E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ১৫ সংখ্যা / ২৫ নভেম্বর, ২০২২ / ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪২৯

মতাদর্শ চর্চা

মার্কসীয় দর্শন - দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ (দশ)

শ্রীদীপ ভট্টাচার্য


● বিকাশের নিয়ম বা সূত্রকে ব্যাখ্যা করেছে দ্বান্দ্বিকতার সূত্র (Law of Dialectics)। ইতিমধ্যে প্রথম সূত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে সেই আলোচনার কিছুটা এখনও বাকি রয়েছে। আমরা দ্বন্দ্বের বৈরি ও অবৈরি রূপ নিয়ে আলোচনা করেছি। এটাও বিবেচনায় রাখতে হবে যে, দ্বন্দ্বের আভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ দুই রূপই রয়েছে। যে কোনো বস্তু বা ঘটনার মধ্যে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বিরাজ করে। আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে বস্তু, ঘটনা বা প্রক্রিয়ার নির্দিষ্ট রূপ আমরা প্রত্যক্ষ করি। বিকাশের মূল কারণ নিশ্চিতভাবে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সাথে সাথে বহিঃস্থ দ্বন্দ্বও বিরাজ করে - এটাও স্মরণে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ডিমের উদাহরণ দেওয়া যায়। ডিম আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অত্যন্ত সুপরিচিত বস্তু। ডিম থেকে হাঁস বা মুরগির বাচ্চা হয়। হাঁস বা মুরগি ডিমের ওপর ‘তা’-দেয়। ‘তা’ দেওয়া মানে হলো তাপ সৃষ্টি করা। এই তাপ হলো বহিঃস্থ (External) দ্বন্দ্ব। এই বহিঃস্থ দ্বন্দ্ব ডিম থেকে বাচ্চার জন্মের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে তা-এর মাধ্যমে যে তাপ সৃষ্টি হয় তার ভূমিকা রয়েছে। হাঁস বা মুরগি যদি কোনো পাথরের ওপর তা দিতো তাহলে কিন্তু বাচ্চার জন্ম হতো না। বাইরে থেকে সৃষ্ট তাপের ভূমিকা থাকলেও ডিম থেকে বাচ্চার জন্মের মূল কারণ নিহিত রয়েছে ডিমের অভ্যন্তরে। সেটাই হলো আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। সমস্ত বিকাশের ক্ষেত্রেই মূল কারণ হলো আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। এবারে আসা যাক আর একটি উদাহরণে। বিপ্লবী সংগ্রামের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে দেখা যাবে, যে কোনো দেশের বিপ্লবী সংগ্রামের সাফল্য নির্ভর করে সেই দেশের সমসাময়িক আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বগুলির তীব্রতা বৃদ্ধির ওপর। সমকালীন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যে কোনো দেশের বিপ্লবী সংগ্রামের অগ্রগতির ক্ষেত্রে বহিঃস্থ দ্বন্দ্বের ভূমিকা পালন করে। নিঃসন্দেহে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নির্ধারক ভূমিকা পালন করে, তবে তার অর্থ এটা নয় যে, বহিঃস্থ দ্বন্দ্বের ভূমিকা নেই। একথা বলা যেতেই পারে, যে কোনো বস্তু, ঘটনা বা প্রক্রিয়ায় আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে প্রভাবিত করে বহিঃস্থ দ্বন্দ্ব।

এবারে আমরা দ্বান্দ্বিকতার দ্বিতীয় নিয়ম বিষয়ে আলোচনা করব। এই দ্বিতীয় সূত্র পরিবর্তনের ধারা কীভাবে পরিচালিত হয় তা ব্যাখ্যা করেছে।

পরিমাণগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গুণগত পরিবর্তন ঘটে

● গতির ফলেই পরিবর্তন এবং পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিকাশ। পরিবর্তনের ধারায় প্রথমে পরিমাণের পরিবর্তন ঘটে। পরিমাণগত পরিবর্তন হয় ধীরে ধীরে। পরিমাণগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি নির্দিষ্ট পর্যায় উপনীত হলে গুণগত রূপান্তর ঘটে। গুণগত রূপান্তরের পর্যায়ে পরিবর্তনের ধারা পরিচালিত হয় দ্রুততরভাবে। গুণগত পরিবর্তনের অর্থ গুণগত রূপান্তর। গুণগত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে বস্তু বা ঘটনা সম্পূর্ণ নতুন স্তরে উন্নীত হয়।

● কেটলিতে জল নিয়ে উনুনে, স্টোভে বা গ্যাসে গরম করলে দেখা যায় জল জলই আছে তবে তাপমাত্রার বৃদ্ধি হচ্ছে। ৩০ ডিগ্রি-৪০ ডিগ্রি, ৫০ ডিগ্রি-৬০ ডিগ্রি - তাপমাত্রার বৃদ্ধি হচ্ছে। জল ক্রমান্বয়ে গরম হচ্ছে, কিন্তু জল জলই রয়েছে। এভাবেই ৯৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত জল গরম হওয়ার পর জলের গুণগত পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। গরম জলের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রিতে পৌঁছুনোর কিছুক্ষণ পর দেখা যায় বাষ্প বের হচ্ছে। অর্থাৎ জল বাষ্পতে রূপান্তরিত হয়েছে। জল থেকে বাষ্প - এটা হলো গুণগত রূপান্তর। এক্ষেত্রে জলের ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি অর্থাৎ পরিমাণগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই গুণগত রূপান্তর ঘটে।

● পৃথিবী থেকে কোনো কিছু আকাশে ছুঁড়লে তা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে পৃথিবীতে ফিরে আসে। পৃথিবী থেকে ছোঁড়া বস্তুর গতিবেগ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করলে অর্থাৎ গতিবেগের ক্রমান্বয়ে পরিমাণগত পরিবর্তন ঘটালে একসময়ে দেখা যাবে সেই বস্তু আর পৃথিবীতে ফিরে আসছে না। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আকর্ষণ ছাড়িয়ে তা মহাকাশে প্রবেশ করে। গতিবেগের পরিমাণগত বৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে করতে করতে এমন একটি সময় আসে যখন সেই বস্তু পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আকর্ষণকে এড়িয়ে পৃথিবীর বাইরে চলে যায়। মহাকাশে যে রকেট বা স্পুটনিক পাঠানো হয়, তা এই নিয়মের ভিত্তিতেই মহাকাশে প্রেরিত হয়। এটা হলো পরিমাণগত পরিবর্তন থেকে গুণগত পরিবর্তন।

● C-র অর্থ কার্বন - এটি একটি মৌলিক পদার্থ।

H - হাইড্রোজেন - এটি একটি মৌলিক পদার্থ।

CH4 - হলো মিথেন গ্যাস - একটি কার্বন ও চারটি হাইড্রোজেন পরমাণুর সমন্বয় (অর্থাৎ গ্যাসীয় অবস্থা)।

এর সাথে একটি কার্বন পরমাণু ও দুইটি হাইড্রোজেন পরমাণু যুক্ত করা হলো অর্থাৎ পরিমাণগত পরিবর্তন ঘটানো হলো আমরা পেলাম C2H6 - ইথেন গ্যাস।

এটা হলো গুণগত রূপান্তর। কার্বন ও হাইড্রোজেনের পরিমাণগত সংযোজন গুণগত রূপান্তর ঘটালো।

CH4 অর্থাৎ মিথেনের সাথে যদি চারটি কার্বন পরমাণু ও আটটি হাইড্রোজেন পরমাণু যুক্ত করা হয় আমরা পাই C5H12 - পেনটেন - এটি গ্যাস নয়, এটি তরল। তরল অবস্থা।

পরিমাণগত পরিবর্তনের ফলে মিথেন গ্যাসের রূপান্তর ঘটল। গুণগত পরিবর্তন হলো। আমরা পেলাম ইথেন গ্যাস। আবার পরিমাণগত পরিবর্তনের ফলে আমরা পাই গুণগতভাবে নতুন পদার্থ পেনটেন। এখানে গ্যাসীয় অবস্থার পরিবর্তন ঘটল। আমরা পেলাম তরল পদার্থ।

এভাবেই প্রতিবারই যদি একটি কার্বন পরমাণু ও দুইটি হাইড্রোজেন পরমাণু অর্থাৎ CH2 যুক্ত করা হয় পরিমাণগত পরিবর্তনের ফলে গুণগত পরিবর্তন হয়। একটা সময়ে আমরা জানি C16H34 হেক্সাডেকেন - এটি কিন্তু তরল নয়, কঠিন অবস্থা। হেক্সাডেকেন একটি কঠিন বস্তু। প্রত্যেকটি হলো পরিমাণগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গুণগত রূপান্তর।

গণিতের ক্ষেত্রেও উদাহরণ দেওয়া যায় -

● ১ থেকে ৯ পর্যন্ত হলো একক সংখ্যা। ১ থেকে ২ হলো পরিমাণগত বৃদ্ধি। ২ থেকে ৩ হলো পরিমাণগত বৃদ্ধি। এভাবেই ১ থেকে পরিমাণগত বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে আমরা ৯-তে উপনীত হই। পরিমাণের পরিবর্তন হলেও ১-ও একক সংখ্যা, ৯-ও একক সংখ্যা। অর্থাৎ গুণগতভাবে পরিবর্তন ঘটেনি। ৯-এর সাথে ১ যোগ করলে আমরা প্রবেশ করি ১০-এ - এটা দশক সংখ্যা - গুণগত পরিবর্তন। আবার ১০-এর ৯৯ পর্যন্ত পরিমাণগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা সেই স্তরে উপনীত হই যেখানে আর ১ যোগ করলে শুধুমাত্র পরিমাণগত পরিবর্তনই হয় না, আবির্ভাব ঘটে শতক সংখ্যার অর্থাৎ ১০০ - এটাও গুণগত পরিবর্তন। একটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয়, পরিমাণগত পরিবর্তনই গুণগত পরিবর্তনের ভিত প্রস্তুত করে। পরিমাণগত পরিবর্তন না ঘটলে গুণগত পরিবর্তনের পর্যায়ে উপনীত হওয়া সম্ভব নয়। পরিমাণগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গুণগত রূপান্তর সাধিত হওয়ার পর পুনরায় পরিমাণগত পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চলে। পরিমাণগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নতুনতর গুণের আবির্ভাব ঘটে। পরিমাণগত ও গুণগত পরিবর্তনের মধ্যে দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক রয়েছে।

● সমাজের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে কমিউনিস্টরা কাজ করছে। শোষণভিত্তিক সমাজব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়ে শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা কায়েম করার লক্ষ্যে কমিউনিস্টদের বৈপ্লবিক কার্যধারা। পুঁজিবাদ থেকে সমাজতন্ত্র - এটা হলো গুণগত রূপান্তর। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় শোষণের বিরুদ্ধে, অত্যাচার ও দমন নীতির বিরুদ্ধে, অধিকার রক্ষায় জনগণের সংগ্রাম - শ্রমিক, কৃষকসহ মেহনতি জনগণের সংগ্রাম - সংসদীয় ও সংসদ বহির্ভূত রূপের সমন্বয় ঘটিয়ে সংগ্রাম - এই সমস্ত কিছুই পরিমাণগত পরিবর্তন। পরিমাণগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে শাসক পুঁজিপতি শ্রেণিকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দিয়ে শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েমের পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে। বলা যেতে পারে, গুণগত রূপান্তরের পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে। এই পরিস্থিতিতে বিপ্লব ঘটে। শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার অর্থ হলো নতুন সমাজের আবির্ভাব ঘটা অর্থাৎ সমাজের গুণগত রূপান্তর।

● সমগ্র মানব সমাজের অগ্রগতির ধারা যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখি ক্রমান্বয়ে মানব সমাজের গুণগত রূপান্তর ঘটেছে -

● আদিম সাম্যবাদী সমাজ থেকে দাসসমাজ - গুণগত পরিবর্তন। আদিম সাম্যবাদী সমাজের মধ্যে নিরন্তর পরিমাণগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সম্ভব হয়েছে গুণগত পরিবর্তন অর্থাৎ দাস সমাজে উত্তরণ।

● দাস সমাজব্যবস্থা থেকে সামন্ততান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। এটাও তো গুণগত পরিবর্তন। দাস সমাজব্যবস্থার মধ্যে ক্রমান্বয়ে পরিমাণগত পরিবর্তনই সামন্ততান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় গুণগত রূপান্তর সম্ভব করে।

● সামন্ততান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা থেকে পুঁজিবাদী সমাজ - এটাও গুণগত পরিবর্তন। সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে ক্রমান্বয়ে পরিমাণগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই এই গুণগত রূপান্তরের বাস্তব পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে ও গুণগত পরিবর্তন ঘটে। গুণগত পরিবর্তনের অর্থ বৈপ্লবিক রূপান্তর।

● পুঁজিবাদী ব্যবস্থা থেকে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা - এটাও গুণগত পরিবর্তন। এক্ষেত্রেও পুঁজিবাদী সমাজের অভ্যন্তরে ক্ষোভ, বিক্ষোভ, প্রতিবাদী সমাবেশ, ধর্মঘট, প্রতিরোধী সংগ্রাম এই সমস্ত কিছুই পরিমাণগত পরিবর্তনের প্রক্রিয়াকে অগ্রসর করে, তার মধ্য দিয়েই গুণগত পরিবর্তনের ভিত্তি প্রস্তুত হয়। সর্বহারা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার কায়েম গুণগত রূপান্তর।

● সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে মানব সমাজের উত্তরণ ঘটবে সাম্যবাদী ব্যবস্থায়। সমাজতন্ত্র থেকে সাম্যবাদ অর্থাৎ কমিউনিজম - এটাও গুণগত রূপান্তর। তবে সমাজতন্ত্রের মধ্য দিয়ে যেহেতু সর্বহারার রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, আর সর্বহারার লক্ষ্য হলো সাম্যবাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, তাই এক্ষেত্রে অর্থাৎ এই গুণগত রূপান্তরের জন্য নতুন করে ক্ষমতা দখলের প্রয়োজন হবে না।

● পরিমাণগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গুণগত পরিবর্তন, গুণগত পরিবর্তনের সাথে পুনরায় পরিমাণগত পরিবর্তন এবং তার মধ্য দিয়ে আবার গুণগত রূপান্তর, প্রকৃতি জগতে ও মানব সমাজে নিরন্তর ঘটে চলেছে। মার্কসবাদীদের যেমন যে বৈপরীত্যের কারণে গতি তা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে হবে, নচেৎ গতির ধারাকে উপলব্ধির মধ্যে আনা সম্ভব নয়। প্রাকৃতিক ও সামাজিক গতির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আবার গতির ফলশ্রুতিতে যে পরিবর্তন, সেই পরিবর্তনের ধারাকে যদি বুঝতে হয় তাহলে পরিমাণগত পরিবর্তনের পথ ধরে গুণগত যে পরিবর্তন সে সম্পর্কে স্বচ্ছতর ধারণা প্রত্যেক মার্কসবাদীর মধ্যে গড়ে ওঠা প্রয়োজন। পরিমাণগত ও গুণগত পরিবর্তনের মধ্যে যে দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক সেটাও সবসময়ে বিবেচনায় রাখতে হবে।

● এবারে যে প্রশ্নটা আসে তা হলো, পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যে বিকাশ, সেই বিকাশের ধারাটি কীভাবে পরিচালিত হয়? বিকাশের অভিমুখ কী? দ্বান্দ্বিকতার তৃতীয় সূত্র এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। তা হলো ‘নেতির নেতিকরণ’ (Negation of the Negation)। আমরা এবারে ‘নেতির নেতিকরণ’ বিষয়ে আলোচনা করব।


(ক্রমশ)