৬১ বর্ষ ৭ সংখ্যা / ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ / ৪ আশ্বিন, ১৪৩০
ধর্মনিরপেক্ষতার বিপদ ও তাকে রক্ষা করার সংগ্রাম
সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
গান্ধী-হত্যার ৭৫ বছরে ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লিখিত ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সাধারণতন্ত্র-র ধারণা হিন্দুত্ববাদীদের দ্বারা প্রবলভাবে আক্রান্ত। নাথুরাম গডসের মতাদর্শগত উত্তরসূরিরা কোনো দিনই উক্ত তিনটি ধারণার সমর্থক ছিলনা। মোদি সরকারের আমলে অতীতের তুলনায় এই কাজে তারা অবশ্যই সুবিধাজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। গান্ধী-হত্যার ৭৫ বছরে আমরা যদি রাজনীতি ও রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতার সম্পর্ক বিষয়ে গান্ধীজির বক্তব্য ও তার রূপান্তরের দিকে তাকাই তাহলে অনেকগুলি বিষয় পরিষ্কার হয়। ১৯২০ সালে, ভারতে তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূচনাপর্বে, গান্ধীজি বলেছিলেনঃ রাজনীতিতে ধর্মের প্রবর্তন বিষয়ে আমি নিজেকে নিয়ে ও আমার বন্ধুদের নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। প্রথমে আমি ধর্ম বলতে কী বুঝি তা ব্যাখ্যা করি। আমার ধর্মকে আমি অবশ্যই অন্য সব ধর্মের উপরে স্থান দিই। কিন্তু আমার ধর্ম হিন্দুধর্মকে অতিক্রম করে যায় ও সেটি একজনের স্বভাব বদলে দেয়।
(MGCW, Vol. 20, p.304, Young India, 12-5-20, http://www.gandhiashramsevagram.org/gandhi-literature/mahatma-gandhi-collected-works-volume-20.pdf, accessed on 17-9-23, 8-18 PM)
১৯২০-র এই অবস্থান থেকে গান্ধীজি সরে এলেন ১৯৪০-এর দশকে, চারদিকে প্রবল সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পের পরিমণ্ডলে দাঁড়িয়ে। দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি আসফ আলি গান্ধীজিকে দিল্লিতে আরএসএস-এর কাজ ও তার বিপদ সম্পর্কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন। সেই অভিযোগ পেয়ে গান্ধীজি ‘হরিজন’-এ লিখলেনঃ আসফ আলি সাহেবের চিঠিতে উল্লিখিত সংগঠনটির (আরএসএস) ৩,০০০ সদস্য সমন্বিতভাবে দৈনিক লাঠিখেলা ও ড্রিলের মধ্য দিয়ে যায়। তার পরে স্লোগান দেওয়া হয়, ‘হিন্দুস্তান হিন্দুদের, অন্য কারোর নয়।’ এই স্লোগানের পরে সেখানে বক্তারা বলেনঃ ‘আগে ইংরেজদের তাড়িয়ে দাও, তারপর আমরা মুসলমানদের পরাধীন করব। তারা না শুনলে আমরা তাদের মেরে ফেলব।’ আক্ষরিক অর্থে নেওয়া হলেও বোঝা যায়, স্লোগানটি ভুল এবং বক্তৃতার কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু আরও খারাপ। স্লোগানটি ভুল ও অযৌক্তিক কারণ, হিন্দুস্তান তাদের সকলের জন্য, যারা এখানে জন্মগ্রহণ করেছেন ও বংশানুক্রমে বসবাস করেছেন এবং যাদের যাবার মতো অন্য কোনো দেশ নেই। অতএব, এই দেশ যতটা হিন্দুদের, ততটাই পারসি, বেনি ইসরায়েল (ভারতের ইহুদিরা), ভারতীয় খ্রিস্টান, মুসলিম এবং অন্যান্য অহিন্দুদের দেশ। স্বাধীন ভারত কখনই হিন্দুরাজ হবে না। তা হবে ভারতীয় রাজ। তা কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে গড়ে উঠবে না। পক্ষান্তরে তা গড়ে উঠবে, ধর্মীয় পার্থক্যকে পাশে সরিয়ে রেখে, সমগ্র জনগণের প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে। ...ধর্ম একটি ব্যক্তিগত বিষয়, রাজনীতিতে যার কোনো স্থান থাকা উচিত নয়।বিদেশি আধিপত্যের অস্বাভাবিক অবস্থার কারণেই আমাদের মধ্যে ধর্মভিত্তিক অস্বাভাবিক বিভাজন রয়েছে। বিদেশি আধিপত্য চলে যাচ্ছে – আর আমরা যদি সেই মিথ্যা আদর্শ ও স্লোগানকে আঁকড়ে ধরে থাকি, তাহলে আমাদের মূর্খতা দেখে সবাই হাসবে।
(MGCW, Vol. 83, p.206-207, Harijan, 9-8-1942, http://www.gandhiashramsevagram.org/gandhi-literature/mahatma-gandhi-collected-works-volume-83.pdf, accessed on 17-9-23, 11-40 PM)
ঐতিহাসিক বিপান চন্দ্র তাঁর একটি প্রবন্ধে গান্ধীজির ১৯৪৬ সালের একটি উদ্ধৃতি দিয়েছেনঃ আমি যদি একজন ডিকটেটর হতাম, তাহলে ধর্ম ও রাষ্ট্র পৃথক থাকত।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, স্বাধীনতার পরে রাষ্ট্র ও রাজনীতি থেকে ধর্মকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করার কাজ ভারতের শাসকশ্রেণি কখনই করেনি। সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির কথা বলা আছে। রাষ্ট্রের নেতৃত্বে থাকা বৃহৎ বুর্জোয়া শ্রেণিও ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কথা ঘোষণা করে থাকেন। কিন্তু বাস্তবে বুর্জোয়া শ্রেণির ধর্মনিরপেক্ষতার প্রয়োগ ত্রুটিপূর্ণ। ধর্মনিরপেক্ষতার সামগ্রিক ধারণাকেই তারা বিকৃত করতে চায়। ২০১৪-তে হিন্দুত্ববাদীরা লোকসভায় পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবার পর থেকে ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাকে সামগ্রিকভাবে ধ্বংস করার কাজ বিপজ্জনক চেহারা নিয়েছে। তবে স্বাধীনতার পর থেকেই শাসক বুর্জোয়াশ্রেণি জনগণকে বিশ্বাস করাতে চেয়েছিল যে, ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হলো, রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক জীবনে সব ধর্মবিশ্বাসের সমানভাবে হস্তক্ষেপের স্বাধীনতা আছে। তারা কখনই ধর্মের থেকে রাষ্ট্র ও রাজনীতির পুরোপুরি পৃথকীকরণ বা বিচ্ছিন্নতা চায়নি। ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলিকে দৃঢ়ভাবে পরাজিত করার চেষ্টা না করে, তাদের নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তাদের আপত্তিকর কাজের বিষয়ে চোখ বুঁজে থাকা হয়েছে, এমনকী তাদের সঙ্গে নানা ধরনের বোঝাপড়াও গড়ে তোলা হয়েছে। হিন্দুত্ববাদীরা এই সুযোগ গ্রহণ করেছে ও নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করেছে। ২০১৪-র পরে আরএসএস-এর রাজনৈতিক শাখা বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রের সবকটি অরগানের মধ্যে অনুপ্রবেশ করছে এবং গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তির ওপর সুসংগঠিত ও সুপরিকল্পিত আক্রমণ নামিয়ে আনছে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন, শিক্ষাব্যবস্থা, প্রচারমাধ্যমের সম্প্রদায়িকীকরণের পরিকল্পিত প্রয়াস চলছে। বাবরি মসজিদ বিষয়ে ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পুরাণকে ইতিহাস ধরে নিয়ে রায় দেওয়া হয়েছিল। কান্নুরে আমাদের পার্টির ২৩-তম কংগ্রেসের দলিলে বিচারব্যবস্থা বিষয়ক অধ্যায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছিলঃ অনেক ক্ষেত্রেই বিচারবিভাগীয় রায়গুলি ন্যায়বিচার প্রদানের পক্ষে না থেকে, সরকারের পক্ষেই বেশি থেকেছে। সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা বিতর্ক বিষয়ক রায়ে ন্যায়বিচার দেয়নি (২.৭১)। পাশাপাশি ভোঁসলে মিলিটারি স্কুল থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত ছাত্ররা সামরিক বাহিনীতে অনুপ্রবেশ করছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও নির্বাচন কমিশনের প্রধানরাও মোদি সরকারের দ্বারা নিযুক্ত। রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন অরগানে ও শিক্ষা-গবেষণার জগতে আরএসএস-এর অনুপ্রবেশ ভারতকে এক হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র (হিন্দুরাষ্ট্র নয়) নির্মাণের দিকে এগিয়ে দিচ্ছে। সংখ্যাগুরুর সাম্প্রদায়িকতা সংখ্যালঘুর সাম্প্রদায়িকতাকে জোরদার করছে। সব ধরনের মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা চিরকালই গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে দুর্বল করে। আরএসএস-বিজেপি পরিচালিত সাম্প্রদায়িক-ফ্যাসিস্টিক মঞ্চের প্রতি বৃহৎ বুর্জোয়া শ্রেণির কোনো কোনো অংশের সমর্থন এই বিপদকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
আমাদের দেশে সেকুলারিজমের অনুবাদ ধর্মনিরপেক্ষতা করা হলেও ইংরেজি শব্দটির পরিধি বাংলা ধর্মনিরপেক্ষতার তুলনায় অনেক ব্যাপ্ত। ইয়োরোপে রেনেসাঁসের যুগে, পঞ্চদশ-ষোড়শ শতাব্দীতে, বলা হলো সমাজ ও জ্ঞানের প্রয়োজনে ধর্মের বিধিনিষেধকে অতিক্রম করতে হবে। এই কথা আরও জোরের সঙ্গে উচ্চারণ করা হলো এনলাইটেনমেন্টের যুগে। রাষ্ট্র পরিচালনায় খ্রিস্টান ধর্ম ও যাজকদের আধিপত্যকে অস্বীকার করার কথা বলা হলো। মূল কথা ছিল রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রশাসন, আইন, শিক্ষা, খাদ্যাভ্যাস, স্বাস্থ্য ইত্যাদিতে মানুষের ধর্মীয় পরিচয় যেন কোনো প্রভাব না ফেলে তা নিশ্চিত করতে হবে। সেকুলারিজম যে নতুন নীতিবোধ, নৈতিকতার জন্ম দিল তাতে স্পষ্ট হলোঃ রাষ্ট্র, প্রশাসন, শিক্ষাব্যবস্থা ইত্যাদি কোনো ধর্মীয় নীতি বা আদর্শের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে না। রাষ্ট্র কোনো ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারবে না। রাষ্ট্র ধর্ম সম্পর্কে নির্লিপ্ত, উদাসীন থাকবে। সেকুলারিজমের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন হলো বহুত্ববাদ ও সহনশীলতা। কিন্তু বহুত্ববাদ ও সহনশীলতার ধারণা শুধু ইয়োরোপ থেকে আসেনি, প্রাচীন ভারত ও মধ্যযুগের ভারতেও এই ধারণাগুলি বিশেষ স্থান অধিকার করেছিল। আধুনিক টার্ম বা পরিভাষাগুলি তখন নিশ্চয় ব্যবহৃত হতোনা। কিন্তু এই ধারণাগুলি অবশ্যই গুরুত্ব পেত। প্রাচীন ভারতে তর্কের মধ্যে দিয়ে সত্যে পৌঁছানোর পরম্পরা ছিল। বৌদ্ধ সম্রাট অশোক, খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দে, শুধুমাত্র যে সহনশীলতা ও মতবৈচিত্র্যের বিস্তৃতির প্রয়োজনীয়তাটিকেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন তাই নয়, সেইসঙ্গে তিনি বিরোধীদের সঙ্গে বিতর্ক ও মতবিনিময় কীভাবে চালাতে হবে তাও স্থির করে দিয়েছিলেন। অশোকের মতে বিরোধী মতের লোকদের সবসময়ে যোগ্য সম্মান দেখাতে হবে (তর্কপ্রিয় ভারতীয়, অমর্ত্য সেন)। সম্রাট আকবরও তাঁর রাজত্বে ঘোষণা করেছিলেন, ধর্মের কারণে কোনো ব্যক্তির জীবনে হস্তক্ষেপ করা হবে না ও প্রত্যেকে তার খুশি মতো ধর্মগ্রহণ করতে পারবে (আকবরঃ দ্যা গ্রেট মুঘল, ভিনসেন্ট স্মিথ)। ভারতের এই উদার মানবতাবাদী পরম্পরাকে ধ্বংস করে, অস্বীকার করে, হিন্দুত্ববাদীরা (হিন্দুরা নয়) প্রতিষ্ঠা করতে চায়ঃ সেকুলারিজমের ধারণা ইয়োরোপ থেকে এসেছে ও সেই কারণে আমাদের দেশের সংবিধানে স্বীকৃত সেকুলারিজমের পক্ষে থাকা মানুষেরা সিউডো-সেকুলারিস্ট। সাভারকর তার ‘হিন্দুত্ব’ বইতে হিন্দুত্বের ইংরেজি করেছিলেন ‘হিন্দুনেস’, হিন্দুইজম নয়। হিন্দুত্ববাদীরা ভারতের ইতিহাসের বাছাই করা কিছু অংশকে সামনে এনে, উক্ত উদার মানবতাবাদী পরম্পরাকে বর্জন করে, দেখাতে চান যে, তারাই হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধি। স্বাধীনতার আগেও হিন্দু মহাসভা এবং আরএসএস হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধিত্ব করত না। স্বাধীনতার পরেও আরএসএস, জনসংঘ, বিজেপি, ভিএইচপি সহ গোটা সংঘ পরিবার হিন্দুধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধিত্ব করেনা। কারণ তারা ‘হিন্দুইজম’-এর পক্ষে নয়, ‘হিন্দুনেস’-এর পক্ষে। আবার মুসলিম লিগ ও অন্যান্য মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনগুলিও অতীত বা বর্তমানে মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না।
বর্তমানে হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলি ও করপোরেট পুঁজির মালিকরা যৌথভাবে, কিন্তু সুকৌশলে সমান্তরালভাবে, তাদের শ্রেণিস্বার্থে সবধরনের উদার, যুক্তিবাদী ও বৈজ্ঞানিক চিন্তাকে অপসারণ করে, ভারতীয়করণের নামে সবকিছুর হিন্দুত্বকরণ (হিন্দুকরণ নয়) করতে চাইছে। এই শক্তি ও প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সংগ্রাম অত্যন্ত কঠিন ও দীর্ঘস্থায়ী, বহুমুখী ও বহুমাত্রিক। এই লড়াই কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর স্বার্থে নয়। এই লড়াই দেশ ও জাতির স্বার্থে, ইতিহাস ও মানবতার স্বার্থে। তাই সব ধরনের সচেতন ব্যক্তি-নাগরিক, সংগঠন ও সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে ব্যাপকতম ঐক্য গড়ে তুলে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শের আধিপত্যকে সমাজিকস্তরে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে। মানবাধিকার আন্দোলন, নাগরিক আন্দোলন, শিল্পীর স্বাধীনতার আন্দোলন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির স্বায়ত্বের আন্দোলন, সামাজিক ন্যায়বিচারের আন্দোলন, মহিলা-দলিত-সংখ্যালঘু-লিঙ্গসংখ্যালঘুদের আন্দোলনগুলিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সেখানে যেটুকু সুযোগ পাওয়া যাবে তা ব্যবহার করতে হবে।
হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিসর হলো বিজ্ঞানমনস্কতাকে শক্তিশালী করার লড়াই। আমাদের সংবিধানের ৫১এ এইচ ধারায় বলা আছে দেশের প্রতিটি নাগরিকের অন্যতম একটি কর্তব্য হলোঃ to develop the scientific temper, humanism and the spirit of inquiry and reform. নাগরিকদের বীক্ষা বিজ্ঞান দ্বারা পরিশীলিত হলেই তারা বিচারহীনতা ও যুক্তিবিমুখতার বিরুদ্ধে, অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে, মতাদর্শগত ও সামাজিক সংগ্রামকে সামাজিক পরিসরে জোরদার করে তুলতে পারবেন।