৫৮ বর্ষ ৩৬ সংখ্যা / ২৩ এপ্রিল, ২০২১ / ৯ বৈশাখ, ১৪২৮
কোভিড মহামারীর মোকাবিলায় চূড়ান্ত অপদার্থতা কেন্দ্র রাজ্যের
ফের লকডাউন। ঘরে ফিরতে বাসের ছাদেই চাপাচাপি পেটের টানে ভিনরাজ্য থেকে আসা মানুষের।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নীতির জেরে দেশজুড়ে করোনা মোকাবিলায় নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মৃত্যু বাড়লেও কোভিড প্রতিষেধক কোভিশিল্ড উৎপাদক সংস্থাকে কেন্দ্র দাম বাড়াবার সম্মতি দেওয়ায় বিপর্যয়ের মুখে গণ টিকাকরণ ব্যবস্থা। ওই বেসরকারি সংস্থাকে বিপুল মুনাফার সুযোগ করে দিয়ে রাজ্যগুলির ঘাড়ে বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কেন্দ্রের জন্য একডোজ টিকার দাম ১৫০ টাকা রাখা হলেও রাজ্যগুলিকে দিতে হবে ৪০০ টাকা। বেসরকারি স্তরে তা আরো বেশি।
এদিকে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়লেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভাষণে সব দায় এড়িয়ে দায়িত্ব নিতে বললেন সাধারণ মানুষকে। তিনি বলেননি কেন্দ্র এই পরিস্থিতিতে কি করবে, শুধু ধৈর্য রাখতে বলেছেন। করোনা জনিত শ্বাসকষ্টে অক্সিজেনের জোগানের কি হবে সে সম্পর্কেও নীরব কেন্দ্র।
উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের শ্মশানে সার দিয়ে মৃতদেহ।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের দ্রুতগতির সংক্রমণে চিন্তার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কলকাতা হাইকোর্ট কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের ৮ দফা নির্বাচন সম্পর্কে এক মামলায় তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ইলেকশন কমিশন যথেষ্ট করছে না, যদিও এই পরিস্থিতিতে তা করার ক্ষমতা রয়েছে (কমিশনের)।
সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি কেন্দ্রের সমালোচনা করে বলেছেন, নিজের দায় ছুড়ে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী। গভীর স্বাস্থ্য সংকটে সরকার কি করবে তা নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি তিনি।... পরিযায়ী শ্রমিকদের বিনামূল্যে যাতায়াতের কথা বলা হলো না। আর্থিক সহায়তা, বিনামূল্যে খাদ্য সম্পর্কে নীরব থাকলেও প্রধানমন্ত্রী।
সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরোর দাবি, বৈষম্য নয়, বিনামূল্যে মানুষকে প্রতিষেধক পৌঁছে দিতে হবে সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে সার্বজনীন টিকাকরণই একমাত্র পথ।