E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৯ বর্ষ ২৮ সংখ্যা / ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ / ১২ ফাল্গুন, ১৪২৮

দেউচা পাঁচামীতে দমন বন্ধ করুন

মুখ্যমন্ত্রীকে সংযুক্ত কিষান মোর্চা


নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কৃষকদের প্রতি ন্যায়বিচারের স্বার্থে দেওচা-পাঁচামী-হরিনশিঙ্গা-দেওয়ানগঞ্জ এলাকার জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কৃষকদের মতামত জানার জন্য বাধ্যতামূলক আইনি স্বচ্ছ পদ্ধতি গ্রহণ না করার জন্য এবং গ্রামবাসী ও কর্মীদের উপর দমন-পীড়ন ও গ্রেপ্তার সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। অবিলম্বে এসব বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সংযুক্ত কিষান মোর্চার (এসকেএম) পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়ার মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বোঝাপড়ার পরিসর তৈরি করতে হবে রাজ্যকেই।

ওই বিবৃতিতে সংযুক্ত কিষান মোর্চা উল্লেখ করেছে যে, তারা লক্ষ্য করছে বীরভূম জেলার উল্লিখিত এলাকায় এক নতুন কয়লা খনি প্রকল্প চালু করতে চায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এবং তার জন্য কৃষিজমি এবং চারণভূমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য সরকার ঘোষিত একটি ‘‘ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ’’ গ্রহণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। মোর্চার বক্তব্য, এই কৃষকদের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ সাঁওতাল আদিবাসী; সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং অনগ্রসর শ্রেণির একটি উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যাও রয়েছে। গ্রাম সভা আয়োজন, খনি প্রকল্পের বিবরণ এবং পুনর্বাসন প্যাকেজ উপস্থাপন করে এই সভাগুলির দ্বারা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে সম্মতি নেওয়ার আইনি প্রক্রিয়াও সরকার পালন করেনি। পরিবর্তে, গোপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষজনের কাছ থেকে তথাকথিত সম্মতি আদায় করার একটি বেআইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে। সংবাদ মাধ্যমের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কৃষকদের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের দ্বারা নির্মমভাবে দমন করা হচ্ছে। আদিবাসী গ্রামবাসী ও তাদের সমর্থনকারী আন্দোলনকর্মীদের ওপর সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে এবং অনেককেই গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে এ প্রসঙ্গে নির্দেশ দেওয়ার জন্যও বিবৃতিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছে এসকেএম।

বিবৃতিতে এসকেএম-র পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে যে, খনি ও শিল্পের জন্য কোনভাবেই কৃষকদের কৃষিজমি, চারণভূমি, বসতবাড়ি এবং পশুপালনের জীবিকা ছেড়ে দিতে বাধ্য করা উচিত নয়, যদি না রাইট টু ফেয়ার কম্পেনসেশন অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি ইন ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন, রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসেটলমেন্ট অ্যাক্ট, ২০১৩-তে স্পষ্টভাবে নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁরা সম্মতি না দেয়। সংযুক্ত কিষান মোর্চা দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে তারা সর্বদা কৃষকদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবে এবং ভারতের কৃষিপ্রধান সমাজের যে কোনো সংকটে তাঁদের পাশে দাঁড়াবে।

সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষে ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ডঃ দর্শন পাল, হান্নান মোল্লা, জগজিৎ সিং ডাল্লেওয়াল, জোগিন্দর সিং উগ্রাহান, শিবকুমার শর্মা (কাক্কাজি), যুধবীর সিং, যোগেন্দ্র যাদব প্রমুখ।