৬০ বর্ষ ১০ সংখ্যা / ২১ অক্টোবর, ২০২২ / ৩ কার্ত্তিক, ১৪২৯
নয়া-ফ্যাসিবাদের উত্থান রুখে দেশরক্ষাই আজকের কাজ
পার্টি প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ
প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে পার্টি প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রাখছেন মহম্মদ সেলিম।
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সংবিধানের বুনিয়াদি স্তম্ভগুলিই এখন আক্রান্ত। ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র থেকে ফ্যাসিবাদী হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি করতে এগোচ্ছে বিজেপি। রুখতে হবে বিজেপি-আরএসএস-কে। রাজ্যে রাজ্যে বিজেপি বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনে পরাস্ত করতে হবে বিজেপি-কে। তাই বামপন্থী আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে সবার আগে সিপিআই(এম)-কে শক্তিশালী করতে হবে। শিক্ষা নিতে হবে ইতিহাস থেকে। ১৭ অক্টোবর কলকাতার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির ১০৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে ‘আজকের ভারত - আমাদের কাজ’ শীর্ষক আলোচনায় একথা বলেন নেতৃবৃন্দ।
এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য সূর্য মিশ্র। সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং রাজ্য কমিটির সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা বিমান বসু সহ পার্টির রাজ্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্য রাখছেন সূর্য মিশ্র। মঞ্চে সীতারাম ইয়েচুরি, বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম সহ নেতৃবৃন্দ।
সভায় সূর্য মিশ্র পৃথিবীর দেশে দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থানের বিভিন্ন পর্যায় এবং দেশে বর্তমানে কর্পোরেট এবং হিন্দুত্বের আঁতাত সম্পর্কে বলেন, পৃথিবীর সমস্ত দেশেই এখন ফ্যাসিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। ইতালীয় ফ্যাসিবাদ তার সংজ্ঞায় প্রথম কর্পোরেট এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থা এক হয়ে যাওয়ার কথা বলে। দক্ষিণপন্থার নানা রকম নাম। বিভিন্ন মহাদেশে এবং দেশে দেশে নাম বদলায় দক্ষিণপন্থা। সাধারণভাবে এই পরিস্থিতিকে নয়া ফ্যাসিবাদ ও তার উত্থান বলে কেউ কেউ অভিহিত করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারা পৃথিবীতে এই পরিস্থিতি দেখা যায়নি। স্বাধীনতার পর আমাদের দেশে এইরকম পরিস্থিতি আগে কখনো দেখিনি। ইতালিতে ফ্যাসিবাদের প্রথম উত্থান হয়, যেখানে হিন্দুত্ববাদী নেতা মুঞ্জে গিয়েছিলেন ফ্যাসিবাদের বিস্তারিত রূপ দেখতে। আমাদের দেশে ফ্যাসিবাদ কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়।
ব্রিটিশ শাসনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেমস মিল তার ব্রিটিশ রুল ইন ইন্ডিয়া বইতে ভারতের শাসনের বিষয়ে এক হাজার বছরের হিন্দু রাজাদের সাম্রাজ্য সম্পর্কে বলেছেন রাজারা ছিলেন অত্যাচারী। তিনি অবশ্য সেই বইয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের তৈরি সাম্প্রদায়িক বিভাজনের কথা বলেননি। যে বিভাজন ১৮৫৭ সালে কাজে লাগেনি, এটা আমরা পরে বুঝতে পেরেছি। সব জায়গায়ই এটা কাজ করে।
তিনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদ বর্তমান পর্যায়ে যে স্তরে পৌঁছেছে সেখানে সংকট অনিবার্য। লুটই একমাত্র রাস্তা। লুটেরা পুঁজিবাদ এখানে জায়গা করে নিয়েছে। নয়া ফ্যাসিবাদ তাকে যে নামেই ডাকা হোক বিশ্বজুড়ে তার উত্থানের বিরুদ্ধে যে লড়াই আমাদের দেশের লড়াই, রাজ্যের লড়াই সেটা করবার জন্য আমরা সমস্ত শক্তি যোগ করব এটাই হোক আজকের এই পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবসের শপথ।
সভায় মহম্মদ সেলিম বলেন, আগামী নভেম্বর মাস জুড়ে পশ্চিমবঙ্গকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে প্রতিটি জায়গায় লাল ঝান্ডা পৌঁছাবে। যা এ রাজ্যে চলছে তা চলতে দেওয়া যাবে না। আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে, আমরা এই অবস্থা চলতে দেব না। শক্ত মাটিতে পা রেখে মাথা উঁচু করে মতাদর্শে শানিত হয়ে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল যে ইতিহাস আছে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিদিনকার আন্দোলন সংগ্রামে থাকতে হবে। তবেই পঞ্চায়েত যাদের জন্য, সেই মানুষের কাছে পঞ্চায়েত আমরা ফিরিয়ে দিতে পারব।
তিনি পার্টি প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, অনেক ঘাম রক্ত ঝরিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে কিছু মানুষ একটা আদর্শের ভিত্তিতে শ্রমজীবী মানুষের শোষণ মুক্ত সমাজ তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। তাসখন্দে মহম্মদ শফিক সিদ্দিকী যখন প্রথম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তারপর থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র মামলা হয়। অনেককে জেলে যেতে হয়েছে, দ্বীপান্তরে যেতে হয়েছে। পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি দেশের বর্তমান সংকট থেকে পরিত্রাণের প্রশ্নে বলেন, প্রান্তিক ও গরিব খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থা এবং দেশের দিশা পরিবর্তন করতে কমিউনিস্টদের একটা ভূমিকা আছে। ১০০ বছর আগে আমাদের পূর্বজ মহান নেতারা রাজ্যের, দেশের সংকটের প্রেক্ষিতে বামপন্থী লড়াই আন্দোলন তীব্র করেছেন। আজ দেশের মানুষ, রাজ্যের মানুষ আমাদের কাছে তেমনি ভূমিকা আশা করছেন। আমরা পার্টির রাজ্য সম্মেলন থেকে সিদ্ধান্ত করেছিলাম ছয় মাস আমরা লড়াই আন্দোলনের কর্মসূচি কীভাবে রূপায়িত, বাস্তবায়িত করব। সেই আন্দোলন সংগ্রামের রিপোর্ট আমরা বিশ্লেষণ করব। মানুষ দেখছেন সেসব। তাদের আস্থা, ভরসা, আশা-আকাঙ্ক্ষা বাড়ছে। কিন্তু আত্মসন্তুষ্টির কোনও জায়গা নেই, করণীয় রয়েছে অনেক কিছু। প্রতিদিন পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে।
মহম্মদ সেলিম বিজেপি’র সাম্প্রতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে বলেন, আমরা কলকাতায় রবীন্দ্রনাথের প্রদর্শিত পথে সম্প্রীতির লক্ষ্যে রাখিবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি, অথচ যারা ৫০০ বছর, ৫ হাজার বছর আগে কোথায় কোন মন্দিরের মসজিদের নিচে কী আছে খুঁজে বার করছে, তারা ১০০ বছর আগের সম্প্রীতির ইতিহাসের খবর রাখেন না, স্বদেশি আন্দোলন, বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন স্মরণ করেন না। কমিউনিস্টদের ইতিহাসের সেই স্বর্ণিল অধ্যায় খুঁজে বার করতে হবে যা আমাদের আন্দোলনকে আরও বেশি শান দিতে সাহায্য করে।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে একটা মূল্যবোধ ছিল কিন্তু তৃণমূল আসার পর থেকে যা দাঁড়ালো ‘লেগে পড়ো, ভেগে পড়ো - বিক্রি হয়ে যাও।’ এখানেই কমিউনিস্ট পার্টির সামনে চ্যালেঞ্জ - মতাদর্শের লড়াইকে আরও তীব্র করতে হবে। এখানে স্কুল বন্ধ করা হচ্ছে, লাইব্রেরি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তাই যেমন আমাদের পাঠচক্র, আত্মপাঠ দরকার, তেমন মানুষকেও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। একশ্রেণির বুদ্ধিজীবীর জন্য পশ্চিমবঙ্গের এই মুহূর্তে কোনো সিভিল সোসাইটির আন্দোলন নেই। সাহিত্য সংস্কৃতি, কলকারখানা, কৃষি যেমন ধ্বংস করা হচ্ছে, তেমনই স্বাধীন চিন্তা, মত সেগুলিকেও ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছে। বামপন্থীদের মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগাতে বলা হয়েছিল। আমাদের বিরুদ্ধে বহু মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের কমরেডরা শহিদ হয়েছেন, ঘরছাড়া হয়েছেন।
তিনি বলেন, এখানে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে সাহায্য করার জন্য যে নকল যুদ্ধ করা হচ্ছে সেই লড়াইটাকে মাথায় রাখতে হবে। প্রতিদিন ধর্মীয় আবেগ, উৎসব তৈরি করে ধর্মীয় তিথি প্রতীককে ব্যবহার করে আসলে মানুষকে ভাগ করার চেষ্টা হচ্ছে, এসব সবসময়ই হয়েছে। ইতিহাসে আছে, গ্রিক রোমান ইত্যাদি বহু দেবদেবী ছিলেন যাদের এখন আর কেউ পুজো করে না। মার্কস প্রথম তাঁর লেখায় বলেছিলেন রাজা সাম্রাজ্য বজায় রাখার জন্য ধর্মমত, ধর্ম বিশ্বাসকে জিইয়ে রাখেন। যখন সাম্রাজ্য চলে যায় তখন তার দেবদেবীরাও চলে যায়। নতুন দেবদেবীর উত্থান হয়। এভাবেই বিবর্তন হয়েছে। তাই যারা এসব উৎসব, কার্নিভাল করেন, তারা জানেন যে ধর্মটা যদি বাঁচে তবেই তারা বাঁচবেন।
তিনি বলেন, আজকে বেকার ছেলেমেয়েরা ধরনা দিয়ে বসে আছে। তাদের মধ্যেও গোষ্ঠী বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বলেছি তোমরা ঐক্যবদ্ধ থাক, আমরা তোমাদের পাশে আছি। কোর্ট নির্দেশিত তদন্তে এতো টাকা উদ্ধার হলো, তার কারণ আইন আদালতের মধ্যে দাঁড়িয়ে লড়াইটা হয়েছে বলে। আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের চাপটাকেও বজায় রাখতে হবে, বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, এবার গ্রামকেন্দ্রিক সন্ত্রাস হয়েছে। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন, তারা অনেকেই ঘরে ফিরেছেন। আজকে যে আমরা বাড়তি শক্তি বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে লড়াই করছি তাতে এই অংশের মানুষ এসে যুক্ত হয়েছেন, আরও হবেন। অক্টোবর মাসে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমাদের শক্তিকে সংহত করব। আমাদের কাছ থেকে একটু নড়ে যাওয়া, চলে যাওয়া সরে যাওয়া অংশকে জড়ো করতে হবে। সবাইকে নেওয়া যাবে না। যারা শত্রুপক্ষের হয়ে বামপন্থা, মার্কসবাদকে অপমান করেছেন, আমাদের শ্রেণিকে অপমান করেছেন, আমাদের শহিদদের অপমান করেছেন তাদের কোনও ক্ষমা নেই। যদি সে কথা কেউ বলে, তবে সালকু সরেনের লাশটাকে মনে রাখতে হবে। বৃত্তকে বড়ো করতে বলছি। সেখানে আমাদের নীতি আদর্শ লড়াই সংগ্রাম তার প্রতি বিশ্বস্ততা, বিশ্বাসযোগ্যতার যেন ঘাটতি না হয়। বেশি উদার হলেও চলবে না, বেশি সংকীর্ণ হলেও চলবে না। এটাই মার্কসবাদের শিক্ষা - আমাদের মাথায় রাখতে হবে। এজন্যই আমরা ‘মার্কসবাদী পথ’-এর ওয়েবসাইট তৈরি করলাম।
তিনি বলেন, আমাদের পত্রপত্রিকায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু নতুন লেখক লিখছেন। আমাদের আরও অনেক বিষয়ের উপর আলোকপাত করতে হবে। আবার দলের বাইরেও এমন অনেক মার্কসবাদী আছেন যাদের সঙ্গে সামান্য মতভেদ আছে, যাঁরা চান রাজ্যটা বাঁচুক আমরা তাঁদেরও বলেছি লেখার কথা।
তিনি বলেন, আমরা আরও সুচারুভাবে, পরিশীলিতভাবে, পরিমার্জিতভাবে পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থী আন্দোলন তৈরি করতে চাইছি। সেটা সিপিআই(এম)-কে শক্তিশালী না করলে হবে না। এটা আমাদের বামপন্থী বন্ধুদেরও বুঝতে হবে। এমনকী আমাদের বামফ্রন্টের দলগুলিকেও বুঝতে হবে যে, সিপিআই(এম)-কে গালাগাল দিয়ে খবর হওয়া যায়, নবান্নের কাছাকাছি যাওয়া যায়, তাতে বামপন্থা মজবুত হয় না। আমরা চাই বাম ঐক্য আরও দৃঢ় হোক। গঠনমূলক বিতর্ক হতে পারে, বিতণ্ডা নয়। বামফ্রন্টের বাইরে থাকা ব্যক্তি গোষ্ঠী দল তাদেরকেও সঙ্গে নিতে চাই কারণ লড়াইটা পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচানোর, দেশকে বাঁচানোর।
তিনি বলেন, বড়ো চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে। পঞ্চায়েত নির্বাচন। আমাদের রাজ্যে গর্বের পঞ্চায়েত তৈরি হয়েছিল। গোটা দেশ তার সাক্ষী। আজকে পঞ্চায়েত লুটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। দুর্নীতি আর দুষ্কৃতীর মিলন না হলে এটা সম্ভব নয়। দুষ্কৃতী এবং দুর্জনদের দাপটে যে সমস্ত গুণী এবং সজ্জন মানুষ সন্ত্রাসের মুখে সরে গিয়েছেন তাদেরকে আবার সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। এই লড়াইয়ে শামিল করতে হবে। পঞ্চায়েত যাদের জন্য, তাদের কাছে আমরা ফিরিয়ে দিতে পারব। সেই অঙ্গীকার আমাদের নিতে হবে। এজন্য আমরা ‘নজরে পঞ্চায়েত’ করেছিলাম। হাজারে হাজারে অভিযোগ আসত। আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি যত মিথ্যা মামলায় বন্দি আছে তাদের সবার মুক্তি আমরা চাই। শুধু সিপিআই(এম)-র নয়।
প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জমায়েত হচ্ছে, এবং সেটা বাড়ছে। নভেম্বর মাসে আমরা নতুন উদ্যমে ভূমি স্তরে গ্রাম বাংলার প্রান্তিক মানুষ গরিব খেটে খাওয়া মানুষ কাজ পাচ্ছেন না, পরিযায়ী শ্রমিক এমন মানুষের কাছে যেতে চাই। আমরা বিকেন্দ্রীকরণ করেছিলাম, নগরায়ণ করেছিলাম। তার জন্য বিভিন্ন কেন্দ্রের পুনর্ববিন্যাস হয়েছিল, আর আজ অভাবের তাড়নায় মানুষ আবার কলকাতায় এসে ডেরা বাঁধছেন। কাজের সন্ধানে, বেঁচে থাকার সন্ধানে।
আগামী নভেম্বর মাস জুড়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জায়গায় লাল ঝান্ডা পৌঁছবে। সন্ত্রাসমুক্ত করব পশ্চিমবঙ্গকে। নভেম্বর ডিসেম্বর মাস জুড়ে আমরা এ কাজ করব। তারপর আমরা আমাদের শক্তির পুনর্মূল্যায়ন করব। এ রাজ্যে যা চলছে তা চলতে দেওয়া যাবে না। আজকে আমাদের এই শপথ নিতে হবে।