৬০ বর্ষ ২৮ সংখ্যা / ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ / ১১ ফাল্গুন, ১৪২৯
সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের সর্বভারতীয় সম্মেলনে খেতমজুরদের এক অসহনীয় আর্থসামাজিক অবস্থার ছবি প্রকাশ পেল
শংকর মুখার্জি
গ্রামীণ সর্বহারাদের সংগঠন সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন। এঁরা প্রায় সবাই ভূমিহীন। মুষ্টিমেয় কিছু খেতমজুরের চাষজমি আছে, তবে তা খুবই সামান্য। অন্যের খেতে কাজ করেই এঁদের দিন-গুজরান। রাজ্যভেদে এঁদের মজুরি ভিন্ন,কোনো কোনো জায়গায় খুবই কম। গ্রামীণ ভারতে এই অংশের মানুষের লড়াই-সংগ্রামের মূল ইস্যুই হলো চাষের এবং বাসস্থানের জন্য জমি আর মজুরি বৃদ্ধি।
সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠা ১৯৮২ সালে কৃষক সভার মেদিনীপুর সম্মেলনে। গত চার দশক ধরে এই দাবিগুলির ভিত্তিতেই ইউনিয়ন খেতমজুর ও গ্রামীণ গরিবদের সংগঠিত করেছে, তাদের নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তুলেছে। বর্তমানে খেতমজুর ইউনিয়নের নেতৃত্বে জমি আন্দোলনের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ। আর সারা দেশেই খণ্ড খণ্ড করে চলছে মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন।
আরও বেশি বেশি সংখ্যায় খেতমজুর এবং গ্রামীণ গরিবদের এই দাবির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করা, আন্দোলনের ময়দানে শামিল করানোকেই সংগঠনের সামনে প্রধান কাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের দশম সর্বভারতীয় সম্মেলন। ১৫-১৮ ফেব্রুয়ারি হাওড়ায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনে প্রতিনিধি ও দর্শক মিলিয়ে ৬৯৫ জন উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ছিলেন ১২০ জন। এঁরা ইউনিয়নের ৭৫ লক্ষ ৫৬ হাজার সদস্যকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। প্রতিনিধিদের মধ্যে খেতমজুর ৩২১ জন এবং গরিব কৃষক ১৪৮ জন। তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি ভুক্ত ছিলেন ৫৪৯ জন, প্রায় ৭৯ শতাংশ। প্রসঙ্গত, গত তিন বছরে, অর্থাৎ গত সম্মেলনের পর ইউনিয়নের সদস্য ৫ লক্ষেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশে খেতমজুরদের ৮০ শতাংশই তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি এবং সংখ্যালঘু। এঁরাই সামাজিকভাবে সবচেয়ে নিপীড়িত অংশ। খেতমজুর হিসেবেও তাঁরা এক অকল্পনীয় অর্থনৈতিক শোষণের শিকার। তাঁদের মধ্যেই দারিদ্র্যের হার সর্বাধিক। খেতমজুরদের এই আর্থসামাজিক অবস্থা এবং এর থেকে উত্তরণে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলা নিয়েই সম্মেলনে মূলত আলোচনা হয়েছে।
কৃষকের সংখ্যা কমছে, খেতমজুরের সংখ্যা বাড়ছে
কৃষিতে নিযুক্ত শ্রমশক্তিতে খেতমজুরের থেকে কৃষকের সংখ্যা বেশি ছিল। এই প্রবণতা স্বাধীনতার পর থেকেই দেখা গেছে। প্রথম এর ব্যতিক্রম ঘটল ২০১১ সালে। ওই বছরের জনগণনায় দেখা গেল, কৃষকের সংখ্যাকে অতিক্রম করে গেছে খেতমজুরের সংখ্যা। কৃষিতে নিযুক্ত শ্রমশক্তির ৪৫.২ শতাংশ হচ্ছে কৃষক এবং প্রায় ৫৫ শতাংশ খেতমজুর। এখানে দুটি বিষয় অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৪-০৫ থেকে ২০১১-১২-র মধ্যে কৃষিকাজে বিভিন্নভাবে যুক্ত ছিলেন কিন্তু কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় গেছেন এরকম সংখ্যাটা ২ কোটি ৭০ লক্ষ। তা সত্ত্বেও কৃষক ও খেতমজুরের অনুপাতে এত পরিবর্তন। কৃষিকাজ ক্রমশ অলাভজনক হয়ে ওঠায় যেমন কৃষকের সংখ্যা কমেছে, একইভাবে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশের অভাবে ক্ষুদ্র কারিগররাও তাঁদের কাজ হারিয়েছেন। তাঁরা ভিড় জমিয়েছেন খেতমজুরদের কাজে। ফলে বেড়ে গেছে খেতমজুরদের সংখ্যা। একেবারে বর্তমান সময়ে দেশের গ্রামাঞ্চলে ঠিক কী অবস্থা সে তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতির ক্রমঅবনমন, কোভিড অতিমারী-উত্তর পরিস্থিতি এই অবস্থাকে আরও সংকটময় করে তোলার সম্ভাবনাই বেশি।
কাজ কমেছে কৃষিতে
কৃষিকাজ শুধু যে অলাভজনক হয়েছে তা নয়, একইসাথে কৃষিতে খেতমজুরদের কাজ কমেছে। খেতমজুরদের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে যদি কৃষিকাজ না বাড়ে তাহলে এটা হওয়াই স্বাভাবিক। ২০১৭-১৮ সালে একজন খেতমজুর বছরে ৫২ দিন কাজ পেতেন। পরের বছরই তা কমে হয় মাত্র ৩৮ দিন। ১৯৯০ সালে এই সংখ্যাটা ছিল বছরে ১০০ দিন।
খেতমজুররা কৃষিকাজ ছাড়লে শিল্পশ্রমিকে কিংবা অকৃষিকাজে যুক্ত হয়। কিন্তু দেশে শিল্পবিকাশ খুবই মন্থর। শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। খেতমজুররা আবার অদক্ষ শ্রমিকের মধ্যেই পড়েন। ফলে তাদের কাজের সুযোগ আরও কম। তাই বিগত দশকে খেতমজুরদের মধ্যে ক্ষুধা ও কর্মহীনতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমএনরেগা
গ্রামীণ ভারতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এমএনরেগা’র ভূমিকা অপরিসীম। বিশেষকরে যখন কৃষি গভীর সংকটে এবং কৃষিতে কাজ হ্রাসের পরিমাণ ক্রমবর্ধমান। কর্মহীন অবস্থায় খেতমজুরদের আয়ের একটি বড়ো উৎস এই ১০০ দিনের কাজ। কোভিড অতিমারীর সময়ে যখন কোটি কোটি অভিবাসী শ্রমিক ঘরে ফিরে এসেছিলেন, তখন রেগায় কাজের চাহিদা সর্বকালীন সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছায়। কোভিড-কালে ২০২০-২১ সালে ৭ কোটি ৫৫ লক্ষ পরিবারের ১১ কোটি ১৯ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে রেগায়। তার পরের বছর ২০২১-২২ সালে সংখ্যাটা সামান্য কমে হয় ৭ কোটি ২০ লক্ষ পরিবারের ১০ কোটি ৫৫ লক্ষ শ্রমিক।
কোভিড অতিমারী পরিস্থিতি কাটলেও, ভারতের অর্থনীতি বিশেষকরে গ্রামীণ অর্থনীতি কোভিড বিপর্যয় থেকে মুক্ত হতে পারেনি। কিন্তু বরাদ্দ কমতে শুরু করেছে এমএনরেগা’য়। ২০২২-২৩ সালে দেশের ৯,১২০ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রেগা’য় এক পয়সাও তহবিল ব্যয় করা হয়নি। আইন অনুসারে দেশের গ্রামাঞ্চলে কাজে ইচ্ছুক পুরুষ বা মহিলাকে বছরে ১০০ দিন কাজ দিতে হবে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, কোভিডের প্রথম বছরে অর্থাৎ ২০২১-২২ সালে সর্বাধিক সংখ্যক শ্রমিকের নিযুক্তি ও কর্মদিবস তৈরি হয়েছিল। ওই বছরেও সারা দেশে প্রত্যেক শ্রমিক গড়ে ৪৯.৭ দিন কাজ পেয়েছিলেন। আইনে যে বছরে ১০০ দিনের কাজের নিশ্চয়তার কথা বলা হয়েছে, এই সংখ্যা তার অর্ধেকেরও কম। সারা দেশে রেগায় বছরে ১০০ দিন কাজ পেয়েছেন এরকম শ্রমিকের সংখ্যা মাত্র ১০ লক্ষ ৪৮ হাজার। যেখানে সক্রিয় জবকার্ড রয়েছে ১০ কোটি ২০ লক্ষ মানুষের। অর্থাৎ ওই সংখ্যাটা সক্রিয় জবকার্ডের ১ শতাংশের মতো।
শ্রমদিবসের মতো রেগা’য় মজুরির চিত্রটাও খুবই হতাশাজনক। সারা দেশে খেতমজুরদের গড় মজুরি ৩৫০ টাকার মতো। আর এমএনরেগায় যাঁরা কাজ করেন তাঁরা এর থেকে অনেক কম মজুরি পান। আবার সারা বছর তাঁরা সমহারে মজুরি পান না।অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার উদাহরণ দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে। অন্ধ্রে এই মজুরির হার ২৩৮ টাকা থেকে ১৮৩ টাকা। এবং তেলেঙ্গানায় ২৫৭ টাকা থেকে ১৪৯ টাকা। আবার এই কম মজুরিও দীর্ঘদিন বকেয়া পড়ে থাকে।
এমএনরেগায় এই হতাশাজনক চিত্রের পেছনে মূল কারণ হলো বাজেটে এই খাতে যথেষ্ট বরাদ্দ করা হয় না। কোভিডের দুবছর ২০-২১ এবং ২১-২২ সালে বাজেটে মোট ব্যয়ের যথাক্রমে ২.০২ শতাংশ এবং ২.৮১ শতাংশ ব্যয় হয়েছিল। পরের বছর ২২-২৩ সালে এই পরিমাণ কমে হয়েছে ১.৮৫ শতাংশ (৭৩,০০০ কোটি টাকা)। এবছর বাজেট বরাদ্দ আরও ১৩ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। প্রসঙ্গত, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ২০১৩-১৪ সালে বরাদ্দ ছিল বাজেটের ১.৯৮ শতাংশ।
খেতমজুরদের আত্মহত্যা বাড়ছে
দেশে নয়া-উদারনীতির জমানা শুরু হওয়ার পর থেকেই কৃষকদের আত্মহত্যার ঘটনা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। গত তিন দশকে সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, খেতমজুরের আত্মহত্যার সংখ্যা কৃষকের আত্মহত্যার থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে ২০২১ সালে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৫,৩১৮টি সেখানে ওই বছর খেতমজুর আত্মহত্যা হয়েছে ৫,৫৬৩। গত আট বছরে (২০১৪-২১) ৪০,৬৮৫ জন খেতমজুর আত্মহত্যা করেছেন। যেটা গত তিন দশকের যেকোনো সময়ের থেকে বেশি। জীবনযাপনের খরচ বেড়েই চলেছে। কিন্তু খেতমজুরদের কাজ ও মজুরি ক্রমাগত কমছে। ফলে তাঁদের জীবনযাপন প্রচণ্ড কঠিন হয়ে উঠেছে। তাঁরাও মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ঋণ শোধে অপারগতাই তাঁদের এই ক্রমবর্ধমান আত্মহত্যার কারণ।
ভূমিহীনতা বাড়ছে
এমনিতেই খেতমজুরদের মধ্যে ভূমিহীনতা বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে কৃষক ও খেতমজুর উভয়ের মধ্যেই ভূমিহীনের সংখ্যা বাড়ছে। এক তথ্যে দেখা যাচ্ছে - ১৯৯২-৯৩ সালে গ্রামীণ ভারতে ভূমিহীন পরিবার ছিল ৩৫.৪ শতাংশ। তিন দশক পরে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৪৭.৮ শতাংশ। কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং জন্মু ও কাশ্মীর ছাড়া আর কোথাও ভূমিসংস্কার হয়নি। তাই সারা দেশে এখনো পর্যন্ত মাত্র ৫০ লক্ষ হেক্টরের মতো জমি ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণ হয়েছে।
অন্যদিকে ভূমির কেন্দ্রীভবনও বিরাট। ২০১৮-১৯ সালের এনএসএসও’র তথ্য বলছে, দেশের গ্রামীণ এলাকার মাত্র ২০ শতাংশ পরিবারের হাতে ৭৬ শতাংশ জমি রয়েছে। এছাড়াও বিরাট পরিমাণে সরকারি খাসজমি (৬০ লক্ষ হেক্টর) এবং ভূদান জমি (৫ লক্ষ হেক্টর)ও রয়েছে যা ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণ করা যায়। জোতদারদের জমিতে হাত না দিয়েও যেকোনো সময়ে এই ৬৫ লক্ষ হেক্টর জমি বিতরণ করা যায় ভূমিহীনদের মধ্যে। কিন্তু তার জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা। বিজেপি সরকার তা করবে না। তারা বিপরীত ভূমিসংস্কারের পথ নিয়েছে। সেটা হলো, বিরাট পরিমাণে কৃষি জমি জোরদবরদস্তি জলের দামে করপোরেটদের এবং জমি মাফিয়াদের হাতে তুলে দিচ্ছে। যার বেশিরভাগ ব্যবহার হচ্ছে বিনোদন এবং রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়।
অরণ্য অধিকার আইনেও জমির পাট্টার জন্য এখনও পর্যন্ত যে আবেদন জমা পড়েছে তার ৫০ শতাংশ আবেদনকারী জমির পাট্টা পাননি। সরকারি তথ্যই বলছে, ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত আবেদন জমা পড়েছে ৪৪ লক্ষ ৪৬ হাজার, আর পাট্টা পেয়েছেন ২২ লক্ষ ৩৫ হাজার।
গ্রামীণ ভারতে বাসস্থানের অভাবও বাড়ছে। খেতমজুরদের মধ্যেই বাসস্থানের জমির অভাব সবচেয়ে বেশি।
খেতমজুরদের মজুরি বাড়ছে না
বিভিন্ন রাজ্যে সরকার নির্ধারিত মজুরি অনুযায়ী ২০২১-২২ সালে সারা ভারতে গড় মজুরি পুরুষ খেতমজুরদের দৈনিক ৩৪০ টাকা এবং মহিলাদের ২৭৮ টাকা। সিংহভাগ খেতমজুরই সরকার নির্ধারিত এই মজুরির থেকে কম পান। কেরালায় খেতমজুরদের মজুরি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ, পুরুষদের ক্ষেত্রে দৈনিক ৫০২ টাকা এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৩০৩ টাকা। গত ২০ বছরে খাতায়কলমে খেতমজুরদের মজুরি বাড়লেও মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় রাখলে প্রকৃত মজুরি একেবারেই বাড়েনি বলা যায়।
মহিলা খেতমজুর
আমাদের দেশে মহিলা খেতমজুরের সংখ্যা ৬ কোটি ১৫ লক্ষ। মোট খেতমজুরের ৪২.৬৭ শতাংশ। মহিলা খেতমজুরদের মধ্যে ভূমিহীনতাও বেশি, ৮৩ শতাংশের কোনো জমি নেই। সমকাজে সমমজুরির সুপ্রিম কোর্টের রায় থাকলেও কোনো রাজ্যেই তা মানা হয় না। এনএসএসও’র রিপোর্ট বলছে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় গড়ে প্রায় ২৩ শতাংশ মজুরি কম পান। যদিও এটা ২০১৭ সালের তথ্য। তবে কোভিড-উত্তর সময়ে এই বৈষম্য কমেনি, অনেক গুণ বেড়েছে।
নতুন নেতৃত্ব
সম্মেলন থেকে এ বিজয়রাঘবন সভাপতি এবং বি ভেঙ্কট সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।সম্মেলন থেকে ১৫৫ জনের জেনারেল কাউন্সিল এবং ৬১ জনের ওয়ার্কিং কাউন্সিল গঠিত হয়েছে।