৫৮ বর্ষ ৪৫ সংখ্যা / ২৫ জুন, ২০২১ / ১০ আষাঢ়, ১৪২৮
সম সময়ের সাতকাহন
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
‘কর্ণ ধরিয়া টানাটানি শুরু করিলে মস্তকের আসা অবশ্যম্ভাবী’। ইহা আমি বলি নাই। এই শীর্ষকে কোনো সম্পাদকীয় প্রতিবেদন দেখিয়াছি বলিয়াও স্মরণে আসিতেছে না। তবে কিনা, ইহা প্রাচীন প্রবাদ। তাই কে বলিয়াছেন, কবে বলিয়াছেন, কেন বলিয়াছেন তাহা লইয়া অতিরিক্ত কালক্ষেপণ সঠিক নহে। ইহা বাস্তবিক, কান টানিলে মাথা আসিবেই। মস্তক লইয়া টানাটানির পরিণাম কী হইবে তাহা দেবা ন জানন্তি। আমি তো ছার মনুষ্য মাত্র।
টন টন নিউজপ্রিন্ট, আর প্রাইম টাইমের হট মেনু এখন সম্পূর্ণ অন্য ধারায়। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের খবরে নজর দেবার সময় কোথায়? বরং মিডিয়া অনেক বেশি আগ্রহী কে বিয়ে করেছে বা করেনি তাই নিয়ে। বিজেপি’র কেউ কেউ আবার ভুয়ো তথ্য দেবার অভিযোগে এক তৃণমূল সাংসদের সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে সরব হয়েছে। তা নিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। তবে নির্বাচনে ভুয়ো তথ্য দেবার বিষয়ে ইনিই কি প্রথম? নাকি ওই সাংসদ যে দলের প্রতিনিধিত্ব করেন সেই দলের প্রতিষ্ঠাতা, সুপ্রিমো প্রথম তা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। খোঁজাখুঁজি করলে এই তালিকায় আরও কিছু নাম এক নিঃশ্বাসে ঢুকিয়ে নেওয়া যায়। তবে নিত্যিদিনের যাওয়া আসা দেখতে দেখতে ক্লান্ত চোখ দিনের শেষে চোখের মাথা খেয়ে বসে পড়ায় তখন আর কিছুই ঠাওর হয়না। আমরা এখন ওই ঠাওর হয়না দশার দোষে দুষ্ট। সবই দেখি, সবই শুনি। দেখেই যাই, আর শুনেও। গুনে শেষ করতে পারিনা। ঠগ বাছতে বাছতে গাঁ উজাড় হলেও মুখে সেলোটেপ আটকে রাখাকেই শ্রেয় মনে করি।
সাংসদের ভুয়ো তথ্য দেবার ঘটনা দেশে এই প্রথম ঘটেনি। বিতর্ক আছে অনেক বাঘা বাঘা নাম নিয়েই। পৃথিবীর কোথাও ইস্ট জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি খুঁজে না পাওয়া গেলেও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈকা পিএইচডি প্রাপ্ত আমাদের চোখের সামনেই ঘুরে বেড়ান। একতলা থেকে চোদ্দ তলা করেন। মিথ্যে ধরা পড়ে যাওয়ায় লজ্জার খাতিরে নামের আগের ‘ডক্টরেট’টা ব্যবহার করা পরে ছেড়ে দেন। তবে কিছুদিন আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর সোনালি অতীতের কথা মনে রেখে সেই সাধ পূর্ণ করে দিয়েছে। কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে ইস্ট জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি। ১৯৮৪ সাল সেই কবেই তো আমরা পেছনে ফেলে এসেছি। যখন যাদবপুর কেন্দ্রের দেওয়ালে দেওয়ালে ‘ডক্টর’-এর রামধনু জ্বলজ্বল করতো। এখনও হয়তো খুঁজলে ‘ডক্টর’ লেখা দু’চারটে ভাঙা দেওয়াল পাওয়া যাবে। তবে সংসদে এই ভুয়ো তথ্য দেবার জন্য তাঁর কোনো শাস্তি হয়েছে, সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে বা তিনি তিরস্কৃত হয়েছেন বলে শোনা যায়নি। নামে যেহেতু কিছু আসে যায় না তাই নাম বাদ থাক।
১৯৮৪ থেকে এবার ২০১৫ সালে আসি। ওই বছরের ২৩ জুন দিল্লির এক আদালত তৎকালীন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংসদে শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে ‘ভুয়ো’ তথ্য দেবার অভিযোগ আনে। আদালত জানায় মাননীয়া মন্ত্রী নির্বাচন কমিশনে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে ভুয়ো তথ্য পেশ করেছেন। মাননীয়া মন্ত্রী ২০০৪ সালে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিলেন, তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাবিভাগের স্নাতক। যদিও ২০১৪ সালে তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় তিনি জানান, বাণিজ্য শাখায় পার্ট-১ পাশ করেছেন করসপন্ডেন্স কোর্সে। তিনি কলা না বাণিজ্য, স্নাতক অথবা স্নাতক নন এই নিয়ে সাময়িক হই চই হলেও আপাতত আর সেসব কথা শোনা যায়না। বরং দপ্তর পালটে পালটে তিনি আজও মন্ত্রী। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা? সাংসদ পদ খারিজ? কী যে বলেন!
২০১৪ সালে আরও একজন কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েছিলেন। মহারাষ্ট্র থেকে তিনি সংসদে দু’বার নির্বাচিত হন। ২০০৯ এবং ২০১৪। দপ্তর ছিল গ্রামীণ উন্নয়ন। তিনি তাঁর এফিডেভিটে জানিয়েছিলেন, ১৯৭৬ সালে পুণের নিউ ল কলেজ থেকে আইনে স্নাতক। পরে জানা যায় পুণের নিউ ল কলেজ স্থাপিত হয়েছে ১৯৭৮ সালে। যদিও ওই বছরই তাঁর মৃত্যু হওয়ায় এই ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়।
তবে সকলের ক্ষেত্রে বিষয়টা একরকম হয় না। যেমন দিল্লি সরকারের এক প্রাক্তন আইনমন্ত্রী। যিনি নিজেকে বিহারের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের স্নাতক বলে দাবি করেছিলেন। যদিও বিহারের ওই বিশ্ববিদ্যালয় মন্ত্রীর দাবি অস্বীকার করে এবং জানিয়ে দেয় ওই নামে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ছাত্র ছিল না। এরপরেই মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা, গ্রেপ্তার, কারাবাস সব ঝক্কিই পোহাতে হয়েছে প্রাক্তন ওই আইনমন্ত্রীকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুয়ো তথ্য দাখিলের অভিযোগে প্রতারণার মামলা দায়ের হয়।
ভুয়ো তথ্য প্রসঙ্গে আরও একজনের কথা বোধহয় বলা দরকার। বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি যে বিবাহিত সেই তথ্য বেমালুম অস্বীকার করে ম্যারিটাল স্ট্যাটাস লেখার কলাম ফাঁকা রেখেই মনোনয়ন পেশ করেন। যদিও নিয়ম অনুসারে কোনো কলাম ফাঁকা রেখে মনোনয়ন পেশ করা যায়না। পরবর্তী সময়ে এই বিষয়ে প্রশ্ন ওঠায় ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের সময় তিনি স্বীকার করেন যে তিনি বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী আছে। এই ভদ্রলোকেরও শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বেশ ধোঁয়াশা আছে। তিনি নিজেকে স্নাতকোত্তর বলে দাবি করলেও কবে স্নাতক হয়েছেন আর কবে স্নাতকোত্তর তা নিয়ে সংশয় আজও মেটেনি। আরটিআই করা হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তাঁর দাবি অনুসারে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। সাল বলা আছে ১৯৭৮ এবং ১৯৮৩। যদিও এখনও পর্যন্ত এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁর দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ পেশ করা হয়নি। এই বিষয়ে বিতর্ক বেড়ে চলায় দলের দুই শীর্ষ নেতৃত্ব ২০১৬ সালের মে মাসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দু’টি সার্টিফিকেট দেখিয়ে বিষয়টি যে ভুয়ো নয় তা প্রমাণ করতে চান। যদিও সেই সার্টিফিকেট নিয়েও বিতর্ক বাধে।
এই প্রসঙ্গে দিল্লির এক রাজনৈতিক দল সাংবাদিক সম্মেলন করে জানায় - ওই মার্কশিটের তারিখ হিসেবে দেওয়া আছে ১৯৭৭, অথচ যার মার্কশিট তাঁর দাবি অনুসারে তিনি স্নাতক হয়েছেন ১৯৭৮ সালে। এই বিতর্কের মীমাংসা আজও হয়নি। যেমন বিতর্ক মেটেনি গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক্সটারনাল ছাত্র হিসেবে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পেয়েছিলেন কিনা তারও।
ভারতীয় দণ্ডবিধিতে শপথ নেবার সময় কেউ ভুয়ো তথ্য দিয়ে থাকলে তাঁর শাস্তির বিধান আছে। এই ধরণের কাজকে ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। ধারা ১৯১ অনুসারে - কোনো ব্যক্তি, আইনগতভাবে শপথের দ্বারা বা সত্য প্রকাশের জন্য আইনের বিধান দ্বারা আবদ্ধ হয়ে, বা যে কোনও বিষয়ে বিবৃতি দেওয়ার জন্য আইন দ্বারা আবদ্ধ হয়ে, যে কোনও বিবৃতি মিথ্যা, এবং যা তিনি জানেন বা মিথ্যা বলে বিশ্বাস করেন বা সত্য বলে বিশ্বাস করেন না, তা মিথ্যা হিসেবে প্রমাণ দেয়।”
এতক্ষণ যতগুলো উদাহরণ দিয়েছি সেখানে দেশের তথাকথিত খ্যাতনামা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা আছেন। এ তো গেল তাঁদের জালিয়াতির সাতকাহন। এছাড়া আর কোনো উদাহরণ নেই এমনটাও নয়। যদিও উপরের ঘটনাগুলোর মধ্যে একমাত্র দিল্লি রাজ্যের এক মন্ত্রী ছাড়া ভুয়ো তথ্য দেবার অপরাধে কারোরই কোনো শাস্তি হয়নি। কাজেই বিশেষ বিশেষ কিছু ঘটনা নিয়ে লাফালাফি নিতান্তই বাজার গরম করা ছাড়া আর বিশেষ কিছুই যে নয়, তা বুঝতে খুব একটা অসুবিধে হয়না। যে মিডিয়ার এইসব নিয়ে এত চিন্তা গত ৪ মে থেকে দফায় দফায় পেট্রোপণ্যের দাম বেড়ে একের পর এক রাজ্যে যখন পেট্রোল সেঞ্চুরি করছে তা নিয়ে তাদের বিশেষ হেলদোল দেখা যায়না।
সকাল থেকে পরনিন্দা পরচর্চা অনেক হলো। এবার নাহয় একটু মানুষ চর্চা হোক। মানে মানুষের সমস্যা নিয়ে চর্চা। যা অনেক বেশি কাজের। যেমন ধরুন রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত ‘লক্ষ্মী ভাণ্ডার’ প্রকল্প। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ‘লক্ষ্মী ভাণ্ডার’ প্রকল্পের। যে প্রকল্প অনুসারে তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতি পরিবারের মহিলাদের মাসে ১ হাজার টাকা করে এবং অন্যান্য মহিলাদের মাসিক ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। যদিও সম্প্রতি সরকারি আধিকারিকদের সূত্র অনুসারে, রাজ্যের বর্তমান আর্থিক অবস্থায় প্রায় আড়াই কোটি পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা কার্যত অসম্ভব। যদি আড়াই কোটি পরিবারকে এই প্রকল্পের সুবিধা দিতে হয় সেক্ষেত্রে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন। যা রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির ওপর খুবই চাপ সৃষ্টি করবে। সোজা বাংলায় রাজ্যের হাতে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য হাতে যথেষ্ট টাকা নেই। রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী সম্প্রতি হওয়া এক বৈঠকে এই ধরণের ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অর্থ দপ্তরের এক আধিকারিক। তাই প্রকল্পে সাহায্য প্রাপকদের তালিকায় কাটছাঁট করা হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় সরকারের কাছে প্রায় ৩৩ লক্ষ মহিলা প্রাপকের বিস্তারিত তালিকা আছে। যা দিয়ে আপাতত প্রকল্পের কাজ শুরু করা যেতে পারে। বাকি পরিবারগুলোর ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে নতুন করে আবেদন চাওয়া হতে পারে। অর্থাৎ আড়াই কোটি প্রাপক থেকে এক ধাক্কায় সংখ্যাটা ৩৩ লাখে নামিয়ে নিয়ে আসা। বাকিটা পরে বুঝে নেওয়া যাবে। লাঠি না ভেঙেই সাপ যখন মারা যাচ্ছে তখন বেশি ভেবে লাভ কি?
রাজ্যের সীমানা থেকে বেরোলে আরও ঘটনা পাওয়া যাবে। রামের নামে তথাকথিত রামরাজ্যের দিকে এগিয়ে চলা দেশে এখন নাকি রামের নামে জমি কেলেঙ্কারিও হচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের যা সারমর্ম তা অনেকটা এরকম। কোনো এক কুসুম পাঠকের থেকে কোনো এক সুলতান আনসারি অয্যোধ্যা সংলগ্ন অঞ্চলে একটি জমি কেনেন। ১.২০৮ হেক্টর এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই জমির সরকারি হিসেব অনুযায়ী দাম হয় ৫.৭৯ কোটি টাকা। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী ২ কোটি টাকাতেই তা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যা ৫.১১ মিনিটে এই বিক্রয় নথিভুক্ত হয়। ওইদিনই সন্ধ্যা ৫.২২ মিনিটে জমিটি বিক্রিও হয়ে যায়। যেখানে জমির মালিক হিসেবে সুলতান আনসারির নাম উল্লেখ রয়েছে এবং ১৮.৫ কোটি টাকায় তা রাম জন্মভূমি ট্রাস্টকে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা যায়। মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে একই সম্পত্তির মূল্য ২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৮.৫ কোটি টাকা রামজির কৃপা ছাড়া সম্ভব নয়!
২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন, ভারতের প্রতিটি শিশু জানে কোথায় কালো টাকা রাখা থাকে। এই টাকা রাখা থাকে সুইস ব্যাঙ্কে। আমরা কি এই টাকা ফিরিয়ে আনবো না? এখন ২০২১। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি দাবি করেছিল যে ভারতীয়দের ২৫০ বিলিয়ন ডলার বা ১৭.৫ লক্ষ কোটি টাকা সুইস ব্যাঙ্কে রাখা আছে। নির্বাচনী প্রচারে বলা হয়েছিল, বিজেপি বিদেশি ব্যাঙ্কে জমা এই সমস্ত টাকা ফেরত আনবে এবং যার ফলে প্রতি দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে ঢুকবে। মাঝখান দিতে গেছে ৮ বছর। নরেন্দ্র মোদী এখন দ্বিতীয় দফায় দেশের প্রধানমন্ত্রী। গত ৮ বছরে কোনো দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা ঢুকেছে কিনা জানা নেই। তবে গত সপ্তাহের শেষদিকে সুইস ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে সুইস ব্যাঙ্কে মোট জমা টাকার পরিমাণ বেড়েছে ২৮৬শতাংশ । যা গত ১৩ বছর, অর্থাৎ ২০০৭ সাল থেকে এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে সুইস ব্যাঙ্কে ব্যক্তিগতভাবে ভাতীয়দের জমা টাকার পরিমাণ বেড়েছে ৩৯ শতাংশ।
তাহলে শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ালো? বোধহয় কিছুই না। দুর্নীতিতে চোখ সয়ে গিয়ে, হজম শক্তি চরম বৃদ্ধি পাওয়ায় ইদানীং আর কিছুই হয়না। তাই ঘটনা ঘটেই যায়। রাজনীতি-অরাজনীতির গোলোকধাঁধায় গ্রেটার আর লেসার এভিলের মেকি দ্বন্দ্বে ঘুরপাক খেয়ে ভোটের ফলাফলে বামেদের শতাংশ কমায় উল্লাসে ফেটে পড়ে একাংশ। সাময়িক শক্তি হারায় প্রতিবাদী কণ্ঠ। তবে সব শুরুরই একটা শেষ থাকে। সব শেষেই আরও একটা শুরুর ইঙ্গিত থাকে...।