৫৮ বর্ষ ৩৬ সংখ্যা / ২৩ এপ্রিল, ২০২১ / ৯ বৈশাখ, ১৪২৮
মোদীর আমলে প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা
সিদ্ধার্থ সেনগুপ্ত
আইনসঙ্গত পদ্ধতিতে সুষ্ঠুভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্থাপিত হতে শুরু করেছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উত্থাপিত প্রশ্নগুলির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত না নিয়ে কমিশনের দীর্ঘ নীরবতা মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। এরফলে কেন্দ্রের শাসকদল যে সুবিধা পাচ্ছে তা অস্বীকার করার কোনো জায়গা নেই। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন নিয়ে জনমানসে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে তীব্র হচ্ছে সন্দেহ। সম্প্রতি শীতলকুচির মর্মান্তিক ঘটনায় গুলিতে পাঁচজনের মৃত্যুতে কমিশনের ভূমিকা এই সন্দেহকে আরও দৃঢ় করছে। এর আগেও কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন সাংবিধানিক সংস্থাগুলির ওপর নেমে এসেছে স্বৈরাচারী পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণের কালোছায়া। নির্বাচন কমিশনের উপর কেন্দ্রের শাসকদলের হস্তক্ষেপ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। কেন্দ্রের শাসকদলকে তুষ্ট করা কমিশনের কাজ না হলেও সংবিধান বিরোধী বিজেপি সরকারের চাপের কাছে কিছুটা হলেও নির্বাচন কমিশন মাথা নত করেছে। এতে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নষ্ট হচ্ছে।
বিভিন্ন সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের নামে কমিশনকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে তার একটি উদাহরণ দেওয়া হলো। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় পুলওয়ামা ও বালাকোটের ঘটনায় সামরিক বাহিনীকে জড়িয়ে নির্বাচনী প্রচার ছিল আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন। এই ধরনের প্রচারের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ’র বিরুদ্ধে উঠেছিল। এই অভিযোগ ২-১ ভোটে খারিজ করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন অন্যতম নির্বাচনী কমিশনার অশোক লাভাসা। আইন মেনে বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য অনেক মূল্য চোকাতে হয়েছে লাভাসাকে। সরকারের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি তাঁর পরিবারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁর স্ত্রী, পুত্র এবং ভগিনী বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা থেকে নোটিশ পেতে থাকেন। প্রথা অনুসারে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পর অশোক লাভাসার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সৎ ও শক্ত মেরুদণ্ডের অধিকারী লাভাসাকে ফ্যাসিস্ত মনোভাবাপন্ন মোদী সরকার পদে রাখবে কেন? ২০২২ সালের অক্টোবরে লাভাসার অবসর নেওয়ার কথা ছিল, তাই তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তদন্ত চালু করার সাথে সাথে করোনা অতিমারীর মধ্যে গত জুলাইয়ে তাঁকে ধূর্ততার আশ্রয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পদ থেকে সরিয়ে পাঠানো হলো এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট করে। মোদী সরকার কিভাবে স্বৈরাচারী পদ্ধতিতে শাসন চালাচ্ছে তার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ এটি।
দ্বিতীয় উদাহরণটি হলো, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে অমিত শাহ গান্ধীনগর থেকে এবং স্মৃতি ইরানি আমেথি থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ার পর গুজরাটে রাজ্যসভার দু’টি আসন খালি হয়। বিধানসভার শক্তি অনুসারে একটি করে আসন শাসক ও বিরোধীদের পাওয়ার কথা। কিন্তু বিরোধীদের একটি আসন পাওয়া আটকাতে দু’টি আসনের জন্য নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ সৃষ্টি করে কেন্দ্রীয় সরকার। কমিশন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের চাপের কাছে মাথা নত করে দু’টি আসনের জন্য দু’টি আলাদা বিজ্ঞপ্তি জারি করায় দু’টি আসনের জন্য আলাদা আলাদা ব্যালট করে নির্বাচন কমিশন। সেই সময় গুজরাট বিধানসভার ১৮২টি আসনের মধ্যে বিজেপি’র ১০০,কংগ্রেসের ৭৭ এবং অন্যান্য বিরোধী দল ও নির্দল সদস্যদের সংখ্যা ছিল ৫টি। স্বাভাবিকভাবে আলাদা ব্যালটে দু’টি আসনে ভোটের ব্যবস্থা করায় প্রথম ও দ্বিতীয় অগ্রাধিকারের সুযোগ থেকে বিরোধীদের বঞ্চিত করার ফলে দু’টি আসনেই জয়ী হয় বিজেপি। এইভাবে পক্ষপাতিত্বের ফলে কমিশনের নিরপেক্ষতা ধুলিসাৎ হয়ে যায়। বিপন্ন হয় গণতন্ত্র।
পশ্চিমবঙ্গে আট দফা নির্বাচন ঘোষণার সময় সুষ্ঠু ভোটের যে প্রতিশ্রুতি নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া হয়েছিল তা নিরপেক্ষভাবে পালিত হচ্ছেনা। সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বিষাক্ত প্রচারের মাধ্যমে ভোটারদের মধ্যে মেরুকরণ ঘটিয়ে নির্বাচনে জয়লাভের লক্ষ্যে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই তিনজন পদাধিকারী প্রতিদিন যেভাবে বিভাজনের ঘৃণ্য প্রচার করে চলেছেন - তা এই রাজ্যের ক্ষেত্রে এক অশনিসংকেত। এই সাম্প্রদায়িক প্রচার নিয়ন্ত্রণে আনার কোনো কড়া পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি। নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে হিংসায় উস্কানি দিয়ে চলেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা কমিশন। যদিও মমতা ব্যানার্জিকে নাম কা ওয়াস্তে ২৪ ঘণ্টা নির্বাচনী প্রচার থেকে নিলম্বিত করেছে কমিশন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রদায়িক প্রচারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন। সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বিষাক্ত প্রচারের জন্য এঁদের নির্বাচনী প্রচার থেকে বের করে দেওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশন একদিকে ভোটগ্রহণের আগের প্রচারের সময়সীমা কমিয়ে দিচ্ছে, অন্যদিকে ভোট চলাকালীন সব টিভি চ্যানেলগুলিকে ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনামূলক ভাষণ সম্প্রচারের সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব অবাধ ও হিংসামুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করার।
এর মধ্যেই রাজ্যের চতুর্থ দফা নির্বাচনে শীতলকুচির পাঠানটুলিতে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন জীবনের প্রথম ভোট দিতে আসা আনন্দ বর্মন নামে এক যুবক। গ্রামবাসীদের অভিযোগ গুলি ছুঁড়েছে তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি ভোটে ফয়দা তোলার জন্য সাম্প্রদায়িক প্রচার শুরু করে দেয়। এর পরই ঘটে নির্বাচনের সবচেয়ে মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক ঘটনা।
এই কেন্দ্রের জোরপাটকি গ্রামের বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত হন চারজন ও আহত হন কয়েকজন। নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হতে থাকে অস্ত্র নিয়ে বুথ দখলের উদ্দেশে আসা এই গ্রামবাসীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে আক্রমণ করায় আত্মরক্ষার্থে তারা গুলি চালায়। বুক লক্ষ করে গুলি চালানোর আগে অন্য পদ্ধতিতে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার কোনো চেষ্টা করেনি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এই উন্নত প্রযুক্তির যুগে ঘটনার ছবি বা আসল ঘটনার কোনো প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ কমিশন। ওয়েবকাস্টের কোনো ছবিও দেখাতে ব্যর্থ কমিশন। বলা হচ্ছে উত্তেজিত জনতা নাকি ফোর্সকে ঘিরে ধরেছিল, অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তাই গুলি চলেছে। কিন্তু তার প্রমাণ কোথায়। সিসিটিভি যদি নাও থাকে তাহলেও মোবাইল ক্যামেরা তো অনেকের কাছে ছিল নিশ্চয়ই। ছবি কেউই তুললো না, তুলে থাকলে সেসব কোথায় - কিছুই নেই নির্বাচন কমিশনের কাছে। কোমরের ওপরেই বা গুলি চলল কেন। তৃণমূল এবং বিজেপি’র উসকানিতে গত দু’বছরে শীতলকুচিতে দু’টি ধর্মীয় হানাহানিতে মন্দির, মসজিদ ভেঙেছে দুষ্কৃতীরা। ঘরছাড়া হতে হয়েছে অনেককে। হানাহানির সেই দগদগে ঘা বহু এলাকায় এখনও আছে। এবার ভোট আসতেই দুই দলই বিভাজনের রাজনীতি করতে শুরু করেছিল।
ভোটগ্রহণে মোতায়েন করা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কারা পরিচালনা করছে, নির্বাচন কমিশন না কি কেন্দ্রের শাসকদল? হিংসা বন্ধ করে অবাধ নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নির্বাচন কমিশনের ব্যবহার করার কথা। বিজেপি নেতাদের ‘বুক লক্ষ্য করে গুলি চালাতে বলব’, ‘এইরকম শীতলকুচির মতো ঘটনা আরও ঘটাবো’ এই সব কথা ও হাবেভাবে মনে হচ্ছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ তাঁদের হাতে। এইসব সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক কথাবার্তা যাঁরা বলছেন, তাঁরা দিব্বি পার পেয়ে যাচ্ছেন কিভাবে? ওদিকে বিভিন্ন দফার নির্বাচন চলাকালীন বা সেই দফার সাইলেন্স পিরিয়ডে প্রধানমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, নানা উসকানিমূলক মন্তব্য করছেন ও নানা ইন্ধন দিয়ে চলেছেন। এই ধরনের আচরণ নির্বাচনী বিধির ১২৬ ধারাকে লঙ্ঘন করছে। নির্বাচন কমিশনের নীরবতা আসলে নিরপেক্ষ ভূমিকাকে ক্ষুণ্ণ করে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করার একটি উদাহরণ হিসাবে গণ্য করা যায়।
সাম্প্রদায়িক বিভাজন ছাড়া যাদের ভোটে জেতার কোনো আশা নেই, তারাই শীতলকুচির ঘটনায় উল্লসিত হয়ে রাজ্যজুড়ে আতঙ্ক ও সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে লিপ্ত। বিবদমান দু’টি রাজনৈতিক দল যেভাবে এই ঘটনায় ফায়দা লুটতে নেমে পড়েছে তাতে এই ঘটনা আচমকা ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা হিসাবে চিহ্নিত করলে ভূল হবে। এটা পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে দেখলে সঠিক মূল্যায়ন হবে। নির্বাচন কমিশন, জেলা পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরস্পরবিরোধী বয়ানের সাথে স্থানীয় মানুষের বয়ান মিলছে না। ঘটনার দীর্ঘ সময় পরেও সত্য উদ্ঘাটনে কর্তৃপক্ষের অনীহায় ঘটনার পিছনে কুটিল ষড়যন্ত্রের আভাসই স্পষ্ট হচ্ছে। পাঁচজনের মর্মান্তিক ঘটনায় কোনো শোক বা দুঃখপ্রকাশ নয়, মনে হচ্ছে এই ঘটনায় তারা উল্লসিত। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘটনার পর নির্বাচনী সভায় এসে ঘটনায় সাম্প্রদায়িকতার ইঙ্গিত দিলেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও এই মর্মান্তিক ঘটনায় ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন।
কেন্দ্র ও শাসকদল যেভাবে জলের মতো অর্থ ব্যয় করছে তাতে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যে,এই ভোটে এই অস্বচ্ছ অর্থের জোগান প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে ফের নতুন নির্বাচনী বন্ড বাজারে ছাড়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দেখা গিয়েছে যাবতীয় অর্থ জোগানের ৫২ শতাংশই বিজেপি’র কোষাগার ভরিয়েছে। এডিআর রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, ২০১৯’র নির্বাচনে কর্পোরেট অর্থ জোগানের ৯৫ শতাংশ পেয়েছিল বিজেপি। ফলে এই বন্ডের স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন থেকে যায়। পকেট ভরছে বিজেপি’র অথচ সেই ক্ষতিকর প্রভাব প্রতিরোধে কমিশনের কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। ভোটে অর্থের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে জনগণের সন্দেহ দূর করার জন্য কমিশনের হস্তক্ষেপ জরুরি। তাই অবিলম্বে এই প্রশ্নগুলির সঠিক এবং সুস্পষ্ট জবাব দেওয়া দরকার কমিশনের। কেননা নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা এবং আস্থা পুরোটাই নির্ভর করে কমিশন কতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট পরিচালনা করছে।
কর্মসংস্থান,শিক্ষা,গণতন্ত্র ইত্যাদি প্রশ্নে কোণঠাসা বিজেপি ভালোভাবেই জানে, এই রাজ্যে তাদের জেতার কোনো আশাই নেই। মমতা ব্যানার্জিও জানেন গত দশ বছরের কাজের নিরিখে তাঁর ক্ষমতা থেকে বিদায় এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাই কি অদৃশ্য বন্ধনে আবদ্ধ বিজেপি এবং তৃণমূল এইরকম একটি ঘটনা ঘটবার অপেক্ষায় ছিল। কোনো একটি ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারলে পরবর্তী দফার নির্বাচনগুলিতে ফয়দা তোলা যাবে। তাই দু’পক্ষই সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সাম্প্রদায়িক বিভাজন ঘটিয়ে ভোটে ফয়দা তোলার কাজে। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নীরবতা তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।