E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৯ বর্ষ ২৮ সংখ্যা / ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ / ১২ ফাল্গুন, ১৪২৮

বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রতিযোগিতা

অমিতাভ রায়


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে অনন্ত রায়।

বছরখানেক আগের ঘটনা। চতুর্দিকে সাজ সাজ রব। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের অমিত পরাক্রমশালী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাতেই দিল্লি থেকে গুয়াহাটিতে পৌঁছালেন। বিমানবন্দরের কাছেই আমিনগাঁওয়ে পিডব্লিউডি গেস্ট হাউসে নৈশাবাস। পরের দিন সকালে সেখান থেকে গুয়াহাটি বিমানবন্দর পৌঁছে হেলিকপ্টারে চড়ে তিনি গেলেন বঙ্গাইগাঁও। পরের গন্তব্য চিরাং জেলার সতিবরগাঁও গ্রাম। সেখানে দেখাসাক্ষাৎ করে আলাপ আলোচনা এবং প্রাতরাশ সেরে তিনি রওনা দিলেন কোচবিহারের দিকে।

যাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এত দৌড়ঝাঁপ করলেন তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহিতার অনেকগুলি মামলা চলছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চোখে ‘ফেরার’ বলে অভিহিত মানুষটি ঠাঁই নিয়েছেন আসামের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। তিনি কোচবিহারের স্বঘোষিত ‘মহারাজা’। নিজেকে রাজা ঘোষণা করাই শুধু নয়, কোচবিহার শহরের কাছেই চকচকা গ্রামে একটি রাজবাড়িও বানিয়েছিলেন তিনি। রাজকীয় জীবনযাত্রাই ছিল একটা সময় পর্যন্ত। কিন্তু ২০২০ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে তিনি আর সেখানে থাকতে পারেন না। নানা অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতারের জন্য সেই সময় পুলিশ রাজবাড়িতে হানা দিলে সপরিবার পালিয়ে যান আসামের এক প্রান্তিক গ্রামে। তখন থেকেই সাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ একেবারে বন্ধ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসূচি জানার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম রীতিমতো মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তাঁর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে। টেলিফোন মারফত তিনি জানিয়েছিলেন যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বাড়িতে এলেও তিনি কোচবিহারে যাবেন না। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন যে তাঁর সংগঠন কেন্দ্রের শাসক জোট এনডিএ-র শরিক। কথা প্রসঙ্গে সেদিন সংবাদমাধ্যমকে তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে হঠাৎ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসূচি নির্ধারিত হয়নি। ২০২১-এর সূচনালগ্নে তিনি দিল্লি গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তখনই উনি মহারাজের কিছু কিছু দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে নাকি সম্মতি দিয়েছিলেন। সেইদিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখ চিরাং জেলার সতিবরগাঁও গ্রামে এসে বিস্তারিত কথা বলবেন। দিল্লিতে কথা হয়ে যাওয়ার পরেও মাত্র আধ ঘণ্টার আলোচনার জন্য এত পরিশ্রম? এত অর্থ ও সময় বিনিয়োগ?

উত্তর খোঁজার জন্য গবেষণার দরকার নেই। এ সেই সার্বিক কর্মসূচির অঙ্গ। জনৈক বিচ্ছিন্নতাবাদীর সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ প্রকারান্তরে বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর রাজবংশী জনগোষ্ঠীর কাছে এই বার্তাই এনে দিয়েছিল যে, দেশের অন্যান্য সমস্যার দিকে নজর না দিলেও চলবে; রাজবংশীদের জন্য পৃথক রাজ্য গঠন এক এবং একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মূল দাবি, ‘গ্রেটার কোচবিহার রাজ্য’ গঠন ছাড়াও রাজবংশী ভাষার গুরুত্ব বৃদ্ধি, রাজবংশীদের তফশিলি জনজাতি ঘোষণা, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘নারায়ণী রেজিমেন্ট’ তৈরির দাবি-সহ অনেক দাবি নিয়েই নাকি সেদিন আলোচনা হয়েছিল।

রাষ্ট্রদ্রোহিতার অনেকগুলি মামলায় অভিযুক্ত জনৈক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিভৃতে কী আলোচনা হয়েছিল তার বিস্তারিত বিবরণ সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত না হলেও একটি বিষয় পরিষ্কার, সেদিন প্রচ্ছন্নভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। ফেব্রুয়ারির বৈঠকের মাস তিনেক বাদে অনুষ্ঠিত পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাস্ত হওয়ার পরই আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা জুলাই মাসে বঙ্গভঙ্গের দাবি তুলেছিলেন। তখন অবশ্য রাজ্য বিভাজনের প্রস্তাব এক কথায় নাকচ করে দেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। জানানো হয়, এ প্রস্তাব একান্তই সাংসদের নিজস্ব, দলের এতে কোনও সায় নেই। কিন্তু তার পরেও আলিপুরদুয়ারের সাংসদ একাধিক বার বলেছেন। তাঁর একটাই বক্তব্য,স্থানীয় মানুষের দাবি মেনে উত্তরবঙ্গ বিভাজনের প্রয়োজন রয়েছে।

রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব বিষয়টিকে সাংসদের ব্যক্তিগত মতামত বলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করলেও বাস্তব চিত্র কিন্তু একেবারেই ভিন্ন। রাজ্যজুড়ে চলতে থাকা বিতর্কের আবহেই জুলাই মাসেই কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। অর্থাৎ বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুঝিয়ে দেয় যে, জন বার্লার আচরণে তারা অসন্তুষ্ট নন। বিজেপি'র রাজ্য নেতৃত্ব স্বাভাবিকভাবেই এখন নীরব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পরেও জন বার্লাকে আগের মতোই রাজ্য ভাগাভাগি নিয়ে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে।

একই দিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক। তাঁর বক্তব্য অবশ্য অত্যন্ত সংযত। সুকৌশলে বিষয়টিকে এড়িয়ে গিয়ে তিনি বাংলা ভাগ নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও ‘কোচবিহারবাসীর মুক্তি’র কথা বলেছেন। একই সঙ্গে নারায়ণী রেজিমেন্টের দাবিও তিনি তুলেছেন।

এই পরিস্থিতিতে ঠিক এক বছর পর ২০২২-এর ১৬ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে অভিযুক্ত ‘মহারাজ’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাস্থলে আসার পথে সারি দিয়ে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করেছে মহারাজের তরুণ অনুগামীরা। এই স্বেচ্ছাসেবকদের নামকরণ করা হয়েছে ‘নারায়ণী সেনা’। এই সেনা গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতার নির্দেশেই এদিন ছিল মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে। সভাস্থলে আসার পথে মুখ্যমন্ত্রী এদের দেখতে পান। মঞ্চে বক্তৃতাপর্বে তিনি জানান, রাজ্য সরকার যে নারায়ণী ব্যাটেলিয়ান তৈরির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে, তাতে নারায়ণী সেনার যুবকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্থানের পর ‘মহারাজ’ জানিয়েছেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। তিনি কী করবেন, সেটা তাঁর একান্ত নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়। কিন্তু তিনি বা তাঁর সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নারায়ণী ব্যাটেলিয়ানে রাজবংশী যুবকদের অগ্রাধিকারের বিষয়ে কোনও দাবি পেশ করা হয়নি। এ বিষয়ে তাঁরা পর্যালোচনা করবেন। গ্রেটার সংগঠনের ছেলেরা নারায়ণী ব্যাটেলিয়নে যোগদান করতে চাইলে, সেটা তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে।

এখানেই প্রশ্ন ওঠে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে অভিযুক্ত ‘মহারাজ’-এর বিরুদ্ধে চলতে থাকা মামলাগুলি কি তুলে নেওয়া হয়েছে? যদি তুলে নেওয়া হয় তাহলে প্রশ্ন ওঠে, কেন? আর না উঠলে প্রশ্ন ওঠে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী যিনি আবার স্বরাষ্ট্র দপ্তর সামলান, কেন উপস্থিত ছিলেন? রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে অভিযুক্ত একটি সংগঠনের কর্মীদের কেন সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলো? সরকারের কোনো মন্তব্য নেই। সংবাদমাধ্যম নীরব।

মজার ব্যাপার মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর ওই একই মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এবং তুফানগঞ্জের বিধায়ক তথা বিজেপি নেত্রী মালতি রাভা রায়।

মহারাজ বলে পরিচিত অনন্ত রায় ও বংশীবদন রায় এই শতাব্দীর সূচনালগ্ন থেকেই কোচবিহার জেলাকে পশ্চিমবঙ্গের থেকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা রাজ্য গড়ে তোলার দাবি নিয়ে গড়ে তোলেন ‘গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন’ (জিসিপিএ) বা চলতি কথায় গ্রেটার। সংগঠনের মূল দাবি, ১৯৪৯ সালে কোচবিহারের ভারতভুক্তির সময় যে চুক্তি হয়েছিল সেটা নাকি মানা হয়নি। ভারত সরকার কোচবিহারকে জেলা করে রেখেছে। একে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করতে হবে। শুধু কোচবিহার জেলা নয়, নরনারায়ণ রাজা থাকাকালীন রাজ্যের যে আয়তন ছিল, সেটাই ফেরাতে চায় জিসিপিএ। সংগঠনের দাবি অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের করতোয়া নদী থেকে আসামের বেশ কিছু অংশ নিয়ে গ্রেটার কোচবিহারের দাবিদার তারা। সবমিলিয়ে আসাম, পশ্চিমবঙ্গের তো বটেই বাংলাদেশেরও দুটি জেলা নিয়ে তৈরির দাবি নিয়ে গ্রেটার যাত্রা শুরু করেছিল। এখন সেই দাবি পূরণের খুব বেশি আশা না থাকলেও, অন্য আরও কিছু দাবি নিয়ে গ্রেটার সরব।

২০০৫-এ গ্রেটারের অন্য নেতা বংশীবদন রায় কয়েক হাজার কর্মী নিয়ে হিংসাশ্রয়ী আন্দোলন শুরু করে। এই সময়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচজন মারা যান। নিহতদের মধ্যে তিনজন পুলিশ কর্মী। তারপর গ্রেটার অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত হয়ে সাংগঠনিক দুর্বলতায় ভুগতে থাকে। জিসিপিএ-র অনন্ত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগও অনেক। অনন্তের অধীনে ‘নারায়ণী সেনা’ নামে পৃথক বাহিনী রয়েছে বলে খবর পায় প্রশাসন। সেই বাহিনী ২০১৬ সালের ২৮ অগস্ট (কোচবিহারের ভারতভুক্তি হওয়ার তারিখ) অনন্তকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার পরিকল্পনা করলে তাতে বাধা দেয় রাজ্য সরকার। ‘নারায়ণী সেনা’কে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) প্রশিক্ষণ দেয় বলেও অভিযোগ করা হয়। যদিও সে অভিযোগ বরাবরই নাকচ করেছে বিএসএফ। তারপর থেকেই অনন্ত ‘মহারাজ’ আসামে আস্তানা গেঁড়েছেন।

রাজবংশী বীর সেনাপতি চিলা রায়ের ৫১২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের আয়োজক এহেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অনন্ত ‘মহারাজ’। তাঁর সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চলে যাওয়ার পর মঞ্চে আসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতি রাভা রায়। তিনি বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ নিয়ে পৃথক রাজ্য ঘোষণার দাবি তো আমাদের রয়েছেই, এরই সঙ্গে আমাদের দাবি, বীর চিলা রায়ের কাহিনি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা এখন চিলা রায় সম্পর্কে কিছুই জানে না। ওঁদের জানাতে হবে যে, চিলা রায় শুধু কোচবিহার নয়, গোটা ভারতবর্ষের গর্ব।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই তিনি এই মন্তব্য করেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি জানানো হয়নি।

আর অনন্তের বক্তব্য, ‘‘আমরা সব সময় কেন্দ্রের শাসকদলের সঙ্গেই থাকতে চাই। কারণ, আমাদের পৃথক রাজ্যের মূল দাবি পূরণ করতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকারই। রাজ্য নয়।’’ এখানকার আবেগ মাথায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও তো রাজ্য পুলিশে ‘নারায়ণী ব্যাটালিয়ন’ তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন প্রসঙ্গে অনন্তের বক্তব্য, ‘‘আমরাই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করেছি। কিন্তু এখন উনি আমাদের দেশদ্রোহী বলছেন। আমার বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রদ্রোহিতার একগুচ্ছ মামলা দিয়ে রেখেছেন।’’

সবমিলিয়ে অঙ্ক পরিষ্কার। কোনো জটিলতা নেই। কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দুই পক্ষই প্রকারান্তরে বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্নভাবে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। অথবা বলা যায় বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে।