৫৭ বর্ষ ৪৮ সংখ্যা / ২৪ জুলাই ২০২০ / ৮ শ্রাবণ ১৪২৭
অসমে বন্যা, করোনা, ভোট মিলেমিশে একাকার
কমলেশ গুপ্ত
করোনা মহামারী আর প্রলয়ঙ্করী বন্যার সাঁড়াশি আক্রমণে অসমের চৌদিকে হাহাকার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, নতুন করে লকডাউন ঘোষণা হচ্ছে বিভিন্ন জনপদে, আর অন্যদিকে অসমের মোট ৩৩টি জেলার মধ্যে ২৮টি জেলাতে ৮৮টি রাজস্বচক্রের অধীনে ৩৩৪৭টি গ্রাম জলের তলায়। ৪০ লক্ষ মানুষ বানভাসি। ২.৫ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি বন্যার জলে ডুবে যাওয়াতে ধান, পাট, ভুট্টা, শাকসবজি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। ঘরবাড়ি, গৃহপালিত পশু, খেতের ফসল সব হারিয়ে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বাঁধের ওপর প্লাস্টিকের ছাউনির তলায়। করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫১ জন, বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের (১৮-০৭-২০২০)। পাহাড়ে ধস নেমে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের।
কাজিরাঙা অভয়ারণ্য সহ বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বনবিভাগ জানাচ্ছে, কাজিরাঙার ৪৩০ বর্গ কিলোমিটার জলের তলায়, অর্থাৎ ৯৫ শতাংশই জলের তলায়। এখন পর্যন্ত ৫টি গন্ডার সহ ৬৮টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
অসমের বন্যা নতুন কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু এবারের সংহার মূর্তি অসমের মানুষকে অথৈ সাগরে ফেলেছে। বন্যার সাথে চলছে অবিরাম নদীর ভাঙন। ভাঙনের ভয়ঙ্কর রূপ কয়েকটি তথ্য থেকে অনুমান করা যেতে পারে। ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অসমের ৮৮০টি গ্রাম সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হয়েছে ভাঙনে। ৬৭টি গ্রাম আংশিকভাবে নদীর বুকে বিলীন হয়েছে। এর ফলে এই ৫ বছরে ৩৫,৯৮১টি পরিবার নিজের গৃহভূমি, ঘরবাড়ি হারিয়েছে। আরও একটি তথ্যমতে ১৯৫৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩৮০০ বর্গ কিলোমিটার জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। অসমের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের তথ্য মতে এই রাজ্যে প্রতিবছর প্রায় ৮০০০ হেক্টর মাটি নদী ভাঙনে হারিয়ে যায়। এভাবে প্রতিবছর এক বিরাট সংখ্যক মানুষ গৃহভূমি এবং কৃষিভূমি হারিয়ে বেঁচে থাকার তাড়নায় অন্যত্র প্রব্রাজিত হয়। এই হতভাগ্য মানুষগুলোই বছরের পর বছর সামাজিক এবং রাজনৈতিক বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছেন। এঁদের নামই এনআরসি’তে থাকে না।
অসমের বন্যা নিয়ন্ত্রণের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি যুগ যুগ ধরে দেশের কর্ণধাররা দিয়ে যাচ্ছেন। রাজ্যের বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার দাবি সিপিআই(এম) সহ বিভিন্ন দল-সংগঠন থেকে উঠেছে। কিন্তু তাতে গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। অসমের বন্যা দুর্গত প্রতিটি পরিবারের জন্য যথোপযুক্ত ত্রাণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। ২০ জুলাই এক বিবৃতিতে পলিট ব্যুরো বলেছে: অসমের এই বছর বছর বন্যার বিষয়টি জাতীয় সমস্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এর সমাধানে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিনবছর আগে গুয়াহাটিতে এসে বলেছিলেন, রাজ্যের বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য দু’হাজার কোটি টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। ব্রহ্মপুত্রের দু’পাড়ে উঁচু বাঁধ নির্মাণ করবে এবং এই বাঁধের ওপর জাতীয় সড়ক হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ গবেষণার জন্য আরও একশো কোটি টাকা দেওয়া হবে। ব্রহ্মপুত্রে ড্রেজার দিয়ে খনন করে বহন ক্ষমতা বাড়ানো হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার জানাচ্ছে, ২০১৬ সাল থেকে রাজ্যের বন্যার জন্য সাহায্যবাবদ এক পয়সাও দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার, নিয়ন্ত্রণের টাকা তো দুরস্ত। অসমের বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দিলে ‘দেশদ্রোহীর’ সিলমোহর পরার ভয়ে এবং বর্তমানে ভোগ করা সুযোগ-সুবিধা হারানোর ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন অনেকেই। সিপিআই(এম) দলের রাজ্য সম্পাদক দেবেন ভট্টাচার্য এক বিবৃতিতে বলেছেন: বিজেপি সরকারের ব্যর্থতার জন্যই বানভাসি লক্ষ লক্ষ রাজ্যের মানুষ। প্রতিশ্রুতি দিয়েও শুকনো মরসুমে বাঁধ মেরামত করা হয়নি। বন্যা নিয়ন্ত্রণের আগাম ব্যবস্থা না করে নমামি ব্রহ্মপুত্র, নমামি বরাক প্রভৃতি উৎসব আর পূজা-অর্চনা করে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার।
বন্যায় সাহায্যের নামে চলছে ব্যাপক অরাজকতা। প্রকৃত বন্যার্তরা বঞ্চিত হচ্ছেন ত্রাণ থেকে। শাসকদলের তালিকায় নাম থাকলেই ত্রাণ পাওয়া যাবে। যাদের ত্রাণ পাওয়ার কথা নয়, তারা পাচ্ছে এবং বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ বানভাসি। তারসাথে আছে ত্রাণসামগ্রী লুণ্ঠন। ব্রহ্মপুত্র এবং তার উপনদী মিলে অসমে প্রায় ৫০০০ কিলোমিটার বাঁধ আছে, যার ৭০ শতাংশই জীর্ণ অবস্থায় রয়েছে মেরামতি বা পুনর্নির্মাণ হচ্ছে না। মন্ত্রী-বিধায়করা প্রতিশ্রুতি দিয়েই কাজ শেষ করছেন। যেটুকু মেরামতি হচ্ছে, তাও বালির বাঁধ। তাই ফুলে ওঠা জলের প্রথম ছোবলেই ধুয়ে মুছে সাফ। এভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে যুক্ত হচ্ছে মানবসৃষ্ঠ দুষ্কর্মের বহর। ভুটানের কুরেশি নদীর বাঁধ রক্ষা করার জন্য একসাথে জল ছাড়ার ফলে নিম্ন অসমের গোয়ালপাড়া, ধুবুড়ি, শালমারা প্রভৃতি জেলা সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। প্রকৃতপক্ষে ভুটানের মরজির ওপর নিম্ন অসমের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বন্যা নির্ভরশীল হয়ে আছে। পরিকল্পনাহীন অগ্রগতির অনিবার্য ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এই পরিস্থিতিতে সিপিআই(এম) দলের কর্মীরা বানভাসিদের ত্রাণে নেমে পড়েছেন। সীমিত শক্তি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে অবিরামভাবে। মহামারী এবং মহাপ্লাবনের মধ্যেও সরকারের অপকর্মের শেষ নেই। গতমাসে ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত মতে এক অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, যার মূল কথা হচ্ছে যে-কোনো ব্যক্তি (বা ব্যক্তিসমষ্টি) কোনো অনুমতি ছাড়াই কেবলমাত্র একটি স্ব-ঘোষণাপত্র দিয়েই অসমে উদ্যোগ স্থাপন করতে পারবে। উদ্যোগ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমির শ্রেণিপরিবর্তন করার ব্যবস্থা করা হবে। এভাবে অনুমতিহীন উদ্যোগ স্থাপন এবং ভূমির শ্রেণিরূপান্তরের ব্যবস্থায় অসমের পরিবেশ এবং কৃষিভূমি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। এই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে সিপিআই(এম), কৃষক সভা সহ বিভিন্ন গণসংগঠন লকডাউনের মধ্যেও লাগাতার ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে। সরকার শেষ পর্যন্ত এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। এভাবে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সব নেতাকেই অবিলম্বে মুক্তির দাবি, ৬৩ হাজার আশাকর্মীর বেতন সহ অন্যান্য দাবি আদায়ের সংগ্রাম, রেল বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে রাজ্যব্যাপী বিক্ষোভ, দিহিংপাতকাই বর্ষারণ্য রক্ষার জন্য আন্দোলন, নির্মাণ শ্রমিকদের দেশব্যাপী প্রতিবাদের অংশ হিসাবে এখানেও ব্যাপক শ্রমিক বিক্ষোভ, বানভাসিদের সাহায্যের দাবিতে মহিলা সমিতির বিক্ষোভ প্রভৃতি চলছে বন্যা-মহামারীকে উপেক্ষা করেই। প্রতিমাসে ৭৫০০ টাকা এবং দশ কেজি করে মাথাপিছু চাল দেবার দাবিতে লকডাউনের মধ্যেও ব্যাপক মানুষের জমায়েত হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। এতে অন্যান্য বাম দলগুলোও শামিল হয়েছিল।
করোনার বিভীষিকা ভীষণভাবে ছড়িয়ে পড়ছে অসমে। প্রথমদিকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও এখন গণসংক্রমণের দাপটে দিশেহারা অবস্থা। ৩ জুলাই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৯৫৫, মৃত্যু ১৪ জনের। আর ১৫দিন পরে, ১৯ জুলাই আক্রান্ত ২১,৮৬৪ আর মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, আগামী মাসে এই সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়াবে। কেন্দ্রের এই সতর্কবাণী সরকারকে চিন্তায় ফেলেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা লম্ফঝম্ফ করে বোঝাতে চাইছিলেন যে, তিনিই ভারতের রাজ্যগুলোর স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। সংক্রমণের চাপ বাড়তেই ‘এই করেছি, সেই করেছি’ আওয়াজ বুদবুদের মতো মিলিয়ে যাচ্ছে। যেসব রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন, তাঁদের মুখে অব্যবস্থা আর গাফিলতির বর্ণনা শুনে আক্রান্ত মানুষও যেতে চাইছেন না হাসপাতালে। নতুন কোভিড হাসপাতাল বানানোর জন্য একশো কোটির বেশি টাকা তোলা হলো, তারপর নতুন হাসপাতালের প্রয়োজন নেই বলা হলো। অথচ ওই টাকা কিভাবে খরচ হচ্ছে, তা বলা হচ্ছে না। এদিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোতে চলছে চূড়ান্ত অব্যবস্থা। নিম্নমানের খাবার জল এবং টয়লেটের অভাবে আবাসিকদের বিক্ষোভ চলছেই। এক শ্রেণির ঠিকাদার এবং মন্ত্রীর পার্শ্বচরেরা ফুলে-ফেঁপে উঠছে বলে অভিযোগ উঠছে।
এরই মধ্যে ২০২১ সালের ভোটের কুচকাওয়াজ শুরু হয়েছে করোনা এবং বন্যাকে পিছনে ফেলে। শাসকদল বিজেপি দ্বিতীয়বার দিসপুর দখলের লক্ষ্যে রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বিজেপি’র রাষ্ট্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা অসমে এসে দলের রাজ্য সভাপতি এবং মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে বসিয়ে ভারচুয়াল র্যালি সেরে ফেলেছেন। ২০১৬ সালে জাতি, মাটি, ভিটে রক্ষার স্লোগান দিয়ে দিসপুর দখল করেছিল তারা। প্রতিশ্রুতি ছিল বাংলাদেশি সমস্যার সমাধান, বেকারদের চাকরি, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ প্রভৃতির। গদি দখলের সুযোগ এসেছিল কংগ্রেসের তরুণ গগৈর নেতৃত্বে সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি আর শেষের কার্যকালে দলীয় বিসংবাদের ফলে সৃষ্ট অস্থিরতা থেকে। বিজেপি তাকে কাজে লাগাতে পেরেছিল। কিন্তু এবার সময় পরিবর্তন হয়েছে, বিজেপি’র ভিতরের খবর অনুসারে এবার তাদের ‘মিশন একশো’ নিয়ে রাজ্যের নেতারা যথেষ্ট চিন্তিত। তার প্রধান কারণ হচ্ছে গতবারের প্রতিশ্রুতি প্রায় কিছুই পূরণ হয়নি। তার পরিবর্তে উৎসব-পার্বণ করে সরকার সময় কাটিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মুখে বরাক-ব্রহ্মপুত্র পাহাড়-সমতলের সবাইকে নিয়ে দুর্নীতি মুক্ত অসম গড়ার কথা বললেও এবং প্রথম দিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কিছুটা সরব হলেও, পরের দিকে মন্ত্রী, বিধায়ক বা নিচুতলার কর্মীদের আর সামলাতে পারেননি। একেবারে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত দুর্নীতি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি কৃষকদের প্রধানমন্ত্রীর কৃষক কল্যাণ যোজনার টাকা বিলি নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি গ্রামাঞ্চলে তীব্র অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। এই মহামারীর সময় মানুষকে সাহায্য করতে নয়, ভোটের জন্য জনসম্পর্ক অভিযান করছে বিজেপি। এই মহামারী চলতে থাকার সময় দলবেঁধে ঘুরে বেড়ানো সহজভাবে নিতে পারেননি মানুষ। শাসকদল বলে ওদের বেলায় ছাড়, বিরোধী দলের বেলায় কোয়ারেন্টাইন। এভাবে এই সঙ্কটের সময় অন্য দলগুলোকে পিছনে ফেলে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে থাকতে চাইছে বিজেপি। ভারচুয়াল র্যালি করে ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৩৩ লক্ষ দলীয় কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময় করেছেন এমন দাবি করছে বিজেপি। আরও দাবি করছে জনসম্পর্ক কর্মসূচির মাধ্যমে আরও বেশ কয়েক লক্ষ ভোটারের কাছে পৌঁছে গেছে। নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় দফার কার্যকালের প্রথম বর্ষপূর্তি এবং রাজ্য সরকারের চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এইসব অনুষ্ঠান করা হয়েছে বললেও প্রকারান্তরে এটা হচ্ছে গেরুয়া বাহিনীর নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতা। এসময় বিভিন্ন ঘটনা ঘটছে, তার মধ্যে সম্প্রতি অতি-সক্রিয় বিজেপি’র আইটি সেলের কিছু সদস্যের সমাজবিরোধী কার্যকলাপ দলের ভাবমূর্তি ম্লান করেছে।
শুধু বিজেপি কেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দলও সক্রিয় হচ্ছে। ভোটের মুখে করোনা এবং বন্যা ক্রমশ গুরুত্ব হারিয়ে নতুন প্রতিশ্রুতির অপেক্ষায় থাকবে।