৫৭ বর্ষ ৪৮ সংখ্যা / ২৪ জুলাই ২০২০ / ৮ শ্রাবণ ১৪২৭
কেরালায় বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকারকে দুর্বল করার অপপ্রচারের রাজনীতিতে মেতেছে বিরোধীরা
কেরালায় সোনা চোরাচালান কাণ্ডে গ্রেপ্তার ৪ অভিযুক্ত।
কেরালার তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সংযুক্ত আরব আমিরশাহি দূতাবাসে আসা একটি কূটনৈতিক রক্ষাকবচ প্রাপ্ত ব্যাগে সোনা চোরাচালানের ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এলডিএফ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে এই রাজ্যের বিরোধীরা। তদন্ত শুরু হবার পর তাই ঘটনাকে ঘিরে প্রাথমিক ধোঁয়াশা কেটে গেলেও মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের দিকে আঙুল তুলে দোষারোপ করার প্রশ্নে কংগ্রেস এবং বিজেপি-দু’টি দলই একই সুরে কথা বলছে। এঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। বিমানবন্দরে সোনা পাচারের এই আন্তর্জাতিক ঘটনা কেন্দ্রীয় সরকারের কাস্টমস দপ্তরের অধীন বিষয়। সেখানে রাজ্য সরকারের এবং রাজ্য পুলিশের ভূমিকা সহযোগীর। তা সত্ত্বেও, রাজ্য সরকারের দিকে যেহেতু অভিযোগের আঙুল উঠেছে তাই ঘটনার পেছনে লুকিয়ে থাকা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র এবং সুবিধাভোগীদের তালিকা উন্মোচন করার জন্য রাজ্য সরকারের আগ্রহে এবং অনুরোধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। ওই সংস্থা তদন্ত শুরু করার পর সামনে এসেছে সন্ত্রাসে টাকা জোগানোর মতো গুরুতর বিষয়ও। তবে, ঘটনায় যুক্ত থাকা একাধিক অভিযুক্তের সঙ্গে বিজেপি’র যোগাযোগ সামনে এলেও কুৎসা এবং অপপ্রচারে ঘাটতি পড়েনি। কারণ, বিধ্বংসী বন্যা মোকাবিলার পর করোনার মতো মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার যে দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য অর্জন করেছে, তা দিশেহারা করে দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী শক্তিকে। ২০২১ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখেই ফায়দা তুলতে এই দুই দল এখন কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে সরকারের সুস্থিতি নষ্ট করার লক্ষ্য নিয়েই। বাম ও গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকারকে বিঁধে আগামীদিনে তারা নিজেদের ম্রিয়মান রাজনৈতিক অস্তিত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে, একথা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে কেরালার মানুষের সামনে।
বহু বছর ধরেই উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে কেরালায় সোনা চোরাচালান নিয়মিত ঘটে থাকা একটি বিষয়। কোভিড মহামারীর জেরে আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ হয়ে যাবার জন্য সোনা চোরাচালানে একটু ভাটা পড়েছিল। কিন্তু বিমান চলাচল শুরু হতেই এবং বিশেষত চার্টার্ড ফ্লাইট রাজ্যে আসা শুরু হলে সোনা চোরাচালানের রমরমা লাফিয়ে বেড়েছে। একটি হিসেব থেকে দেখা গেছে যে, বিগত ৬ মাসে কেরালার তিনটি বিমানবন্দর থেকে ১০০ কোটি টাকা মূল্যের সোনা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বাজেয়াপ্ত করেছে।
কিন্তু গত ৩০ জুন তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে সোনার চোরাচালান যে পদ্ধতিতে হয় সেটা তাৎপর্যপূর্ণ। এটা আনা হয়েছিল কূটনীতিক ব্যাগের মধ্যে দিয়ে, যার ওজন ছিল ৩০ কিলোগ্রাম। প্রসঙ্গত, রাজ্য পুলিশের এই বিষয়ে তদন্তের এক্তিয়ার বা মামলা করারও ক্ষমতা নেই। এটা কাস্টমস বিভাগের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। এই জন্যই যখনই এই বিষয়টি জানা গেছে, তখনই মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে কোনও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে কার্যকর তদন্তের জন্য বলেছেন, যাতে চোরাচালানের গোটা অপারেশন- এর উৎস থেকে শেষ সুবিধাপ্রাপককে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ-কে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। এর মধ্যেই কাস্টমস-এর পক্ষ থেকে একটি মামলা রুজু করা হয় চার অভিযুক্তর বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে একজন মহিলা অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ। যিনি একজন ঠিকাকর্মী হিসেবে রাজ্য সরকারের আইটি দপ্তরের অধীন একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। তিনি এর আগে সংযুক্ত আমিরশাহি দূতাবাস এবং এয়ার ইন্ডিয়া’র সংশ্লিষ্ট একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। যখন এটা জানা গেল যে তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের সচিব এবং মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের প্রধানসচিব, শিবশংকর অভিযুক্ত ব্যক্তির পূর্ব পরিচিত, তৎক্ষণাৎ তাকে দুটি পদ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়। এর পরই মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয় এটা খতিয়ে দেখার জন্য যে, কোন্ পরিস্থিতিতে কিভাবে ওই অভিযুক্ত মহিলা তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের অধীন ওই সংস্থায় কাজ পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ওই তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা এবং পদক্ষেপ করা হবে।
বলা হচ্ছে, এই সোনা চোরাচালানের মামলাটিকে বিষয়বস্তু করে কংগ্রেস এবং বিজেপি যৌথভাবে চেষ্টা করছে এলডিএফ সরকারকে কলুষিত করার জন্য। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কংগ্রেস এবং ইউডিএফ-এর পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে এবং সেই লক্ষ্যে আন্দোলন শুরু করা হয়েছে। বিজেপি’র পক্ষ থেকে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে একই উদ্দেশ্যে। ইউডিএফ-এর পক্ষ থেকে আবার ঘোষণা করা হয়েছে যে, তারা এই সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চায় বিধানসভায়।
সোনা চোরাচালান বিতর্কে বিজেপি’র সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কিছু নাম উঠে এসেছে। ঘটনায় চাপান উতোরের যে চেষ্টা চলছে তার প্রেক্ষিতে সিপিআই(এম) নেতা এম রাজেশ বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোকপাত করে প্রশ্ন তুলেছেন। যেমন তাঁর বক্তব্যে বিজেপি কর্মী হরি রাজের নাম উঠে এসেছে। তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে শুল্ক কর্তৃপক্ষকে ওই ব্যক্তি সোনা চোরাচালানের ব্যাগ ছেড়ে দেবার জন্য জোর করে। তিনি উল্লেখ করেন ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সন্দীপ নায়ারের মা স্বীকার করেছেন যে, বিজেপি কর্মী এবং তার ফেসবুক পেজেও তিনি যে মোদী এবং আরএসএস অনুরাগী সে কথা লিখেছেন। আবার স্বপ্না সুরেশের হয়ে মামলা লড়ছেন জনৈক জেলা পর্যায়ের বিজেপি নেতা এবং স্বপ্না সুরেশ ঘটনা জানাজানির পর ফোন করেছিলেন এক বিজেপি ঘনিষ্ঠ টিভি ব্যক্তিত্বকে তারপর তিনি ফোন বন্ধ করে দেন। একথা উল্লেখ করে রাজেশের প্রশ্ন দেশবিরোধী কাজে যাঁরা লিপ্ত, তাঁদের বাঁচাতে এই তৎপরতা কেন বিজেপি নেতাদের? কেনই বা এনআইএ বলার পরেও বিজেপি নেতা ব্যাগটিকে সাধারণ ব্যাগ হিসেবে চিহ্নিত করতে চাইছেন। এ প্রসঙ্গে অবশ্য পাশ কাটানো উত্তর দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিপিআই(এম) কেরালা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে ১০ জুলাই একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোনা চোরাচালানের নামে এলডিএফ সরকারকে ফেলে দেবার জন্য বিরোধীরা যে হিংস্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ সংগঠিত করেছেন তা কেরালার জনজীবনের পক্ষে আশঙ্কাজনক কারণ রাজ্য এখন কোভিড ১৯ গোষ্ঠী সংক্রমণের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং এলডিএফ সরকার পরিষ্কার করে একথা বলেছেন যে তাদের দাবি হলো অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং এই সোনা চোরাচালানের মামলার পেছনে থাকা সব শক্তিকে গ্রেপ্তার করে সামনে আনতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী এজন্যই কোন উপযুক্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, এলডিএফ সরকার স্মাগলারদের আড়াল করার চেষ্টা করছে না। বিগত চার বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে যে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর কেরালার মানুষের চোখে একটি মর্যাদা এবং সম্মানজনক জায়গা। রাজ্যে বর্তমানে প্রতিবাদের নামে যা হচ্ছে তা এলডিএফ সরকারকে দুর্বল করার জন্য, যে সরকার গোটা পৃথিবীর সামনে কোভিড ১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার ক্ষেত্রে আদর্শ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরের সোনা চোরাচালানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা যে ধরনের প্রতিবাদ চালাচ্ছেন তা তাদের ক্ষমতা লিপ্সাকেই তুলে ধরেছে। রোগ যখন আশঙ্কাজনক হারে রাজ্যে ছড়াচ্ছে তখন এই ধরনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কোভিড ১৯ প্রোটোকলের উল্লঙ্ঘন। প্রতিবাদীরা হিংস্র হয়ে উঠছে এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনা দেখাচ্ছে যে মানুষের জীবন সম্পর্কে এরা কতটা অশ্রদ্ধাশীল।
কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয়ই এলডিএফ সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর সুনাম নষ্ট করার জন্য অসত্য সংবাদ ছড়াচ্ছে। তারা বোধসম্পন্ন হলে এটা তাদের বোঝা উচিত যে মানুষের ভাবাবেগ এই নৈরাজ্যবাদী প্রতিবাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে।
জাতীয় তদন্ত সংস্থার প্রাথমিক তদন্ত এবং তা থেকে পাওয়া তথ্যাদি সম্পর্কে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্ত যদি সঠিক পথে চলে তাহলে অনেকেই গ্রেপ্তার হবে। এই পরিস্থিতি বিজেপি এবং ইউডিএফ দু’পক্ষকেই হিংস্র করে তুলেছে। এখন যেটা দেখার তা হলো, এই সমস্ত প্রতিবাদ চোরাচালান কাণ্ডের প্রকৃত দোষীদের ধরতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তদন্তের পক্ষে সহায়ক হবে না ভুল দিকে পরিচালিত করবে।
এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন স্তরের আলোচনায় উঠে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সিগুলোর পক্ষপাতমূলক ভূমিকার কথাও। কংগ্রেস এটা খুব ভালো করে জানে যে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য কিভাবে ব্যবহার করে এবং আশা করা হচ্ছে যে তারা এই মামলাতেও একই কাজ করবে।
অন্যদিকে, অভিযুক্তদের মধ্যে এই মামলায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের এনআইএ’র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
অভিযুক্ত চতুর্থ ব্যক্তি ফরিদ যে এই কনসাইনমেন্টটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির থেকে এখানে পাঠিয়ে ছিল সে দেশের বাইরে রয়েছে। পুলিশ এ ছাড়াও এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে একজন ব্যবসায়ী যার নাম রামিজ সে এর আগেও সোনা চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত থেকেছে এবং শোনা যাচ্ছে যে সে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ এর জনৈক গুরুত্বপূর্ণ নেতার আত্মীয়।
বিদেশ থেকে বা অন্যান্য রাজ্য থেকে ভারতে এবং কেরালায় যারা ফিরছেন তাদের আসার জেরে গত চার সপ্তাহ ধরে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে গেছে। স্থানীয় স্তরেও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এইরকম একটা গভীর উদ্বেগের সময় বিজেপি এবং কংগ্রেস রাস্তায় নেমে পড়েছে প্রতিবাদ করতে। এরা রাস্তায় নেমে শারীরিক দূরত্বের নিয়ম মানছে না, ভেঙে ফেলছে রাস্তার কর্ডন। এসব ঘটনা যত বাড়ছে ততই রাজ্যের মানুষ রোগ সংক্রমণের আশঙ্কায় ততই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। আসলে কংগ্রেস এবং বিজেপি যেটা করতে চাইছে তা হলো আসল দোষীদের থেকে এবং তাদের পেছনে থাকা শক্তির উৎস থেকে মানুষের নজর ঘোরানো।
অভিজ্ঞ মহলের পর্যবেক্ষণ কংগ্রেস দল এই অবস্থান নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা আদর্শগত দেউলিয়াপনায় ভুগছে। বিজেপির সঙ্গে মিলে বামপন্থীদের নিশানা করার মধ্যে কোন যৌক্তিকতা নেই এটা রাজ্যের মানুষ ও মনে করছেন। আর এটা এমন একটা সময়ে ঘটছে যখন মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের কংগ্রেসের সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য বিজেপি সর্বাত্মক চেষ্টা করছে অর্থ এবং নানা দুর্নীতিমূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ কংগ্রেস এবং তার ক্ষমতালোলুপ নেতারা বিজেপির এই ধ্বংসাত্মক নকশাকে কার্যত সহায়তা করছেন। এই ন্যক্কারজনক রাজনীতি এবং ক্ষমতার খেলাকে কেরালার মানুষ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করবেন তার ইঙ্গিত মিলেছে ইতিমধ্যেই।
(পিপলস ডেমোক্র্যাসি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লিখিত।)