E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬১ বর্ষ ৭ সংখ্যা / ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ / ৪ আশ্বিন, ১৪৩০

কাল্পনিক গন্ডেরিরাম থেকে বাস্তবের বাটপারিয়ারা...

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়


মহাভারতের রচয়িতার দাবি নিয়ে কাজি নজরুল ইসলাম বনাম কৃত্তিবাস ওঝার মধ্যে চুলোচুলি শুরুর বহু আগেই পরশুরাম-এর শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড-এ গন্ডেরিরাম বাটপারিয়া বলেছিলেন, ‘‘সনসারের লোক সব যেন ভেড়ার পাল। এক ভেড়া যদি খাদ্দেমে গির পড়ে তো সব কোই উসিমে ঘুসে।’’ বাটপারিয়া-রা তাঁদের নিজেদের মতো করেই ভাববেন তাতে সন্দেহ নেই। ‘নাফা’র সন্ধানে মানুষকে ভেড়া ভাবতে তাঁদের জুড়ি মেলা ভার। তবে সেই ভাবনার বশবর্তী হয়ে সকলের চলাটাও বাঞ্ছনীয় নয়। যদিও বক্তব্যটা নাকি কবীরের (বাটপারিয়ার বক্তব্য অনুসারে)। ঠিক জানিনা। এরকম আরও একটা গল্পের কথা মনে পড়ছে। সম্ভবত ক্লাস ফাইভে দ্রুতপঠনের বইতে কথামৃতের কোনো এক গল্পে পড়েছিলাম স্যাকরার দোকানের মালিক ও কর্মচারীর কথোপকথন - ‘কেশব কেশব? গোপাল গোপাল। হরি হরি? হর হর।’ আপাত ধার্মিক কথাবার্তার আড়ালে যেখানে মূল বস্তু ছিল ক্রেতাকে ঠকানো - ‘এরা কারা, এরা কারা? গোরুর পাল, গোরুর পাল। চুরি করবো? হ্যাঁ, চুরি করো।’ একটু ভালো করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিলে দেখা যাবে কবীর বাণী থেকে কথামৃত - দু’জায়গার বক্তব্যই প্রায় এক।

কাল্পনিক গন্ডেরিরাম থেকে বাস্তবের বাটপারিয়াদের দল। ১৯২২ থেকে ২০২৩। ১০১ বছর পেরিয়ে গেলেও চারপাশটা খুব একটা পালটিয়ে গেছে বলে মনে হয়না। হয়তো বা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ক্রমশ ভিড় বেড়ে চলেছে এইসব বাটপারিয়াদের। কল্প চরিত্রগুলো মাটিতে নেমে চোখের সামনে নাচানাচি শুরু করে দিয়েছে। এমনকী অনেকসময় বাস্তবের অনেক চরিত্র ইতিহাসের পাতা থেকে হুবহু উঠে আসছে চোখের সামনে। সব দেখা, সব বোঝা গেলেও করা যাচ্ছে না কিছুই। এ এক আজব সমস্যা। দ্বিধা। দ্বন্দ্ব। জয় করবার জন্যে যদিও সারা দুনিয়া পড়ে আছে আজও। আজও মানুষের শৃঙ্খল ছাড়া হারাবার কিছু নেই। দৈনন্দিন আবহাওয়া আমাদের বিভিন্নভাবে এদিক ওদিক ঘুরিয়ে দিতে চাইলেও কঠোর এবং চরম বাস্তব এখনও এটাই।

কথায় কথা বাড়ে। একথা সেকথা আকথা কুকথার আড়ালে হারিয়ে যায় আসল কথা। প্রতিদিন। আপাত হালকা কথাবার্তা দিয়ে পেছনে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বহুজাতিকের ট্রেন্ডিং-এর আড়ালে মানুষের রুটি রুজির সমস্যা পেছনে ফেলে দেওয়ার খেলা বহু দিনের। বিগ লাই থিওরিও খুব একটা কম পুরোনো নয়। পাঁঠাকে কুকুর বানানোর গল্প তো তারও আগে। এগুলোর কোনোটাই যে আমরা জানি না এমনটা নয়। তবু জেনে বুঝেও অনেক সময়েই বেড়ে যাওয়া হজমশক্তির দাপটে হজম হয়ে যায় অনেক কিছুই। অথচ প্রশ্ন অনেক তোলা যায়। তোলাই তো উচিত।

গত ৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে, ‘‘অন্য রাজ্যের তুলনায় আমাদের রাজ্যের বিধায়ক, মন্ত্রীদের বেতন অনেকটাই কম। তাই আমাদের সরকার তাদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ এই কথা বলার সাথে সাথেই মুখ্যমন্ত্রী বেতনবৃদ্ধির ঘোষণা করে দিয়েছেন। যদিও জানা যায়নি, এই বিষয়ে ঘোষণার আগে অর্থের সংস্থান, অর্থ দপ্তরের অনুমতি আদৌ নেওয়া হয়েছে নাকি সবটাই হয়েছে খেয়ালখুশির ঘোষণার পরবর্তী সময়ে। তবে মাইনে বেড়েছে। আকণ্ঠ ধারের ভারে ডুবে থাকা রাজ্যে ঠিক যেমন মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেয় পুজো কমিটিগুলিকে ৭০ হাজার টাকা করে খয়রাতির ঘোষণা করা হয়েছে, তেমনই মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেতেই হয়তো বা মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন ভাতা বেড়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রী বিধায়কের বেতন বেড়েছে ৪০ হাজার টাকা করে। অর্থাৎ বিধায়কদের বেতন আগে যা ছিল ১০ হাজার টাকা তা বেড়ে হবে ৫০ হাজার টাকা। প্রতিমন্ত্রীদের বেতন ১০ হাজার ৯০০ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৫০ হাজার ৯০০ টাকা। দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের বেতন ১১ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হবে ৫১ হাজার টাকা। অর্থাৎ রাজ্যের একজন বিধায়ক এখন থেকে বেতন ও ভাতা মিলিয়ে প্রতি মাসে পাবেন ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। একজন পূর্ণ মন্ত্রী পাবেন ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা।

অবশ্য এবারেই প্রথম নয়। রাজ্যের তৃণমূল সরকারের আমলে এর আগেও বেশ কয়েকবার ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়েছে মন্ত্রী বিধায়কদের ভাতা, বেতন। রাজ্যের অর্থ দপ্তর সূত্রের তথ্য অনুসারে, চলতি আর্থিক বছরে (২০২২ সালের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত) মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য খরচ বাবদ সরকারের ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫২ কোটি টাকা। যা ২০২১-২২ সালের তুলনায় ২০ কোটি টাকা বেশি। ২০২১-২২ সালে মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন, ভাতা বাবদ সরকারের খরচ হয় ৩৩ কোটি টাকা।

২০১১ সাল, অর্থাৎ রাজ্যে ক্ষমতা বদলের আগে পর্যন্ত একজন বিধায়কের দৈনিক ভাতা ছিল ৭৫০ টাকা। বিধায়করা মন্ত্রীসভার সদস্য হলেও এই ভাতাই পেতেন। এরপর বিধায়কের দৈনিক ভাতা বেড়ে হয় ২০০০ টাকা এবং মন্ত্রীদের দৈনিক ভাতা দাঁড়ায় ৩০০০ টাকায়। অর্থাৎ শেষ ১২ বছরে বিধায়কদের ভাতা আগেই বেড়েছিল প্রায় ৩ গুণ এবং মন্ত্রীদের ভাতা প্রায় ৪ গুণ।

অর্থ বিভাগের রেকর্ড অনুসারে, ২০১১ সাল পর্যন্ত মন্ত্রীদের মাসিক বেতন ছিল ৭,৫০০ টাকা, যা পরে হয় প্রায় ২৩,০০০ টাকা। সেই সময় মন্ত্রী হিসেবে বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে একজন মন্ত্রী মাসে পেতেন ১,২২,০০০ টাকা। একজন বিধায়ক মাসে পেতেন প্রায় ৮২,০০০ টাকা। যার মধ্যে তাঁর মাসিক বেতন ছিল ২১,৮০০ টাকা।

২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী পদের মাসিক বেতন ছিল ৮,৫০০ টাকা। পরবর্তী সময় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১,১৭,০০০ টাকায়। অর্থাৎ প্রায় ১৪ গুণ মাইনে বাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর এবং মাসিক বিভিন্ন ভাতা মিলিয়ে সেই অঙ্ক গিয়ে দাঁড়ায় ১,৮১,০০০ টাকায়। যদিও এবারের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধির সময় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তিনি তাঁর বেতন বাড়াননি। যা সরকারি নিয়ম অনুসারে আদৌ বাস্তবসম্মত কিনা সে প্রশ্ন থেকেই যায়।

যখন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার ব্যবধান ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে শহিদ মিনারে ধরনা দিচ্ছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ, অনশন করছেন, সেই সময় তাদের বঞ্চিত করে একতরফাভাবে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বাড়ানো কতটা যুক্তিসঙ্গত? অবশ্য সরকারের মনোভাব বুঝে নিতে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়রের বক্তব্যই যথেষ্ট। যিনি ওই সময় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন, যাঁরা কিছু পাচ্ছেন তাঁদের আরও দেওয়ার পরিবর্তে যাঁরা বঞ্চিত তাঁদের দেওয়াটা জরুরি মনে করে সরকার। এই বেতনে না পোষালে চাকরি ছেড়েও দিতে বলেন তিনি। মাননীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই প্রশ্ন উঠেছিল, রাজ্য সরকার যখন যথেষ্ট বেতনপ্রাপ্তদের আরও বেশি অর্থ প্রদানে বিশ্বাস করে না, তখন গত ১২ বছরে মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বিশাল বেতন বাড়ানোর যৌক্তিকতা কী? সেই প্রশ্ন বোধহয় এবার আরও জোরালো হলো।

আলোচনাটা যেহেতু খরচাপাতি নিয়ে তাই এইসব মাইনে টাইনে বাড়িয়ে নেবার পাশাপাশি অন্য কিছু বিষয়ে নজর ঘোরালেও খুব একটা মন্দ হবেনা। ৩১ মার্চ, ২০১১ পর্যন্ত, পূর্ববর্তী বামফ্রন্ট সরকারের অধীনে শেষ আর্থিক বছরে, পশ্চিমবঙ্গের পুঞ্জীভূত ঋণ ছিল ১.৯৭ লক্ষ কোটি টাকার কিছু বেশি। যা নিয়ে বাম জমানার শেষ লগ্নে প্রায় তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এরপর গঙ্গা দিয়ে গড়িয়ে যাওয়া জলের হিসেব জানাচ্ছে শেষ রাজ্য বাজেটের সংশোধিত অনুমান অনুসারে, রাজ্য সরকারের মোট পুঞ্জীভূত ঋণ ৩১শে মার্চ, ২০২৩ পর্যন্ত প্রায় ৫.৮৬ লক্ষ কোটি টাকা। ৩১শে মার্চ, ২০২২-এ ৫.২৮ লক্ষ কোটি টাকা ছিল। এর অর্থ, তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের পুঞ্জীভূত ঋণ প্রায় ১৮২ শতাংশ বেড়েছে। সংশোধিত হিসাব অনুযায়ী শেষ এক বছরে রাজ্য সরকার বাজার থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাজ্যের পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ লক্ষ ৪৭ হাজার কোটি টাকা। রাজ্য সরকার বর্তমান বছরের বাজেট পেশ করার সময় জানিয়ে দিয়েছে আগামী ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে শুধু বাজার থেকে রাজ্য সরকার ধার করবে ৭৮,৯৪৬.৪৯ কোটি টাকা। সব ধারের হিসেব একজায়গায় করলে দেখা যাবে শুধুমাত্র মমতা ব্যানার্জির শাসনকালে রাজ্যের ধারের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার কোটি টাকা।

শেষ রাজ্য বাজেটে মূলধনী খাতে ব্যয় কমানো হয়েছে অনেকটাই। ৬৪ হাজার কোটি টাকা থেকে ১২ হাজার কোটি কমিয়ে ৫২ হাজার কোটি টাকায় নামানো হয়েছে। ১২ হাজার কোটি টাকা কম খরচ করার অর্থ, রাজ্যের রাস্তা, সেতু, বাঁধ নির্মাণ সহ স্থায়ী সম্পদ তৈরি থমকে যাবে। তার অবধারিত প্রভাব পড়বে কাজের বাজারে। কাজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন গরিব মানুষ।

রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থনীতিবিদরা জানাচ্ছেন, রেকারিং খরচ এবং অপরিকল্পিত খরচের ক্ষেত্রে যদি কিছু কঠোর আর্থিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, সেক্ষেত্রে যে পরিস্থিতি তৈরি হবে তা সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। আর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুসারে স্থায়ী সম্পদ তৈরির খাতে রাজ্যের ব্যয় প্রায় তলানিতে। ফলে ক্রমশ ক্রমশ কমছে রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা। এছাড়াও আছে খেলা, মেলা জাতীয় পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে খরচের বৃদ্ধি। টাকা তোলবার জন্য অন্য কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা না থাকলেও রাজ্য সরকার জোর দিয়েছে মদ বিক্রিতে। গত আর্থিক বছরে মদ বিক্রি থেকে ১৬,৫০০ কোটি টাকা আয় করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে মদ বিক্রি করে ১৭,৯২১.৫৬ কোটি টাকা আয় করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার।

যদিও রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ভাঁড়ে মা ভবানী হলেও বিরাম নেই খয়রাতির রাজনীতির। বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠনকে নিজেদের তাঁবে রাখার জন্য ২০১৮ থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছিল পুজো কমিটিগুলোকে অনুদান। ক্লাব পিছু ১০ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে শুরু করা সেই প্রকল্প ২৫ হাজার, ৫০ হাজার, ৬০ হাজার পেরিয়ে এই বছর পৌঁছে গেছে ৭০ হাজার টাকায়। এবছর ক্লাবের সংখ্যা মোটামুটি ৪৩ হাজার। শেষ ৬ বছরের হিসেব একসঙ্গে জুড়ে দিলে এই খরচ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। মুশকিল হলো, এই টাকাগুলো কিন্তু কোনো গৌরী সেন-এর তহবিল থেকে আসছে না। দিতে হচ্ছে রাজ্যেরই হাজার হাজার করদাতাকে। পরিসংখ্যান অনুসারে রাজ্যের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৮ হাজার টাকায়।

এতকিছু লিখে ফেলার পরেও প্রশ্ন একটা থেকেই যায়। সমস্যাগুলোকে একের পর তুলে এনে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিবেশন করার পরেই কী দায়িত্ব সব শেষ হয়ে যায়? নাকি হাতে থেকে যাওয়া পেনসিল অথবা অনন্ত জিজ্ঞাসা - অতঃ কিম ঘোড়ার ডিম নিয়ে মাথা কপাল চাপড়াতে হয়? এক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো, ভাবনার গোড়া ক্রমাগত খুঁচিয়ে চলা হাজারো ইস্যু বনাম তার চেয়েও ঢের বেশি সংখ্যায় নন ইস্যুর মুখোমুখি সংঘাতের মাঝে সঠিক পথ খুঁজে নেবার লড়াই। ক্রমশ পাল্লা ভারি হওয়া গন্ডেরিরাম বাটপারিয়াদের ‘‘সনসারের লোক সব যেন ভেড়ার পাল’’ প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুটি রুজি ছাদের লড়াইটা তাই মানুষেরই। সে লড়াই জেতার তাগিদও একমাত্র মানুষেরই।