৫৮ বর্ষ ১৯শ সংখ্যা / ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ / ৯ পৌষ ১৪২৭
দলবদলের সংস্কৃতিঃ অমিত শাহ এবং মমতা
গৌতম রায়
অমিত শাহ’র আগে দেশের কোনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীই কেবলমাত্র অপরদল থেকে বিধায়ক, সাংসদ ভাঙিয়ে নিজের দল ভারি করবার জন্যে এর আগে কখনো কোনো রাজ্য সফর করেননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সফর করলেন। এই সফরের সিংহভাগ সময়ই তিনি খরচ করলেন অন্যদল থেকে জনপ্রতিনিধিদের নিজের দল বিজেপি’তে জড়ো করতে। একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক সহযোগী শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে একটা সংশয়ের পরিবেশ বেশ অনেকদিন ধরেই তৈরি হয়েছিল। মমতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মুখ্যমন্ত্রী বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, সমুচিত গুরুত্ব নাকি শুভেন্দুকে দিচ্ছেন না - এমন একটা কথা আকাশে বাতাসে বেশ কিছুদিন ধরেই ভাসছিল। বেশ কিছু দলীয় পদে শুভেন্দুদের তুলনামূলকভাবে নবাগত অভিষেককে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো, আর তাই নাকি নিজের দলে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়া শুভেন্দু দলবদল করতে আর সময় নেবেন না - এমনটাই ছিল প্রচার।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি এই রাজ্যে সফর করবার সময়ে মেদিনীপুরে জনসভা করেন। সেই জনসভাতেই শুভেন্দু অধিকারী সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপি’তে যোগ দিয়ে প্রকাশ্য জনসভায় বলেনঃ দীর্ঘদিন ধরে তাঁর সঙ্গে বিজেপি’র ঘনিষ্ঠ সংযোগ রয়েছে। শুভেন্দুর এই স্বীকারোক্তি থেকে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, এতদিন ধরে শুভেন্দু বিজেপি’তে যোগ দিচ্ছেন বলে যে প্রচার চলছিল, সেই প্রচারটি ছিল আরএসএস’র সামাজিক প্রযুক্তিরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আরএসএস এইভাবেই প্রচারের সামাজিক প্রযুক্তির ভিতর দিয়ে বাজার যাচাই করছিল। শুভেন্দুর বাজারদরটাও দেখে নিচ্ছিল। সেই সঙ্গে মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়বার সময়ে দল ভাঙানোর ক্ষেত্রে যতোটা সফল হয়েছিল, তার থেকে বেশি সাফল্য শুভেন্দু তুলতে পারে কি না - সেটাও নজরদারি করছিল।
একটি খাতায় কলমে বিজেপি বিরোধী বলে পরিচিত দলের পক্ষ থেকে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু। খোদ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তিনি প্রকাশ্য জনসভায় বললেন, দীর্ঘদিন বিজেপি’র সঙ্গে সংযোগের কথা। বলাবাহুল্য এই সংযোগ ছিল গোপন সংযোগ। শুভেন্দু অধিকারীর এই প্রকাশ্য স্বীকারোক্তির ভিতর দিয়েই বুঝতে পারা যায় যে, তৃণমূল কংগ্রেসের মাথা থেকে ল্যাজা পর্যন্ত কি ধরনের নীতিবহির্ভূত রাজনীতি করে। আর সেই নীতিবর্জিত রাজনীতিকে দেশের শাসকদল হিসেবে বিজেপি কিভাবে প্রশ্রয় দেয়, তা ভাবলে আমাদের শিউরে উঠতে হয়।
অতীতে ভারতে আয়ারাম-গয়ারামের রাজনীতি বিস্তর ঘটেছে। বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করবার পর কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা ইত্যাদি রাজ্যে এই ঘোড়া কেনাবেচার নোংরা খেলা আমরা বহু দেখেছি। তবে পশ্চিমবঙ্গে গত ছয়ের দশকে অজয় মুখার্জী’র নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট সরকারকে ফেলার জন্যে জাহাঙ্গীর কবীর, ডঃ প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ ষোল জন বিধায়কের দলবদলের পর, এই রাজ্যে আর আয়ারাম-গয়ারাম রাজনীতির প্রাদুর্ভাব একেবারেই দেখা যায় নি। সেই দলবদলের সংস্কৃতি ২০১১ সালে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসে এখানে আবার ফিরিয়ে এনেছেন। আজ সেই নিজের তৈরি ফ্রাঙ্কেনস্টাইনই মমতাকে সব থেকে বেশি তাড়া করে ফিরছে। মমতা নিজে কোনো আদর্শের তাগিদে নয়ের দশকে কংগ্রেস ত্যাগ করেন নি।এককভাবে ক্ষমতা নিজের কুক্ষিগত রাখার ভাবনা থেকেই মমতা কংগ্রেস দলে থাকাকালীন তাঁদের প্রাদেশিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে জাতীয়স্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে বিবাদ বিসংবাদে জড়িয়েছেন। তারপর দলত্যাগ করে নিজে আলাদা দল তৈরি করেছেন। দল তৈরির অব্যবহিত পরেই বলেছেন, বিজেপি’কে ফ্রন্টে এনে তিনি বামপন্থীদের ক্ষমতাচ্যুত করবেন। আর নিজের দল তৈরির পর প্রথম নির্বাচনেই বিজেপি’র সঙ্গে নির্বাচনী জোটে গেছেন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ নামক নীতিবিহীন, সুবিধাবাদী জোট সরকারের দীর্ঘদিন মন্ত্রী থেকেছেন। আজকের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন যে গণহত্যা চলে সেইখানে, সেই সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় নীরব অবস্থান করে গেছেন মমতা। দাঙ্গার রক্তে হাত রাঙিয়ে মোদী গুজরাটে ক্ষমতায় ফিরে এলে, এই মমতাই তাঁকে ফুল পাঠিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করবার পর, যে তড়িৎগতিতে মমতা বিজেপি’র সঙ্গে নির্বাচনী জোট করেছিলেন, তাতে এই অনুমান একদম কষ্টকল্পনা হবে না যে, কংগ্রেসে থাকাকালীনই তিনি বিজেপি’র সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সম্পর্ক রেখে চলতেন। টাডা আইনের বিরুদ্ধতা করে কংগ্রেসে থাকাকালীন মমতা বেশ কিছু নাটুকে ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই মমতাই কিন্তু সংখ্যালঘু মুসলমানদের হেনস্তা করার উদ্দেশে ব্যবহৃত কালাকানুনগুলিকে ঘিরে কয়েকদফায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন, একটি শব্দও উচ্চারণ করেন নি। পরবর্তীতে ইউএপিএ’র মতো আইন ঘিরেও একটি প্রতিবাদ মমতার কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত হয়নি।
তাহলে কেন মমতা নরসিংহ রাও মন্ত্রীসভার সদস্যা হিসেবে টাডা আইন ঘিরে নাটুকেপনা করলেন? অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের অস্ত্র আইনে গ্রেপ্তার, মুম্বাই দাঙ্গার (’৯২-’৯৩) অব্যবহিত পরেই, মমতা কেন সেই অভিনেতার দুঃখে বিগলিত করুণা, জাহ্নবী যমুনা হলেন? মমতা কি তাঁর এই তথাকথিত সংখ্যালঘু প্রীতির আবরণে সংখ্যাগুরু সাম্প্রদায়িকদের অক্সিজেন দেওয়ার কাজটি নরসিংহ রাওয়ের মন্ত্রীসভার সদস্য থাকাকালীনই করে চলেছেন? কংগ্রেস দলের ভিতরে থেকে আরএসএস’র হয়ে সামাজিক প্রযুক্তির কাজটি কি দীর্ঘদিন ধরে, অত্যন্ত যত্ন সহকারে মমতা করে চলেছিলেন? আজ যে প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার ভিতর দিয়ে এই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে অক্সিজেন জোগাচ্ছেন মমতা, সেই অক্সিজেন সরবরাহের ট্রাডিশন কি মমতা কংগ্রেসের ভিতরে থাকাকালীনই রপ্ত করেছিলেন? তা না হলে, দল ছেড়ে, আর একটি দল তৈরি করবার প্রায় সাথে সাথেই মমতার সঙ্গে কেন রাজনৈতিক মিতালি তৈরি করবে আরএসএস’র রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি?
কংগ্রেসের ভিতরে থেকে সাম্প্রদায়িক বিজেপি’র সঙ্গে যেভাবে সম্পর্ক রেখে, সুযোগ বুঝে সেই সম্পর্ককে পাকাপোক্ত করেছিলেন মমতা, আজ দেখা যাচ্ছে, ঠিক সেই পথেই এতকাল হেঁটেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অতীতে অর্জুন সিং থেকে শুরু করে সৌমিত্র খানের মতো তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা যেভাবে দলবদল করে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন, তখনই অনুমান করা গিয়েছিল যে, ওইসব নেতৃত্বের সঙ্গে হঠাৎ করে আরএসএস’র রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি’র কোনো সম্পর্ক তৈরি হয়নি। একটা ধারাবাহিকতার ভিতর দিয়েই যে সেই সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তা এখন খোদ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সামনে, প্রকাশ্য জনসভায় শুভেন্দু অধিকারীর স্বীকার করে নেওয়ার ভিতর দিয়ে একদম পরিষ্কার হয়ে গেল।
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, মন্ত্রী থাকাকালীন বিজেপি’র সঙ্গে রাজনৈতিক সংযোগ রেখে চলার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করে শুভেন্দু অধিকারী এটাই প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, বিজেপি’র সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলার ক্ষেত্রে তিনি তাঁর একদা নেত্রী মমতার পথ ধরেই এতকাল হেঁটেছেন। মমতা এই সংযোগের কথা কখনো প্রকাশ্যে স্বীকার করেন নি। আর শুভেন্দু সেই যোগাযোগের কথা কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ’র সামনেই, প্রকাশ্য জনসভাতে বলে ফেললেন। এইটুকুই যা কৌশলগত ফারাক দেখা গেল মমতা আর শুভেন্দুর ভিতরে।
রাজনৈতিক প্রেক্ষিত থেকে রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে, সাম্প্রদায়িকতাকেই একমাত্র মুখ্য বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হলো আরএসএস, বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রসের রাজনৈতিক কর্মসূচি। আরএসএস-বিজেপি এই সাম্প্রদায়িক কর্মসূচি সফল করতে কি ধরনের সামাজিক প্রযুক্তি চালাচ্ছে, তা শুভেন্দু অধিকারী, শীলভদ্র দত্ত সহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধির সাম্প্রতিক দলবদল ঘিরে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। বিজেপি’র পশ্চিমবঙ্গে এই অপরদল থেকে নেতা, কর্মী, জনপ্রতিনিধিদের ভাঙিয়ে এনে, নিজের দল ভারি করবার বিষয়টির যে সংস্কৃতি, সেই সংস্কৃতি কায়েমের কৃতিত্ব হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বিরোধী রাজনীতি, বিশেষ করে বাম ও কংগ্রেসের রাজনীতিকে খতম করবার সংকল্প নিয়েছিলেন। সেই সংকল্প পূরণের উদ্দেশে, নিজের দলের প্রয়োজনের থেকে বেশি সত্ত্বেও বাম এবং কংগ্রেস বিধায়ক ভাঙিয়ে নিজের দল ভারি করেছেন। সেইসব বিধায়কদের দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতা থেকে বাঁচাতে খোদ বিধানসভার স্পিকারের পদটিকে পর্যন্ত কলুষিত করা হয়েছে। আজ মমতার ঘরে যে আগুন বিজেপি লাগিয়েছে, সেই আগুন জ্বালাবার পদ্ধতি গত দশ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বকালে মমতা নিজে দেখিয়ে চলেছেন।
অমিত শাহ তাঁর সাম্প্রতিক পশ্চিমবঙ্গ সফরে বোলপুরে সভা করেছেন। বিশ্বভারতীতেও গিয়েছেন। স্বভাবসুলভভাবেই রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথকেই কার্যত হত্যা করে সাম্প্রদায়িক অভিনিবেশের পথে হেঁটেছেন অমিত শাহ। তাঁর এই সফরকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্রনাথকে অপমাননাসূচক একটি ফ্লেক্সে গোটা শান্তিনিকেতন কার্যত ছেঁয়ে দিয়েছিল বিজেপি এবং তাদের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। শান্তিনিকেতন সহ গোটা রাজ্যের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ অমিত শাহ’র ছবির নিচে রবীন্দ্রনাথের ছবি সংবলিত ফ্লেক্স ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে। শান্তিনিকেতনের নানা জায়গাতে প্রতিবাদ মিছিল বেরিয়েছে। অথচ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী রবীন্দ্রনাথের অপমানসূচক এই ফ্লেক্স ঘিরে একটি কথাও বলেননি। অমিত শাহ থেকে বিজেপি নেতৃত্ব, কেউ কোনো কথা বলেন নি। বামপন্থী ছাত্ররা যাতে অমিত শাহ’র বিরুদ্ধে কোনোরকম বিক্ষোভ দেখাতে না পারে, সেজন্যে ছাত্র নেতা, কর্মীদের গৃহবন্দি করে রেখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সত্যিই বিজেপি বিরোধী হন, তাহলে গণতান্ত্রিক কর্মপদ্ধতি আটকাতে কেন বিশ্বভারতীর ছাত্র নেতা, কর্মীদের তিনি গৃহবন্দি করলেন? প্রতিটি নাগরিকের স্বাধীন রাজনৈতিক মতপ্রকাশের অধিকার আছে। দেশে তো জরুরি অবস্থা জারি নেই। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞাও নেই। তাহলে কেন বিশ্বভারতীর বামপন্থী ছাত্র কর্মীরা অমিত শাহ’র উদ্দেশে বিক্ষোভ দেখাতে পারে, এই অনুমানের ভিত্তিতে তাঁদের গৃহবন্দি করে রাখলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ? সম্প্রতি কৃষক আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে যে ভারত বন্ধ হলো, সেই বন্ধের দিন উত্তরপ্রদেশের কানপুরে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরোর সদস্য সুভাষিণী আলিকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল অজয় সিং বিশোয়াত ওরফে স্বঘোষিত ‘যোগী’ আদিত্যনাথের পুলিশ। সেই একই কাজ তো শান্তিনিকেতনে করলো মমতার পুলিশ। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্দেশে যে অঘোষিত জরুরি অবস্থার অভিযোগ ওঠে, তেমনটাই অঘোষিত জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতিই তো বিজেপি তথা অমিত শাহকে খুশি করতে করলেন মমতা। তাহলে মমতার বিজেপি বিরোধিতার প্রকৃত তাৎপর্যটা কি? গণতান্ত্রিক আন্দোলনের যাবতীয় সম্ভাবনাকে পুলিশ দিয়ে আটকে দেওয়াটা জরুরি অবস্থার সময়কালের অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারি মানসিকতাকেই মনে করিয়ে দেয়।