E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ১০ সংখ্যা / ২১ অক্টোবর, ২০২২ / ৩ কার্ত্তিক, ১৪২৯

রাজ্যে সরকারি শিক্ষাব্যবস্থায় অপরিসীম দুর্নীতি অন্ধকার ডেকে আনছে - সজাগ হতে হবে জনগণকেই

সামিম আহমেদ


অন্ধকার মুক্ত সমাজ গড়তে গেলে শিক্ষার প্রয়োজন। ছেলেবেলা থেকে জেনে এসেছি শিক্ষা মানুষকে তার অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে। আনে মূল্যবোধ। একজন শিক্ষকের দায়িত্ব আগামী প্রজন্মকে গড়ে তোলা। সংবাদ মাধ্যম তথা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আজ প্রায় সকলেই জানেন শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগের অপরিসীম দুর্নীতির কথা। কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে এই দুর্নীতিতে যুক্ত আমলারা। মূল্যবোধহীন শিক্ষিত সমাজের কিছু অসৎ মানুষের কারণে বাংলার মানুষের সম্মান ভূলুণ্ঠিত হয়েছে সারা দেশের মানুষের কাছে।

আমাদের দেশের সাংবিধানিক পরিকাঠামোতে রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে যদিও পলিটিক্যাল এক্সিকিউটিভরাই মূল ভূমিকা নেন তবে আইনি পরিধির মধ্যে তা প্রয়োগের দায় পার্মানেন্ট এক্সিকিউটিভদের। জনবিরোধী নীতি প্রয়োগ করলে পাঁচ বছর অন্তর ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে যেকোনো পলিটিক্যাল এক্সিকিউটিভকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে সাধারণ মানুষ, যা কিনা সিভিল সার্ভেন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। দক্ষ ও নির্ভীক সিভিল সার্ভেন্টটি পারে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে। তাই যোগ্যতার নিরিখে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের নিযুক্তি প্রয়োজন। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রেখে স্বচ্ছ নিয়োগকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতো স্বাশাসিত সংস্থাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তেমনি উচ্চ প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের জন্য ১৯৯৭ সালে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তৈরি হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের মতো স্বশাসিত সংস্থা। একইভাবে ২০১৬ সালে বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশনকে দেওয়া হয় প্রাইমারি স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের দায়ভার।

সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যেমন আইনের প্রয়োজন তেমনই আমাদের এই ব্যবস্থাপনায় সেই আইনকে কার্যকর করার জন্য উপযুক্ত পরিচালকের প্রয়োজন। রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিচালনার দায়ভার যেসব মন্ত্রী বা আমলাদের তারা যখন অসৎ হয় দুর্নীতি তখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেয়। সেই দুর্নীতি যে কী ভয়াবহ রূপ নিতে পারে তা আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে বিগত দিনগুলিতে পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যালয়ে নিয়োগের দুর্নীতির ঘটনাগুলি থেকে। লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ করা হয়েছে অযোগ্য প্রার্থীকে বা অপেক্ষাকৃত কম যোগ্য প্রার্থীকে। মানা হয়নি এনসিটিই দ্বারা প্রদত্ত ন্যূনতম যোগ্যতার আইনকেও। এমনকী নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরও নিয়োগ করা হয়েছে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী পদে।

দুর্নীতির কারণে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকুরি মেলেনি ওদের, তাই হাজার হাজার প্রতারিত যোগ্য প্রার্থীরা আজ ৫৭০ দিনেরও বেশি দিন ধরে অবস্থানরত গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। দাবি দুর্নীতি মুক্ত নিয়োগের। অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাতিল করতে হবে এবং তাদেরকে নিয়োগ করতে হবে। বছরের পর বছর ঘুরে গেছে, কর্ণপাত করেনি দুর্নীতিবাজরা। করার কথাও নয়। বিচার মেলেনি ওদের, প্রতিবাদ করার দায়ে মিলেছে পুলিশের লাঠি। ওদের কণ্ঠরোধ করতে পারেনি রাষ্ট্রশক্তি। তাই গ্রীষ্মের তাপদাহ থেকে শুরু করে ঝড় বৃষ্টির ভয়াবহতার মধ্যেও ওরা আজ রাস্তায়। যতদিন গেছে ওদের আওয়াজ আরও শানিত হয়েছে।

লড়াই চলেছে রাস্তায় ও আদালতে। বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রেখেছে ওরা। মামলা চলাকালীন উঠে আসে বহুবিধ দুর্নীতির বিষয়। দুর্নীতির বিবরণী এতটাই দীর্ঘ যা সম্পূর্ণরূপে এই লেখনীর মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করা কঠিন। ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এই তদন্ত প্রক্রিয়া চলবে আদালতের তত্ত্বাবধানে। যে সমস্ত দুর্নীতির বিষয় আদালত তার নির্দেশে উল্লেখ করেছেন তার কয়েকটি উদাহরণ নিম্নরূপঃ

(১) মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে নিম্ন যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি (প্রাপ্ত নম্বর ৮৭) চাকুরি পেলেও তাদেরকে (প্রাপ্ত নম্বর ৮৭ থেকে বেশি) চাকুরি দেওয়া হয়নি এই অভিযোগে মামলা চলাকালীন আদালতের প্রশ্নের উত্তরে তৎকালীন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান নির্দিষ্টভাবে জানান তিনি এমন কোনো সুপারিশ পত্রে সই করেননি। আদালতের প্রশ্নের উত্তরে কমিশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মী সমরজিৎ আচার্য জানান, উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহার নির্দেশেই সুপারিশপত্র জারি করা হয়। প্রশ্নের উত্তরে সমরজিৎ আচার্য এও জানান যে, রাজ্য সরকার এবং চেয়ারম্যান দুজনেরই নির্দেশ ছিল উপদেষ্টার নির্দেশমতো সুপারিশ পত্র তৈরি করার। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের (শান্তিপ্রসাদ সিনহা, আহ্বায়ক উপদেষ্টা কমিটির; সমরজিৎ আচার্য, ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব; পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীর অফিস সচিব; এ কে সরকার, ডাইরেক্টর অফ স্কুল এডুকেশন; টি পাঁজা সিনিয়র ল অফিসার, শিক্ষা দপ্তর) নিয়ে গঠিত হয়েছিল এই উপদেষ্টা কমিটি।

(২) অঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকার (ওয়েটিং লিস্ট) প্রথমদিকে (Rank ২১৭) নাম থাকা সত্ত্বেও অনেক পেছনের তালিকাভুক্ত (Rank ২৭৫) প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।

(৩) শুধুমাত্র কম যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি নয়, এমন ব্যক্তিকেও নিয়োগ করা হয়েছে যাদের নাম কোনো তালিকাতেই (প্যানেল এবং ওয়েটিং লিস্ট) উল্লেখ নেই।বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে শতাধিক অশিক্ষক কর্মী।

দুর্নীতির গুরুত্বকে অনুধাবন করে এবং বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির জড়িত থাকার বিষয় বিবেচনা করে সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক। রায়ে একথা উল্লেখ করেছেন, রাজ্য সরকারের পুলিশের পক্ষে এই তদন্ত নিরপেক্ষভাবে করা সম্ভব নয়। প্রমাণাদি নষ্টের আশঙ্কায় আদালতকে তৎক্ষণাৎ স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিস কেন্দ্রীয় বাহিনীর দ্বারা সুরক্ষিত করার নির্দেশও দিয়েছেন এই আদালত। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ক তথা প্রাইমারি বোর্ডের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য বিধায়ক ও সরকারি আধিকারিকরা।

ইতিমধ্যে সিবিআই-এর পেশ করা রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, ফাঁকা ওএমআর শিট পাওয়া গেছে বেশ কিছু চাকরিরত ব্যক্তির।

অশিক্ষক কর্মীর (গ্রুপ সি) ক্ষেত্রে ৭৪৪ জনের প্যানেল থাকলেও নিয়োগ করা হয়েছে ২০৩৭ জনকে। এই সংক্রান্ত তথ্য যে হার্ডডিস্ক বা সার্ভারে আপলোড করা হয়েছে সেগুলির অসৎ উপায়ে পরিবর্তন করা হয়েছে; এমনকী যাদের নাম কোনো তালিকাতেই নেই তাদেরকেও নিয়োগ করা হয়েছে; প্যানেলের লাইভ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও নিয়োগ করা হয়েছে।

অশিক্ষক কর্মী (গ্রুপ ডি)-র ক্ষেত্রে নিয়োগ করা হয়েছে ৪৪৮৭ জনকে; হার্ডডিস্ক ও সার্ভারে তথ্য অসৎ উপায়ে পরিবর্তন করা হয়েছে; যোগ্য প্রার্থীদের তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও শতাধিক ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে একই ধারায়। একইরকম ভাবেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে সেখানে।

স্বাধীনতা-উত্তর সময়কালে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির কথা আমরা শুনেছি, কিন্তু এমন ধরনের সরকারি উদ্যোগে দুর্নীতির ঘটনা সমকালে ব্যতিক্রমী। ফলত, সেই দুর্নীতির চক্রান্তকে উদঘাটনের উদ্দেশ্যে আদালতের ভূমিকাও সমকালে ব্যতিক্রমী। ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশে খারিজ হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী সহ একাধিক বেআইনি নিয়োগ। আজকের দিনে সাধারণ মানুষ সারাদিন খেটেও যখন ন্যূনতম মজুরি পান না, তখন রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি কয়েক হাজারগুণ বেড়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে যারা এতদিন ধন্দ্বে ছিলেন, আজ তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, ঘুষের টাকাই এই ধরনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যারা নিজেদেরকে সমাজকর্মী হিসেবে দাবি করেন তাদের উপার্জনের মাধ্যম।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব তখন রাজ্যের বর্তমান সরকার মানে না সংবিধান, মানে না কোনো আইন। দেশের সর্বত্র শিক্ষার মান বজায় রাখতে এনসিটি-র মতো স্বাধীন সংস্থা নিয়োগের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের জন্য নির্দিষ্ট বিধি প্রণীত হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দুর্নীতির কাছে হার মেনেছে শিক্ষার মান। সচেতনভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার কোনো স্তরে মানা হয়নি নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিধি। একটু তলিয়ে ভাবলে বোঝা যায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার গভীর চক্রান্তে শামিল রাষ্ট্র ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা একটি অংশ। আমাদের দেশের নাগরিকের দাবি মেনে যখন সংবিধানে শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারের অংশ করা হয়েছে, তখন ঘুর পথে সেই শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে নিয়োগ করা হচ্ছে অযোগ্য শিক্ষাকর্মীকে।

দেশের নাগরিকের সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়ে এবং সংবিধানের ১৬৪(৩) ধারা মতে সংবিধানকে এবং দেশকে রক্ষা করার শপথ নিয়ে যারা শিক্ষক কেনাবেচা করেন, তারা শুধুমাত্র দেশের সংবিধানকে প্রতারিত করছেন না, বেইমানি করছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। নিয়োগ প্রক্রিয়াতে এই ধরনের অস্বচ্ছতা চলতে থাকলে এবং অযোগ্য ব্যক্তিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করলে আখেরে ভেঙে পড়বে শিক্ষা ব্যবস্থা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁরই এক নির্দেশে উল্লেখ করেছেন, ‘‘if unscrupulous persons are appointed as teachers by purchasing the teaching jobs, this court does not believe that such persons will be able to impart any moral education and build the characters of the tender aged students.’’ ঠিকই, যে শিক্ষক ঘুষ দিয়ে চাকরিতে নিযুক্ত হন তার নিজের কাছেই ছাত্রকে শেখানোর মতো মূল্যবোধই অবশিষ্ট থাকে না। স্কুলে উপযুক্ত শিক্ষক না থাকলে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে এটাই স্বাভাবিক, আর তারই সুযোগে গজিয়ে উঠবে বড়োলোকের স্কুলগুলি। এই পথে চলতে থাকলে ধীরে ধীরে সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলি অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে। সংবিধানের স্বীকৃত শিক্ষার অধিকার পরাধীন হয়েই সংবিধানের মধ্যেই আবদ্ধ থেকে যাবে।

সংবিধান ও অন্যান্য আইন মেনে তাই শুধু নীতি নির্ধারণ নয় তার সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

আগেই বলেছি শিক্ষক কেনাবেচার মতো দুর্নীতির ঘটনা ব্যতিক্রমী। দুর্নীতির বেড়াজাল ভাঙতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে আইন পেশায় যুক্ত সকলে। বিগত কয়েক বছর ধরে এক ঝাঁক বামপন্থী তরুণ আইনজীবী আদালতের প্রাঙ্গণে লড়াই করে চলেছেন যে কোনোরকম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও মানুষের অধিকারের দাবিতে। শুধুমাত্র আইন আদালত দ্বারা এই অধিকার রক্ষা করা সম্ভব নয়। এই অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখতে গেলে সাধারণ মানুষকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে, ভিক্ষা নয় স্বীকৃত অধিকারের দাবি আদায় করতে হবে রাস্তায় নেমে।