৫৯ বর্ষ ৩৬ সংখ্যা / ২২ এপ্রিল, ২০২২ / ৮ বৈশাখ, ১৪২৯
রাজ্যে মধ্যযুগীয় বর্বরতা নামিয়ে এনেছে তৃণমূল হাঁসখালির ঘটনা তার প্রমাণ
সুপ্রতীপ রায়
নদীয়া জেলা বামফ্রন্টের ডাকে রানাঘাটে মিছিল।
রাজ্যজুড়ে নৈরাজ্য চলছে। পশ্চিমবাংলায় কায়েম হয়েছে জঙ্গলের রাজত্ব। প্রতিদিন খুন ও ধর্ষণের সংখ্যা বাড়ছে। ধর্ষক ও সমাজবিরোধীদের রক্ষক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। সমাজবিরোধীরাই রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে। খুন, ধর্ষণ তৃণমূলের কার্যত রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডাতে পরিণত হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর বিধানসভার অভ্যন্তরে বিরোধী দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে বিজেপি, দেশের সরকারও চালাচ্ছে তারা। বিরোধী দল হিসাবে বিজেপি’র ভূমিকা কী? অতিসম্প্রতি হাঁসখালি ব্লকের শ্যামনগরের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সিদ্ধান্ত স্বাগত। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির জমানায় পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন ঘটনায় সিবিআই শীতঘুমে। নারীদের নিরাপত্তার প্রশ্নে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গিগত কোনো ফারাক নেই। হাথরসের ঘটনায় তার প্রমাণ। ফলে নারী নিরাপত্তা নিয়ে বিজেপি’র বক্তব্য বেমানান।
৫ এপ্রিল হাঁসখালি ব্লকে গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতে শ্যামনগর পূর্ব পাড়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সারা রাজ্যে যে ঘটনাগুলি ঘটছে তার বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। সারা রাজ্যে পরিবর্তনের জমানায় ধর্ষণ, খুন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আর এই সমস্ত কুকর্মের মদতদাতা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। ধর্ষকদের রক্ষক তৃণমূল সুপ্রিমো।
নদীয়া জেলার হাঁসখালি ব্লকে ২০০৯ সাল থেকেই তৃণমূল সন্ত্রাস নামিয়ে এনেছে। তৃণমূলের বুথ স্তর থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত সমস্ত নেতারই একটাই কর্মসূচি যে কোনো মূল্যে বিপুল সম্পদের অধিকারী হতে হবে। এই লক্ষ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত চাই বিরোধীশূন্য, বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় গোরু পাচারের উপর চাই একচেটিয়া অধিকার, থানার দালালির মোটা টাকা চাই। বলা বাহুল্য হাঁসখালি ব্লকের ৬৬টি বুথ বাংলাদেশ সীমানা লাগোয়া। তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যত সীমান্তবর্তী। সীমান্তের চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত তৃণমূলীরা। হাঁসখালি থানা, হাঁসখালি ব্লক প্রশাসন ও তৃণমূলের মধ্যে অনৈতিক জোট গড়ে উঠেছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই তার স্থান শ্মশানে বা কবরে।
২০০৯ সালে হাঁসখালি ব্লকের বগুলা কলেজ নির্বাচন ছিল। নির্বাচনের দিন বিকালবেলায় হাঁসখালি বাজারে সিপিআই (এম) হাঁসখালি জোনাল কমিটির সম্পাদক এবং সিপিআই (এম) নদীয়া জেলা কমিটির প্রাক্তন সদস্য মহাদেব মণ্ডলকে তৃণমূলী জহ্লাদবাহিনী সশস্ত্র আক্রমণ করে। তৃণমূলী আক্রমণে অবনী বিশ্বাস পঙ্গু হয়ে পড়েছেন।
হাঁসখালি ব্লকের সমবায় সমিতিগুলিতে লুটপাট চলছে। দক্ষিণপাড়া নবযুগ সমবায় সমিতির বিপুল টাকা লুট হচ্ছে। ২০০৯ সালে ওই সমবায় সমিতি নির্বাচনে বামপন্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও বোর্ড গঠনের দিন তৃণমূল বামফ্রন্টের এক নির্বাচিত সদস্যকে বোর্ড মিটিং-এ আসতে বাঁধা দেয়। এই সমবায় সমিতির ১৭ বিঘাতে একটি বড়ো পুকুর আছে। সেই পুকুরের মাছ তৃণমূলীরা বছরের পর বছর লুটপাট করে চলেছে।
হাঁসখালি থানার পুলিশ ২০১১ সালে তৃণমূল সরকারে আসার পর সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার নামিয়ে এনেছে। ২০১১ সালের ৭ অক্টোবর দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রার উপর গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে নিহত হন বগুলা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কৈখালি গ্রামের গৃহবধু রাজেশ্বরী মল্লিক।
২০১১-র নির্বাচনের পর হাঁসখালি থানা এলাকায় তৃণমূলীরা পাট্টা প্রাপকদের জমি কেড়ে নিতে থাকে। তোলাবাজদের দাপট বাড়তে থাকে। ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে চলে ব্যাপক সন্ত্রাস। সন্ত্রাস চালানোর পরও তৃণমূল নিশ্চিত ছিল না পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতগুলি তারা জিতবে। তাই গণনার আগের দিন রাত থেকেই সশস্ত্র খুনীদের হাঁসখালিতে জড়ো করে তৃণমূলীরা। গণনার দিন ভোরবেলায় সিপিআই (এম)-র গণনা প্রতিনিধিদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায় তৃণমূল। রক্তাক্ত অবস্থায় গণনা প্রতিনিধিরা গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করলেও প্রশাসনের সহায়তায় তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়া হয়।
মামজোয়ান গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিআই(এম) সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও বোর্ড গঠনের দিন মামজোয়ানে তৃণমূল সশস্ত্র হামলা চালায়। তৃণমূলীদের ছোড়া গুলিতে মামজোয়ান অঞ্চলের সিপিআই(এম) নেতা বিপ্লব বিশ্বাসের বাঁ পা পঙ্গু হয়ে গেছে। পার্টির মামজোয়ান শাখার সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাসকে অপহরণ করা হয়। ২০১৩-১৮ এই পর্বে পঞ্চায়েত সমিতির দপ্তরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বিরোধী দলনেতা মিলন শিকদারকে। ১০০ দিনের কাজের সময় বুথ পিছু একজন করে লেবারের টাকা ব্লক তৃণমূলের নেতার বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হয় পঞ্চায়তের কর্মচারীদের। হাঁসখালি ব্লক এলাকায় প্রায় ৩০০ বুথ। ১০০ দিনের কাজ যখন হয় তখন প্রতিদিন প্রায় ৩০০ জন লেবারের টাকা ব্লক তৃণমূলের নেতার বাড়িতে পৌঁছে যায় ব্লক প্রশাসনের সহায়তায়।
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনার পরের দিন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে বগুলা কলেজ পাড়াতে। বগুলা কলেজ পাড়ার এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। আহত হন ঝর্না রায়। সেই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার কারণ এখনও মানুষ জানেন না। পুলিশ ধর্ষণকারীদের রক্ষা করেছে। ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাতে বগুলা বাজারে মাধবচন্দ্র বিশ্বাসকে খুন করা হয়। এই খুনের সঙ্গে যুক্ত একজনকে পুলিশ ধরেনি।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোট গণনার দিন বিকালে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে বেতনা-গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভৈরবচন্দ্রপুর হঠাৎ পাড়ায়। তৃণমূলের বিজয় মিছিলেই তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে প্রবল মারামারি। বোমা, পিস্তল সহ অত্যাধুনিক অস্ত্র এই সময় ব্যবহৃত হয়। প্রাণভয়ে গুরুপদ বিশ্বাসের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেকে। পুলিশের সামনেই তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী গুরুপদ বিশ্বাসের বাড়ি আক্রমণ করে। পুলিশের উপস্থিতিতে মারাত্মক জখম হন শ্যামল বিশ্বাস, গুরুপদ বিশ্বাস। পরে শ্যামল বিশ্বাস মারা যান।
২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর ছিল ‘ভারত বন্ধ’। বাদকুল্লায় বন্ধ ছিল সফল ও সর্বাত্মক। এটা হাঁসখালি থানা এলাকার তৃণমূলীদের পছন্দ হচ্ছিল না। সকাল ১০টা নাগাদ তৎকালীন বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের নেতৃত্বে দুটি অ্যাম্বুলেন্স ভর্তি করে অস্ত্র আসে বাদকুল্লায়। স্বয়ং বিধায়কের নেতৃত্বে সিপিআই(এম)-র মিছিলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তৃণমূলী গুন্ডারা। যারা এসেছিল দক্ষিণপাড়া, ভায়না, হাঁসখালি থেকে। ৮ জন সিপিআই(এম) কর্মীকে কোপানো হয়। পার্টির বাদকুল্লা দপ্তর ভাঙচুর করা হয়। ৭৫ বছর বয়স্ক পার্টিনেতা শান্তি দত্তের দুটি পা ভেঙে দেওয়া হয়।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাস নামিয়ে আনা হয়। বেতনাতে আক্রান্ত হন বামফ্রন্ট প্রার্থী। বিধানসভা নির্বাচনের গণনার আগের দিন দক্ষিণপাড়া ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ইটাবেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে তৃণমূলীরা বোমা বাঁধছিল। তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। মারা যান ইউনিস মণ্ডল। ইউনিস তৃণমূল কর্মী ছিলেন। ইউনিসের দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়নি। এ নিয়ে পুলিশ কোনো মামলাও রুজু করে নি। পুলিশ গোটা ঘটনায় চোখ বন্ধ করেছিল।
২০১৮ সালের ১৯ মে জমির বিবাদকে কেন্দ্র করেই বেতনা পুরাতন পাড়ায় নারকীয় ঘটনা ঘটে। বামফ্রন্ট সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল তখন হাঁসখালি ব্লক এলাকায় প্রচুর খাস জমি গরিব মানুষদের মধ্যে বিলি করেছিল। বেতনা পুরাতন পাড়ার জমিদার দেবব্রত মুখার্জিদের দেবোত্তর সম্পত্তি বলে চিহ্নিত ৭২ বিঘা জমি খাস হয় ও প্রায় ২৫০ জন ভূমিহীন পরিবারকে এই জমি বণ্টন করা হয়, পাট্টাও দেওয়া হয়। তৃণমূল সরকারে আসার পর দেবব্রত মুখার্জি সেই জমি ফেরত পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে এনিয়ে রফা হয়। ১৯ মে মুখার্জিদের বাড়িতে বসে সালিশি সভা। তৃণমূলী পঞ্চায়েতের মাতব্বরেরা সভায় উপস্থিত ছিল। পাট্টার জমি ফেরত দিতে অস্বীকার করার জন্য কার্তিক মাঝি ও রঞ্জিত সাঁতরাকে ওই সভাতেই আক্রমণ করা হয়। সালিশি সভাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় মারা যান কার্তিক মাঝি।
তৃণমূলী নেতাদের বিরুদ্ধে উক্ত ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা পুলিশ না নিলেও ২০১৭ সালের ২০ মে সকালে সিপিআই(এম)-র নেতা বিজন দেওয়ান সহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অথচ এঁরা কেউই ঘটনাস্থলে ছিলেন না। বেতনা-গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান ও পার্টি নেতা সুফল মণ্ডলকে ২৩০ দিন জেল খাটতে হয়। বাকিদের ২০০ দিন জেল খাটতে হয়। জেলবন্দি থাকা অবস্থাতেই সুফল মণ্ডলের মেয়ে মারা যান। মৃত মেয়ের মুখও সুফল মণ্ডল দেখতে পান নি।
শাসক দলের নেতাদেরই নিরাপত্তা নেই হাঁসখালি এলাকায়। ১৮ এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যাবেলায় দলীয় কার্যালয়ে খুন হন তৃণমূল কংগ্রেসের হাঁসখালি ব্লক সভাপতি ও বগুলা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দুলাল বিশ্বাস। আজও সেই খুনের কিনারা হয়নি।
২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর রামনগর ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়ো চুপরিয়া গ্রামের আলিবর্দি খুন হন। এই খুনের সঙ্গে যুক্ত আমোদ মণ্ডল ও সরিফুল মণ্ডল প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
জমি মাফিয়া তৃণমূলীরা। দামি জমি তৃণমূলী মাফিয়াদের দখলে না দিলে জমির মালিকের মৃত্যু অনিবার্য। জমি জলের দরে তৃণমূলীদের না দেওয়ার অপরাধে বাদকুল্লা ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের পারুয়া গ্রামের দুলাল মণ্ডলকে খুন হতে হয়। ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল নৃশংসভাবে খুন করা হয় দুলাল মণ্ডলকে। সকাল ১০টায় পারুয়া গ্রামে গাছে বেঁধে দুলাল মণ্ডলকে খুন করা হয়। মৃত্যুর আগে জল চাইলেও দুলাল মণ্ডলকে জল দেওয়া হয় নি। খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ফুলবাড়ি মাঠে খুন হন বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। জলসার মধ্যেই খুন হন বিধায়ক। খুনের পর তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘খুনের চক্রান্তে মুকুল রায় যুক্ত’’। অথচ মুকুল রায়ই তৃণমূলের নেতা। শাসক দলের নেতাদেরও রক্ষা করতে ব্যর্থ পুলিশ।
তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন বাদকুল্লার দোসতিনার পার্টি নেতা বাবুলাল বিশ্বাস। তাই ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খুন করা হয় বাবুলালকে। খুনের চক্রান্তের সঙ্গে যুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এ বছরের ২৪ মার্চ বগুলা ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়ো মুরাগাছাতে সন্ধ্যাবেলায় গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কর্মী সহদেব মণ্ডল। সহদেবের স্ত্রী অনিমা মণ্ডল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। সহদেবকে কারা গুলি করল? দলদাস পুলিশ নীরব, তৃণমূল নিশ্চুপ।
মাস খানেক আগে দক্ষিণপাড়া রাধাসুন্দরি পাল চৌধুরি বিদ্যাপীঠে প্রধান শিক্ষককে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রহার করে হাঁসখালি পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান সভাপতি মুনমুন বিশ্বাসের স্বামী দেবাশিষ বিশ্বাস। প্রধান শিক্ষকের অপরাধ ছিল বিদ্যালয়ের জায়গায় তৃণমূলীদের আবদার মেনে পার্ক করার প্রস্তাবে রাজি না হওয়া।
হাঁসখালি ব্লকের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের সৌজন্যে অস্ত্র স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়া ১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪টি বুথে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র মজুত আছে। চিত্রশালী থেকে ট্যাংরা খাল বাজার পর্যন্ত এলাকা অস্ত্রের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। পুলিশ জানে কোথায় কি অস্ত্র আছে। অথচ অস্ত্র উদ্ধার করছে না পুলিশ।
হাঁসখালি থানা ও ব্লক এলাকা সহ সারা রাজ্যে মধ্যযুগীয় বর্বরতা নামিয়ে এনেছে তৃণমূল। আইনের শাসন নেই গোটা রাজ্যে। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে গেলে সারা রাজ্যের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।