৬১ বর্ষ ১৫ সংখ্যা / ২৪ নভেম্বর, ২০২৩ / ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০
যৌবনের উত্তাল তরঙ্গে এগিয়ে চলেছে ইনসাফ যাত্রা
ইনসাফ যাত্রা মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায়।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাধার প্রাচীর ডিঙিয়ে অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গ তুলে দাবি ছিনিয়ে আনার স্পর্ধিত ইনসাফ যাত্রা বীরভূম পেরিয়ে পূর্ব বর্ধমানে পৌছাল বাইশতম দিনে। এর আগে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে ১৯তম দিনে ইনসাফ যাত্রা ঢোকে বীরভূমে।
লাভপুরের গোরুরহাটে তারাশঙ্করের প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় পর্যায়ের যাত্রাপথ। সেই যাত্রাপথে কারা আসছে তা নজরদারির জন্য গাঁয়ের সিভিককেই পুলিশ আবার দায়িত্ব দিয়েছিল। তবু লড়াকু মানুষ এসেছেন। লাভপুরের পর ইনসাফ যাত্রার পরবর্তী ঠিকানা ছিল কীর্ণাহার। তার পাশেই নানুর। যে নানুর অসংখ্য শহিদের ঠিকানা। এখানে ইনসাফ যাত্রায় শামিল হন ২০২১ সালে নভেম্বর বিপ্লব বার্ষিকীর দিনে নিজের বাড়িতে লাল পতাকা তোলার অপরাধে নৃশংসভাবে খুন হওয়া বাদল শেখের স্ত্রী জরিনা বিবি। সেখানে দাঁড়িয়ে মীনাক্ষী মুখার্জি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, ‘‘বাদল শেখ, আনন্দ দাসদের মতো অমর শহিদের রক্তে আমাদের কাঁধ চওড়া হয়েছে। সেই কাঁধ বেইমানি করবে না’’। ছলে বলে কৌশলে তৃণমূল এবং বিজেপি দু’জনেই মানুষের টুঁটি টিপে ধরেছে। আমরা লড়ে যাব মানুষকে বাঁচাতে।’’
মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে।
ইনসাফ যাত্রা মহম্মদ বাজার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে যাবার সময় পাঁচামির মানুষ ভিড় করে স্বাগত জানিয়েছেন। ইনসাফ যাত্রা জানিয়েছে তাদের লড়াইয়ের পাশে আছে রাজ্যের যৌবন। মহম্মদ বাজার ছেড়ে সিউড়িতে ঢুকলে সেখানে পদযাত্রায় পা মেলান প্রাক্তন সাংসদ ও যুবনেতা রামচন্দ্র ডোম, গৌতম ঘোষ প্রমুখ।
এদিকে নবান্নের কারসাজিতে যুবদের ব্রিগেড সমাবেশে আপত্তি তোলা হচ্ছে। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে। সেনা থেকেই অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু বাদ সাধছে নবান্ন। ‘৭ জানুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশ হবেই।’ ২২ নভেম্বর সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক ও প্রাক্তন যুবনেতা মহম্মদ সেলিম। এই প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘‘ব্রিগেডের ঐতিহ্য হলো সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী, সাম্প্রদায়িকতাবাদ বিরোধী সমাবেশের। বামপন্থীদের ডাকে সমাবেশের ঐতিহ্য বইছে ব্রিগেড। সেখানে ধর্মীয় সভার অনুমতি দেওয়া হবে আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে সমাবেশের অনুমতি বাতিল করা চলতে পারে না।’’