৬০ বর্ষ ৩ সংখ্যা / ২৬ আগস্ট, ২০২২ / ৯ ভাদ্র, ১৪২৯
ডায়েরি অফ অ্যান ওল্ড কান্ট্রিম্যান...
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
রাভেনশব্রুক। এরকমই বোধহয় উচ্চারণ হবার কথা। নাকি অন্য কিছু। জার্মান জানিনা। তবে মোটামুটি এর আশেপাশেই হবে। মে ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫। উত্তর জার্মানির রাভেনশব্রুকে এই সময় গড়ে তোলা হয়েছিল এক কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প। শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য। দীর্ঘ ৬ বছরে প্রায় ৩০টি দেশ থেকে বন্দি করা আনুমানিক ১,৩২,০০০ মহিলা ও শিশু এই ক্যাম্পে ছিল। যার মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যক মহিলা ছিলেন ১৯৪৫-এর ফেব্রুয়ারিতে। সংখ্যাটা ৪৬,৪৭৩। যে ক্যাম্পে ৬ বছরে প্রায় ৫০ হাজার মহিলাকে মেরে ফেলা হয়েছিল ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করে। গলা কেটে হত্যা, গ্যাস চেম্বারে হত্যা, যৌনাঙ্গে গুলি করে হত্যা - সবরকমভাবেই। হলোকাস্ট এনসাইক্লোপিডিয়ার তথ্য বলছে বন্দিদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ ছিলেন পোল্যান্ডের, ২১ শতাংশ রাশিয়ার, ১৮ শতাংশ জার্মানির। এছাড়াও এই ক্যাম্পে বন্দি ছিলেন হাঙ্গেরি, ফ্রান্স, চেকোস্লোভাকিয়া, যুগোস্লাভিয়া প্রভৃতি দেশের মহিলা রাজনৈতিক বন্দিরা। যাদের একটা বড়ো অংশই ছিলেন ইহুদি। মহিলাদের ওপর অত্যাচার, যৌন নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত এই ক্যাম্প প্রসঙ্গে বহু তথ্য আছে। সে প্রসঙ্গ অন্য কোনো সময়। একটু অন্য দিকে যাওয়া যাক।
হিটলারের শাসনাধীন নাৎসি জার্মানিতে ঘেটোর নাৎসি কর্মকর্তারা যখন ইহুদিদের বাড়িতে হানা দিত, তারা শুধু যে বাড়িঘর লুটপাট করত এমনটা নয়। আরও যা করত তা হলো, বাড়ির পুরুষদের সামনেই সেই বাড়ির মহিলাদের ধর্ষণ। সেখানে ছাড়া হতো না শিশু, কিশোরী, যুবতী, গর্ভবতী কাউকেই। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুসারে, ওয়ারশতে ক্রমাগত ইহুদি মেয়েদের ধর্ষণের কথা শোনা যেত। জার্মানরা হঠাৎ করে একটি বাড়িতে প্রবেশ করত এবং সেই বাড়ির ১৫ বা ১৬ বছর বয়সী মেয়েদের তাদের বাবা-মা এবং আত্মীয়দের উপস্থিতিতে ধর্ষণ করত। জাতিগত আধিপত্য প্রদর্শনের কমন প্রসেস। নাৎসি জার্মানিতে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, মহিলাদের ওপর অত্যাচারের এইসব তথ্যও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সর্বত্র। খুঁজে পাওয়া খুব একটা কষ্টসাধ্য নয়। ইচ্ছে করলেই পাওয়া যায়। ঘেন্না হয়, রাগ হয়, ক্ষোভ জাগে, হতাশ লাগে এরকম তথ্য, প্রসঙ্গ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখাই বোধহয় শ্রেয়। ট্যুইটারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বিতর্কিত বিষয় থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন’ গোছের কোনো ট্রেন্ডিং এখনও না হলেও সমাজের গভীর থেকে আরও গভীরে পৌঁছে যাওয়া এই ভয়ংকর ট্রেন্ড ধরেই এখন বেঁচে থাকার চেষ্টা বেশ বড়ো একটা অংশের। চোখ, কান বন্ধ রেখে যদি ভালো থাকা যায় মন্দ কী? কিন্তু প্রশ্ন একটাই - ‘অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?’ শেষ পর্যন্ত পিঠ বাঁচবে তো?
বিদেশি ধর্ষণ তো অনেক হলো। এবার একটু দেশি কাহিনি শুনি না হয়। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তো অনেক পরে বলেছে ‘ধর্ষণ এবং অন্যান্য ধরনের যৌন হিংসা যুদ্ধাপরাধ’। সেটা ২০০৮। প্রস্তাব নং ১৮২০। এসব বাদ দিয়ে আমরা বরং একটু সালেহার গল্প শুনে নিই। সালেহাকে চেনেন? আমরা অনেকেই চিনিনা। জানিনা। জানার ইচ্ছেও নেই। সালেহার বয়স কত তাও না। আসুন তবে। এবার একটু সালেহার সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক। যদিও গল্প নয়। সত্যি ঘটনা। এটা অবশ্য ১৯৩৯ বা ১৯৪৩ অথবা ১৯৪৫-এর ঘটনা নয়। রাভেনশব্রুকেরও নয়। এটা ২০০২-এর ঘটনা। গুজরাটের দাভোদ জেলার লিমখেদা তালুকার একটি অঞ্চল ছাপড়বাদ। সেখানেই মা বাবা পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে থাকত সালেহা। সেই সালেহা, যে সালেহাকে...
সালেহার মায়ের নামটা অবশ্য অনেকেই জানেন। ঘটনার ২০ বছর পর আবারও তিনি খবরের শিরোনামে। অনেকেই আরও একবার খুঁজে দেখে নিচ্ছেন ২০০২-এর সেই গণধর্ষণের ঘটনাটা। কারণ, দেখা যাচ্ছে ইন্টারনেটের সার্চিং ট্রেন্ডে অনেকটাই ওপরে সালেহার মা বিলকিস বানো। গণধর্ষণের শিকার হবার সময় যার বয়স ছিল ২১। যে সময় তিনি ৫ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। যাকে তাঁর মায়ের সঙ্গেই ধর্ষিত হতে হয়েছিল...
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০২-এ গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন লেগে ৫৯ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর তখন গুজরাট জুড়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়ছে। চলছে গণহত্যা। আমি অবশ্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ‘অটলবিহারী বাজপেয়ীজি’র মতো সেই অমোঘ প্রশ্ন তুলতে পারছি না - ‘পহলে আগ লাগায়া কিসনে?’ মানুষ হিসেবে বিবেকে বাধে। সে যাই হোক। ওই চরম হিংসার সময় ৩ মার্চ ২০০২ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ট্রাকে করে নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই কুড়ি-তিরিশ জনের একটি দল সেই ট্রাক আটক করে। এরপরেই পরিবারের সদস্যদের সামনেই শুরু হয় গর্ভবতী বিলকিস এবং তাঁর মায়ের গণধর্ষণ। হত্যা করা হয় চার মহিলা, চার শিশু সহ বিলকিসের পরিবারের চোদ্দো জনকে। উলঙ্গ, বিধ্বস্ত বিলকিসকে সম্ভবত মৃত ভেবেই রাস্তার ধারে ফেলে রেখে চলে যায় ‘বীর’ ধর্ষকের দল। ধর্ষণ শুরুর আগেই বিলকিসের তিন বছর বয়সী মেয়েকে বিলকিসের কোল থেকে কেড়ে পাথরে আছাড় মেরে থেঁতলে মারা হয়। হ্যাঁ। একটু আগে যে সালেহার কথা বলেছিলাম, সে গুজরাট হিংসায় নিহত বিলকিসের তিন বছর বয়সী মেয়ে। তিন বছর বয়সী শিশুর ধর্মজ্ঞান কতটা হয়েছিল জানা নেই, তবে তার হত্যাকারীদের ধর্মজ্ঞান যে টনটনে ছিল তাতে দ্বিধা নেই। কারণ ধর্মের নামে তিন বছরের শিশুকে পাথরে আছড়ে মারতে তাদের হাত কাঁপেনি। জার্মানি হোক বা ভারত বা অন্য কোনো দেশ, ১৯৩৯ হোক বা তারও আগে, ২০০২ হোক অথবা ২০২২ অথবা আগামীতেও - ধর্মের নামে এ খেলা থামার কোনো লক্ষণ এখনও নেই। ‘আমি জানি এই ধ্বংসের দায়ভাগে/ আমরা দু’জনে সমান অংশীদার;
ঘটনার ২০ বছর পেরিয়ে যাবার পর বিলকিস বানো ধর্ষণ নিয়ে ফের নিউজপ্রিন্ট খরচের কারণটাও বেশ আকর্ষণীয়। দেশের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে গুজরাট সরকারের ‘রেমিশন পলিসি’ অনুসারে বিলকিস বানো গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন ধর্ষককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে-তে ১৭ আগস্ট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মুক্তির পর ১১ জন ধর্ষককে মালা দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয় স্থানীয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ অফিসে। আর এর থেকেও ভালো মন্তব্য করেছেন গুজরাটের গোধরার বিজেপি বিধায়ক সি কে রাউলজি। যে রাউলজি এই ১১ জন ধর্ষকের মুক্তির বিষয় বিবেচনা করার জন্য যে প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল তারও সদস্য ছিলেন। রাউলজি সহ প্যানেলের সব সদস্যই ধর্ষকদের মুক্তির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। এই প্যানেলে রাউলজী ছাড়াও অপর এক মহিলা বিজেপি বিধায়ক ছিলেন - শ্রীমতী সুমন চৌহান। নিউজ পোর্টাল ‘মোজো স্টোরি’র সাংবাদিককে গোধরার বিধায়ক জানিয়েছেন, ‘আমি জানিনা মুক্তিপ্রাপ্ত আসামীরা কোনো অপরাধ করেছে কীনা। কিন্তু কেউ কোনো অপরাধ করলে তার উদ্দেশ্য তো অবশ্যই থাকবে। তাঁরা ব্রাহ্মণ, ভালো সংস্কারের জন্য পরিচিত। কারও কারও তাঁদের কোণঠাসা করে শাস্তি দেওয়ার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। জেলে থাকাকালীন তাঁরা সকলের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করেছেন’।
গোধরার বিজেপি বিধায়ক ১১ ধর্ষকের ‘অপরাধের উদ্দেশ্য’ খুঁজে না পেলেও ঘটনার তদন্তকারী সিবিআই কাউন্সেল হিতেন ভেনেগাঁওকর তাঁর রিপোর্টে এই ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে ধর্ষণকাণ্ডের ‘মোটিভ’ হিসেবে জানিয়েছিলেন, “সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের আতঙ্কিত করতে ও ক্ষতি করতে আক্রমণ, হত্যা এবং অসহায়দের ধর্ষণ...”। ‘বিলকিস বানো এবং তাঁর মাকে একে অপরের সামনে গণধর্ষণ করা হয়েছিল... এটা কোনো বিতর্কিত বিষয় নয় যে, এক নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষদের লাঞ্ছিত, খুন এবং ধর্ষণ করা হয়েছিল।’ (তথ্যসূত্র – দ্য লজিক্যাল ইন্ডিয়ান)
২০০২-এর ঘটনার ৬ বছর পর ২০০৮-এর ১১ জানুয়ারি যে শাস্তি ধর্ষকরা পেয়েছিল তা খুব একটা সহজে যদিও আদায় করতে পারেননি বিলকিস। ৪ মার্চ ২০০২, স্থানীয় লিমখেদা পুলিশ থানায় এই গণধর্ষণের রিপোর্ট দায়ের করা হয়। যদিও পুলিশ প্রথমে কোনো অভিযোগ নিতে চায়নি। ধর্ষকদের বেশ কয়েকজনকে বিলকিস চিনলেও থানা সেই ধর্ষকদের নাম লিপিবদ্ধ করেনি। অভিযোগ, বিলকিসকে বেশ কয়েকবার পুলিশের পক্ষ থেকে এই মামলা না চালানোর জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে শুরু করে বলেও অভিযোগ আছে। এরপর বিলকিস দ্বারস্থ হন ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের এবং সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। যে তদন্ত শুরু হবার পরেও একাধিকবার গুজরাট ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) বিলকিসকে হেনস্তা করতে শুরু করে। ২০০৪-এ এই ঘটনায় গ্রেপ্তারি শুরু হবার পর ফের হুমকির মুখে পড়েন বিলকিস। এরপর তিনি অ্যাডিশনাল পিটিশন দাখিল করে এই মামলা গুজরাটের বাইরে সরানোর প্রার্থনা জানান। যে আবেদন মঞ্জুর করে এই মামলা সরিয়ে নেওয়া হয় মুম্বাইয়ের এক বিশেষ আদালতে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ধর্ষকদের মালা দিয়ে সংবর্ধিত করলেও কিংবা গোধরার বিজেপি বিধায়কের মতে ধর্ষকরা ‘সংস্কারী ব্রাহ্মণ’ হলেও এই ঘটনার সরকারি সাক্ষীদের মত সম্পূর্ণ অন্য। তাঁদের অভিযোগ, পারিবারিক অনুষ্ঠান এবং পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার কথা জানিয়ে বারে বারে প্যারোল বা অস্থায়ী জামিনের আবেদন জানিয়েছেন আসামীরা। বেশ কয়েকবার তারা জামিনও পেয়েছেন। তবে, আসামীরা জেল থেকে বাইরে বের হলেই তাঁদের কাছে হুমকি আসত। সেকথা তাঁরা কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন। এই মামলার এক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী রন্ধিকপুরের বাসিন্দা আব্দুল রাজ্জাক মনসুরি। যিনি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গুজরাটের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদীপ সিংহ জাদেজাকে লেখা এক চিঠিতে জানিয়েছিলেন, এই মামলার আসামী শৈলেশ ভাট প্যারোলে মুক্ত থাকাকালীন ভারতীয় জনতা পার্টির এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন এবং দাহোদ থেকে বিজেপি’র নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাথে মঞ্চে ছিলেন। তাঁর আরও অভিযোগ, প্যারোলে থাকার সময়কে তাঁরা ব্যবসা চালানো, তাদের বাংলো তৈরি করা এবং সাক্ষীদের হুমকি দেওয়ার কাজেও ব্যবহার করছেন।
গত ১৭ আগস্ট এক বিবৃতিতে বিলকিস বানো আবেদন জানিয়েছেন, “আমাকে নির্ভয়ে শান্তিতে বাঁচার অধিকার ফিরিয়ে দিন”।... যখন থেকে আমি শুনেছি যে ওই ১১ জন আসামী ছাড়া পেয়েছে, তখন থেকেই আমি নির্বাক এবং অসাড় হয়ে পড়েছি।... একজন নারীর অধিকারের জন্য লড়াই, তাঁর উপর হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার এভাবে শেষ হতে পারে কী করে? আমি দেশের শীর্ষ আদালতের উপর আস্থা রেখেছিলাম। মানসিক আঘাত কাটিয়ে আবার ধীরে ধীরে বাঁচতে শিখছিলাম।... এতবড়ো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেউ একবারও আমার নিরাপত্তা এবং ভালোভাবে বাঁচার কথা চিন্তাও করল না।... ‘‘অনুগ্রহ করে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন এবং দয়া করে আমার এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুন।’’ আপাতত সুভাষিণী আলি সহ তিন জন সুপ্রিম কোর্টে ধর্ষকদের মুক্তির বিরোধিতা করে পিটিশন দাখিল করেছেন এবং শীর্ষ আদালত সেই পিটিশন শুনতে সম্মতি জানিয়েছে গত ২৩ আগস্ট। যার ভিত্তিতে ২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার ১১ ধর্ষকের মুক্তি নিয়ে গুজরাত সরকারকে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই মামলায় ১১ দোষীকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দু’সপ্তাহ পর আবারও এই মামলার শুনানি হবে।
জার্মানি টু ভারত - নেতাদের নাম নাই বা বললাম - দীর্ঘ এই যাত্রাপথে খুঁজলে এরকম আরও অনেক দেশ পাওয়া যাবে, অনেক নেতার নাম পাওয়া যাবে, অনেক অনেক অনেক বিলকিস বানোকে পাওয়া যাবে। যারা বার বার ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন। সাময়িক ভেঙে পড়েছেন। হাল ছাড়েননি। লড়াই জারি রেখেছেন। এই অসহ্য দিন থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখেছেন। সুকান্তর কথা দিয়ে শেষ করি - ‘সংহত কঠিন ঝড়ে দৃঢ়প্রাণ প্রত্যেক শিকড়;/ শাখায় শাখায় বাঁধা, প্রত্যাহত হবে জানি ঝড়;’ - সেই বিশ্বাস বেঁচে থাকুক ‘আগামী’র জন্য...