৬০ বর্ষ ১৯ সংখ্যা / ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ / ৭ পৌষ, ১৪২৯
আচ্ছে দিনের গল্পমালা
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
মোকদ্দমার রায় দিয়েছিল বিচারপতি প্যাঁচা। কানে কলম গোঁজা খরগোশকে হুকুম দিয়েছিল, ‘যা বলছি লিখে নাও, মানহানির মোকদ্দমা, ২৪ নম্বর। ফরিয়াদী - সজারু। আসামী - দাঁড়াও। আসামী কৈ?’ তখন সবাই বলল, ‘ঐ যা! আসামী তো কেউ নেই।’ তাড়াতাড়ি ভুলিয়ে-ভালিয়ে ন্যাড়াকে আসামি দাঁড় করানো হলো। ন্যাড়াটা বোকা, সে ভাবল আসামিরাও বুঝি পয়সা পাবে, তাই সে কোনো আপত্তি করল না। বিচারে ন্যাড়াকে তিনমাসের জেল আর সাতদিনের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।
‘হ য ব র ল’ যেহেতু গল্প তাই এখানে অনেক কিছুই লেখা আছে। বাস্তব তো আর নয়। বাস্তবে হলে আসানসোল থেকে সরাসরি দিল্লি যাত্রা আটকাতে রাতারাতি দুবরাজপুরে চালান করে দেওয়া হতো। শিবের কৃপা অথবা দুর্গার - তা তো ভবিষ্যতে জানা যাবে। তবে একটা কথা। এখানো কোনো ন্যাড়াকেই ভুলিয়ে ভালিয়ে ‘আসামি’ করা হয়নি। কৃতকর্মের দায়েই ন্যাড়াগণ আপাতত গরাদের ওপারে। একটা একটা করে দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে। আর একটু একটু করে ন্যাড়াদের মাথার সযত্ন লালিত কুচকুচে কালো চুলের রং উঠে বেবাক সাদা হয়ে যাচ্ছে। যদিও এপার অথবা ওপার - ‘তাঁরা’ যেখানেই থাকুন, প্রতি পদে প্রমাণ রেখে যান তাঁরা সত্যিই কতটা প্রভাবশালী। আইনকানুন, বিচারব্যবস্থা - থোড়াই কেয়ার। সবকিছুকেই যে কোনো সময় তাঁরা বুড়োআঙুল দেখাতে পারেন। বেচারি ‘প্যাঁচা’দের অসহায় দর্শক হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকেনা। শাস্তি বড়োজোর সাতদিনের ফাঁসি আর তিনমাসের জেল।
অবশ্য বছরের শেষটা এরকম হবার কথা ছিল না। বিশেষ করে আমরা যখন তিনটে ডেট পেয়েই গেছিলাম। ১২, ১৪, ২১। গেল গেল রব উঠে গেছিল। এই যায় সেই যায়। সরকার বুঝি উলটে যায়। কী হয়, কী হয়! যদিও তিনদিনে তিন ঘোড়ার ডিম ছাড়া বিশেষ কিছু প্রাপ্তিযোগ নেই। ১২-তে বগটুই কাণ্ডের অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু। কেন, কখন, কীভাবে, কার গাফিলতি - সে প্রশ্ন থাক। ১৪-তে আসানসোলে কম্বল বিতরণে পদপিষ্ট হয়ে কয়েকজনের মৃত্যু। আর ২১শে কিছুই না। অবশ্য ১২ তারিখের আগে ৫ তারিখ একটা দিল্লি সফর হয়ে গেছে। আবার ১৭ তারিখে আরও একটা ছোট্ট গোপন বৈঠকও হয়ে গেছে। কাজেই তারিখ ধরে ধরে দেওয়া হুঙ্কার দিনের শেষে নিস্ফলা। এভাবে কেউ মানুষের আশায় জল ঢালে? ‘তারিখ পে তারিখ, তারিখ পে তারিখ’ ঘোষণার আগে সেটিং-এর সিঁড়ি ভাঙা অঙ্কটাও তো যাত্রাপালার অধিকারী মশাইকে একটু মাথায় রাখতে হবে, নাকি?
বছরের শেষে এসে এসব বাজে কথা থাক। আমরা বরং একটু দেখে নিই বছরটা কীরকম কাটলো। প্রথমে দেখে নেওয়া যাক গুগল সার্চ ট্রেন্ডিং অনুসারে এই বছর ভারত থেকে সবথেকে বেশি কী খোঁজা হয়েছে গুগলে। এই তালিকার শীর্ষে আছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, কো-উইন, ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ, এশিয়া কাপ, আইসিসি টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপ। এছাড়া সার্চ হয়েছে অগ্নিপথ কী? ন্যাটো কী? এনএফটি কী? পিএফআই কী? এবং স্কোয়ার রুট অফ ৪ কী? এছাড়াও সার্চ হয়েছে কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ার মি, সুইমিং পুল নিয়ার মি, ওয়াটার পার্ক নিয়ার মি, মুভিস নিয়ার মি, টেকআউট রেস্টুরেন্টস নিয়ার মি। যেসব ব্যক্তির নাম গুগলে খোঁজা হয়েছে সেখানে শীর্ষে আছে নূপুর শর্মা, দ্রৌপদী মুর্মু, ঋষি শুনক, ললিত মোদী, সুস্মিতা সেন। যেসব খবর ২০২২-এ গুগলে ভারতীয়রা খুঁজেছেন তার শীর্ষে আছে লতা মুঙ্গেশকরের মৃত্যু, সিধু মুসেওয়ালার মৃত্যু, রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন, ভারতে কোভিড-১৯। এই তালিকায় আরও অদ্ভুত অদ্ভুত অনেক জিনিস আছে। সেসব নাহয় থাক। গুগল ২০২২-এ বিশ্বজুড়ে সার্চিং-এর যে ট্রেন্ডিং রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেখানে প্রথম পাঁচে আছে - ওয়ার্ডল, ইন্ডিয়া বনাম ইংল্যান্ড, ইউক্রেন, কুইন এলিজাবেথ, ইন্ডিয়া বনাম সাউথ আফ্রিকা। বিশ্বজুড়ে ২০২২-এ সারা পৃথিবীর মানুষ গুগলে যে সমস্ত খবর খুঁজেছেন তার শীর্ষে আছে ইউক্রেন, রানি এলিজাবেথের মৃত্যু, নির্বাচনী সংবাদ, পাওয়ারবল নাম্বারস এবং মাঙ্কিপক্স। অবশ্য বলে রাখা ভালো, এই তালিকায় আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বেলারুশ, বুলগেরিয়া, চীন, ক্রোয়েশিয়া, ইকুয়েডর, ইরাক, কুয়েত, মায়ানমার, প্যালেস্তাইন, রাশিয়া, ভেনেজুয়েলা প্রভৃতি দেশ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে।
গুগল সার্চিং ট্রেন্ড-এর ফলাফলের ভিত্তিতে যদি কোনো সমীক্ষা করতে হয় তাহলে একটা বিষয় এই প্রবণতা থেকে প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ট্রেন্ডস গুগল ডট কম-এর তথ্য অনুসারে, বিগত এক বছরে ভারতবাসীর একটা বড়ো অংশ কোনো জটিল সমস্যায় মাথা ঘামাননি। বলা ভালো আগ্রহ প্রকাশ করেননি। এই তথ্য অনুসারে, রাজনৈতিক বিষয়ে ভারতবাসীর উৎসাহ যথেষ্ট কম। দেশে যাই হোক না কেন, ভারতবাসী খেলাধুলার বিষয়ে বেশ আগ্রহী এবং উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতবাসীর আগ্রহ ছিল। সেই উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন, যেখানে লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের পিষে মারার পরেও সেই কেন্দ্রে রাজ্যের শাসকদলই জয়লাভ করে। যদিও কৃষক মৃত্যু, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ, ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণ মকুব, বেলাগাম ছাঁটাই, কর্মহীনতা, বিশ্ব ক্ষুধা সূচক, প্রেস ফ্রিডম ইন্ডেক্স, মানবোন্নয়ন সূচক - এসব কোনো কিছু নিয়েই কোনো আগ্রহ নেই। এর থেকে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা না করেও বলা যায়, এই প্রবণতা বোধহয় সচেতনতার ইঙ্গিত নয়। অবশ্য অ্যালগরিদিমের খেলা যে কোথায় কীভাবে চলে তা বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বোঝা কিছুটা দুষ্কর। সেই খেলায় কোন বিষয়কে সামনে তুলে আনা হবে আর কোন বিষয়কে পিছনে ঠেলে দেওয়া হবে তা ঠিক করে দেওয়া হয়। কাজেই আপাতত এই বিষয়টা থাক।
আমরা বরং একবার দেখে নিই শেষ একমাসের বিভিন্ন সংবাদ শিরোনাম। মোটামুটি নভেম্বর ১ থেকে ডিসেম্বরের ৭ তারিখ। এটাকেও অবশ্যই একটা ট্রেন্ড অ্যানালিসিসের পর্যায়ে ফেলা যেতে পারে। বিরক্ত লাগলেও একটু কষ্ট করে পড়ে নেবেন। নভেম্বর ১ তারিখের খবর - ট্যুইটার থেকে গণহারে কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ এলন মাস্কের। ৫ নভেম্বর - ভারতে ২০০ জনের বেশি, বিশ্বজুড়ে ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই ট্যুইটারের। ৭ নভেম্বর - ট্যুইটারের পর এবার কয়েক হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে মেটা। ৯ নভেম্বর - এক ধাক্কায় ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই ফেসবুকে। ১৫ নভেম্বর - ট্যুইটারে কাজ হারালেন আরও ৪,৪০০ চুক্তিভিত্তিক কর্মী। ২০ নভেম্বর - ৩ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে জোম্যাটো। ২২ নভেম্বর - ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেটের। ২৪ নভেম্বর - বিশ্বব্যাপী মন্দা - তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বেলাগাম ছাঁটাই, স্থায়ী কর্মী নিয়োগ কমেছে ৬১ শতাংশ। ২৫ নভেম্বর - বিশ্বজুড়ে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত আমাজনের। ৭ ডিসেম্বর - নতুন বছরের শুরুতেই কাজ হারাতে চলেছেন আমাজনের ২০ হাজার কর্মী। ৭ ডিসেম্বর - বেদান্তুতে ৩৮৫ কর্মী ছাঁটাই, এক বছরে চতুর্থবার। ৭ ডিসেম্বর - ১৬০০ কর্মীকে বরখাস্ত করল মরগান স্ট্যানলি। আর এই এতগুলো খবরের নির্যাস একেবারে দেওয়া হয়েছে ১৫ ডিসেম্বরের এক রিপোর্টে। যেখানে মার্কিন কর্মী নিয়োগকারী সংস্থা - ‘চ্যালেঞ্জার, গ্রে অ্যান্ড জানিয়েছে, ২০০৮ সালে বিশ্বের বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানিতে প্রায় ৬৫,০০০ কর্মী ছাঁটাই হয়েছিল এবং, ২০০৯ সালে একই সংখ্যক কর্মী তাদের জীবিকা হারান। যে মহামন্দার শুরু হয়েছিল লেম্যান ব্রাদার্স-এর পতন দিয়ে। আর শুধুমাত্র ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে মোট ৯৬৫টি প্রযুক্তি কোম্পানি ছাঁটাই করেছে ১.৫ লাখেরও বেশি কর্মী। যা ছাপিয়ে গেছে ২০০৮-০৯-এর মহামন্দাকে। এর পাশাপাশি এক রিপোর্টে মার্কেটওয়াচ জানিয়েছে, ২০২৩ এবং এরপরে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে প্রযুক্তি সংস্থাগুলি যে যে কৌশলগুলি নেবে তার একটি হলো - ‘ছাঁটাই’। অর্থাৎ, এখানেই শেষ নয়। অপেক্ষা করছে ‘দুয়ারে ছাঁটাই’। এই প্রসঙ্গে, ক্রাউডসোর্স ডাটাবেস - layoffs.fyi জানিয়েছে, মহামারী করোনার পর বিশ্বের ১,৪৯৫টি প্রযুক্তি কোম্পানি ২,৪৬,২৬৭ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। এর মধ্যে বেশি ছাঁটাই হয়েছে ২০২২ সালে এবং তাদের আশঙ্কা ২০২৩ সালে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে যেতে পারে। অতএব, গুগল ট্রেন্ডস-এ পৃথিবীর, ভারতের ভয়ংকর দিকের কথা ধরা না পড়লেও, মানুষ এইসব সংক্রান্ত তথ্যর খোঁজ না করলেও বিপর্যয় থেমে নেই। বরং তা আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
আরও একটা কথা বলে নাহয় লেখাটা শেষ করে দেওয়া যাক। কারণ বেশি সমস্যার কথা লেখা ভালো নয়। হাজার হোক সদ্য বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে। নিউ ইয়ার্স ডে আসছে। সেলিব্রেশনের ভরা বাজারে বেশি খারাপ কথা বলতে নেই। তাতে উৎসবের সুর তাল ছন্দ কেটে যেতে পারে। তবুও...
মঙ্গলবার, অর্থাৎ ২০ ডিসেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবৎ কারাদ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে জানিয়েছেন, ‘২০২১-২২ আর্থিক বছর পর্যন্ত, রাইট-অফের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ব্যালেন্স শিট থেকে থেকে ১১.১৭ লক্ষ কোটি টাকার কু-ঋণ (অনাদায়ী) সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ রাইট অফের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং দ্বিতীয় স্থানে আছে পিএনবি। বেসরকারি ক্ষেত্রে শীর্ষে আইসিআইসিআই এবং তারপরে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক।
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ প্রতিমন্ত্রী কারাদ-এর উত্তর অনুসারে বিগত সময়ে বেড়েছে ঋণ খেলাপিদের সংখ্যাও। তিনি জানিয়েছেন, ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে ২৫ লক্ষ বা তার বেশি বকেয়া ঋণ রয়েছে এমন ঋণ খেলাপিদের সংখ্যা ছিল ৮,০৪৫। ২০২২ সালের ৩০ জুন নাগাদ সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২,৪৩৯।’ অর্থাৎ মাত্র পাঁচ বছরে ঋণ খেলাপিদের সংখ্যা বেড়েছে ৪,৩৯৪। শতকরার হিসেব করলে সেটাও মন্দ দাঁড়াবে না। একইসময়ে বেসরকারি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ঋণখেলাপিদের সংখ্যা ১,৬১৬ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৪৪৭। অর্থাৎ এক্ষেত্রে পাঁচ বছরে বেড়েছে ৮৩১ জন। তথ্য বলছে ইউপিএ সরকারের তুলনায় এনডিএ সরকারের আমলে এনপিএ বেড়েছে প্রায় তিনগুণ হারে। আর এইসময় যে টাকা মকুব করে দেওয়া হয়েছে তার পরিমাণ বেড়েছে ১৮.৪১ গুণ।
একই দিনে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভগবন্ত কারাদ জানিয়েছেন, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে শীর্ষ ৫০ জন ঋণখেলাপি আত্মসাৎ করেছেন দেশের ৯২,৫৭০ কোটি টাকা। যে তালিকার শীর্ষে আছেন গুজরাটের পলাতক হীরা ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি (৭,৮৪৮ কোটি টাকা)। তাঁর গীতাঞ্জলি জেমসের পরেই তালিকায় আছে ইরা ইনফ্রা (৫,৮৭৯ কোটি টাকা), রিগো এগ্রো (৪,৮০৩ কোটি টাকা)। এছাড়াও এই তালিকায় আছে কনকাস্ট স্টিল, এবিজি শিপইয়ার্ড, ফ্রস্ট ইন্টারন্যাশনাল, উইনসম ডায়মন্ডস অ্যান্ড জুয়েলারি, রোটোম্যাক, কোস্টাল প্রজেক্টস, জুম ডেভলপার প্রভৃতি সংস্থার নাম। যাদের সকলেরই দেনার পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকার বেশি এবং যারা সকলেই ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাঙ্ক ঋণ ফেরাননি বা উইলফুল ডিফল্টার।
প্রসঙ্গত, এনডিএ আমলে ২০১৪-১৫ সালে এনপিএ-তে যোগ হয়েছে ১,৭৭,৮৬০ কোটি টাকা (রাইট অফ ৫০,৯৭৮ কোটি টাকা), ২০১৫-১৬ সালে ৩,৮৫,৯৬১ কোটি টাকা (রাইট অফ ৫৯,৪৪৪ কোটি টাকা), ২০১৬-১৭ সালে ৩,২৭,৫৯৩ কোটি টাকা (রাইট অফ ৮১,৯৯০ কোটি টাকা), ২০১৭-১৮ সালে ৪,৮৮,১৭৫ কোটি টাকা (রাইট অফ ১,২৯,৫০৩ কোটি টাকা), ২০১৮-১৯ সালে ২,১০,৫৩১ কোটি টাকা (রাইট অফ ১,৮৩,১৬৮ কোটি টাকা) এবং ২০১৯-২০ সালে ২,৩৮,৪৬৪ কোটি টাকা (রাইট অফ ১,৭৮,৩০৫ কোটি টাকা)।
অনেক হয়েছে। এবার ক্ষান্ত দেওয়া যাক। হ য ব র ল দিয়ে শুরু করেছিলাম। চারপাশটা সত্যিই কীরকম হ য ব র ল-র জগতই হয়ে যাচ্ছে। যেখানে যে প্রশ্নই করা হোক না কেন উত্তর - ছাব্বিশ ইঞ্চি। ‘খাড়াই ছাব্বিশ ইঞ্চি, হাতা ছাব্বিশ ইঞ্চি, আস্তিন ছাব্বিশ ইঞ্চি, ছাতি ছাব্বিশ ইঞ্চি, গলা ছাব্বিশ ইঞ্চি।’ কেউ কিন্তু ছাপ্পান্নর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না। সকলে ভালো থাকুন। উৎসবমুখর থাকুন। গুগলে মনোমত বিষয় খোঁজ করুন। জটিল বিষয়ে? নৈব নৈব চ।