৬০ বর্ষ ৪৫ সংখ্যা / ২৩ জুন, ২০২৩ / ৭ আষাঢ়, ১৪৩০
পঞ্চায়েত নির্বাচন - ২০২৩
হৃত অধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম
জীবেশ সরকার
আগামী ৮ জুলাই ভোট গ্রহণের তারিখ ধার্য করে রাজ্যে এবারের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই সিপিআই(এম) তথা বামফ্রন্ট অবিলম্বে পঞ্চায়েত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছিল। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের অবসরের পরে নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের অপ্রয়োজনীয় নাটকীয়তার পর রাজ্য সরকার ও রাজ্যের শাসকদলের পছন্দের ব্যক্তিকেই নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। ইতিমধ্যেই প্রমাণ হয়েছে যে, এই নির্বাচন কমিশনার শুধু অযোগ্যই নন, তিনি শাসকদলের নির্দেশ পালন করতেই সচেষ্ট সমস্ত নির্বাচনী বিধি ও প্রচলিত পদ্ধতিগুলিকে উপেক্ষা করে। এই কারণেই রাজ্যের শাসকদলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে, রাজ্যের বিরোধী দলগুলিকে প্রস্তুতির সুযোগ না দিয়ে তড়িঘড়ি নির্বাচনের নির্ঘন্ট করেছে। যদিও আমাদের রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এমন কাজ যে তাদের পছন্দের নির্বাচন কমিশনারকে দিয়ে করাতে পারে তা অনুমান করেই আমাদের পার্টি প্রয়োজনীয় নির্বাচনী সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিতে সর্বস্তরে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাই সময়ের স্বল্পতা ও শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের নানা স্থানে সন্ত্রাস সহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিআই(এম) তথা বামফ্রন্ট ও সহযোগী কংগ্রেস, আইএসএফ সহ অন্যান্যদের প্রার্থীদের যুক্ত করলে ৯০ শতাংশ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। যা বিগত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের চেয়ে কার্যত ভিন্ন চিত্র সন্দেহ নেই। সেই কারণেই আরও একবার দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করতে হচ্ছে যে, এখন ২০২৩ সাল, ২০১৮ সাল নয়। শুধু সময়েরই পরিবর্তন হয়নি, রাজ্যে রাজনৈতিক শক্তির ভারসাম্যেরও পরিবর্তন হচ্ছে। পরিবর্তন হচ্ছে বলেই শাসকদলের ও রাজ্য প্রশাসনের হুমকি উপেক্ষা করে বিরোধীদলের, বিশেষকরে বামপন্থী দলগুলির প্রার্থীরা মনোনয়ন দাখিল করছেন ও নানা স্থানে হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। রাজ্যের দক্ষিণের ক্যানিং থেকে উত্তরের কোচবিহার সর্বত্র একই আওয়াজ উঠেছে - ‘‘লুঠেরাদের হাত থেকে পঞ্চায়েতকে উদ্ধার করে জনগণের পঞ্চায়েত গঠন করো’’, ‘‘চোর তাড়াও - গ্রাম বাঁচাও’’।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৮ জুলাই। জননেতা, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমরেড জ্যোতি বসুর জন্মদিন ৮ জুলাই। আমরা গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করি যে, ১৯৭৭ সালের ২১ জুন বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিয়ে তাঁর স্মরণীয় বক্তৃতায় বলেছিলেন যে, ‘‘রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকার কেবলমাত্র কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং থেকে পরিচালিত হবে না। সরকারকে পৌঁছে দিতে হবে গ্রামে-শহরে জনগণের মধ্যে।’’ সেই পথ ধরেই রাজ্যে গঠিত হয়েছিল ত্রিস্তর পঞ্চায়েত - আর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। গ্রামাঞ্চলে উন্নয়নের প্রতিটি কাজে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে এলাকার জনগণের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করা হয়। প্রান্তিক জনগণ, তপশিলি, আদিবাসী, দলিত, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ সরাসরি যুক্ত হয় প্রশাসনিক কাজে। বিধি কার্যকর করা হয় যে, পঞ্চায়েত নিজে একা একা নয়, গ্রামের মানুষকে নিয়ে গ্রাম সংসদ কমিটি গঠন করে জনগণের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। উন্নয়নের পরিকল্পনার জন্য পঞ্চায়েতের নেতৃত্বদানকারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে পরিকল্পনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারি আমলাদের একতরফা কর্তৃত্ব নিয়ন্ত্রিত হয়েছিল। গ্রামে গ্রামে নির্বাচিত পঞ্চায়েতের মাধ্যমে গ্রামের সরকার গঠিত হয়েছিল। এটাই ছিল ‘‘কমরেড জ্যোতি বসুর সরকার।’’
তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে এই ‘‘গ্রামের সরকার’’কে পরিণত করা হয়েছে লুট ও দুর্নীতির সিন্ডিকেটে। প্রান্তিক মানুষের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ধান্দাবাজ, নব্যধনী, ঠিকাদার, মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর সরকার ও দল। কোটি টাকা খরচ করে ও প্রশাসনের নগ্ন অপব্যবহারের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর তথাকথিত ‘‘নবজোয়ার যাত্রা’’ আসলে পঞ্চায়েত জবরদখল করে সিন্ডিকেটরাজ কায়েমের এক ‘‘রিহার্সাল’’ ছিল - তা বলাই-বাহুল্য।
বিগত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ভোট লুট ও হামলায় রক্তাক্ত এবং প্রহসনে পরিণত করেছিল। অধিকাংশ আসনে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেসের ও পুলিশের বাধায়। যারা বাধা অতিক্রম করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তারা সপরিবারে আক্রান্ত হয়েছেন, নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন, নির্বাচনের দিন ভোটদাতারা ভোট দিতে পারেননি শাসকদলের বাহিনী বুথ দখল করার জন্য। এমনকী গণনা কেন্দ্রেও কারচুপি ও জবরদখল হয়েছে ন্যক্কারজনকভাবে। এভাবেই পঞ্চায়েতে জবর দখল হয়েছিল কিন্তু জনগণ তা মেনে নিতে পারেনি।
অভিজ্ঞতাই মানুষের বড়ো শিক্ষক। অভিজ্ঞতার নিরিখে মানুষ প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তোলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেমন গ্রামে গ্রামে আওয়াজ উঠেছে - ‘‘চোর তারাও, গ্রাম বাঁচাও’’ তেমনই আওয়াজ উঠেছে এটা ২০১৮ সাল নয়, এখন ২০২৩ সাল। জনগণ এবার তাদের অধিকার রক্ষার জন্য এবং একইসাথে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গঠনের জন্য যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যদিও এবারো হামলা হচ্ছে, প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে, প্রচারমাধ্যমের সহায়তায় বিজেপি দলকেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার অপচেষ্টা আছে, সঙ্গে আছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের লজ্জাজনক শাসকদলের দাসত্ব ও নীতিহীন কাজ।
তৃণমূল কংগ্রেস বুঝে গেছে যে, পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হলে তাদের পরাজয় নিশ্চিত ও ফল হবে শোচনীয়। তাই একইসাথে হামলা, ভীতিপ্রদর্শন, পুলিশ প্রশাসনকে নগ্নভাবে অপব্যবহারের মতো চিরাচরিত তৃণমূল কংগ্রেসের ‘‘ভোট প্রকল্প’’ (!) তো আছেই, তার সাথে চলছে নানা অপপ্রচার ও প্রলোভন। বলা হচ্ছে - নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস না জিতলে ‘‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’’ ‘স্বাস্থ্যসাথী’ সহ সব সামাজিক প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে। যেন সামাজিক প্রকল্পগুলি তৃণমূল কংগ্রেসের টাকায় চলে! এ হলো প্রতারকের ছল চাতুরি।
আমাদের পার্টির সুনির্দিষ্ট বক্তব্য হলো - বর্তমান সামাজিক প্রকল্পগুলি বন্ধ করার কোনো প্রশ্ন নেই বরং আমরা এই প্রকল্পগুলি আরও উন্নত করার দাবি জানাচ্ছি। রাজ্যে শাসকদল ও সরকারের দুর্নীতি এবং বেনিয়মের কারণে রেগার কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে ও জবকার্ডধারীদের প্রাপ্য অর্থ দিতে হবে। এ বিষয়ে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারও তার দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে শাসকদল পঞ্চায়েতগুলিকে ব্যবহার করে নানা সামাজিক প্রকল্প, রেগা (১০০ দিনের কাজ), আবাস যোজনা সহ নানা ক্ষেত্রে লাগামহীন দুর্নীতির যে নজির সৃষ্টি করেছে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সামনে বামপন্থীদের সাহসী ভূমিকা জনগণ যেমন প্রত্যক্ষ করছে, তেমনই প্রত্যক্ষ করছে কেন্দ্রীয় সরকারের উপযুক্ত পদক্ষেপের অভাব।
কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান বেকারি, দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতির শিকার সারা দেশবাসীর সাথে আমাদের রাজ্যবাসীও। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের স্বৈরাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার জনগণ নিজেদের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই রাজ্যের শাসকদলের বিকল্প হিসাবে বিজেপি’কে তুলে ধরার প্রচারমাধ্যমের প্রচেষ্টাও তারা গ্রহণ করছে না। তৃণমূল-বিজেপি দ্বৈরথের কৌশল মানুষ বুঝতে পারছে। রাজ্যের তরুণ প্রজন্মের কাছেও এই পঞ্চায়েত নির্বাচন একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ। রাজ্যে কাজ নেই, পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে রাজ্যের বাইরে যেতে হচ্ছে, সামান্য যে চাকুরির সুযোগ হচ্ছে তাও চুরি করছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। যন্ত্রণাবিদ্ধ এই যুব সমাজের স্বার্থে লড়াই করছে সিপিআই(এম) তথা বামপন্থীরা।
সারা রাজ্যের সাথে উত্তরবঙ্গে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন জনগণের সামনে বিশেষ কর্তব্য উপস্থিত করেছে। এবার দার্জিলিঙ-কালিম্পং পার্বত্য এলাকাতেও দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একথা ঠিকই পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক দলগুলির অনেকেই কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের শাসকদলগুলির সাথে সংযোগ রাখছেন তাদের নানা বাধ্যবাধকতার জন্য। আমাদের শক্তি কম হওয়া সত্ত্বেও আমরা কিছু আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি, আঞ্চলিক দলগুলির সাথে সুসম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও নীতিগত কারণেই এই নির্বাচনে সমঝোতা করতে পারিনি। আমাদের লক্ষ্য পার্বত্য এলাকায় গণতন্ত্র, উন্নয়ন, ঐক্য ও শান্তি বজায় রাখা।
বিগত নির্বাচনগুলিতেও আমরা দেখেছি, উত্তরবঙ্গে নানাভাবে বিভাজনের রাজনীতির মাধ্যমেই বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস ভোটবৈতরণী পার হতে সচেষ্ট থেকেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। নানা জাতি-জনজাতি-ধর্ম-ভাষা-সম্প্রদায়ের সমাবেশে উত্তরবঙ্গে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের এক মিলনমেলা। ক্ষমতালোভীরা এই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে সক্রিয়। বিভাজনের বিভিন্ন সামাজিক প্রক্রিয়া (Social Engineering)’র মাধ্যমে বিজেপি এবং তার পরিচালক আরএসএস তাদের কূটকৌশল ব্যবহার করছে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও। আবার সারাদেশে গণতন্ত্র হরণকারী বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত থেকে গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য ব্যস্ত! পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল যে কায়দায় ভোট লুঠ করে ত্রিপুরায় তো বিজেপি একই কায়দা অনুসরণ করেছে। নানা জাতি-জনজাতি সমৃদ্ধ উত্তরবঙ্গের মানুষকে বিজেপি’র এই প্রতারণামূলক তৎপরতা থেকে দূরে থাকার আবেদন জানায় আমাদের পার্টি। বিগত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন ও পরবর্তী সময়ের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই উত্তরবঙ্গের নির্বাচকমণ্ডলী তৃণমূল এবং বিজেপি’র প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেছে। তাই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত ও প্রতিহত করার জন্য বামফ্রন্ট ও সহযোগী দলগুলির পক্ষেই মতপ্রকাশ করুন এই আহ্বান জানানো হচ্ছে।
যে কোনো নির্বাচনই রাজনৈতিক সংগ্রাম। নীতির লড়াই এবং স্বভাবতই নীতিহীনতার বিরুদ্ধে। এই পঞ্চায়েত নির্বাচন হলো গ্রামাঞ্চলে শ্রেণিস্বার্থের লড়াই। গ্রামের গরিব ও প্রান্তিক মানুষকে যে অধিকার ও মর্যাদা দিয়েছিল কমরেড জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকার সেই অধিকারকে দুর্বল করে পঞ্চায়েতগুলি ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে শাসকদলের সিন্ডিকেটে পরিণত করেছে বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। পঞ্চায়েতগুলিকে তার মর্যাদার আসনে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করাই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিআই(এম) তথা বামফ্রন্টের আহ্বান।
৮ জুলাই রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। ৮ জুলাই আমাদের প্রিয় জননেতা বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কমরেড জ্যোতি বসুর জন্মদিন। গ্রামের মানুষের হাতে স্বচ্ছ ও জনমুখী পঞ্চায়েত গঠনের জন্য কমরেড জ্যোতি বসুর আহ্বানকে সামনে নিয়ে এই লড়াইয়ে শামিল আমরা।
সুপ্রিম কোর্টও রায় দিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই নির্বাচন করতে হবে। আমরা মনে করি নির্বাচন জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার। এই অধিকার রক্ষার জন্য শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর নির্ভর করলে চলবে না। বিগত নির্বাচনগুলিতে কেন্দ্রীয়বাহিনী নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা সর্বত্র ইতিবাচক হয়নি। অধিকার রক্ষার জন্য আসল প্রয়োজন ‘জনগণের বাহিনী’। সেই জনগণের বাহিনীই এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের সংগ্রামে অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।