৫৯ বর্ষ ৩৬ সংখ্যা / ২২ এপ্রিল, ২০২২ / ৮ বৈশাখ, ১৪২৯
ষষ্ঠ গণ অবলুপ্তির আশঙ্কায় আইপিসিসি-র তৃতীয় প্রতিবেদন এবং এবছরের ধরিত্রী দিবস
তপন মিশ্র
এবছরের ২২শে এপ্রিল ধরিত্রী দিবস (Earth Day)-এর আহ্বান হলো ‘‘আজকে বাণিজ্যের পরিবেশ, রাজনৈতিক পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আমাদের ভাবনা সব কিছু বদলে দেওয়ার মুহূর্ত। এখন আমাদের স্বাস্থ্য, পরিবার এবং জীবিকা রক্ষার জন্য অপ্রতিরোধ্য সাহস দেখানোর সময়।’’ এই আহ্বানে আরও যে লক্ষ্য ঘোষিত হয়েছে তাহলোঃ ‘‘We need to act (boldly), innovate (boldly), and impliment (equitably)’’। সাম্যতার লক্ষ্যে বাণিজ্য ও রাজনীতি পরিবর্তনের সাহস দেখাতে না পারলে সভ্যতার ধ্বংস অনিবার্য।
আইপিসিসি (ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ)-র তৃতীয় প্রতিবেদনে উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং তার উপর কড়া সরকারি নজরদারির আবেদন করা হয়েছে। সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের কয়েকশত সংগঠনের উদ্যোগে আইপিসিসি’র ষষ্ঠ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্টের তৃতীয় দলের (ওয়ার্কিং গ্রুপ ৩) প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে গত ৫ এপ্রিল। প্রথম দলের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল ২০২১-র শেষার্ধের গোড়ার দিকে। এদের দায়িত্ব ছিল বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে জলবায়ুর কী কী পরিবর্তন ঘটতে চলেছে (ফিজিক্যাল সায়েন্স বেসিস) তার রূপরেখা রাজনৈতিক নেতাদের সামনে হাজির করা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয় দলের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এদের বিষয় ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, অভিযোজন এবং দুর্বল জায়গাগুলি (Impacts, Adaptation and Vulnerability) চিহ্নিত করা। তৃতীয় প্রতিবেদনের বিষয় হলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রশমনের (Mitigation, Adaptation and Vulnerability) উপায় নির্দিষ্ট করা। ৬৫টি দেশের ২৭৮ জন বিজ্ঞানীর সংগৃহীত হাজার হাজার গবেষণার ফসল এবং তার বিশ্লেষণ হলো এই প্রতিবেদন। (Mitigation of Climate Change)।
সদ্য প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের মূল বক্তব্য হলোঃ “The evidence is clear: the time for action is now. We can halve emissions by 2030”। অর্থাৎ প্রমাণ অত্যন্ত পরিষ্কার এবং এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। যদি তা করতে পারি তাহলে ২০৩০ নাগাদ আমরা গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন অর্ধেক করে ফেলতে পারি। যে ইতিবাচক প্রত্যয় ষষ্ঠ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্টে তৃতীয় দলের বিজ্ঞানীরা উচ্চারণ করেছেন তার নির্যাস বুঝতে অক্ষম হচ্ছেন ধনতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থার নেতারা।
আমরা ধীরে ধীরে ষষ্ঠ গণ অবলুপ্তির দিকে এগোচ্ছি। এ কোনো জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী নয়। বরং বিজ্ঞানের তথ্যের উপর আধারিত এক ভয়ংকর পরিণতির পূর্বাভাস। এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, আসন্ন এই গণ অবলুপ্তির মূল চালিকাশক্তি হলো বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং সেই কারণে দ্রুত ঘটতে থাকা জলবায়ুর পরিবর্তন।
ষষ্ঠ গণ অবলুপ্তির দিকে
পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে প্রজাতির বিলুপ্তি এবং প্রজাতির অভিব্যক্তি সময়ের সাথে সমানভাবে ঘটে না। এবারে এই বিলুপ্তির হার আগের তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু কখনো কখনো প্রজাতি অবলুপ্তির বড়ো ঢেউ কোনো এক বিশেষ কারণে ওঠে। বিজ্ঞানীরা এই ঢেউগুলিকে গণ অবলুপ্তির ঘটনা হিসাবে উল্লেখ করেন। বিজ্ঞান গবেষণা বলছে যে, বর্তমান হারে যদি প্রজাতির অবলুপ্তি ঘটতে থাকে তবে ২২০০ সাল নাগাদ বর্তমান পৃথিবীর অধিকাংশ প্রজাতি অবলুপ্ত হয়ে যাবে।
ফসিল থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ক্যামব্রিয়ান যুগে অর্থাৎ প্রায় ৫৪০ মিলিয়ন বছর আগে একটি বড়ো বিস্ফোরণ ঘটে। সেই সময়ে পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে অসংখ্য প্রজাতি লোপ পেয়ে যায়। তারপর জীবাশ্ম রেকর্ড থেকে অন্তত পাঁচটি গণঅবলুপ্তির ঘটনা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। সম্ভবত আরও কয়েকটি ছোটো অবলুপ্তির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। নিশ্চিত করে বলা যায় যে, এর মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত ঘটনাটি ঘটেছিল যখন একটি দৈত্যাকার এক গ্রহাণু প্রায় ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছিল। যেখানে এই ঘটনা ঘটেছিল তা এখন মেক্সিকো উপসাগর। কিন্তু এবারে যা ঘটতে চলেছে বলে বিজ্ঞানীদের অনুমান তা মানুষের তৈরি এক দুর্ঘটনা। এরই পুর্বাভাস দিচ্ছে আইপিসিসি’র ষষ্ঠ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট।
ষষ্ঠ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্টের তৃতীয় দলের প্রতিবেদন
আইপিসিসি’র ষষ্ঠ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্টের প্রথম দলের প্রতিবেদন আমরা আলোচনা করেছি দেশহিতৈষী’র ২০২১ সালের ২০ আগস্ট সংখ্যায়। তৃতীয় দলের প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা সমাধানে বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত, পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পথ নির্ধারণের চেষ্টা হয়েছে। প্রায় ১৩০০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন যেহেতু পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নীতি নির্ধারকদের বোধগম্য নাও হতে পারে তাই ৬৪ পাতার Summary for Policymakers (SPM) বা বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতা বা নীতিনির্ধারকদের জন্য একটি সারাংশ তৈরি করেছে এই তৃতীয় দলটি। আমাদের আলোচনা এই সারাংশ নির্ভর।
প্রতিবেদনের শুরুতেই আমাদের সুবিধার জন্য ঐতিহাসিক নির্গমনের কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ১৮৫০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন ছিল ২৪০০±২৪০ জিটি (জিটি অর্থাৎ গিগাটন বা ১০০ কোটি টন)। এর মধ্যে, অর্ধেকেরও বেশি (৫৮%) [১৪০০±১৯৫ জিটি কার্বন-ডাই অক্সাইড] নির্গমন ঘটেছে ১৮৫০ সাল থেকে ১৯৮৯ সালের মধ্যে অর্থাৎ ১৪০ বছরের মধ্যে এবং বাকি প্রায় ৪২ শতাংশের [১০০০±৯০ জিটি কার্বন-ডাই অক্সাইড] নির্গমন ঘটেছে ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে অর্থাৎ মাত্র ৩০ বছরের মধ্যে। এই ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে, ইদানীংকালে উৎপাদন ব্যবস্থা (ধনতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থা) পরিবেশ রক্ষার বিরুদ্ধে কতটা বেপরোয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনের ‘বি’ ধারার শুরুতে একটা আশার বাণী বিজ্ঞানীরা শুনিয়েছেন তা হলো, ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল - এই দশকে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের বৃদ্ধির হার ২০০০ সাল থেকে ২০০৯ সাল - এই দশকের নির্গমনের বৃদ্ধির হারের তুলনায় সামান্য কম ছিল। এর অর্থ এই নয় যে, সামগ্রিকভাবে নির্গমনে হ্রাস ঘটেছিল। বিষয়টি বোঝানোর জন্য কিছু তথ্য ওঁরা হাজির করেছেন। বিজ্ঞানীরা বলতে চাইছেন যে, ১৯৯৭ সালের কিয়োটো চুক্তি এবং ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির সামান্য হলেও প্রভাব লক্ষ করা যায়।
কী সুপারিশ করছেন বিজ্ঞানীরা?
প্রতিবেদনের ‘সি’ ধারায় (System transformations to limit global warming) কিছু সুপারিশ প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা করেছেন। সুপারিশগুলির কয়েকটি এখানে তুলে ধরা যায়।
১। এখনই উদ্যোগ নিয়ে ২০১৯ সালের তুলনায় ৪৮ শতাংশ কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন কমাতে হবে। এই কাজ করতে হবে ২০৩০ সালের মধ্যে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৮০শতাংশ নির্গমন হ্রাস করতে হবে। মিথেন নির্গমন ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৪ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৪৪ শতাংশ হ্রাস করা জরুরি। তাহলে ১৮৫০ সালের তুলনায় পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে আবদ্ধ রাখা যাবে। অবশ্য তারা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপামাত্রা বৃদ্ধি ধরে রাখতে কী করতে হবে তার নিদানও দিয়েছেন। কিন্তু পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে কম করে ৪০ শতাংশ মানুষের তাৎক্ষণিক বিপদ এড়ানো যাবে না।
২। এই কাজ করতে গেলে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন জরুরি। এর পাশাপাশি চাই আমাদের আচরণের পরিবর্তন। অর্থাৎ শক্তি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমিত ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি।
৩। কার্বন শোষণ এবং জমা রাখার (Carbon Capture and Storage বা সিসিএস) ব্যবস্থাকে উন্নত করা পৃথিবীকে রক্ষা করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। যে চিরায়ত পদ্ধতি যেমন অরণ্য এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রগুলিকে রক্ষা করার মধ্যদিয়ে যা আমরা করে থাকি তাকে সুনিশ্চিত করা জরুরি। বিজ্ঞানীরা প্রযুক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন ফসিল তেল উত্তোলন, তেল এবং গ্যাস ব্যবহার, সিমেন্ট, রাসায়নিক শিল্প ইত্যাদিতে কিছু কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন প্রশমন প্রযুক্তির ব্যবহার করে কিছু কমবেশি ১০০০ গিগাটন কার্বন ডাই অক্সাইড বায়ুমণ্ডল থেকে শোষণ (সিডিআর অর্থাৎ কার্বন-ডাই অক্সাইড রিমুভাল) পদ্ধতির উল্লেখ করেছেন। এটা করতে পারলে কেবল ২০৩০ সালের মধ্যে নয় ২১০০ সালের মধ্যে গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখা যাবে। এর সাথে কার্বন-ডাই অক্সাইড-কে মাটির নিচে চালান করার (geological storage) ব্যবস্থার উন্নতি সাধন, স্থান নির্বাচন ইত্যাদি করতে পারলে বায়ুমণ্ডলে জমে থাকা গ্যাস পাকাপাকিভাবে কমিয়ে ফেলা যায়। সিসিএস-এর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিক, প্রাতিষ্ঠানিক, পরিবেশগত এবং সামাজিক অনেক বাধা রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সিসিএস (কার্বন শোষণের)-এর ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। এই ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে আটকে রাখা অসম্ভব। ফলে নীতি নির্ধারণ, উপকরণের ব্যবস্থাপনা, ব্যাপক অংশের জনসাধারণের সমর্থন এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মতো শর্তগুলিকে সক্ষম করতে পারলে এই দুর্বলতা কাটানো যেতে পারে।
৪। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, নেট জিরো (কার্বন নির্গমন শূন্য) শিল্প উৎপাদন ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ আছে কিন্তু অসম্ভব কিছু নয়। এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যা করতে হবে তা হলো, শিল্পের গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করা। শক্তির ব্যবহার, শিল্পের বর্জ্যের উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা, সম্পূর্ণ উৎপাদন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে পরিবেশবান্ধব করার ক্ষেত্রে সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি জরুরি। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দায়িত্ব অপরিসীম।
৫। শহর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কিছু ব্যবস্থা যেমন শক্তি এবং পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে কীনা তার উপর নজরদারি, কার্বন শোষণের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদির মধ্যদিয়ে নেট-জিরো নির্গমনের উপর জোর দিতে হবে।
আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা আছে। যে সমস্ত পরিকল্পনার কথা ওঁরা বলেছেন সেগুলি কেবল বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা বোঝা সম্ভব। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রতিবেদনের নির্দেশিকা বুঝতে অসুবিধা হয় না। তাই বিশেষ আলোচনার মধ্যে না গিয়ে কিছু ভাষাভাষা তথ্য দেওয়া গেল।
চোর না শুনে ধর্মের কাহিনি
এই ধর্মের কাহিনি কী মুনাফালোভী ব্যক্তি মালিকানাধীন উৎপাদন ব্যবস্থা শুনবে? এবছরে বিশ্ব পরিবেশ আলোচনার অর্ধশত বর্ষ পালিত হতে যাচ্ছে। ১৯৭২ সালের জুন মাসে সুইডেনের স্টকহোমে প্রথম পৃথিবীর প্রায় ২০০ টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান মিলিত হন পৃথিবীর পরিবেশ দূষণজনিত সমস্যার সমাধানে। ১৯৯২ সালের পর থেকে প্রায় প্রতি বছর এই আলোচনা চলছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বাজার অর্থনীতির পালের-গোদা মার্কিনীদের বাধায় কোনোবারই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক (legally binding) চুক্তি করা যায়নি। অথচ বিগত শতাব্দীর আটের দশকে মাত্র ৮ থেকে ৯ বছরের মধ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার চুক্তি তৈরি হয়ে যায়। এই চুক্তি পুরোটাই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক। অবশ্য বিশ্বজুড়ে বাজার তৈরি করে মুনাফা লুটের পথ প্রশ্বস্ত করার চুক্তি আর বহুজাতিক করপোরেশনগুলিকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহারে বাধ্য করার চুক্তি পরস্পর বিরোধী। ষষ্ঠ গণঅবলুপ্তিকে বিলম্বিত করতে গেলে কেবল বিজ্ঞানী বা আন্তর্জাতিক আলোচনা নয় সর্বস্তরের মানুষের প্রতিবাদের কণ্ঠস্বরকে দৃপ্ত করতে হবে।