৫৯ বর্ষ ১০ সংখ্যা / ২২ অক্টোবর, ২০২১ / ৮ কার্ত্তিক, ১৪২৮
এবার যাবে বিসর্জন
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
রীতিমত পাঁজিপুথি মেনে পিতৃপক্ষ, দেবীপক্ষ, বোধন, বিসর্জন, নবরাত্রি, দশেরা, ফাতেহা দোয়াজ দহম - উৎসবের পঞ্চব্যঞ্জন চেটেপুটে খেয়ে এখন চোঁয়াঢেকুর তোলবার সময়। স্বভাবগতভাবে অবশ্য বাঙালি একবার বোধন করে ফেললে উৎসবের রেশ আর ঝেড়ে ফেলতে চায় না। বিসর্জনে মন চায়না। অতীত অভিজ্ঞতা তাই বলে। তাই দুয়ারে বিসর্জন কড়া নাড়ে, দিনক্ষণ পেরিয়ে যায়, বিসর্জন হয়না। ‘অনুপ্রেরণা’র অপার মহিমায় ‘দুর্গা’ স্বমহিমায়, নিশ্চিন্তে, নিরুপদ্রবে মণ্ডপের চোদ্দতলায় বসে মজা দেখেন। ‘উন্নয়ন’-এর গাজর মুখের সামনে ঝুলতে দেখে কিছু মানুষের চকচকে চোখ আর সকসকে নোলা ঝকঝক করে ওঠে। এই সুযোগে পথ, রথ, মূর্তি - সকলেরই নিজেকে ‘দেব’ ভেবে নিয়ে তুমুল আস্ফালন দেখে বহু মানুষের দীর্ঘশ্বাসের সময় দীর্ঘ হয়। যদিও গোপন সে নাগপাশের গিঁট কার সঙ্গে, কোন পুরে আটকে তা কে জানে? হিসেবে মেলে না।
পিতৃপক্ষ
যতদূর মনে পড়ছে এবছর মহালয়া ছিল অক্টোবরের ৬ তারিখ। দ্রুত ভুলে যাওয়া যেহেতু মানুষেরই স্বভাব, সেই সূত্র মেনেই বেমালুম ভুলে মেরে দিয়েছি। তার ঠিক দিন তিনেক আগে ৩ অক্টোবর ভরা পিতৃপক্ষে লখিমপুর খেরিতে দণ্ডমুণ্ডের ‘স্বঘোষিত বাপের দল’-এর কাণ্ডটাও যেমন পুজোর আনন্দে ভুলে মেরে দিয়েছি সেরকম আর কী! বিশেষ করে দেবীপক্ষে কুমিল্লা এনে দেবার পরে তো আরও বেশি করে ভুলে গেছি।
লখিমপুর খেরির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সবথেকে দায়িত্বশীল মন্তব্য করেছেন দেশের মাননীয় অর্থমন্ত্রী! যুক্তরাষ্ট্র সফররত সীতারামনকে হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে কথোপকথন চলাকালীন লখিমপুরে চার কৃষককে পিষে হত্যা করা এবং এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্র টেনির গ্রেফতারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটা নিন্দনীয় ঠিকই। তবে এই ধরণের ঘটনা দেশের বিভিন্ন অংশে সমানভাবে ঘটছে। আমি চাই, আপনি এবং ডঃ অমর্ত্য সেন সহ আরো অনেকে, যাঁরা ভারতবর্ষকে জানেন, তাঁরা যখনই এই ধরণের ঘটনা ঘটবে তখনই এটা নিয়ে আওয়াজ তুলুন। যখন এটা আপনাদের মনের মতো হবে, মানে কেবল বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এরকম কিছু হলে তখনই আওয়াজ তুলবেন, এরকম যেন না হয়।
একই ঘটনা প্রসঙ্গে সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছেন - ব্রিটিশরা অন্নদাতাদের ওপর যে অত্যাচার করেছিল এই ঘটনা তার থেকেও বেশি বর্বরতা। আমরা এই ঘটনা সহ্য করব না। অপরাধীকে সাজা দিতে হবে। সংযুক্ত কিষান মোর্চাকে পূর্ণ সমর্থন জানাই।
সারা ভারত কৃষক সভার পক্ষ থেকে এক ট্যুইট বার্তায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। এআইকেএস জানায় - লখিমপুর খেরিতে ৪ কৃষকের নৃশংস হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে এআইকেএস। রিপোর্ট অনুসারে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে এবং বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গাড়ি কৃষকদের চাপা দেয় এবং তাঁদের ওপর গুলি চালায়। টেরাই কৃষক সংগঠন এবং এসকেএম নেতা তাজিন্দার সিং ভিরক এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। অবিলম্বে অজয় টেনিকে বরখাস্ত করা হোক। আশিস টেনিকে গ্রেপ্তার করা হোক।
লখিমপুর খেরির বর্বরতা যখন ঘটে সেইসময় নির্বাচন হবে এমন ৫টি রাজ্যের ৬৯০টি বিধানসভা আসন জুড়ে এবিপি-সি-ভোটার-আইএএনএস সমীক্ষা চলছিল। এই সমীক্ষায় ৯৮,১২১ জন মানুষের মতামত নেওয়া হয়। যেখানে ৬৯.৬ শতাংশ মানুষ বলেছেন লখিমপুরের মতো ঘটনার কারণে উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হচ্ছে। ৫৯.৬ শতাংশ মানুষ বলেছেন, লখিমপুরের ঘটনা উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হবে। আর ৬৩.২ শতাংশ মানুষ বলেছেন, গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
দেবীপক্ষ
দেবীপক্ষের শুরুটাই হয়েছিল লিটারে ৩০ পয়সা করে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়া দিয়ে। ওইদিন কলকাতায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ছিল ১০৩.৬৫ এবং ৯৪.৫৩। দাম বিগত সময়ে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে। এটা নতুন কিছু নয়। তবে এরকম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়া নিয়ে আগে যারা খুব লাফালাফি করতেন এখন তাঁদেরও মুখে কুলুপ। এ বিষয়ে অবশ্য নানা মুনির নানা মত। এখন মানুষকে যেমন বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে আদার ব্যাপারীর ওইসব জাহাজের খবরে দরকার কী ! যাঁদের গাড়িটাড়ি আছে এ তো একমাত্র তাঁদেরই সমস্যা। আমরাও প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সব গুলে খেয়ে বেশ নির্লিপ্ত ভিজে বেড়াল গোছের নির্বিকল্প সমাধিতে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর সকালে যখন কী-বোর্ডে আঙুল নাচাচ্ছি, তখন দেখলাম পেট্রোল-ডিজেল লিটারে বেড়েছে আরও ৩৫ পয়সা। আজ কলকাতায় পেট্রোলের দাম ১০৭.১১ এবং ডিজেলের দাম ৯৮.৩৮ টাকা। বিষয়টা এরকম নয় যে সেই ৬ তারিখ বেড়েছিল আবার আজ বাড়ল। মাঝখানে দু’দফায় দু’দিন করে বাদ দিয়ে প্রতিদিনই পেট্রোল-ডিজেল ঘুম থেকে উঠেই শুনিয়েছে ‘দেখো আমি বাড়ছি মাম্মি’। শেষ ২৩ দিনের মধ্যে ১৮ দিন বেড়েছে পেট্রোলের দাম। মোট বৃদ্ধি লিটারে ৫.৩৫ টাকা। একইভাবে শেষ ২৭ দিনে ২১ দিন বেড়েছে ডিজেলের দাম। মোট বৃদ্ধি লিটারে ৬.৬৫ টাকা।
তখন ২০১১। মে মাস। গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে চলার প্রতিবাদে জানিয়েছিলেন, ‘পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের ব্যর্থতার প্রধান উদাহরণ। এই বৃদ্ধি প্রতিদিন মানুষের ওপর বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।’ ২০১২ সালের ২৪ মে তারিখের একটা ভিডিয়ো ইউটিউবে খুঁজলেই পাওয়া যায়। যেখানে নরেন্দ্র মোদী বলছেন, ‘সরকার যেভাবে পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে তা দিল্লি সরকারের অকর্মণ্যতার সবথেকে বড়ো প্রমাণ। দেশের মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। আমি আশা করব প্রধানমন্ত্রী পেট্রোলের যে দাম বাড়ানো হয়েছে তা প্রত্যাহার করবেন।’ বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিরও পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বেশ কিছু পুরোনো ট্যুইট দেখলে খুবই মজা লাগবে। ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৫ মিনিটে কর্ণাটক বিজেপি'র পক্ষ থেকে করা এক ট্যুইট বার্তায় বলা হয়েছিল, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি আসলে ইউপিএ সরকারের ভুল অর্থনৈতিক নীতির ফল। ২০১৩ সালে বিজেপি নেতা মুক্তার আব্বাস নকভি তো ঘোষণাই করে দিয়েছিলেন যে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যে পেট্রোপণ্যের দাম কমে যাবে।
পেট্রোপণ্যের দামের ওঠানামার সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের একটা যোগ আছে। ২০০৮ সালের জুলাই মাসে যেমন আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল পিছু দাম ছিল ১৪৫ ইউএস ডলার। তখন দেশে পেট্রোলের দাম ৫০.২০ টাকা লিটার। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ব্যারেল পিছু ছিল ৪০.৬২ ইউএস ডলার। তখন দেশে পেট্রোলের দাম ছিল ৬০.৪৮ টাকা লিটার। আবার এখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম প্রায় ৮৯ ডলার। দেশে পেট্রোলের দাম ১০৭ থেকে ১১২ টাকার মধ্যে। একটা কথা না বললেই নয়। তা হলো পেট্রোলের খুচরো বিক্রয় মূল্যের ৬০ শতাংশ এবং ডিজেলের ৫৪ শতাংশের বেশি কেন্দ্র ও রাজ্য কর। কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোলে প্রতি লিটার আবগারি শুল্ক ৩২.৯০ টাকা এবং ডিজেলের উপর ৩১.৮০ টাকা ধার্য করে। আর পেট্রোল- ডিজেলের ওপর থেকে শুল্ক কমানোর দাবি অতীত থেকে বর্তমান - জানিয়ে এসেছে একমাত্র বামপন্থীরাই।
মহাষ্টমী
অবশ্য দেশের এসব সমস্যা এখন সমস্যা নয়। সবথকে বড়ো সমস্যা নাকি ত্রিপুরার লাগোয়া প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের কুমিল্লায়। অন্তত সেরকমই বলছেন কেউ কেউ। সেখানে দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে এক অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে আপাতত উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। গত ১৩ অক্টোবর থেকে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে বাংলাদেশে দুর্গাপূজার প্যান্ডেল ভাঙচুরের পোস্টে ভরে গেছে। ছড়ানো হচ্ছে ভুয়ো ভিডিয়ো। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে এই রাজ্যের বিজেপি নেতাদের অনেকেই ফলাও করে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে বিচার চেয়ে বেড়াচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গত ১৯ অক্টোবর বলেন যে, ‘‘স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া ভিডিয়ো প্রচার করছে।” ভিডিয়োটির উল্লেখ করে খান জানিয়েছেন, ৩০ সেকেন্ডের যে ক্লিপটি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা গত ১৬ মে ঢাকার পল্লবী এলাকায় একটি সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনা। এই ফুটেজকে নোয়াখালীতে যতন কুমার সাহা হত্যার ফুটেজ বলে প্রচার করা হচ্ছে, যিনি সাম্প্রতিক সংঘর্ষে মারা গেছেন। এটা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। আমরা এই ধরনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।’’
কে করছে, কারা করছে, কেন করছে সবটাই হয়তো পরিষ্কার। অথচ তাঁদের মুখে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কোনো কথা নেই, লখিমপুর খেরির নৃশংস হত্যা নিয়ে কোনো কথা নেই। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের ৭ ধাপ নেমে যাওয়া নিয়ে কোনো কথা নেই। ঘোর করোনাকালে দেশের ১২ জন মন্ত্রীর সম্পত্তি বাড়ানো নিয়ে কোনো কথা নেই। মন্ত্রীদের কৃষি-অকৃষি জমি, খামারবাড়ি, দিল্লিতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার স্বঘোষিত তথ্য নিয়েও কোনো আলোচনা নেই। দেশের সব সমস্যা নিয়ে সব সময়েই মুখে কুলুপ। এমনকী গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভেও নেই কোনো প্রাইমটাইম অথবা 'ঘণ্টাখানেক' সময় বরাদ্দ।
বিজয়া দশমী
গত ১৫ অক্টোবর দশমীর দিন কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং ওয়েলথহাঙ্গারলাইফ যৌথভাবে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০২১ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৭.২ স্কোর নিয়ে ‘‘ভয়াবহ’’ তালিকাতে অবস্থান করছে ভারত। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১০৭ দেশের মধ্যে ভারতের মধ্যে অবস্থান ৯৪। গত বছর ১১৭টি দেশের মধ্যে ১০২ নম্বরে এবং ২০১৮ সালে ১১৯টি দেশের মধ্যে ১০৩ নম্বরে ছিল ভারত।
এই তালিকায় ভারতের আগে নেপাল (৭৩), পাকিস্তান (৮৮), বাংলাদেশ (৭৫), ইন্দোনেশিয়ার (৭০) মতো দেশগুলো আছে। ভারতের পরে মাত্র ১৩টি দেশ রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে রোয়ান্ডা (৯৭), নাইজেরিয়া (৯৮), আফগানিস্তান (৯৯), লাইবেরিয়া (১০২), মোজাম্বিক (১০৩), চাদের (১০৭) মতো অনুন্নত দেশগুলো।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ১৪ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। প্রায় ৩৭.৪ শতাংশ শিশু অপুষ্টির শিকার, অর্থাৎ বয়স অনুপাতে এদের দৈর্ঘ্য এবং ওজন কম। এই কারণেই বহু শিশুর মৃত্যু হচ্ছে দেশে, যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। রিপোর্ট অনুসারে, ‘‘১৯৯১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপাল থেকে পাওয়া তথ্য প্রমাণ করেছে যে শিশুদের মধ্যে অপুষ্টিজনিত রোগের প্রধান কারণ নিম্নমানের খাবার, দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব বিশেষ করে মায়েদের ইত্যাদি।’’
এই সূচক ছাড়াও গত ১৯ অক্টোবর প্রকাশিত হয়েছে গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি ইন্ডেক্স (জিএফএস) ২০২১। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি ইন্ডেক্স ২০২১ প্রকাশ করেছে ইকনমিস্ট ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড করটেভা এগ্রিসায়েন্স। গ্লোবাল ফুড সিকিউরিটি ইন্ডেক্স ২০২১ অনুসারে বিশ্বের ১১৩ দেশের মধ্যে ৭১ তম স্থানে ভারত। খাদ্য সামর্থ্যে (ফুড অ্যাফর্ডেবিলিটি) যেখানে ভারতের সূচক ৫০.২ পয়েন্ট, সেখানে পাকিস্তানের সূচক ৫২.৬ পয়েন্ট। এই ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার সূচক ৬২.৯ পয়েন্ট। যদিও সার্বিকভাবে এই রিপোর্টে ভারতের থেকে পিছিয়ে আছে পাকিস্তান (৭৫ তম স্থান), শ্রীলঙ্কা (৭৭তম স্থান), নেপাল (৭৯ তম স্থান) এবং বাংলাদেশ (৮৪ তম স্থান)।
বুধবার এই রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “মোদীর শাসনে ভারত ক্রমশই নিচের দিকে। এখন বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচকে ১১৩ টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ৭১ তম। খাদ্যের সামর্থ্যে আমরা পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে। কেন্দ্রীয় গোডাউনে কোটি কোটি টন খাদ্যশস্য পচে যাচ্ছে। এখনই তা বিনামূল্যে বিতরণ করুন।”
বিসর্জন
আবাহন ও বিসর্জন। পিঠোপিঠি চলে আসা বিপরীতার্থক এই দুই শব্দের প্রথমটা যখন ঘটে গেছে তখন দ্বিতীয়টাও ঘটবেই। তবে এই বিসর্জনের দিনক্ষণ পাঁজি পুথি মেনে আসবে না। নিজের নিয়মেও আসবে না। ঢাকে বিসর্জনের বোল না তুলতে পারলে বিসর্জন হবেনা। ঢাকের ঢ্যাং কুরাকুর নাক্কু নাকুর তালে বোল তুলে অনেক তো হলো। এবার আসমুদ্র হিমাচলে বোল উঠুক বিসর্জনের।