৬০ বর্ষ ৩২ সংখ্যা / ২৪ মার্চ, ২০২৩ / ৯ চৈত্র, ১৪২৯
বের্টল্ট ব্রেশটঃ ১২৫
কুন্তল মুখোপাধ্যায়
‘খুব বেশি তাকে (দর্শককে) দেখিও না
কিন্তু খানিক দেখাও। আর সে নজর করুক
যে এটা জাদু নয়, বরং
হে আমার বন্ধুরা (এটা কাজ)।’
অন্তরে স্থিতধী এই দর্শন মেনে ব্রের্টল্ট ব্রেশট্ তাঁর থিয়েটার নির্মাণ করতেন। থিয়েটার তাঁর কাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ কোনো লক্ষ্য নয়, অন্য উদ্দেশ্য উপায় মাত্র। থিয়েটার দেখে দর্শক কী করবে - সেটাই মূল উপজীব্য। দর্শকের অনুভূতির তুলনায় তাঁর চিন্তা ভাবনার জগৎকে থিয়েটার দিয়ে ছোঁয়া যাচ্ছে কিনা, সেটাই ব্রেশটের কাছে বিবেচ্য। ১৮৯৮ সালে জার্মানির বাটাভিয়ায় আউজবার্গ শহরে জন্মেছেন ব্রেশট্। ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের সময় তিনি প্রাক্ চিকিৎসা বিদ্যার ছাত্র, কিন্তু ১৯২২ সাল থেকেই তিনি সর্বক্ষণের লেখক, ওই ১৯২২ সালেই ‘ড্রামস্ অফ্ দি নাইট’, ‘বাল’, এবং ‘ইন দি জঙ্গল অফ সিটিজ’ নাটকের জন্য ক্লায়েস্ট (Kleist) পুরস্কার পান ১৯১৯-১৯২৬’র মধ্যে নানা জনের সঙ্গে মার্কসীয় সমাজবাদী সাহিত্য পাঠে ও আলোচনায় যেমন ব্রেশট্-এর রাজনৈতিক দার্শনিক বোধ তৈরি হচ্ছিল, তেমনি রোজালুকসেমবার্গ কার্ল লিবনেশটের হত্যা, মিউনিখে হিটলারের ব্যর্থ অভ্যুত্থান ও সমাজবাদী ফ্রিৎস্ স্টানবার্গের সঙ্গে পরিচয়ের প্রেক্ষিতে তাঁর লেখনীতে বস্তুবাদী রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা স্পষ্ট হয়ে উঠতে লাগলো। পুঁজির আগ্রাসন সম্পর্কে তাঁর স্পষ্ট ধারণা তৈরি হলো। তাঁর সময়ের ওয়েমার জার্মানির রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্য থেকে এবং রেইনহর্ড ও পিসকাতারের সঙ্গে নাটকের কাজে জড়িয়ে পড়ার মাঝেই ব্রেশট্ শ্রমিক শ্রেণির কথা ভাবলেন। এই সময়ই গে’র দি বেগারস অপেরা বুক আধুনিকীকরণ ঘটিয়ে ব্রেশট্ থ্রি পেনি অপেরা (১৯২৮) মঞ্চস্থ করেন। তাঁর মার্কসীয় দর্শন পাঠের মিথস্ক্রিয়ায় ১৯২৯-১৯৩১’র মধ্যে রাইজ অ্যান্ড ফল অফ্ দি সিটি অফ্ মহাগিনি, মান এ মান, মেজার্স টেকেন প্রভৃতি নাট্য নির্মাণ করলেন। বুর্জোয়া সভ্যতার আপাত যুক্তিময়তার এবং উদারতার অন্তরালে ভয়ানক সব দ্বেষ, লোভ, অন্ধবৃত্তি, নিষ্ঠুরতা যে অন্ধকার প্রক্রিয়া কাজ করে, ব্রেশটের নাটকে তাই প্রাধান্য পেতে থাকল। ১৯৩৩ সালে রাজনৈতিক মঞ্চে হিটলারের প্রবেশ রাইখস্ট্যাগ অগ্নিকাণ্ড ও ফ্যাসিবিরোধী লেখক শিল্পী, শ্রমিকদের ওপর পাশবিক অত্যাচার এমন রূপ নেয় যে, ব্রেশট্ আত্মগোপন করে জার্মানি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। জার্মান পুলিশ তাঁর বাড়িতে হামলা করে, ও সদ্য প্রকাশিত, ‘ডি মুট্টার’ নাটকটি বাজেয়াপ্ত করে। চেকোশ্লোভাকিয়া, অস্ট্রিয়া, সুইৎজারল্যান্ড, ফ্রান্স হয়ে তিনি ডেনমার্ক পৌঁছান এরপর তিনি ফিনল্যান্ড ও সুইডেনে যান। নাজি বাহিনীর এই অত্যাচার ব্রেশটের মার্কসীয় দর্শনের বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করে। ফ্যাসিবাদী একনায়কত্ব ও তার বর্বর প্রতিভূ জার্মান ক্যাবিনেট যে জার্মান শ্রমিক ও জনগণের উপর শোষণ, অত্যাচার চাপিয়ে দিচ্ছে তা উপলব্ধি করেই ব্রেশটের কলম এই সময় থেকেই হয়ে ওঠে নিপীড়িত মানুষের হাতিয়ার।
ব্রেশটের চোখে থিয়েটার হয়ে ওঠে এক সামাজিক কর্মকাণ্ড। সামাজিক প্রয়োজনেই, সমাজের দাবি পূরণের জন্যই থিয়েটারকে শানিত অস্ত্র করে তুলেছেন তিনি। থিয়েটার দেখে বেরিয়ে দর্শক কী করবে ব্রেশটের ভাবনা তাই নিয়ে। দর্শকের অনুভূতির চেয়ে তার চিন্তা ভাবনার জগৎকে ছুঁতে পারাই তাঁর কাছে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। ‘হয়’ আর ‘উচিত’-এর মধ্যে ব্রেশট্ কোনো পাঁচিল তুলতে চাননি। তিনি চেয়েছেন থিয়েটারে ‘হয়’ ও ‘হতে পারে’ এই দুটোকেই দেখাতে। ব্রেশট্ মনে করতেন যা ‘হয়’ তাই যে ঠিক নয়, অন্যরকমও যে হতে পারত - দর্শকের মনে এই বোধ জাগানোই থিয়েটারের কাজ। ‘মাদার ক্যুরেজ’ এর অন্তিমলগ্নে যুদ্ধে সন্তান হারা মা যখন ফেরির চেলাটি নিয়ে আবার যুদ্ধ ক্ষেত্রে ফিরে যান, ব্রেশট্ তখন মায়ের প্রতি দর্শকদের সহানুভূতির বদলে তীব্র ঘৃণা কামনা করেছিলেন, তাঁর ভাবনায় এই ঘৃণা মায়ের প্রতি নয়, যুদ্ধের বিরুদ্ধে। প্যারাবেল-এর সেই উক্তি, পাপী নয় পাপ কে ঘৃণা কর। সৃষ্টি ও কল্পনার যে দ্বান্দ্বিকতা আপাত বিরোধী যে ঐক্য ব্রেশটের থিয়েটারে সব সময়ই তা প্রতিভাত হয়েছে। উদ্দেশ্যমূলক বা শিক্ষা মূলক নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্রেশট্ তাঁর থিয়েটারে লক্ষ্য ও শিল্প কর্মের মধ্যে কোনো ভেদ রাখতে চাইতেন না। ব্রেশটের মলিকত্ব এখানেই। আরিস্তোতলীয় সমানুভূতিমূলক থিয়েটার থেকে ব্রেশট্ তাঁর থিয়েটারে বিচ্ছিন্ন অমূলক দৃষ্টিভঙ্গি প্রচলন করেছেন। গালিলেও নাটকে গালিলেও যখন ভয়ে তাঁর সমস্ত আবিস্কারকে অসত্য বলে ঘোষণা করেন, তখন তার শিষ্য আন্দ্রেয়া বলে ওঠে ‘দুর্ভাগা সেই দেশ যেখানে বীরের বড়ো অভাব’, প্রত্যুত্তরে গালিলেও বলে ওঠেন, ‘সুখী সেই দেশের জনগণ, যাদের কোনো বীরের দরকার পড়েনা।’ ১৯৩৩ সালে প্যারিসে বসে তিনি ‘দি সেভেন ডেডলি সিনস্’ নাটকটি লেখেন। ১৯৩৮-১৯৪১’র মধ্যেই ব্রেশট্ তাঁর প্রধান নাটকগুলি লেখেন, ‘দি লাইফ অফ্ গালিলেও’ (১৯৩৮), ‘মাদার ক্যুরাজ অ্যান্ড হার চিলড্রেন’ (১৯৩৯), ‘দি গুড পারসন অফ্ সেৎজুয়ান’ (১৯৪০), ‘পুন্টিলা অ্যান্ড হিজ ম্যান মাট্টি’ (১৯৪০) এবং ‘দি রেজিস্টেবল রাইজ অফ্ আরটুরো উই’(১৯৪১)। এরপরই তিনি আমেরিকায় যান এবং হলিউডের কাজের সঙ্গে যুক্ত হন। এই সময় থেকে নাৎসি জার্মানির পরাজয় অবধি তিনি ‘দি স্টোরি অফ্ সিমোন মাচার্ড’ (১৯৪৩), ‘শোয়াইক ইন দি সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার’ (১৯৪৪) এবং ককেশিয়ান চক সার্কেল (১৯৪৫) নাটকগুলি রচনা করেন। জীবনের শষ আট বছরে তিনি ‘দি ডেজ অফ্ কমিউন’ এবং শেকসপিয়রের ‘কোরিওলেনাস’-এর নব নাট্যায়ন ঘটান। ১৯৫৬ সালে তিনি মারা যান। তাঁর সফল নাট্যসৃজনগুলি ইয়োরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া - বিশেষ করে ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিল।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কথা সূত্রে জানা যায়, বাংলা থিয়েটারে প্রথম ব্রেশটের আলোচনা সূত্রপাত ঘটান শিশির কুমার ভাদুড়ী। বাংলায় প্রথম ব্রেশট্ অনুবাদ করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অবন্তী কুমার সান্যাল। অরণি পত্রিকায় প্রকাশিত জগৎ মিত্রের ‘দি জুইস ওয়াইফ’ (আচ্ছা নাহলে চললাম) (১৯৪১ বর্ষ ১ সংখ্যা ১৩) নাটকটিও প্রায় একই দাবিদার। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ‘বিধি ও ব্যতিক্রম’ নামে ব্রেশটের ‘এক্সসেপশান অ্যান্ড রুল’ নাটকটিও অনুবাদ করেন। ১৯৬০-র দশকে সত্যজিৎ রায়কে সভাপতি এবং শোভা সেনকে সম্পাদক করে কলকাতায় প্রথম ‘দ্য ব্রেশট্ সোসাইটি অব ইন্ডিয়া’ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ব্রেশটের পত্নী হেলেন ভাইগেল এবং মুখ্য উপদেষ্টা ছিলেন জ্যোতি ভট্টাচার্য। ১৯৬০ এর দশক থেকেই বাংলায় ব্রেশট্ চর্চার শুরু। যা চুড়ান্ত রূপ নেয় ৭০-এর দশকে। নান্দীকার এবং অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সৌজন্যে তিন পয়সার পালা (১৯৬৯), ভালোমানুষ (১৯৭৪), ব্রেশটের এই নাটক দুটির সঙ্গে বাংলার নাট্য দর্শক পরিচিত হন, এর পর খড়ির গণ্ডি (১৯৭৮), ব্যতিক্রম (১৯৮৪), শঙ্খপুরের সুকন্যা রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয়।উল্লেখ করার বিষয় হলো, নান্দীকার যখন ভালোমানুষ করছে, তখন এই একই নাটক চেতনা অরুণ মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় ভালোমানুষের পালা নামে অভিনয় করছে। খড়ির গণ্ডির সময়েও বাদল সরকার এই একই নাটক গণ্ডি নামে আর থিয়েটার ফ্রন্ট খড়ি মাটির গণ্ডি এই নামে অভিনয় করেছে। আসলে ১৯৭০’র দশকের প্রথম দিকেই মেথুয়েন প্রকাশিত ব্রেশট্ রচনাবলি কলকাতায় আসতে শুরু করে, এরিক ব্রেন্টলি’র ইংরেজি ভাষ্যে এই সময় থেকেই কলকাতার শিক্ষিত নাট্যজন ব্রেশটের নাট্যভাষের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এই পর্বেই অশোক মুখোপাধ্যায় ও বিভাস চক্রবর্তীর বঙ্গীকরণে ‘লুক্স ইন টেনেব্রিস’ অবলম্বনে ‘পাঁচু ও মাসি’ এবং ‘ইন সার্চ অফ জাস্টিস্’-এর বঙ্গীকরণ ‘নাজির বিচার’ নাটিকা দুটি থিয়েটার ওয়ার্কশপ অভিনয় করে। সমসাময়িক সময়ে শেখর চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশনায়, নীহার ভট্টাচার্যের অনুবাদে ‘হের পুন্টিলা’ ‘পন্ত্ত লাহা’ নামে অভিনয় হয় (১৯৭৫)। শেখর চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় আর্টুরোউই নাটকের বাংলা ভাষান্তরও সত্তর দশকেই অভিনীত হয়।
১৯৮০ থেকে ১৯৮১’র মধ্যে চেতনা অরুণ মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় ব্রেশটের সমাধান (উৎপল দত্তের অনুবাদ - ১৯৬৬) ও ‘মা’ নাটকটি অভিনয় করে। এর আগে সত্তর দশকের গোড়াইতেই ‘সমাধান’ ও ‘মা’ অরুণ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় গণনাট্যের শিবপুর শাখা প্রযোজনা করেছিল। প্রতিকৃতি ও সংলাপ কলকাতা বিধি ও ব্যতিক্রম নাটকটির প্রভূত অভিনয় করে। ১৯৮০-তেই কলকাতার সাতটি নাট্য দলের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ‘কলকাতা নাট্যকেন্দ্র’ গালিলেওর জীবন অভিনয় করে, ফ্রিৎস্ বেনেভিৎস্-এর নির্দেশনায়, যার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করতেন শম্ভু মিত্র। এই সময়ই কুমার রায়ের নির্দেশনায় বহুরূপীও গালিলেও নাটকের অভিনয় করে। থিয়েটার ওয়ার্কশপ অভিনয় করেছিল শোয়াইক গেল যুদ্ধে। অনেকে বলেন, উৎপল দত্তের ‘যুদ্ধং দেহী’ নাটকটির মধ্যেও শোয়াইকের ছায়া আছে। জোয়ান অফ্ আর্ককে নিয়ে ব্রেশটের তিনটি নাটকের বঙ্গীকরণ হয়েছিল। ‘সেন্ট জোয়ানের বিচার’ (ক্যালকাটা গ্রুপ থিয়েটার), ‘অথ মালতী বৃষভ কথা’ এবং ‘যদিও স্বপ্ন’ (সায়ক), মাদার ক্যুরাজ নিয়ে উষা গাঙ্গুলির নির্দেশনায় রঙ্গকর্মী এবং উৎপল দত্ত ‘সমাধান’, ‘কমিউনের দিনগুলি’ এবং ‘হিম্মত বাই’ (৩১-৩-১৯৮৮) গোর্কী সদনে অভিনয় করেন। এছাড়াও কৌশিক সেনের স্বপ্ন সন্ধানী, বহরমপুরের ছান্দিক গোষ্ঠী, বালুরঘাটের ত্রিতীর্থ (গালিলেও) ব্রেশটের নাটক অভিনয় করে। সম্প্রতি নান্দীপট ‘উল্কি’, তূর্ণা দাসের নির্দেশনায়, ‘খোচর’ ও নীলাদ্রি ভট্টাচার্যের অনুবাদে ‘ইহূদি স্ত্রী’ নামে ব্রেশটের তিনটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। ১৯৮১ সালে ধনঞ্জয় দাসের অনুবাদে ‘ব্রেশট-এর নাট্যগুচ্ছ’ প্রকাশিত হয়। ব্রেশটের শতবর্ষে জাতীয় সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে দিলীপ মিত্র ব্রেশটের এগারোটি একাঙ্ক নাট্যগুচ্ছ প্রকাশ করেন (১৯৯৮)।
ব্রের্টল্ট ব্রেশট্ তাঁর নাটকে আবেগের চেয়ে যুক্তিকে প্রাধান্য দিয়েছেন, বিনোদনের চেয়ে শিক্ষাকে বড়ো করে দেখতে চেয়েছন, দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী দর্শনে বিশ্বাসী ব্রেশট্ থিয়েটারে এক নতুন যুগের মানসিকতার বিকাশ ঘটিয়েছেন। ব্রেশটের থিয়েটারকে বুঝতে হলে তাঁর প্রয়োগকে বুঝতে হবে। দেশে-দেশে কালে কালে সে প্রয়োগের পরিবর্তন ঘটতে পারে, তবে মূল সৃষ্টিটা থাকবে অপরিবর্তনীয়, তা হলো থিয়েটারকে হতে হবে দুনিয়া বদলের হাতিয়ার, চ্যাপলিনের মতো ব্রেশটকেও মার্কিন দেশ থেকে বিতারিত হতে হয়েছে কারণ, ব্রেশটের থিয়েটার কর্তৃত্ববাদী স্থিতিশীলতার পক্ষে মোটেই সুখকর অভিজ্ঞতা নয়। আজ ব্রের্টল্ট ব্রেশটের একশো পঁচিশ বছর উদ্যাপনের সময় আমরা যেন না ভুলি ব্রেশটের সেই অমোঘ বাণী -
‘যে থিয়েটারের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক নেই, সে থিয়েটার অর্থহীন’।