E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ২৮ সংখ্যা / ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ / ১১ ফাল্গুন, ১৪২৯

মেহনতি মানুষের সংগঠনগুলির ঐক্য আরও জোরদার করার আহ্বান প্রাদেশিক কৃষক সভার


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সংকীর্ণতা, ছুৎমার্গ বর্জন করে লড়াইয়ের ময়দানে নতুন নতুন মানুষকে শামিল করতে হবে। সারা ভারত কৃষক সভাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। সারা ভারত কৃষক সভার রাজ্য কাউন্সিল অধিবেশনে এই আহ্বান জানান সারা ভারত কৃষক সভার সর্বভারতীয় সহ- সভাপতি হান্নান মোল্লা। ১৯ ফেব্রুয়ারি সংগঠনের রাজ্য দপ্তরে অনুষ্ঠিত রাজ্য কৃষক কাউন্সিলের চতুর্থ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন রাজ্য সভাপতি বিপ্লব মজুমদার। সভায় উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত কৃষক সভার সর্বভারতীয় কোষাধ্যক্ষ কৃষ্ণ প্রসাদ।

হান্নান মোল্লা এদিন আরও বলেন,উৎপাদকরা আক্রান্ত। এদের রক্ষা করতে হবে। তাই মেহনতি মানুষের সংগঠনগুলির ঐক্য আরও জোরদার করতে হবে। শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুরদের একে অপরের দরদি হতে হবে।

হান্নান মোল্লা আরও বলেন,গত কয়েক বছরে শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুর ঐক্য অনেকটা শক্তিশালী হয়েছে। শ্রেণি ঐক্যের পক্ষে প্রচার করতে হবে। বহু শ্রেণির ঐক্যবদ্ধ মোর্চাতে যেমন অন্যদের যুক্ত করার প্রয়াস থাকবে তেমনি নিজস্ব শ্রেণি মোর্চাকেও শক্তিশালী করতে হবে। বড়ো আঘাত নামিয়ে এনেছে মোদি সরকার। বড়ো আঘাত প্রতিরোধ করতে গেলে দরকার ব্যাপক ঐক্য। চিন্তার ঐক্যই কর্মসূচি সফল করতে পারে। মতাদর্শের ভিত্তিতে চিন্তার ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

পাখির চোখ ৫ এপ্রিল

কোম্পানিরাজ প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত রুখে দিতে ৫ এপ্রিল দিল্লিতে সারা ভারত কৃষক সভা-সিআইটিইউ এবং সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের আহ্বানে দিল্লিতে সমাবেশ হতে চলেছে। সর্বভারতীয় কৃষক নেতৃত্বের আশা স্বাধীনতার পর সর্ববৃহৎ সমাবেশ হবে ৫ এপ্রিল।

৫ এপ্রিলের বার্তাকে গোটা দেশে ছড়িয়ে দিতে একাধিক কর্মসূচি দিল্লির সমাবেশের আহ্বায়ক সংগঠনগুলি নিয়েছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ

১) বুথ স্তরে বা গ্রামস্তরে সারা ভারত কৃষক সভা,সিআইটিইউ এবং সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন আগামী ১ মার্চ থেকে ১০ মার্চ যৌথ সভা করে প্রচার পরিকল্পনা গ্রহণ করবে।

২) ১১ থেকে ২০ মার্চ বাড়ি বাড়ি প্রচার চলবে। প্রচারে স্থানীয় ইস্যুগুলিকে যুক্ত করতে হবে।

৩) ২১-৩০ মার্চ সাইকেল মিছিল,টর্চ মিছিল,বড়ো বড়ো পথসভা হবে।

৪) ৫ এপ্রিলের সমাবেশে যে মানুষেরা যেতে পারবেন না তাদের নিয়ে ওইদিন জেলা ভিত্তিক বড়ো বড়ো কর্মসূচি নেওয়া হবে।

আলুচাষিদের বৃহত্তর আন্দোলনের আহ্বান প্রাদেশিক কৃষক সভার

এদিন রিপোর্ট উত্থাপন করতে গিয়ে কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার বলেন, আলু চাষ ও আলু চাষিরা ভয়ংকর বিপদে। এবছর সর্বাধিক ১২০ লক্ষ মেট্রিকটন আলু উৎপাদন হবে বলে রাজ্য কৃষি বিপণন দপ্তর জানাচ্ছে। কিন্তু সবেমাত্র জলদি জাতের পোখরাজ, এস/১, এস/৬ আলু বাজারে আসতেই আলুর দাম বিপজ্জনকভাবে নিম্নমুখী। হিমঘরে গত বছরের মজুত আলু থেকে যাওয়াতে বিপদ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মাঠে পুরোমাত্রায় আলু উঠলে আলুর দাম কোথায় নামবে, চাষি আর কত মার খাবে এই আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে। ফসল উৎপাদন করে চাষির মাথায় হাত। কী হবে আর কী করবে? সত্যিসত্যিই দুর্ভাবনার কালো মেঘ মাথায়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কৃষক আন্দোলন চুপ করে ঘরে বসে থাকবে না। আলুর লাভজনক দামের দাবিতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

এই উদ্দেশ্যে চাষিদের সংগঠিত করে ও তাদের সাথে আলোচনা করতে হবে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি, বেলা ২টায় রাজ্যের আলু উৎপাদনের প্রধান এলাকা ও ব্যাবসাকেন্দ্র হুগলি জেলার পুরশুড়ায় (দেবেন্দ্র হিমঘর) দক্ষিণবঙ্গের প্রধান আলু উৎপাদক জেলা - হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আলুচাষি ও কৃষক আন্দোলনের সংগঠকদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আলুচাষি কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গের ফালাকাটায় (কমিউনিটি হল) উত্তরবঙ্গের আলুচাষিদের নিয়ে আর একটি কনভেনশন হবে। ১১ মার্চ আলুচাষিদের সমস্যা নিয়ে জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়ক অবরোধ করবে পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভা।

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়োগ কর

এদিনের রাজ্য কাউন্সিল অধিবেশন থেকে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতিতে এখনই বাড়ি বাড়ি যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।