৫৯ বর্ষ ৩২ সংখ্যা / ২৫ মার্চ, ২০২২ / ১০ চৈত্র, ১৪২৮
ধর্মঘট সংগ্রামের উচ্চতর ধাপ
দীপক দাশগুপ্ত
আবার একটা দু’দিনব্যাপী ধর্মঘটের প্রস্তুতিতে দেশের কোটি কোটি মানুষ যুক্ত। সর্বস্তরের সাধারণ শ্রমজীবী, কৃষিজীবী ও ছাত্র, যুব, মহিলারা ২৮-২৯ মার্চের সাধারণ ধর্মঘটকে সফল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
দেশ গড়ার ও দেশকে সমৃদ্ধশালী ও শক্তিশালী করার কারিগর দুই উৎপাদক শ্রেণি ও সমাজের অন্যান্য অংশের মানুষরা বাধ্য হয়েছেন ধর্মঘটের আহ্বান জানাতে।
নয়া উদারনীতির প্রয়োগের বিরুদ্ধে দুই উৎপাদক শ্রেণির নিরন্তর লড়াই
সমাজতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থার বিপর্যয়-পরবর্তী সময়ে পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় আগ্রাসী ভূমিকা জনজীবনকে পর্যুদস্ত করে তুলেছে; ধনতান্ত্রিক আমাদের দেশের হালহকিকত চূড়ান্ত বিপর্যয়কর অবস্থার মধ্যে পড়েছে। ভারত বিশাল সম্পদের অধিকারী একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও বুর্জোয়া ও করপোরেট লুটেরাদের ও তাদের বিশ্বস্ত সহচর মোদি ও তাঁর নেতৃত্বাধীন হিন্দুত্ববাদী সরকারের সাহায্যে ব্যাপক লুট ভারতকে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশে পরিণত করেছে। একটি তথ্য ওই বক্তব্যকে প্রমাণিত করেছে।
‘‘দিনে একজন সাধারণ মানুষের আয় ২ ডলার বা তার কম, অথচ অতিমারীর সময়ে কিছু জনের আয় ৬ কোটি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৩.৫ কোটি টাকা হয়েছে। ৪৫ বছর পর ভারত ফের দারিদ্র্যবহুল দেশ হিসাবে আখ্যায়িত হচ্ছে। (‘নিউ রিসার্চ সেন্টারের রিপোর্ট’)
অপর একটি উদাহরণ হলো - ২০২১’র শেষে নতুন করে দেশে ১৫ থেকে ১৯.৫ কোটি মানুষ দরিদ্র হতে চলেছে। অপর একটি তথ্যের দ্বারা জানা যায় ২০২১ সালের নভেম্বরে বেতনভুক ৬৮ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন।
বর্তমান বিজেপি-আরএসএস নেতৃত্বাধীন সরকারের নীতির কারণে ক্রমশ দেশের শ্রমজীবী মানুষ কর্মচ্যুত হয়েছে। বেকারি সৃষ্টিও বাড়তে শুরু করেছিল স্বাধীনোত্তর কাল থেকেই। কিন্তু, বর্তমান আরএসএস-বিজেপি সরকারের শাসনে তা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে সর্বত্র ‘No vacancy’ কাজ পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ কাজের সুযোগ ক্রমহ্রাসমান। এছাড়াও কর্মচ্যুতি ক্রমবর্ধমান। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের দপ্তরসমূহে লক্ষ লক্ষ শূন্যপদ পড়ে আছে, তা পূরণ না করে রেখে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, বিরাষ্ট্রীকৃত সংস্থা ও শিল্পগুলিতে কর্মী সংখ্যা হ্রাস করা হচ্ছে। যেমন দেশের বুনিয়াদি শিল্পগুলির স্থায়ী পদগুলিতে ঠিকামজদুর, ক্যাজুয়াল শ্রমিক, অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে, যাতে মুনাফা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে পুঁজিবাদী ও করপোরেটদের। আর সাধারণ মানুষ ক্রমশ নিঃস্ব হচ্ছেন এবং আধা সর্বহারা, সর্বহারাতে পরিণত হচ্ছেন।
দেশের কর্মক্ষম মানুষের কাজ মিলছে না, পরিণামে বেকারিতে দেশ ভরে যাচ্ছে। নিম্নোক্ত উদাহরণ উপরিউক্ত বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করে, ২০১৩ সালে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ছিল ৭৯ কোটি, ওই সময়ে কাজে নিযুক্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৪৪ কোটি। ২০২১ সালে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১০৬ কোটি। অথচ কাজে নিযুক্ত মানুষ কমে দাঁড়ায় ৩৮ কোটি। সঙ্গে সঙ্গে এটাও মনে রাখা প্রয়োজন, ২০১৩ সালে শ্রমজীবী নারীর সংখ্যা ছিল ৩৬ শতাংশ, ২০২১ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৯.১৪ শতাংশ।
অতিমারীর সময়ে ওই সংখ্যাও আরও কিছু হ্রাস পায়। যেমন নির্মাণশিল্প সহ বহু ধরনের শিল্প সংস্থায় কর্মরত নারীদের কাজ ছিল না। ওই সময়ে সরকার ঘোষিত লক-ডাউনের সময় নারী শ্রমজীবীদের কাজ ছিল না। বেতনও তাঁরা লক-ডাউনে পাননি।
বিরাষ্ট্রীয়করণের আক্রমণ
১৯৯১ সালে নয়া উদারনীতির প্রয়োগের কারণে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার রাষ্ট্রের অধীন বুনিয়াদি শিল্পগুলি বিলগ্নিকরণের ও বেসরকারিকরণের কর্মসূচি শুরু করে দেয়। মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি-আরএসএস সরকার ২০১৪ সাল থেকে দেশের ব্যাঙ্ক, বিমা, হাইওয়ে থেকে শুরু করে যাবতীয় মূল্যবান সম্পদ দেশি-বিদেশি কর্পোরেটদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। অথচ মোদি ভারতকে আত্মনির্ভর করার কথা বারবার ভাষণে বলে যাচ্ছেন। আর তাদের উপদেষ্টা আরএসএস প্রচারকরা যারা তাঁবেদারি করতে অভ্যস্ত, তারা তথাকথিত ‘আত্মনির্ভরতার’ ঢক্কানিনাদ চালাচ্ছে। বাস্তবে মোদি সরকার দেশের সমস্ত সম্পদ বিক্রি করে দিতে সচেষ্ট রয়েছে। এটা আমাদের সকলেরই মনে রাখা উচিত যে, দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ সৃষ্টি করা ও গড়ে তোলা এবং এর দ্বারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মোদি, আরএসএস-বিজেপি’র কোনো ভূমিকা নেই। কারণ স্বাধীনতা সংগ্রাম, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী সংগ্রামে অংশগ্রহণ করা ও দেশের অগ্রগতি ঘটানোর জন্য আরএসএস-বিজেপি বা পূর্বতন জনসংঘ, হিন্দু মহাসভার কোনো ইতিবাচক ভূমিকা নেই। দেশকে তারা একটি তথাকথিত হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত করার একমাত্র কর্মসূচি নিয়ে চলেছে। এবং দেশের করপোরেট ও হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তি মিলিতভাবে সরকারি ক্ষমতার সুযোগ নিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের ভিত্তি দুর্বল করতে ও পুঁজিবাদের সংকটের বোঝা দেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে।
কর্পোরেট-কমিউনাল জোট
মোদির নেতৃত্বে ‘কর্পোরেট-কমিউনাল জোট’ দেশের সংবিধানের মৌলিক ভিত্তি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের বুনিয়াদ ভেঙে দিচ্ছে ক্রমান্বয়ে। মানুষের বাক্স্বাধীনতা হরণ করে, অগণতান্ত্রিক, স্বৈরশাহীর কালা কানুনগুলো লাগু করে জনগণকে ইউএপিএ সহ নানা ধরনের কালাকানুন প্রয়োগ করে বিনা বিচারে গ্রেপ্তার করে বছরের পর বছর জেলে রেখে দিচ্ছে।
এমনকী সংবিধানকে অগ্রাহ্য করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলি হরণ করা হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণরূপে গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ চালানো। বিজেপি পরিচালিত ত্রিপুরার সরকার সারা রাজ্যে ফ্যাসিস্ট-সন্ত্রাস চালু করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। ট্রেড ইউনিয়ন ও বামপন্থী দলগুলির অধিকার ও মানুষের ভোটাধিকারের অধিকারও হরণ করার উদ্দেশে ব্যাপক সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। ঠিক যেমন মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার ফ্যাসিস্টধর্মী আক্রমণ চালিয়ে সন্ত্রাস করে চলেছে, রাজ্যের জনগণকে বিশেষ করে গণআন্দোলনের কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস সৃষ্টি করে আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
ত্রিপুরায় বিজেপি পরিচালিত সরকার, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার একই কায়দায় এ রাজ্যের গণআন্দোলন, শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুরদের আন্দোলন, ছাত্র, যুব, মহিলা সহ সমাজের নানা অংশের মানুষের প্রতিরোধ, প্রতিবাদকে সন্ত্রাস চালিয়ে ধ্বংস করতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সংগ্রাম করার অধিকার সংগ্রাম করেই রক্ষা করতে হবে। তাই, ২৮-২৯ মার্চের দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট সফল করার জন্য শ্রমজীবী ও কৃষিজীবী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা আজ আমাদের কাছে বড়ো চ্যালেঞ্জ।
কৃষক আন্দোলন ও এর শিক্ষা
সমগ্র কৃষিক্ষেত্র ও কৃষি ব্যবস্থা করপোরেটের হাতে তুলে দিতে বদ্ধপরিকর হয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কুখ্যাত তিনটি কৃষি আইন জোর করে মার্শালদের অধিবেশন স্থলে ঢুকিয়ে দিয়ে পাশ করিয়ে নিয়ে দেশি-বিদেশি কর্পোরেট প্রভুদের খুশি করেছিলেন। এর বিরুদ্ধে দেশের অন্নদাতা কৃষক সমাজ গর্জে উঠেছিল। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও শিল্প সংস্থার কর্মী ফেডারেশনগুলির তরফ থেকে শ্রমিক-কৃষকদের রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর একদিনের এক প্রতীক ধর্মঘট আহূত হয়েছিল। ধর্মঘট ১০০ শতাংশ সফল হয় ও ওইদিন কৃষক সমাজের মধ্যে কর্মরত ৫০০-র বেশি কৃষক সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে ‘সংযুক্ত কিষান মোর্চার’ নামে প্রতিরোধ আন্দোলন সংগঠিত করেছিল; ৩৭৮ দিন আন্দোলনকারীরা দিল্লিকে ঘিরে রেখেছিল। শান্তিপূর্ণ ও অহিংস ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন সেদিন সংগঠিত হয়েছিল। ঐক্যবদ্ধ কৃষকরা ‘সংযুক্ত কিষান মোর্চার’ নামে সংগ্রাম চালিয়েছিলেন জয়ের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞভাবে। এর মধ্যে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর পুত্র একজন সাংবাদিকসহ ৮ জনকে বিক্ষোভ চলাকালীন গাড়ি চালিয়ে হত্যা করেছিল। মোট ৭০০ জন আন্দোলনকারী অন্নদাতা রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, শীতের মোকাবিলা করতে গিয়ে জীবনদান করেন। তথাপি লক্ষ লক্ষ কৃষকের মনোবল অটুট ছিল। মোদি এবং আরএসএস’র প্যারা মিলিটারি বাহিনী সরকারের অর্থ ও নানা ধরনের সুবিধা নিয়ে করপোরেটকে মুনাফা অর্জন করানোর জন্য ভাড়াটে মস্তানের মতো আচরণ ও হামলা করেছে।
অবশেষে মোদি এবং আরএসএস বাহিনীকে মাথানত করতে হয়েছে। এরফলে সারা দেশের কৃষকরা উৎসাহিত ও উদ্দীপিত হয়েছেন।
পথ এটাই, ঐক্যবদ্ধভাবে ক্লান্তিহীন সংগ্রাম গড়ে তুলতে পারলে দাবি অবশ্যই আদায় করা যায় - এই শিক্ষা আমাদের গ্রহণ করে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য নিচ্ছিদ্র ও ক্লান্তিহীন সংগ্রামের পথে অগ্রসর হতে হবে। এইভাবে দেশব্যাপী ২৮-২৯ মার্চের সাধারণ ধর্মঘট সফল করতে দৃঢ়, ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই।
শ্রেণি ও গণসংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই
যারা ৪৮ ঘণ্টার দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের বিরুদ্ধাচরণ করছেন অথবা দোদুল্যমানতা দেখাচ্ছেন তাদের কাছে বলতে চাই ওটা পথ নয়। এ পথ যদি দেশের মানুষ আঁকড়ে থাকতেন, তাহলে স্বাধীনতা সংগ্রাম সফল হতো না, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদও আমাদের দেশ ছেড়ে যেতো না। দেশ আজও অন্ধকারে থাকতো। সেদিন, ১৮৫৭ সালে দেশের সেনানীরা সমস্ত ধর্ম জাতপাত নির্বিশেষে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ করে শহিদের মৃত্যুবরণ করতেন না। মাস্টার দা সূর্য সেন, অনন্ত সিং-দের দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য প্রাণ বিসর্জন দিতে হতো না।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু’র নেতৃত্বাধীন আজাদ হিন্দ বাহিনীর আজাদির লড়াই করতে হতো না। কিংবা মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারতব্যাপী স্বাধীনতার সংগ্রাম, কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে অন্যধারায় সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ ও সামন্ততন্ত্র বিরোধী সংগ্রামগুলি গড়ে উঠত না। আন্দামান সেলুলার জেলে আমাদের দেশের প্রাণপাত করা বন্দিজীবন কমিউনিস্টদের ভোগ করতে হতো না। আন্দামান সেলুলার জেলে কমিউনিস্ট বন্দিদের নাম খোদাই করা থাকত না।
কমিউনিস্টরা ও বামপন্থীরা আজীবন শ্রেণি ও গণসংগ্রাম চালিয়ে গেছেন আজও যাচ্ছেন। সাময়িক কিছু দুর্বলতা হয়েছে, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে শ্রেণি ও গণসংগ্রামও ছোটোবড়ো আকারে অবিরাম গতিতে এগিয়ে চলেছে - চলছে ব্যাঙ্ক, বিমা, কয়লা, বিদ্যুৎ, বিএসএনএল, প্রতিরক্ষা কর্মী থেকে কৃষক, শ্রমিক, খেতমজুরদের অবিরাম সংগ্রাম - বেড়ে উঠছে শ্রেণিসংগ্রাম-গণসংগ্রাম। ২৮-২৯ মার্চের দু’দিনের দেশব্যাপী সংগ্রাম সমস্ত সংগ্রামেরই বৃহত্তর পদক্ষেপ - নিরন্তর শ্রেণিসংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই।
সাধারণ ধর্মঘটের দাবিসমূহঃ
(১) ‘শ্রম কোড’ এবং ‘এসেনসিয়াল ডিফেন্স সার্ভিসেস অ্যাক্ট’ বাতিল করতে হবে।
(২) সরকারি সংস্থা, ব্যাঙ্ক, বিমা সহ সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ বন্ধ করো।
(৩) আইসিডিএস সহ বিভিন্ন প্রকল্প কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি ও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করতে হবে।
(৪) বিভিন্ন প্রকল্পের ঠিকা কর্মীদের স্থায়ীকরণ সাপেক্ষে স্থায়ী শ্রমিকদের মতন বেতন দিতে হবে।
(৫) আয়করের বাইরে থাকা সকল নাগরিকদের মাসে নগদ ৭,৫০০ টাকা দিতে হবে এবং বিনামূল্যে রেশন দিতে হবে।
(৬) সকলের জন্য সামাজিক সুরক্ষা দিতে হবে।
(৭) পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমাতে কেন্দ্রীয় অন্তঃশুল্ক কমাতে হবে।
(৮) নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে হবে।
(৯) জাতীয় পেনশন প্রকল্প বাতিল করতে হবে। প্রবীণদের পেনশন চালু করতে হবে। ন্যূনতম পেনশন যথেষ্ঠ পরিমাণে বৃদ্ধি করতে হবে।
(১০) কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাজেটে আরও ব্যয়-বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।
(১১) অতিমারী সময়ে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের জন্য সুরক্ষা এবং পেনশন চালু করতে হবে।
(১২) মনরেগা প্রকল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করো এবং তা শহরেও লাগু করো।
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের জাতীয় ফেডারেশনগুলির ডাকা পূর্বের ২০টি সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘট
(১) ২৯ নভেম্বর, ১৯৯১
(২) ১৬ জুন, ১৯৯২
(৩) ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৩
(৪) ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪
(৫) ১১ ডিসেম্বর, ১৯৯৮
(৬) ১১ মে, ২০০০
(৭) ১৬ এপ্রিল, ২০০২
(৮) ২১ মে, ২০০৩
(৯) ২৪ জুন, ২০০৪
(১০) ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৫
(১১) ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৬
(১২) ২০ আগস্ট, ২০০৮
(১৩) ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১০
(১৪) ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১২
(১৫) ২০-২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩
(১৬) ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
(১৭) ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
(১৮) ৮-৯ জানুয়ারি, ২০১৯
(১৯) ৮ জানুয়ারি, ২০২০
(২০) ২৬ নভেম্বর, ২০২০