও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ধরনের স্বাধীনভাবে গবেষণা প্রকল্পের মধ্যদিয়ে নেতৃত্বদানের অভ্যাস তৈরি হয়, আমাদের দেশে যার অভাব লক্ষণীয়।
বৈদিক বিজ্ঞানের চর্চা, রামায়ণ-মহাভারতের কল্পকথার মধ্যে উন্নত প্রযুক্তির সন্ধান ইত্যাদি করতে গেলে বিজ্ঞান নয় অপবিজ্ঞানের চর্চা করতে হয়। সিন্ধু সভ্যতাকে বৈদিক সভ্যতার অংশ হিসাবে দেখানোর উদ্দেশ্য হলো আর্যদের অভিপ্রয়াণের তত্ত্বকে খারিজ করা। আধুনিক বিজ্ঞানের গবেষণা বন্ধ করা না গেলে এই ধরনের অপবিজ্ঞানের চর্চার অর্থ ও জায়গা তৈরি করা যাবে না।
এত বাধা সত্ত্বেও উচ্চশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছাত্রছাত্রীদের যে গবেষণার চাহিদা কমেনি তা বোঝা যায় ইউজিসি’র দেওয়া এক তথ্য থেকে। ২০১৯ সালে গবেষণার মানোন্নয়ন সংক্রান্ত এই রিপোর্টে (Improving the Quality of Research by Faculty and Creation of New Knowledge and Strategies for Improving Research Culture in Colleges/Universities) ইউজিসি লিখছে যেঃ ২০১০-১১-র তুলনায় ২০১৭-১৮-তে পিএইচডি গবেষণায় নথিভুক্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এখানে সরকারের কোনো বাহাদুরি নেই। কারণ, এখানে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে বিষয়টা তা নয়।
সিএসআইআর-ও সংকটে
দেশের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) একটি সর্বভারতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কাজ করে অর্থাৎ উচ্চশিক্ষায় পিএইচডি ডিগ্রিও দেয়। ২০১৫ সালে সিএসআইআর-এর সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে বলে দেওয়া হয় যে, গবেষণার অর্ধেক অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই অর্থ তাদের তুলতে হবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির চাহিদামতো গবেষণার মধ্য দিয়ে। অর্থাৎ সরকারি পরিকাঠামো ও গবেষকদের ব্যবহার করে সামান্য অর্থের বিনিময়ে বেসরকারি কর্পোরেটদের স্বার্থ সিদ্ধি করতে হবে। ইতিমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের সমস্ত গবেষণাগারের আর্থিক অনুদান কাটছাঁট হয়ে গেছে।
কোভিড গবেষণা
করোনা গবেষণার খবর খুব একটা প্রচার পায়নি। মাননীয় সুপ্রিম কোর্টে ভারত সরকার হলফনামা দিয়ে বলেছেঃ “...no Governmental aid, assistance or grant was given for the research or development of Covid-19 vaccines Covishield or Covaxin even though the former is manufactured in the country by the Serum Institute of India (SII) and the latter was indigenously developed by Bharat Biotech in the collaboration with the Indian Council of Medical Research (ICMR)”। এই স্বীকারোক্তির পর আমাদের ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র গৌরবে গর্ববোধ হবে তো? সরকার খরচ করেনি মানেই, বিনিয়োগ এসেছে বেসরকারি সংস্থা থেকে। ফলে সন্দেহ নেই যে, যদি অর্থের বিনিময়ে টিকা নিই তাহলে সরাসরি এবং বিনামূল্যে হলে সরকারকে দেওয়া আমাদের করের টাকা থেকে সেই বেসরকারি সংস্থা মুনাফা লুটেছে।
তাহলে টিকার জন্য সরকারের অনুমোদিত ৯০০ কোটি টাকা কোথায় খরচ হলো। সরকার বলছে যে, কোভিসিল্ড এবং কোভাক্সিন এই দুটি টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল এবং টিকার উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকাঠামোর জন্য মূলত এই অর্থ খরচ হয়েছে, গবেষণার জন্য নয়। এই কাজ বিনিয়োগকারীদের করার কথা। আমাদের মনে থাকার কথা যে, কোভিসিল্ড অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং আস্ট্রাজেনিকা নামে একটি ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে। কোভাক্সিন-কে দেশীয় টিকা হিসাবে দাবি করে বলা হয়েছে - ‘ভারত বায়োটেক’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা এবং আইসিএমআর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ) যৌথ উদ্যোগে এই টিকা তৈরি করেছে। এখানে আইসিএমআরে’র অংশিদারিত্ব এবং রয়ালটি মাত্র ৫ শতাংশ। এই টিকার সমস্ত বিষয়টা এখনও অনেকটাই অস্পষ্ট। এই টিকার একটি অংশ (adjuvant) একটি আমেরিকার কোম্পানির। অর্থাৎ যা দেশীয় বলে দাবি করা হচ্ছে তা কতটা দেশীয় তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
ভারতের কোভিড টিকার গবেষণা সংক্রান্ত খবর দিতে গিয়ে গত ২০২১ সালের মার্চ মাসে ‘Nature’ পত্রিকা লিখছেঃ “At 0.7% of its gross domestic product in 2017–18, India spends less on science than comparable emerging economies, such as Brazil and China.”। - এই লেখা থেকেই বোঝা যায়, বর্তমানে এদেশে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার ভবিষ্যৎ কী!