৬১ বর্ষ ১৫ সংখ্যা / ২৪ নভেম্বর, ২০২৩ / ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০
প্রজন্মের পর প্রজন্মের কমিউনিস্ট কর্মীদের অনুপ্রাণিত করবেন এবং পথ দেখিয়ে যাবেন কমরেড শঙ্করাইয়া
রামাকৃষ্ণন
[কমরেড এন. শঙ্করাইয়া গত ১৫ নভেম্বর প্রয়াত হয়েছে। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০২ বছর। কমরেড এন. শঙ্করাইয়ার শতবর্ষে পদার্পণে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য রামাকৃষ্ণন ২০২১ সালের ১৮ জুলাইয়ের পিপলস ডেমোক্রেসি’র সংখ্যায় নিচের প্রবন্ধটি লেখেন। কমরেড শঙ্করাইয়ার মৃত্যুর পর লেখাটি পুনর্মুদ্রিত হয় ওই পত্রিকায়। কমরেড শঙ্করাইয়ার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রবন্ধটির পূর্ণ অনুবাদ দেশহিতৈষী’তে প্রকাশ করা হলো।]
কমরেড এন. শঙ্করাইয়ার জন্ম ১৯২২ সালের ১৫ জুলাই। এন. এস. নামেই তিনি বেশি পরিচিত, ২০২১ সালের ১৫ জুলাই শতবর্ষে পদার্পণ করলেন। রাজনীতি, সমাজ, অর্থনীতি, মতাদর্শগত, সংস্কৃতি সহ আরও বিস্তৃত ক্ষেত্রে তিনি এক বহুমুখী নেতৃত্বের ছাপ রেখেছেন।এক কমিউনিস্ট হিসেবে ঠিক যেরকমটা বোঝায়, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে এবং পারিবারিক জীবনে শঙ্করাইয়ার জীবন ছিল সেইরকমই এক আদর্শস্থানীয়। তাঁর এই জীবন আমাদের পথ চলতে দিকনির্দেশ করবে, অনুপ্রাণিত করবে।
কৈশোরে এন. এস. আত্মসম্মান আন্দোলন এবং এর সমাজ সংস্কার ও নিরীশ্বরবাদের নীতিসমূহের দ্বারা আকৃষ্ট হন। তখন সময়টা ছিল স্বাধীনতার জন্য জাতীয় আন্দোলনের উত্থানের কাল। সেই সময়ে একমাত্র কমিউনিস্ট পার্টিই স্লোগান তুলেছিল পূর্ণ স্বাধীনতার। শঙ্করাইয়া রাজনীতির এই বিকাশধারাগুলিকে বিবেচনায় আনেন এবং এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, অর্থনৈতিক সাম্যের সাথে জাতবর্ণহীন সমাজের দিকে সামাজিক পরিবর্তনই একমাত্র সমাধান। মার্কসবাদ একাই এই লক্ষ্যের অভিমুখে মানবতাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যেতে পারে। কলেজে পড়ার সময়েই সিপিআই(এম)-র সদস্য হন এন. এস.। সেটাই ছিল মাদুরাই জেলায় সিপিআই(এম)-র প্রথম শাখা।
রাজনৈতিক বন্দি
মাদুরাইয়ের আমেরিকান কলেজের ছাত্রসভার সভাপতি নির্বাচিত হন শঙ্করাইয়া। দ্রুতই তিনি সারা রাজ্যের ছাত্র আন্দোলনের নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। সেসময়ে আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ মৃত্যুঘাতী আক্রমণ চালায়। এই ঘটনাকে নিন্দা করে তিনি ইংরেজিতে কড়া এবং মর্মস্পর্শী এক লেখা লেখেন যা লিফলেট হিসেবে প্রকাশ হয় এবং লিফলেটটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছিল। ওই লেখায় তিনি পুলিশের আক্রমণের বিভৎসতার জীবন্ত বিবরণ এই ভাষায় তুলে ধরেছিলেনঃ “মাথাগুলো কে চূর্ণবিচূর্ণ করা হয়েছিল, হাড়গুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল, রক্তে ভেসে গিয়েছিল আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।” এই লেখার জন্যই এন. এস.-কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং জেলে পাঠায়। তখন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষার মাত্র ১৫ দিন বাকি। আর তিনি জেল থেকে ছাড়া পেলেন ১৮ মাস পর।
বহুযুগ পর আমি এন. এস.-কে জিজ্ঞাসা করেছিলামঃ “আপনার বাবার ইচ্ছা ছিল আপনি একজন আইনজীবী হবেন। কিন্তু আইনের ফাইনাল পরীক্ষার এক পক্ষকাল আগেই আপনি গ্রেপ্তার হয়ে গেলেন। এর অর্থ দাঁড়াল আর পড়াশুনো চালানো যাবে না, ডিগ্রি অর্জন করে আপনি আইনজীবী হতে পারবেন না। কেননা এটা জানা ছিল না যে, সরকার আপনাকে কখন মুক্তি দেবে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ যখন গ্রেপ্তার করল আপনার মনের অবস্থা কীরকম হয়েছিল?” তাঁর জবাব ছিলঃ “স্বাধীনতার জন্য জাতীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলাম বলেই গ্রেপ্তার হই এবং আমাকে জেলে পাঠানো হয়, এটা আমাকে অনুপ্রাণিতই করেছিল। অন্য কিছু ব্যাপারে আমি একেবারেই শঙ্কিত ছিলাম না।”
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শঙ্করাইয়া পার্টির মাদুরাই জেলা কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হন।১৯৪৩ থেকে ১৯৪৭ এই চার বছর মাদুরাই জেলার পার্টির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়ে জেলাজুড়ে পার্টির নেতৃত্বে জনগণের জঙ্গি আন্দোলন সংগঠিত হয়।
শস্যদানা মজুতের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং শ্রমজীবী মানুষদের বেশ কয়েকটি লড়াইয়ের পর ১৯৪৬ সালে পি রামমূর্তি, এ বালসুব্রহ্মণ্যম, এম আর ভেঙ্কটারামন, কে টি কে থঙ্গমনি এবং জানকি আম্মা’র মতো বিশিষ্ট নেতাদের সাথে শঙ্করাইয়া ফের গ্রেপ্তার হন। পার্টির এই নেতৃত্বদের মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।এটাই মাদুরাই ষড়যন্ত্র মামলা নামে বিখ্যাত। এই মামলায় অভিযুক্ত পার্টি নেতৃত্ব মুক্তি পান দেশের স্বাধীনতার একদিন আগে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট।তাঁদের আসন্ন মুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়ে, বিশাল জনতা তাঁদের অভিনন্দন জানাতে সমবেত হয়। পার্টির ডাকে সংগঠিত এক বিশাল সমাবেশে নেতৃত্বকে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জনতা তাঁদের উঞ্চ অভবাদন জানায়।
জেল এবং আত্মগোপন
ঔপনিবেশিক শাসনে চার বছর এবং স্বাধীনতার পর কংগ্রেস শাসনে চার বছর, মোট আট বছর কমরেড শঙ্করাইয়ার এই শতবর্ষের জীবনে জেলে কাটিয়েছেন।এছাড়াও তিন বছর ছিলেন আত্মগোপনে। এন. এস. যে জীবন অতিবাহিত করেছেন তা ছিল স্বাধীনতা ও জনগণের জন্য আন্দোলনে উৎসর্গীকৃত জীবনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যখন সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য পেনশন ঘোষণা করল, তখন কমরেড এন. এস. পার্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা নিতে অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তিনি খুব সাদাসিধেভাবেই বলেছিলেন, “দেশের স্বাধীনতার জন্য জেলে গিয়েছি, এটাই পুরস্কার ছিল।”এরকমভাবেই তিনি বিষয়টার মূল্যায়ন করেছিলেন।
আত্মগোপনে থাকা এবং কারাজীবন ছিল খুবই কঠিন এবং বিধ্বংসী। দৃঢ় এবং প্রত্যয়বদ্ধ মানসিক গঠন ছাড়া কেউই এই ধরনের জীবনে অবিচল থাকতে পারেন না। তা’সত্ত্বেও, কমিউনিস্টরা সাহসের সাথেই এইসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন। যখন রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে এন. এস. ভেলোর জেলে, তখন বন্দিদের এ এবং বি ক্যাটেগরিতে ( কংগ্রেস এবং কমিউনিস্ট বন্দিদের মধ্যে) ভাগ করে তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক বৈষম্য তৈরির প্রতিবাদে তিনি অন্যান্য কমিউনিস্ট বন্দির সাথে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন করেছিলেন। অনশনের দশম দিনে জেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট কারাগার পরিদর্শনে আসেন। জেলের ভিতর তিনি এন. এস.’কে ম্যাক্সিম গোর্কির ‘মা’ পড়তে দেখে খুবই অবাক হয়েছিলেন। দশদিন অনশনের পরও কমিউনিস্টদের মানসিক শক্তি দেখে জেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট আশ্চর্য হয়ে যান।
পার্টির রাজ্য কমিটির সম্পাদক
১৯৫৩ সালে অবিভক্ত পার্টির রাজ্য সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন এন. শঙ্করাইয়া। সিপিআই(এম) গড়ে ওঠার আগে অবিভক্ত পার্টির জাতীয় পরিষদের সভা থেকে যে ৩২ জন সদস্য বেরিয়ে এসেছিলেন এন. এস. ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৯৫ সালে সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্পাদক হিসেবে সেই সময়ে রাজ্যে উদ্ভূত ইস্যুগুলিতে তিনি দ্রুত হস্তক্ষেপ করতেন।
১৯৯৮ সালে কোয়েম্বাটোরে বোমা বিস্ফোরণ সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটিয়েছিল, যা ২৪ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়। শঙ্করাইয়া কমরেড উমানাথকে এই সংকটময় সময়ে কাজ করার জন্য নিযুক্ত করেন। এন. এস. মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আরজি জানান, এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় যারা দায়ী তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার-তো করতেই হবে, এরসাথে সারা রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সুনিশ্চিত করতে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। এন. এস. বলেন, সিপিআই(এম) কোয়েম্বাটোরের ঘটনায় খুবই উদ্বিগ্ন। এই শহর শ্রমজীবী মানুষদের একটা কেন্দ্র। তিনি সরকারকে আরও আরজি জানান, এই সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে; এরা শ্রমিকশ্রেণির ঐক্যকে ধ্বংস করতে চাইছে।
উনিশশো নব্বইয়ের দশকের দ্বিতীয় অর্ধে তামিলনাডুর দক্ষিণের জেলাগুলিতে জাতিগত সংঘর্ষ দেখা দেয়। এর পরিণতিতে বহু জীবনহানি এবং সম্পত্তি ধ্বংসের মতো বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটে। কমরেড শঙ্করাইয়ার অনুরোধে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধি সর্বদল বৈঠক ডাকেন। দুদিনের এই বৈঠকে কমরেড এন. এস.’র সঙ্গে আমিও অংশ নিয়েছিলাম। সভার কার্যপ্রণালীতে দৃঢ়তার সাথে হস্তক্ষেপ করে এন. এস. ঘোষণা করেনঃ সিপিআই(এম) গোরস্থানের শান্তি চায় না। আমরা যে মূল স্লোগান উত্থাপন করেছি তার ভিত্তিতেই সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। রাজনৈতিক দলসমূহ এবং সামাজিক সংগঠনসমূহ এই প্রক্রিয়ায় মূল ভূমিকা পালন করুক। আমাদের স্লোগান হলোঃ “অস্পৃশ্যতার অভিশাপকে নির্মূল করো, বন্ধ হোক জাতিগত সংঘর্ষ, জনগণের ঐক্যকে রক্ষা করো”। এন. এস.’র দেওয়া পরামর্শকে মুখ্যমন্ত্রী স্বাগত জানান। এই সূত্রায়ণকে ভিত্তি করে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন জেলায় অস্পৃশ্যতা-বিরোধী সম্মেলন সংগঠিত হয়। শঙ্করাইয়া এই সম্মেলনগুলিতে অংশ নেন এবং জনগণের উদ্দেশে বার্তা দেন। এটা বলা অতিশয়োক্তি হবে না যে, এন. এস. যে স্লোগান হাজির করেছিলেন এবং যে উদ্যোগ তিনি নিয়েছিলেন রাজ্যের অবস্থা স্বাভাবিক করতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
বিধায়ক হিসেবে কমরেড শঙ্করাইয়া
তামিলনাডু বিধানসভায় শঙ্করাইয়া তিনবার নির্বাচিত হন। বিধানসভায় প্রথমবার পার্টির উপনেতা এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন বিধায়ক হিসেবে তাঁর ভূমিকাকে সবাই শ্রদ্ধা করতেন এবং তামিল ভাষা ব্যবহারের ওপর তিনি বিশেষ জোর দিতেন যা ওই রাজ্যে শিক্ষা প্রদানে, প্রশাসনে ও আদালতে তামিল ভাষা ব্যবহারকে নির্ধারিত করেছিল।
তামিলনাডুতে কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলায় কমরেড এন. এস. গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সারা ভারত কৃষক সভার তামিলনাডু রাজ্য কমিটির সভাপতির তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সারা ভারত কৃষক সভার সর্বভারতীয় সভাপতি এবং সম্পাদকও নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও তামিলনাডুতে অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা ‘জনাশক্তি’র সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। সিপিআই(এম) গড়ে ওঠার পর পার্টির দৈনিক পত্রিকা ‘থিক্কাথির’-এর সম্পাদকের কার্যভার সামলান তিনি।সমসাময়িক শিল্প, সাহিত্যের বিকাশধারার প্রবণতার ওপর গভীর পর্যবেক্ষক হিসেবেও এন. এস. পরিচিত ছিলেন। তামিলনাডু প্রোগ্রেসিভ রাইটারস ইউনিয়ন গড়ে তোলায় তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ । ইউনিয়নের প্রারম্ভিক সম্মেলনে তাঁর বক্তব্যে এন. এস. সাহিত্যের আঙ্গিক এবং বিষয়বস্তু প্রসঙ্গে তাঁর গভীর বোঝাপড়ার বিষয়টা তুলে ধরেন এবং তা সকলের দ্বারা গৃহীত হয়।
এন. এস. তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও গণতান্ত্রিক আদর্শগুলিকে অবিচলিতভাবে প্রয়োগ করে গেছেন। শুধু জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে তাঁর দৃঢ বিরোধিতাই তিনি ঘোষণা করেননি, ব্যক্তিগত জীবনেও নিজে যে ধর্ম ও বর্ণের, তার বাইরের একজনকে বিবাহ করেছিলেন। তাঁর বর্ধিত পরিবারে বহু অসবর্ণ বিবাহ হয়েছে। এসবে এন. এস.’র বিরাট ভুমিকা ছিল।
কমরেড এন. শঙ্করাইয়ার জীবন প্রজন্মের পর প্রজন্মের কমিউনিস্ট কর্মীদের অনুপ্রাণিত করবে এবং পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে।
ভাষান্তরঃ শংকর মুখার্জি