৫৮ বর্ষ ৪৫ সংখ্যা / ২৫ জুন, ২০২১ / ১০ আষাঢ়, ১৪২৮
পরিবেশ আলোচনা
বক্সওয়াহা’র হীরা যন্ত্রণা
তপন মিশ্র
বক্সওয়াহার জঙ্গল।
বক্সওয়াহা, মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর জেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংরক্ষিত বনাঞ্চল। প্রায় ৩০০০ হেক্টরের এই বনাঞ্চলের সঙ্গে প্রায় ৭০০০ বনবাসী আদিবাসীর জীবনজীবিকা আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। এই বনাঞ্চলের প্রায় মধ্যভাগে ৩৬৪ হেক্টরের অরণ্য সরকার হীরা উত্তোলনের জন্য এক কর্পোরেট সংস্থাকে খনিখননে লিজ দিয়েছে। ওই একই জেলার পান্না জাতীয় উদ্যানের (পান্না ন্যাশনাল পার্ক) পাশে মাঝগাওনে ১৯৬৭ সাল থেকে এনএমডিসি (ন্যাশনাল মইনিং ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন) হীরা উত্তোলনের কাজ করছে। এনএমডিসি একটি সরকারি সংস্থা। অবশ্য এখান থেকে হীরা উত্তোলনের কাজ অসংগঠিতভাবে শুরু হয় ১৬৭৫ সালে। ১৯৯৪ সালে পান্না ব্যাঘ্র প্রকল্প ঘোষিত হয় এবং তার অনেক আগে ১৯৮১ সাল থেকে এটি জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষিত।মধ্য প্রদেশের এই অঞ্চলকে বুন্দেলখণ্ড বলা হয়। ঘন সবুজ সেগুনের বনাঞ্চল, অরণ্যে বাঘের আনাগোনা, মাটির নিচে হীরা এবং এই মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদের সাথে আদিবাসীদের দারিদ্র্য, তীব্র জলাভাব ইত্যাদির জন্য বুন্দেলখণ্ড আমদের কাছে চেনা।
বক্সওয়াহা এমন একটি অরণ্য যার মৃত্যুঘণ্টা বাজানো হচ্ছে বেশ কয়েক বছর আগে থেকে। প্রায় এক দশক আগে বক্সওয়াহাতে একটি হীরা খনির সন্ধান পাওয়া যায়। ২০০৬ সালে ‘রিও টিন্টো এক্সপ্লোরেশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড' নামে একটি অস্ট্রেলিয় কোম্পানিকে মধ্যপ্রদেশ সরকার বক্সওয়াহার বুন্দেল-হীরা খনির সম্ভাবনা সম্পর্কে খোঁজ করার বরাত দেয়। রিও টিন্টো প্রায় ৫ বছর অনুসন্ধান (প্রসপেক্টিং) চালানোর পর মাটির নিচে প্রায় ৩৪০ লক্ষ টন আকরিক হিরার (rough diamond) বা কিম্বারলাইট (Kimberlite Ore)-এর সন্ধান পায়। শঙ্কিত অরণ্যবাসীর অরণ্য ছেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ফলে ২০১৭ সালে খনি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য (প্রসপেক্টিং রিপোর্ট), যন্ত্রপাতি সরকারের হাতে তুলে দিয়ে ওই অস্ট্রেলিয় কোম্পানি বিদায় নেয়। এটা ঠিক যে প্রস্পেক্টিঙের কাজ শুরু থেকে বিষয়টি গণমাধ্যমের আলোচনায় আসে কারণ খননের আগে এলাকার মানুষের তীব্র প্রতিবাদে সরকার এবং খননকারীরা কিছুটা হলেও বাধা পায়। কিন্তু কেবল এলাকার মানুষের প্রতিবাদ বা রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে রিও টিন্টো হীরা খনি থেকে হাত গুটিয়ে নেয় একথা গবেষকরা মানতে রাজি নয়। পুরো ঘটনাটির অনুসন্ধান করে দু’জন সমাজবিজ্ঞানী (অর্ণব রায়চৌধুরি এবং কুন্তলা লাহিড়ী-দত্ত) ‘র্থাড ওয়ার্ল্ড কোয়ার্টারলি’ পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ লেখেন (Extractive capital and multi-scalar environmental politics: interpreting the exit of Rio Tinto from the diamond fields of Central India, ফেব্রুয়ারি, ২০২০)। বাঙালি হলেও এই দুই গবেষকের প্রথম জন অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং দ্বিতীয়জন রুশ দেশের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত।
এই প্রবন্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ সত্যের উদ্ঘাটন করে। তাঁরা এই প্রবন্ধে বলেন যে, এই অস্ট্রেলিয় কোম্পানি এলাকার মানুষের প্রতিবাদ বা অরণ্য পরিবেশের ক্ষতি বা রাজনৈতিক বাধা এই তিন কারণের কোনো কিছুর জন্য, সব কিছু মধ্যপ্রদেশ সরকারকে উৎসর্গ করে বিদায় নিয়েছে তা নয়। এর মূল কারণ ছিল - আন্তর্জাতিক বাজারে হীরার দাম হ্রাস, আফ্রিকায় এবং রুশ দেশে বেশ কয়েকটি হীরাখনিতে খনন কাজ শুরুর কারণে হীরার জোগান বৃদ্ধি ইত্যাদি বাজার সম্পর্কিত সমস্যা। অর্থাৎ একটি বহুজাতিকের কাছে অরণ্য পরিবেশ রক্ষা বা তার সঙ্গে যুক্ত আন্দোলনের গুরুত্ব নেই বললেই চলে। গুরুত্ব কেবল মুনাফার।
এর পর সরকারের নিলামে খননের স্বত্ব হাসিল করে ২০১৯ সালে আসরে নামে আদিত্য বিড়লা গ্রুপের এসেল মাইনিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (ইএমআইএল)।
অরণ্য বাস্তুতন্ত্রের যে ক্ষতি আসন্ন
রিও টিন্টো ২০১৩ সাল নাগাদ একটি ইআইএ (এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট) রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দেয়। রিপোর্টের অরণ্য বাস্তুতন্ত্রের সমীক্ষা অংশটি মধ্যপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষে তৈরি করেন অধ্যাপক এম এল নায়িক নামে একজন ভারত সরকারের স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ (FAE for Ecology and Bio-Diversity by QCI – NABET)। সেই রিপোর্টে পরিষ্কার বলা হয় যে, এই বনাঞ্চলে কম করে ৭টি সিডিউল-১ অর্থাৎ সংরক্ষণের দিক দিয়ে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বন্য প্রাণী রয়েছে। ১৯৭২ সালের ওয়াইল্ড লইফ (প্রোটেকশন) অ্যাক্ট-বিচারে সংরক্ষণের তালিকা অনুযায়ী এই এলাকার মধ্যে রয়েছে ২ ধরনের হরিণ, ভাল্লুক, লেপার্ড ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বন্যপ্রাণ। ফলে এই সমস্ত প্রাণীর সংরক্ষণের আলাদা পরিকল্পনাও যুক্ত করা হয়। যে কোনো ধরনের সংরক্ষিত বনাঞ্চল (প্রোটেকটেড বা রিজার্ভ) অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের বন, পরিবেশ এবং বায়ুমণ্ডল পরিবর্তন মন্ত্রকের তৈরি ফরেস্ট অ্যাডভাইজরি কমটি’র অনুমোদন দরকার হয়।
উদ্বেগের কথা হলো যখন ইএমআইএল খননের কাজ শুরুর উদ্যোগ নেয় তখন ২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রদেশ সরকারের বন বিভাগ বক্সওয়াহা বনাঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র সম্পর্কে একটি তথ্য ভারত সরকারের বন, পরিবেশ এবং বায়ুমণ্ডল পরিবর্তন দপ্তরকে পাঠায়। যেহেতু এটি একটি খোলা মুখ খনি (ওপেন কাস্ট মাইন) হবে তাই পুরো ৩৮৪ হেক্টর বনভূমি পরিষ্কার করতে হবে। এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, এই বনাঞ্চলে সংরক্ষণ উপযোগী (সিডিউল -১) কোনো বন্যপ্রাণী নেই। অর্থাৎ ২০১৩ সালে যে গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি গুলি ছিল, ২০২১ সালে এসে খাতায়কলমে উধাও হয়ে যায়। ফলে যা দাঁড়ায় তা হলো, গাছের বদলে গাছ লাগাতে হবে ঠিকই কিন্তু বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের জন্য যে বিশেষ ব্যবস্থা (ওয়াইল্ড লইফ ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান) তার আর কোনো দরকার রইল না। অবগতির জন্য জানাই যে, ইএমআইএল-এর প্রি-ফিজিবিলিটি রিপোর্টে পরিষ্কার বলা আছে যে, এই প্রস্তাবিত প্রকল্প থেকে পান্না ব্যঘ্র প্রকল্পের দূরত্ব মাত্র ১৯ কিলোমিটার। তাই এই অঞ্চলে বন্য প্রাণ উধাও হয়ে যাওয়া এক ভাঁওতা ছাড়া কিছুই নয়। দেশের আইন অনুযায়ী এই পরিকল্পনার সমস্ত আর্থিক দায়িত্ব কিন্তু খনি মালিকের অর্থাৎ ইএমআইএল-এর হওয়া উচিত। বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল (হ্যাবিটাট) নষ্ট হলে নতুন করে তা তৈরি করার কোনো দায়বদ্ধতা এই কর্পোরেট সংস্থার থাকল না।
এই রিপোর্টে আরও বলা হয় যে, মোট ২,১৫,৮৭৫টি বড়ো গাছ কাটতে হবে যার মধ্যে কেবল সেগুন গাছ প্রায় ৩৫,০০০টি। সেগুন তো বটেই তার সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি যেমন খয়ের (Acacia catechu), বেল (Aegle marmelos), মহুয়া (Madhuca latifolia), (Anogeissus latifolia), জারুল (Lagerstroemia parviflora), বান্দর লাঠি (Cassia fistula), চিরঞ্জি বা ভেলা (Buchananialanzan) ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতির গাছ রয়েছে এই বনভূমিতে । এগুলির উপর আদিবাসীদের নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। কিন্তু বন দপ্তরের রিপোর্টে বলা হয় যে, অরণ্য সম্পদের উপর এই অঞ্চলের অরণ্যবাসীদের কোনো নির্ভরশীলতা নেই। অর্থাৎ তারা অরণ্য থেকে কিছুই সংগ্রহ করেন না।
বক্সওয়াহার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ তাদের জীবনধারণের জল সংগ্রহ করেন সেই অঞ্চলের একটি ঝর্না থেকে। এই ঝর্নার জল কালিডহর নামে এক নালা দিয়ে প্রবাহিত হয়। জঙ্গলের বন্যপ্রাণীদের জন্যও এটাই একমাত্র জলের উৎস। প্রাকৃতিক এই একমাত্র জলের উৎস হীরা খনির জন্য ব্যবহারের পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত। এমনিতেই মধ্যপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে জলাভাব সুবিদিত। হীরা সংগ্রহের জন্য আকরিক জলে ধোয়া জরুরি। তাই এই প্রক্রিয়ায় জলের চাহিদা অনেক বেশি। আকরিক ধোয়ার পর দূষিত জল যেখানে জমা হয় তাকে ‘টেলিং পন্ড’ বলা হয়। এই টেলিং পন্ডের জল ভারি ধাতুতে এতটাই সম্পৃক্ত থাকে যে, তার পুনর্ব্যবহার ক্ষতিকর। ইএমআইএল-এর প্রি ফিজিবিলিটি রিপোর্ট বলছে যে, প্রতিদিন প্রায় ৫.৯ লক্ষ কিউবিক মিটার জল আকরিকের প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত হবে। কালিডহরের জল বাঁধ দিয়ে আটকে রাখলে মানুষ তো দূরের কথা বন্যপ্রাণীদেরও চাহিদাও মিটবে না। ওদের হিসেব মতো বছরে মাত্র ১৭০ লক্ষ কিউবিক মিটার জল কালিডহরকে বন্দি করে জমা রাখা যেতে পারে। কেন্দ্রীয় গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ডের মতে অঞ্চলটি জলদুর্লভ (waterscarce)। তা সত্ত্বেও দেশের পবিবেশ রক্ষা মন্ত্রক এই অঞ্চলে কোনো পরিবেশগত সমস্যা দেখতে পায়নি।
অরণ্য নির্ভর অরণ্যবাসীদের কথা
খনি প্রকল্পের শুরু থেকেই প্রতিবাদে সরব বনবাসী আদিবাসীরা। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠন। ইএমআইএল বরাত পাওয়ার পর ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থে মামলা (পিআইএল) দাখিল হয়েছে। ইএমআইএল-এর তথ্য বলছে যে, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মোট ৪০০ জনের কর্মসংস্থান এখানে হতে পারে। অর্থাৎ ৭০০০ মানুষের উচ্ছেদের বিনিময়ে ৪০০ মানুষের কর্মসংস্থান। প্রস্তাবিত খনি এলাকায় ১৭টি আদিবাসী গ্রাম আছে। সরকার যাই বলুক না কেন এদের নির্ভরশীলতা মূলত মহুয়া, কেন্দুপাতা, চিরঞ্জি বা ভেলা, আমলা ইত্যাদি বনজ সম্পদের উপর। গ্রামবাসীদের মতে কেবল মহুয়া এবং কেন্দুপাতা থেকে এক একটি পরিবারের বছরে ৪০,০০০ থেকে ১০০,০০০ টাকা পর্যন্ত রোজগার হয়। একারণেই আদালত এবং বাইরে লড়াই করছেন অনেক মানুষ।
তাহলে কী হীরা মাটির নিচে থাকবে?
যাঁরা আন্দোলন করছেন হয়তো তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন যে, হীরা খনির কোনো দরকার নেই। এটা কখনই গ্রহণযোগ্য যুক্তি হতে পারে না। বিকল্প এবং বিজ্ঞানসম্মত ভাবনা জরুরি। এব্যাপারে সরকারকে সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে।
প্রথম দাবি অবশ্যই গ্রহণযোগ্য পুনর্বাসন। বেসরকারি কর্পোরেট সংস্থাগুলি কিছু অর্থ ধরিয়ে দিয়ে দায় মুক্ত হতে চায়। দ্বিতীয়ত, অরণ্য-নির্ভর মানুষ যাঁরা ভিটে হারাবেন এবং সঙ্গে হারাবেন অরণ্য; তাঁদের জন্য বিকল্প আয়ের উৎস তৈরি করতে হবে। তৃতীয়ত, বনবিভাগ অস্বীকার করলেও এটা সত্য যে, এই প্রকল্পের জন্য বন্যপ্রাণের এক বড়ো আবাসস্থল নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে এই প্রকল্পের জন্য এক ওয়াইল্ড লাইফ ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান তৈরি করতে হবে যা এলাকার মানুষ এবং বিশেষজ্ঞদের কাছে গ্রহণীয় হবে। এই পরিকল্পনায় বন্যপ্রাণের জন্য জল, খাদ্য এবং উপযুক্ত বিচরণের স্থান থাকতে হবে। চতুর্থত, জলের প্রাকৃতিক উৎসের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বৃষ্টির জল ধরার ব্যবস্থা করতে হবে। ইএমআইএল-এর দেওয়া তথ্য বলছে যে, এখানে বছরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১২০ সেন্টিমিটার যা কোনো মতেই কম নয়। পঞ্চমত, তথ্য বলছে যে, প্রাথমিকভাবে সরকার ৬২.৬৪ হেক্টর বনভূমি দিতে প্রস্তুত থাকলেও ইএমআইএল ৩৮২ হেক্টর বনভূমি দাবি করে। এত বড়ো অংশের বনাঞ্চল নষ্ট না করে কত কম অংশে তাকে আবদ্ধ রাখা যায় তা দেখতে হবে। যে ক্ষতিপূরক বনায়ন (কমপেনসেটরি অ্যাফরেস্টেশন) হবে তা যেন বিজ্ঞানসম্মত হয়। দায়সারাভাবে বৃক্ষরোপণ পরিবেশগত সমস্যা বাড়াবে বৈ কমাবে না।
এই সমস্ত পরিকল্পনা তৈরি করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা দরকার। বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধের একটিমাত্র উপায় হলো, নষ্ট হয়ে যাওয়া বাস্তুতন্ত্রের পুনরুদ্ধার। বেশ কিছু দেশ কিন্তু এনিয়ে ভাবিত নয়। আমেরিকা, ব্রাজিল ইত্যাদির মতো আমাদের দেশও একই পথের পথিক। করপোরেটদের পরিবেশ ও সমাজবান্ধব হতে বাধ্য করতে না পারলে এদেশ সাধারণের বাসযোগ্য থাকবে না।