E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬১ বর্ষ ১৫ সংখ্যা / ২৪ নভেম্বর, ২০২৩ / ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০

সামরিক বাহিনী ও সংঘ পরিবার

সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়


বুর্জোয়া রাষ্ট্রের বিভিন্ন অরগ্যানের মধ্যে আইনসভা, বিচারব্যবস্থা, আমলাতন্ত্রের মতো সামরিক বাহিনীও একটি আবশ্যিক উপাদান। ফ্যাসিস্টরা যখন রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চায় তখন তারা রাষ্ট্রের অন্যান্য উপাদানের মতো সামরিক বহিনীকেও দখল করতে চায়। আমাদের পার্টি কর্মসূচির ৭-১৪ নম্বর প্যারায় বলা আছেঃ ‘বিজেপি কোনো সাধারণ বুর্জোয়া দল নয়, কেননা ফ্যাসিস্ত ধাঁচের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ তাদের পরিচালনা করে, আধিপত্য করে। বিজেপি ক্ষমতায় আসায় রাষ্ট্রক্ষমতা ও রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন সংস্থায় প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে আরএসএস।’ আবার ৫-৭ প্যারায় বলা হয়েছেঃ ‘সাম্প্রদায়িক ও ফ্যাসিস্ত ধাঁচের আরএসএস পরিচালিত জোটের শক্তিবৃদ্ধি ও কেন্দ্রে তাদের ক্ষমতা দখলের ফলে ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তির বিপদ গুরুতর হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানসমূহ, প্রশাসন, শিক্ষাব্যবস্থা, প্রচার মাধ্যমের সাম্প্রদায়িকীকরণের পরিকল্পিত প্রয়াস চলছে।’ রাষ্ট্রক্ষমতা, রাষ্ট্রযন্ত্র ও ‘রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানসমূহের’ মধ্যে সংঘ পরিবারের লোকজনদের অনুপ্রবেশের সংবাদ, মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে, বহুরকমভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা সত্ত্বেও, বহু আলোচনা ও তথ্য গণমাধ্যমগুলিতে সামনে আসছে। কিন্তু ‘রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানসমূহের’ অন্যতম অংশ, সামরিক বাহিনীতে, সংঘ পরিবারের অনুপ্রবেশ সম্পর্কে আলোচনা তেমন নজরে আসেনা। অথচ স্বাধীনতার আগে থেকেই হিন্দুত্ববাদীরা সামরিক বাহিনীতে তাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার আগেই বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী ও হিংসাত্মক কাজের সঙ্গে সংঘ পরিবারের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। ১৯৯৯ সালে খ্রিস্টান মিশনারি গ্রাহাম স্টেইনস ও তাঁর দুই শিশুপুত্রকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে বজরং দলের দারা সিং-কে ২০০৫ সালে আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল ওডিশার হাইকোর্ট। ২০০৭-এর ১৮ ফেব্রুয়ারি সমঝোতা এক্সপ্রেসে বোমা বিস্ফোরণে আটষট্টি জনের মৃত্যু হয়েছিল। বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের স্বামী অসীমানন্দ ও অভিনব ভারতের প্রশান্ত শ্রীকান্ত পুরোহিত এই সন্ত্রাসবাদী কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ এসেছিল। ২০০৭-এর ১১ অক্টোবর আজমেঢ়-এর খাজা মৈনুদ্দিন চিস্তির দরগায় বোমা বিস্ফোরণের জন্য ২২ অক্টোবর ২০১০-এ যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের মধ্যে চারজন স্বীকার করেছিল যে, তারা আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত - যাদের মধ্যে অসীমানন্দও ছিলেন। ২০০৮-এর ২৯ সেপ্টেম্বর গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় বোমা বিস্ফোরণে আটজনের মৃত্যু হয় ও আশি জন আহত হন। মহারাষ্ট্র পুলিশ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর, শিবনারায়ণ গোপাল সিং কালসংগ্রহ ও শ্যাম ভাওয়ারলাল সাহুকে গ্রেপ্তার করেছিল। ২০০৬ ও ২০০৮-এর মালেগাঁও বিস্ফোরণের পরে বিনা প্রমাণে বেশ কিছু মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু মহারাষ্ট্র এটিএস-এর হেমন্ত কারকারে তদন্তের দায়িত্বে আসার পর তদন্তের গতিপ্রকৃতি থেকে এমন অনেক নাম উঠে আসে, যারা কোনো না কোনো সময়ে, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেনঃ আরএসএস-এর এক্স-সার্ভিসমেন্স সেলের প্রধান রাকেশ উপাধ্যায়, নাসিকের ভোঁসলে মিলিটারি স্কুলের প্রাক্তন কমান্ডান্ট প্রভাকর কুলকার্নি, ওই স্কুলের প্রশাসক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শৈলেশ রায়কর ও কর্মরত সেনা অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রশান্ত শ্রীকান্ত পুরোহিত। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, এরা কোনো না কোনোভাবে উক্ত বিস্ফোরণে মদত দিয়েছিলেন, আরডিএক্স সরবরাহ করেছিলেন ও সন্ত্রাসবাদীদের ট্রেনিং দিয়েছিলেন। (মহারাষ্ট্র পুলিশের প্রাক্তন আইজি এস এম মুশরিফ-এর লেখা ‘হু কিলড কারকারে’ ও সাংবাদিক সুভাষ গ্যাডগে-র লেখা ‘গডসেস চিলড্রেন’ বইদুটিতে হিন্দুত্ববাদীদের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের বিস্তৃত বিবরণ আছে)।

তদন্ত-প্রক্রিয়ায় বারবার ভোঁসলে মিলিটারি স্কুলের নাম উঠে আসে। তখন থেকেই অনেকে এই স্কুলটি সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। হিন্দুত্ববাদী নেতা ডাক্তার বালকৃষ্ণ শিবরামজি মুঞ্জের নেতৃত্বে ১৯৩৭-এর ১২ জুন নাসিক-এ ব্রিটিশ প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে এই স্কুলের কাজ শুরু হয়। তার আগে ১৯৩১-এর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ইয়োরোপ ভ্রমণের সময়ে ১৫-২৫ মার্চ মুঞ্জে রোমে ছিলেন। সেখানে তিনি মুসোলিনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রোমে তিনি মিলিটারি কলেজ, সেন্ট্রাল মিলিটারি স্কুল অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন ও ফ্যাসিস্ট আকাদেমি অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন-এর কর্মপদ্ধতি বোঝার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি Balilla ও Avanguardisti-র মতো প্রতিষ্ঠানদুটি কীভাবে যুবকদের ফ্যাসিস্ট মতাদর্শে শিক্ষিত করছে তা-ও জেনে নেন। তিনি তার ডায়েরিতে লিখেছিলেনঃ ‘ভারত ও বিশেষ করে হিন্দু ভারতের এইরকম সংগঠন প্রয়োজন - হিন্দুদের সামরিক পুনর্জন্মের জন্য।’ মুঞ্জের উক্ত অভিজ্ঞতা ও চিন্তার পরিণতি হলো ভোঁসলে মিলিটারি স্কুল। স্কুলের ওয়েবসাইটে বলা আছে মুঞ্জে ‘ব্রিটিশ শাসনকালে সশস্ত্র বাহিনীর ভারতীয়করণ এবং ভারতীয় যুবকদের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণের অপরিহার্যতায় দৃঢ়বিশ্বাসী ছিলেন।’ (https://bms.bhonsala.in/Encyc/2019/11/29/OUR-FOUNDER.html, accessed on 4-11-23, 6-57 PM) স্কুলের প্রধান ভবন উদ্বোধন করেছিলেন গোয়ালিয়রের মহারাজা জিভাজিরাও সিন্ধিয়া ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলে তৎকালীন বোম্বাই রাজ্যের গভর্নর স্যার রজার লুমলে। প্রতিষ্ঠানটি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে অফিসার সরবরাহ করত। স্কুলটিকে সাহায্য করত আরএসএস, হিন্দু মহাসভা, ব্রিটিশ শাসকবৃন্দ ও দেশীয় হিন্দু রাজারা। ১৯৪৮-এর ৩০ জানুয়ারি হিন্দুত্ববাদ নামক রাজনৈতিক তত্ত্বের সমর্থক নাথুরাম গডসে মহাত্মাকে হত্যা করে। তারপরে কেন্দ্রীয় সরকারের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেল আরএসএস-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। ১৯৪৮-এর ৪ মার্চ মুঞ্জে প্রয়াত হন। ১৯৪৯-এ আরএসএস-এর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরে ও মুঞ্জের অনুপস্থিতিতে গোলওয়ালকর স্কুলটির দিকে নজর দেন। স্কুলের পরিচালনার দায়িত্ব চলে যায় আরএসএস-এর হাতে। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে নাগপুরে স্কুলের দ্বিতীয় একটি শাখা খোলা হয় ও দুটি পৃথক আঞ্চলিক কমিটি গঠন করা হয়। নাসিকের ক্যাম্পাস ১৬০ একর জমির ওপর ও নাগপুরের ক্যাম্পাস ৩০ একর জমির ওপর অবস্থিত। ১৯৮৬-তে স্কুলটিকে কলেজ স্তরে উন্নীত করা হয়। ওই বছরেই রাজমাতা বিজয়রাজে সিন্ধিয়া কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৮৯ থেকে কলেজে পঠনপাঠন শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি তাদের পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে হিন্দুধর্মের নির্দেশগুলি শেখায়। সরকারিভাবে কাগজপত্রে মুসলিম ছাত্র ও শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে আপত্তি নেই। কিন্তু আরএসএস সদস্য ও কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র বিবেক রাজের সাক্ষ্য থেকে জানা যায়ঃ কলেজে কোনো মুসলিম শিক্ষক নেই ও মুসলিম ছাত্রও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। (D. K. Jha, The Shadow Armies, Juggernaut)।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন এনজিও, বেসরকারি স্কুল ও রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে পার্টনারশিপ মডেলে ১০০-টি নতুন সৈনিক স্কুল স্থাপনের উদ্যোগকে অনুমোদন দিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ইতিমধ্যেই পার্টনারশিপ মডেলে ২৩-টি নতুন সৈনিক স্কুল স্থাপনে সম্মতি জানিয়েছেন। স্কুলগুলি ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে, শ্রেণি অনুসারে ধাপে ধাপে স্থাপন করা হবে। সৈনিক স্কুল সোসাইটি সারা দেশে অবস্থিত ১৯-টি নতুন সৈনিক স্কুলের সঙ্গে একটি মৌ স্বাক্ষর করেছে। (https://indianexpress.com/article/education/defence-minister-approves-to-set-up-23-new-sainik-schools-under-partnership-mode-8942804/, accessed on 5-11-23, 9-54 AM) এর পাশাপাশি আরএসএস-এর শিক্ষা-সংগঠন বিদ্যাভারতীর ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, এই ১০০-টি স্কুলের ৪২-টির বিষয়ে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে। তার মধ্যে সাতটি হবে বিদ্যাভারতীর সঙ্গে যৌথভাবে। (https://vidyabharti.net/about-vidya-bharati, accessed on 6-10-23, 10-55 PM) এই সাতটি বিদ্যালয় হবে, বিহারের পাটনা ও সমস্তিপুরে, কেরালার মালাপ্পুরম-এ, মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর-এ, পাঞ্জাবের নাভা-তে, দাদরা নগর হাভেলিতে ও উত্তরপ্রদেশের শিকারপুরে। উক্ত ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিদ্যাভারতীর লক্ষ্য হলোঃ ‘To develop a national system of education which would help build a younger generation which is committed to Hindutva...’। বোঝাই যাচ্ছে, এই স্কুলগুলি থেকে হিন্দুত্ববাদী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যারা সামরিক বাহিনীতে যোগ দেবেন তারা অবশ্যই সামরিক বাহিনীর ভিতরে এই মতাদর্শের প্রচার করবেন। আমরা আগেই দেখেছি, স্বাধীনতার আগে থেকেই ভোঁসলে মিলিটারি স্কুল হিন্দুত্ববাদীরাই নিয়ন্ত্রণ করে। সেখান থেকে পাশ করা ছাত্ররাও বহু বছর সামরিক বাহিনীতে অনুপ্রবেশ করছে। নতুন করে বিদ্যাভারতীর ছাত্রদের অনুপ্রবেশ শুরু হবে।

হিন্দুত্ববাদের স্রষ্টা বিনায়ক দামোদর সাভারকর বলেছিলেনঃ Hinduise all politics and militarise Hindudom। এই স্লোগানকে সামনে রেখে হিন্দুত্ববাদীরা সিভিল সোসাইটি ও পলিটিক্যাল সোসাইটির প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও শাখাপ্রশাখায় অনুপ্রবেশ করছে এবং হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক মতাদর্শগত আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করছে। ২০১৪-তে নাথুরাম গডসের মতাদর্শগত উত্তরসূরিরা লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবার পর থেকে আমাদের দেশে ঘৃণার রাজনীতি ও নিষ্ঠুরতার সংস্কৃতির প্রতাপ ক্রমবর্ধমান। ১৯৯০-এর দশকে নয়া উদারবাদের নীতিগুলি স্বীকৃতি পাবার পর থেকে, একদিকে যেমন ‘চাই চাই খাই খাই’ মানসিকতা শক্তিশালী হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি সমাজের বিভিন্ন স্তর ও বর্গের বহু মানুষের চৈতন্যের জগৎ, স্যাডিস্টিক ও মেসোচিস্টিক বা ধর্ষকামী ও মর্ষকামী মনস্তত্ত্বের জারক রসে দ্রুত জারিত হচ্ছে। তার ফলে তারা দ্রুত স্বৈরতান্ত্রিক ব্যক্তিত্বদের সামনে নতজানু হচ্ছেন। যুক্তি ও বিশ্লেষণের বদলে অযুক্তি ও অন্ধবিশ্বাস আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। হিন্দুত্ববাদীরা ভারতের সমাজ ও ইতিহাসের বাছাই করা কিছু উপাদানকে ব্যবহার করে হিন্দুরাষ্ট্রের নামে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে চাইছেন। ধর্ষকামী ও মর্ষকামী মনস্তত্ত্বের জারক রসে জারিত মানুষরা এই কাজে তাদের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছেন। তাই কাল্পনিক ‘অপর’-দের বিরুদ্ধে ঘৃণার রাজনীতি ও নিষ্ঠুরতার সংস্কৃতি খুব দ্রুত সামাজিক মান্যতা পেয়ে যাচ্ছে। দেশের বিরাট অংশের মানুষের বোধের জগতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অরগ্যানে হিন্দুত্ববাদীদের ক্রমবর্ধমান অনুপ্রবেশের বিপদের গুরুত্ব অধরা থেকে যাচ্ছে। কিন্তু এখন আর শুধু প্রশাসন, শিক্ষাব্যবস্থা, প্রচার মাধ্যমের হিন্দুত্বকরণের মধ্যেই বিষয়টি সীমাবদ্ধ নেই - সামরিক বাহিনীতেও হিন্দুত্ববাদীদের অনুপ্রবেশের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। কোনো দল বা গোষ্ঠীর স্বার্থে নয়, দেশ ও জাতির স্বার্থে, ইতিহাস ও মানবতার স্বার্থে, এই ভয়ঙ্কর শক্তিকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করতেই হবে।