৬০ বর্ষ ২৮ সংখ্যা / ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ / ১১ ফাল্গুন, ১৪২৯
বকেয়া মহার্ঘভাতা সহ বিভিন্ন দাবিতে ১০ মার্চ রাজ্য প্রশাসনে যৌথ ধর্মঘট
সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে শিক্ষক-কর্মচারীদের জমায়েত।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বকেয়া মহার্ঘভাতা, স্বচ্ছতার সঙ্গে শূন্য পদে নিয়োগ, অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের দাবি সহ বিভাজনের রাজনীতি সরিয়ে রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আগামী ১০ মার্চ শিক্ষক-কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। গত ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি সরকারের কোষাগার থেকে বেতনপ্রাপক কর্মচারীদের দু’দিনের কর্মবিরতি পালনের শেষে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের লক্ষ্যে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি, এবিটিএ, এবিপিটিএ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাকর্মীদের সংগঠন এবং শহিদ মিনারে বকেয়া ডিএ ও শূন্যপদ পূরণের দাবিতে অবস্থানরত কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ঐক্যবদ্ধভাবে ১০ মার্চের ধর্মঘটের আহ্বান জানিয়েছে।
রাজ্য কোষাগার থেকে বেতনপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের যৌথ মঞ্চের আহ্বানে সর্বাত্মক চেহারা নেয় বকেয়া ডিএ’র দাবিতে আন্দোলন। গত ২০-২১ ফেব্রুয়ারি নিয়ম মেনে অফিসে এসে উপস্থিতির খাতায় স্বাক্ষর করেছেন কর্মচারীরা। কিন্তু প্রতিদিনের নির্ধারিত কাজে তাঁরা যোগ দেননি। কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করে ডিএ’র দাবিতে মিছিল করেছেন অফিস চত্বরে। তাঁরা সমবেত কণ্ঠে স্লোগান তুলেছেন - ‘‘ডিএ মারা সরকার, আর নেই দরকার’’। প্রসঙ্গত, সর্বস্তরের কর্মচারীদের আন্দোলনের চাপে তৃণমূল সরকার এবারের বাজেটে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩ শতাংশ হারে ডিএ প্রদানের ঘোষণা করে। মূল বাজেট বক্তৃতায় এ বিষয়ের উল্লেখ না থাকলেও বাজেট বক্তৃতা চলাকালীন চিরকুট পাঠিয়ে অর্থ দপ্তরের মন্ত্রীকে দিয়ে এই ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের তুলনায় মাত্র ৩ শতাংশ হারে ডিএ দেবার ঘোষণা বঞ্চিত কর্মচারীদের আরও প্রতিবাদমুখর করে তোলে। তাই তাঁরা ন্যায্য দাবিতে যৌথভাবে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শ্রমিক, কর্মচারী এবং শিক্ষকদের আন্দোলনের যুক্তমঞ্চ ১২ই জুলাই কমিটির প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৬৬ সালে। ওই সময়টা ছিল এরাজ্যের বুকে উদ্দাম গণআন্দোলনের কালপর্ব। খাদ্যের দাবিতে আন্দোলন, ‘‘লাঙল যার, জমি তার’’ - এই দাবি নিয়ে গড়ে ওঠা দুর্বার কৃষক আন্দোলন, ব্রিটিশ ট্রাম কোম্পানির ট্রামভাড়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন, খণ্ডিত বাংলার অপরভাগ থেকে উৎখাত হওয়া ছিন্নমূল উদ্বাস্তু মানুষের পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন প্রভৃতির পাশাপাশি শিক্ষক ও কর্মচারীদের আন্দোলনও ওই সময় দুর্বার গতি লাভ করে। পাঁচের দশকেরই মাঝামাঝি সময়ে রাজভবনের সামনে এবিটিএ-র ডাকে শিক্ষকদের গণঅবস্থান কর্মসূচি, প্রায় একইসময়ে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং কেন্দ্রীয় সরকারি শ্রমিক-কর্মচারীদের কো-অর্ডিনেশন কমিটির আত্মপ্রকাশ, ছয়ের দশকের প্রথমার্ধেই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ কনভেনশন ও মিছিল - যূথবদ্ধ আন্দোলনের জমি প্রস্তুত করে তুলেছিল। আন্দোলনমুখর এই জমিতেই গঠিত হয় ১২ই জুলাই কমিটি। কমরেড অরবিন্দ ঘোষ, কমরেড কেজি বসু, কমরেড সত্যপ্রিয় রায়, কমরেড অনিলা দেবী, কমরেড আশিস সেন প্রমুখ কর্মচারী ও শিক্ষক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই যুক্ত মঞ্চ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নেতৃত্বদায়ী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
চূড়ান্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ১২ই জুলাই কমিটির প্রতিষ্ঠা হলেও, ১৯৭৭-পরবর্তী পশ্চিমবাংলায় পরিস্থিতির পরিবর্তন সত্ত্বেও গণআন্দোলনের অন্যতম শরিক হিসাবে মধ্যবিত্ত শিক্ষক কর্মচারীদের এই মঞ্চটি সক্রিয় ভূমিকা পালনে সচেষ্ট থেকেছে। ছয় এবং সাতের দশকের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের শিক্ষক-কর্মচারী স্বার্থবিরোধী তথা জনস্বার্থবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে দ্বিমুখী আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে এই মঞ্চ থেকে। ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজ্যে রাজনৈতিক ভারসাম্যের এই পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট অনুকূল বাতাবরণে ১২ই জুলাই কমিটি সাংগঠনিক শক্তিকে সংহত করে কেন্দ্রীয় সরকারের জনস্বার্থবিরোধী নীতিসমূহের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে শুরু করে। নয়ের দশকের একেবারে গোড়ার দিক থেকেই আমাদের দেশে নয়া-উদারবাদী অর্থনীতির পথ অনুসরণ করা শুরু হয়। শ্রমজীবী মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর এই সংস্কার প্রক্রিয়ার নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনগুলি দ্বারা পরিচালিত আন্দোলন-সংগ্রামে ১২ই জুলাই কমিটির আহ্বানে এরাজ্যের শ্রমিক, কর্মচারী, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন। পরবর্তী তিন দশকে এই ভূমিকা থেকে মধ্যবিত্ত কর্মচারী ও শিক্ষকদের সংগঠনটি কখনও বিরত হয়নি।
কিন্তু শুধুমাত্র ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে অংশগ্রহণই নয়, নিজস্ব উদ্যোগে বহুমাত্রিক কর্মসূচি প্রতিপালনে ১২ই জুলাই কমিটি সদা তৎপর থেকেছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ অনুষ্ঠিত বিধানসভা অভিযান ছিল এমনই একটি কর্মসূচি। ১২ই জুলাই কমিটির গঠন-কাঠামোর একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো, কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকার নিয়ন্ত্রিত শ্রমিক-কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রতিনিধিরা প্রায় ৩০টি সংগঠন-এর মধ্যে রয়েছে। স্বভাবতই দাবিসনদ ভিত্তিক কর্মসূচি প্রতিপালনের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের কাছে উত্থাপনযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ দাবি সমূহের সন্নিবেশ ঘটে। ১৭ ফেব্রুয়ারির বিধানসভা অভিযানের জন্য যে দাবিসনদ প্রস্তুত করা হয়েছিল, সেখানেই মোট ২৭ দফা দাবির মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়গুলি নিয়ে ছিল ১৭টি দাবি। বাকি ১০টি দাবি ছিল রাজ্য সরকারের কাছে।
কেন্দ্রের কাছে উত্থাপিত ১৭ দফা দাবির মধ্যে এক নম্বর দাবিটি ছিল শেয়ার বাজারের সাথে জুড়ে থাকা নয়া পেনশন প্রকল্প বাতিল করে পুরনো সুনিশ্চিত সংজ্ঞায়িত পেনশন ব্যবস্থা পুনরায় চালু করার দাবি। এছাড়াও মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিল করা, ব্যাংক, বিমা সহ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ বন্ধ করার মতো জনস্বার্থবাহী দাবিও এই সনদে স্থান পেয়েছিল। রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে রক্ষা করার দাবিটিও সনদে যুক্ত হয়েছিল। রাজ্য সরকারের কাছে উত্থাপিত দাবিগুলির মধ্যে সর্বাগ্র স্থান পেয়েছিল বকেয়া মহার্ঘভাতা প্রদানের দাবি, যা বর্তমান সময়ে রাজ্য কোষাগার থেকে বেতনপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের কাছে জ্বলন্ত সমস্যা হিসাবে হাজির হয়েছে। এছাড়াও নারীদের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান, মিড ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি, রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিসরকে প্রসারিত করার দাবিও উল্লিখিত ১০ দফা দাবির মধ্যে যুক্ত করা হয়েছিল। বিধানসভা অভিযান কর্মসূচির দিনেই রাজ্যপালের কাছে ২৭ দফা দাবিসনদ সংবলিত স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। যদিও ওইদিন রাজ্যপাল রাজভবনে উপস্থিত না থাকার কারণে তাঁর পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা অভিযান শুরু হয় বেলা ২টায় সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে। অভিযান শুরুর আগে থেকেই পুলিশ প্রশাসন মিছিলকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারেই আটকে রাখার জন্য ব্যারিকেড তৈরি করতে শুরু করে। কিন্তু নেতৃবৃন্দের অনমনীয় জেদের সামনে তারা পিছু হঠতে বাধ্য হয় এবং মিছিল শুরু হয়। তবে ১৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতার রাজপথ যা প্রত্যক্ষ করলো, তাকে মিছিল না বলে জনস্রোত বলাই ভালো। শুধুমাত্র মধ্যবিত্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের এত বড়ো জমায়েত বহুদিন দেখেনি কলকাতা। এই জমায়েতের একটি বৈশিষ্ট্য ছিলঃ ১২ই জুলাই কমিটির অন্তর্ভুক্ত সংগঠনগুলি ছাড়াও ব্যাংক, বিমা, বিএসএনএল এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের শ্রমিক-কর্মচারি সংগঠনগুলি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের পেনশনার্স সংগঠনগুলির যুক্ত মঞ্চের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করা। এককথায় মধ্যবিত্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সমস্ত অংশ সেদিন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মিছিলে পথ হেঁটেছেন। মধ্যবিত্ত শিক্ষক কর্মচারীদের এমন ব্যাপক জমায়েত দেখে রাজ্য প্রশাসন ভীত হয়ে পড়ে। প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ আধিকারিকরা লোহার ব্যারিকেড তৈরি করে কলকাতা কর্পোরেশনের সদর দপ্তরের সামনে মিছিলের পথ আটকে দেয়। জমায়েতে অংশগ্রহণকারী প্রায় পনেরো হাজার শিক্ষক- কর্মচারী এসএন ব্যানার্জি রোডেই বসে পড়েন। সেখানেই ট্যাবলোর মাইক ব্যবহার করে সভা শুরু হয়।
ট্যাবলো থেকে বিশাল জমায়েতের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহু, ব্যাংক কর্মচারীর আন্দোলনের নেতা প্রদীপ বিশ্বাস, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যুক্ত কমিটির পক্ষে তাপস ত্রিপাঠী, স্টিয়ারিং কমিটির পক্ষে সংকেত চক্রবর্তী, রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুপ্তচৌধুরী এবং ১২ই জুলাই কমিটির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক সুমিত ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন অপর যুগ্ম আহ্বায়ক মনোজ সাউ, রাজ্য কোষাগার থেকে বেতনপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ গুপ্তচৌধুরি। ওই সভা থেকেই ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া মহার্ঘভাতা প্রদান সহ তিন দফা দাবিতে সারা রাজ্যে কর্মবিরতি পালনের ডাক দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় বিধানসভা অভিযান কর্মসূচিতে কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদীয়ার একাংশের শিক্ষক কর্মচারীরা অংশ নিয়েছিলেন। বাকি জেলাগুলিতে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রতিপালিত হয়।
বকেয়া ডিএ’র দাবিতে অবস্থানরত কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চের ডাকে ২০-২১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির আহ্বান ঘোষিত হয়েছিল। এই কর্মসূচিকে আটকানোর জন্য রাজ্য সরকার আসরে নামে। ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার সরকারি দপ্তর ছুটি থাকা সত্ত্বেও ওইদিনই নবান্ন থেকে প্রশাসনিক ফতোয়া জারি করা হয়। একই ফতোয়া অতীতেও ধর্মঘট ভাঙার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। কর্মবিরতি ও ধর্মঘট যে এক বিষয় নয়, তা সরকারি আধিকারিকরা জানেন। অথচ কর্মবিরতি রুখতে ধর্মঘট ভাঙার ফতোয়া জারি করা হয়। এই অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের ফলে ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পায়। যার প্রতিফলন ঘটে কর্মবিরতির কর্মসূচিতে।
রাজ্য সরকারের হামলা-হুমকিকে উপেক্ষা করেই দু’দিনের কর্মবিরতির সাফল্যের ভিত্তিতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের মনোভাবকে ধারণ করেই আগামী ১০ মার্চ রাজ্য প্রশাসনে যৌথভাবে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শিক্ষক ও কর্মচারিদের যৌথ মঞ্চ। আগামী ১০ মার্চ শাসক-অনুগামী গুটিকয়েক সংগঠন ব্যতিরেকে পঞ্চাশেরও বেশি সংগঠন এই ধর্মঘটে শামিল হবে। রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে ইতিমধ্যেই ধর্মঘটের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।